• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন গাড়ির সংঘর্ষ, শিশুসহ নিহত ৩
যুবলীগ নেতাকে ছাড়াতে থানায় আসলেন বিএনপি নেতারা!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে যুবলীগের নেতাকে পুলিশ থেকে ছাড়িয়ে নিলেন বিএনপির নেতারা। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের আউলিয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে যান তারা। পরে রাতে ওই যুবলীগ নেতাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। রোববার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজয়নগর থানার ওসি রওশন আলী। জানা যায়, ওই যুবলীগ নেতার নাম সেলিম মৃধা। তিনি পাহাড়পুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি। নাশকতার অভিযোগে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে আটক করে আউলিয়া বাজার ফাঁড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ। খবর পেয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা ফাঁড়িতে যান। ওই সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ছিলেন। রাত ৯টার দিকে সেলিম মৃধাকে বিজয়নগর থানায় নেওয়া হয়। তখন নেতাকর্মীদের অনেকে থানায় যান। রাত একটার দিকে মুচলেকা নিয়ে সেলিম মৃধাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সেলিম মৃধাকে আটক করে আউলিয়া বাজার ফাঁড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ। এর পরপরই উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল মন্নাফ, সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াহিয়া খান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিশু মিয়া, ভিটি দাউদপুর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শামসু মিয়া, নির্বাচন করে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিবের পদ থেকে বহিষ্কার হওয়া লিটন মুন্সি, বিএনপি নেতা রেনু মিয়া, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল লতিফ, জাহের মিয়া প্রমুখ ওই পুলিশ ফাঁড়িতে যান। এ বিষয়ে পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক বলেন, ‘সেলিম মৃধা ইংরেজির শিক্ষক। অনেক শিক্ষার্থী তার কাছে পড়াশোনা করে। তাকে ছাড়িয়ে আনতে অনেকের সঙ্গে আমাকেও যেতে হয়েছে।’  সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেহান উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘শনিবার রাতে পুলিশ ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতিকে ছেড়ে দিয়েছে। এ দিকে বিএনপির ২ কর্মীকে পুলিশ ধরে এনেছে। তারা ১৯৯০ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ দাবি করেছে, আমার দুই কর্মী আওয়ামী লীগ করেন।’ বিজয়নগর থানার ওসি রওশন আলী বলেন, ‘এলাকার লোকজন বলেছেন, সেলিম মৃধা ভালো মানুষ ও শিক্ষক। তার পক্ষে এলাকার শিক্ষক নেতারা এসে অনুরোধ করেছেন। কীভাবে যুবলীগের কমিটিতে তিনি এসেছেন, তা তিনি জানেন না। তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ দিকে শনিবার রাতে উপজেলার নোয়াবাদী এলাকা থেকে সৈয়দ হোসেন (৭০) ও শাহ আলম (৫০) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের ছাড়িয়ে নিতে শনিবার রাতেই বিজয়নগর সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা বিজয়নগর থানায় আসেন।’ আরটিভি/এমকে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাকচাপায় পথচারী নিহত
বিজয়নগরে ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
বিজয়নগরে ২২ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক
বিজয়নগরে বাবার হাতে ছেলে খুন
জাল ভোট দিতে এসে যুবক আটক, ৪ পোলিং এজেন্টকে জেল-জরিমানা 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দিতে আসা মো. কাওসার মিয়া নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় অন্য দুটি কেন্দ্রে চার পোলিং এজেন্টকে জরিমানা ও জেল প্রদান করা হয়েছে।  বুধবার (৫ জুন) সকালের দিকে উপজেলার হরসপুর ইউনিয়নের আউলিয়া নগর মোহাম্মদীয়া আলিম মাদরাসা কেন্দ্র থেকে জাল ভোট দিতে আসা যুবককে আটক করে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনউদ্দিন খন্দকার।  এছাড়াও কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মুকট প্রতীকের পোলিং এজেন্ট মামুন ও প্রজাপতি প্রতীকের এজেন্ট সহিদ মিয়াকে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।  এ দিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ছতরপুর উচ্চবিদ্যালয় মহিলা ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা বারবার মুঠোফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেন। তারপরও দুই পোলিং এজেন্ট হারুন মিয়া (২৪) ও শাহানা বেগম (৫২) সঙ্গে মুঠোফোন রাখায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুজনকে তিন দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ দিকে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানান বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহবুবুল হক। তিনি জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি, আনসার সদস্যরা রয়েছেন। এছাড়াও মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।  নির্বাচনে চেয়ারম্যন পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যন (পুরুষ) পদে ৯ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে বিজয়নগর উপজেলা গঠিত। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজার ৫৩৮ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ৭৮টি।
বিজয়নগরে ভোট উৎসব শুরু
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।  বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।  এ দিকে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানান বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহবুবুল হক।  তিনি জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশের, র‌্যাব, বিজিবি, আনসারের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যন পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যন (পুরুষ) পদে ৯ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে বিজয়নগর উপজেলা গঠিত। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজার ৫৩৮ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ৭৮টি। চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী থাকলেও ভোটের মাঠে সক্রিয় ছিলেন ৩ জন প্রার্থী। প্রার্থীরা হলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী ঘোড়া প্রতীক, লিরিক গ্রুপের ডিরেক্টর আল জাবের (জাবেদ আহমেদ) আনারস প্রতীক ও কাপ-পিরিচ প্রতীক।
বিজয়নগরে নিখোঁজ নারী প্রার্থী নারায়ণগঞ্জে উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার ওরফে হালিমা আক্তারের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বেলা ১২টার দিকে খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আসাদুল ইসলাম।   এর আগে সকালে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আসে।  ওসি বলেন, ‘কিভাবে কি হয়েছে সেটা তাকে নিয়ে আসার পর বলা যাবে। তাকে বিজয়নগর থানায় নিয়ে আসলে বিস্তারিত জেনে পরে জানাবো।’ প্রীতি খন্দকারের স্বামী মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘বিজয়নগর থানা জানিয়েছে আমার স্ত্রীকে তারা পেয়েছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ কাঁচপুর হাইওয়ে থানাতে আছেন। আমি গাড়ি নিয়ে সেখানে যাচ্ছি, কিভাবে কি হয়েছে গিয়ে জানাতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনে তার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। সার্ভার ক্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়ন জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্টের আদেশে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে হরষপুর ইউনিয়নে দুজন সহযোগী নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় যান প্রীতি। হরষপুরের ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচার করা অবস্থায় দুজন মহিলা বাহিরে আসেন আর প্রীতি ভোটারদের সঙ্গে ভেতরে কথা বলছিলেন। প্রায় ১৫ মিনিট পার হলেও বের হয়ে না আসায় ওই  দুই সহযোগী ভেতরে যান। কিন্তু প্রীতিকে আর খুঁজে পাননি। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে বিষয়টি অবগত করা হয়।’  পরে এ বিষয়ে থানায় জিডি করেন বলেও জানান প্রীতির স্বামী মাসুদ খন্দকার। 
গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে দিনমজুরের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে জমি থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মো. মামুন মিয়া (২৫) নামে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে।  রোববার (১৯ মে) বিকেলের দিকে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের সোনামুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মামুন মিয়া সোনামুড়া গ্রামের মো. সুলতান মিয়ার ছেলে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঝড়-বৃষ্টি আসছে দেখে বাড়ির পাশের জমিতে থাকা গরু আনতে যান মামুন। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই আহত হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  বিজয়নগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘উপজেলায় হরষপুর ইউনিয়নের সোনামুড়া গ্রামে জমি থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন মামুন নামে এক দিনমজুর।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে জিতু মিয়া (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৫ যাত্রী। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে শেখ হাসিনা সড়কে উপজেলার দত্তখোলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।   নিহত জিতু পত্তন ইউনিয়নের বড়খোলা এলাকার পলন মিয়ার ছেলে। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জিতুর বাবা পলন মিয়া বলেন, ‘সকালে ছেলেকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার জন্য সিএনজিতে করে রওনা করি। সিএনজিতে আরও যাত্রী ছিলেন। পরে অটোরিকশাটি দত্তখোলা নামক স্থানে পৌঁছালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে জিতুসহ সবাই আহত হন।’  পলন মিয়া আরও বলেন, ‘পরে আমার ছেলে জিতুকে গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতরা হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিজয়নগর থানার ওসি আসাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এবং মোটরসাইকেল চালকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
চাল-মোবাইল ব্যবসায়ীদের নিয়ে কমিটি, ছাত্রলীগ নেতার পদত্যাগ!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের ১৫ সদস্যদের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা করেন। কমিটিতে সভাপতি পদে হৃদয় আহমেদ, সহসভাপতি পদে সাদ্দাম হোসেন, শেখ এমরানুল ইসলাম, সুহেল রানা, জাকারিয়া ভূইয়া, মো. আব্দুল্লাহ ও শিপন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী (রাব্বী), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে হাবিব শাহিন, এইচ এম সুমন, আশরাফ চৌধুরী চাঁদ ও শাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন আসাদ ভূইয়া, গোলাম আবু নিশাদ ও মো. সজীব ভূইয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল।  বিকেলে কমিটি ঘোষণার আধা ঘণ্টার ভেতরেই নবগঠিত কমিটির সহসভাপতি শেখ এমরানুল ইসলাম অব্যাহতি নেন। তিনি সদ্য বিলুপ্ত হওয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নবগঠিত কমিটি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার কথা জানান। তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, চাল ব্যবসায়ী সভাপতি, মোবাইল বিক্রেতা সাধারণ সম্পাদক, স্ক্যান্ডালার ও বিবাহিত ভাইদের বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটিতে আসার জন্য অভিনন্দন! ছাত্রলীগের আদর্শ বজায় না রেখে ব্যবসায়ী ও বিবাহিতদের দিয়ে কমিটি দেওয়ার কারণে- বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগ থেকে আমি শেখ এমরানুল ইসলাম অব্যাহতি নিলাম! শেখ এমরানুল ইসলাম অব্যাহতি নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি আর ছাত্রলীগে ফিরে যাব না। যারা ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত নয়, তাদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। নবগঠিত কমিটির সভাপতি চাল ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি পদে আছেন, আর সাধারণ সম্পাদক রাব্বি মোবাইল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন। এ ছাড়া রাব্বি সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা ছিলেন। পাশাপাশি যুগ্মসম্পাদক পদে রাখা হাবিব শাহীন নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনায় ভাইরাল হয়েছিলেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, তার অভিযোগ গুলো সম্পূর্ণ সত্য নয়। সভাপতি হৃদয়ের বাবা মারা যাওয়ার পর সে তার বাবার ব্যবসায়ের দায়িত্ব নিয়েছেন। রাব্বি ইউনিয়ন পরিষদে উদ্যোক্তা পদে আর নেই। তবে তাদের দুজনের ছাত্রত্ব আছে।