• ঢাকা শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১
logo
৫০০ টাকার জন্য মামাতো ভাইকে খুন
কসবা সীমান্তে ২ বাংলাদেশিকে বিএসএফের গুলি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ২ বাংলাদেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার।  এর আগে, সোমবার বিকেলের দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। আহত দুজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। আহতরা হলেন, নেত্রকোণার বারহাট্টার আজিজ মিয়ার ছেলে মো. রুকন উদ্দিন (৩৫) ও কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (৩০)।  তাদের মুখ, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার মো. আজিজুল ইসলাম। বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার সময় বিএসএফ গুলি করেছে। এ ঘটনায় বিএসএফের সঙ্গে মঙ্গলবার দুপুরে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আরটিভি/এমকে/এস
কসবায় মাদরাসার এতিম ছাত্রদের মাঝে পোশাক বিতরণ
কসবায় রাতের আঁধারে চলছিল পাহাড় কাটা, এরপর যা ঘটল
কসবায় ১২০ কেজি পলিথিন জব্দ, জরিমানা
কসবায় পৌনে দুই কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি-থ্রিপিস উদ্ধার
যাত্রীবেশে উঠে ইজিবাইক চালককে হত্যা, আটক ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় রিফাত মিয়া নামে এক চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আবু নেছার ওরফে আপন নামে হত্যার মূলপরিকল্পনাকারী এক ছিনতাইকারীকে আটক ও ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক উদ্ধার করেছে কসবা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের মনকাশাইরের বালু মাঠ এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে বুধবার রাতের কোনো এক সময় হত্যা করে রিফাতকে।  কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল হক কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত রিফাত হোসেন (১৭) কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুড়িয়া গ্রামের আবেদ মিয়ার ছেলে। আটক মো. আবু নেছার ওরফে আপন (২৯) কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের চন্ডিদ্বার গ্রামের আলমগীর মিয়ার ছেলে।  এ বিষয়ে ওসি জহিরুল হক জানান, হত্যার শিকার ইজিবাইক চালকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক আবু নেছার ছাড়াও এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরটিভি/এএএ
কসবায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে সার বিতরণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে সার বিতরণ করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৬ হাজার কৃষক-কৃষাণীর মাঝে এসব সার বিতরণ করা হয়।  এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বায়েক ইউনিয়নের ৪ হাজার এবং অন্যান্য ইউনিয়নের ২ হাজার কৃষক-কৃষাণী রয়েছেন। এসময় প্রতি কৃষককে ১০ কেজি ডিএফপি, ১০ কেজি এমওপি সার ও রোপণ খরচ বাবদ নগদ ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।  উপজেলা কৃষি অফিসার হাজেরা বেগমের সঞ্চালনায় সার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার।  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. তারেক মাহমুদ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রুহুল আমিন সরকার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ভূইয়া, কসবা প্রেসক্লাব সহসভাপতি নেপাল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপন, গোপিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভূইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  এসময় কৃষি উপসহকারী ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।  আরটিভি/আইএম
‘দুর্যোগে পরিবহন সহায়তায় ছাত্র-জনতার পাশে বিআরটিসি’
দুর্যোগকালীন সময়ে পরিবহন সহায়তায় বিপ্লবী ছাত্র-জনতার পাশে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় পরিবহন বিআরটিসি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।   শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরের দিকে কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়ন পরিষদে ঢাকাস্থ কসবা সমিতির আয়োজনে বন্যার্তদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন তিনি।  তিনি বলেন, বিআরটিসি সবসময় সরকারের যেকোনো দুর্যোগকালে পাশে আছে। যেহেতু বিআরটিসি সরকারের একমাত্র রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা। ছাত্র-জনতা যখন টিএসসিতে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে আমরা প্রথম দিন থেকে বিআরটিসির ট্রাক সহায়তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ছাত্র-জনতার পাশে ছিলাম। ছাত্র-জনতা যখন যেই পরিমাণ ট্রাক যাচ্ছিল সেই পরিমাণ ট্রাকই কিন্তু বাংলাদেশের ১১টি জেলায় ছেড়ে দিয়েছি। যত ট্রাক লাগবে আমরা সেই সহযোগিতা দিয়ে অতীতে যেমন ছিলাম, বর্তমানে রয়েছি এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকব।  এ সময় বিআরটিসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ২০২১ এর আগে বিআরটিসি ডুবে গিয়েছিল বা ডুবতে বসেছিল।অনেক পত্রপত্রিকায় নিউজ আছে যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিআরটিসি। সেই বিআরটিসি এখন কিন্তু তিন বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন আমি মনে করি, আরও বেশি ঘুরে দাঁড়াবে এইটা বিপ্লবী সরকার। এই বিপ্লবী সরকারের নির্দেশনায় আমরা আরও ঘুরে দাঁড়াব।  এ সময় কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তারের সভাপতিত্বে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হাবিবুর রহমান হাবীব, ঢাকাস্থ কসবা সমিতির ত্রাণ উপকমিটির আহ্বায়ক মো. সৌকত রেজা রতন, মো. মোজাম্মেল হক লিটল, ইকবাল আহমেদ, মো. কবিরুল আজাদ, লায়ন এম এ সোহেল আহমেদ মৃধা, আলহাজ হেলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী মো. আব্দুল বাকের সরকার উপস্থিত ছিলেন।  উল্লেখ্য, বন্যাকবলিত কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের ১৪০ জন, কায়েমপুর ইউনিয়নের ১০ জন ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ৫০ জনসহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মোট ২০০ জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান।
সড়ক ভেঙে কসবা-কুমিল্লা যোগাযোগ বন্ধ
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি এখনো কসবা উপজেলায় প্রবাহিত হচ্ছে। উচ্চ প্রবাহের ফলে ভেঙে গেছে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বায়েক মোড় সংলগ্ন এলাকার সড়কটি। এতে কসবা থেকে কুমিল্লার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।  খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বুধবার থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি কসবা প্লাবিত করে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত ৩ টায় পানির তোড়ে ভেঙে যায় উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বায়েক মোড় সংলগ্ন কুমিল্লা যাওয়ার একমাত্র সড়কটি। এতে উপজেলার বায়েক, গোপীনাথপুর, কাইয়ুমপুরের ৪০ টি গ্রামের পরিবার এখন পানি বন্দি রয়েছে৷ সেই সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কসবা-কুমিল্লা যাওয়ার বাইপাস সড়কটিও।  স্থানীয় ও আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া বন্যা কবলিতরা বলছেন, বায়েক ইউনিয়নের সালদা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে সালদা নদীর পানি বাঁধের ওপর দিয়ে গ্রামগুলো প্লাবিত করছে। এমন অবস্থা তাদের চমকে দিয়েছে।  তবে সালদা নদীতে কোনো স্টেশন না থাকায় পানির বিপৎসীমার ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান কাছে।   কসবা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহরিয়ার মোক্তার বলেন, সর্বশেষ কসবা উপজেলায় ২৩৫০ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এতে প্রায় ৪০ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। তিনটি ইউনিয়নের বন্যাকবলিতদের জন্য ১০ মেট্রিক টন চাল ও ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, বন্যাপীড়িতদের জন্য ৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র ও বিভিন্ন গ্রামের আটকে পড়া পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কসবায় শিক্ষকের বহিষ্কার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক হুমায়ুন কবিরকে অসদাচরণের দায়ে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভ মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।  এ সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষক হুমায়ুন কবিরের বহিষ্কার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তারের নিকট লিখিত অভিযোগ পেশ করেন এবং অবস্থান নেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাবিলা আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ুন কবির ক্লাস নেওয়ার সময় ছাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ, অশ্লীল বাক্য ব্যবহার ও মনের জেদ মেটাতে ছাত্রীদের গায়ে হাত তোলেন। কয়েক বছর আগে একই অভিযোগে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাকে বদলি করেছিলো উপজেলা প্রশাসন। কিছুদিন পর কীভাবে যেন আবারও এই প্রতিষ্ঠানে ফিরে আসেন তিনি। আসার পর থেকে আবারও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার ইচ্ছেমতো আচরণ করছেন। অপর শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার বলেন, স্যারের শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারের কাছে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। প্রধান শিক্ষকের নিকট একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছিনা। ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে পড়তে আসে, গালাগালি শোনার জন্য নয়। তিনি মুখে যা আসে সেভাবেই গালাগালি করেন। স্যারের নিকট প্রাইভেট না পড়লে খাতায় নম্বর কমিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। একজন শিক্ষক পিতৃতুল্য। ওই শিক্ষক যদি ছাত্রীদের সঙ্গে এমন বাজে আচরণ করেন, তাহলে কীভাবে ছাত্রীরা পড়াশুনা করবে। তিনি শ্রেণিকক্ষে আসলে আমরা আতঙ্কে থাকি। আমরা অবিলম্বে এই শিক্ষকের বহিস্কার চাই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বশির আহাম্মদ বলেন, ছাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হুমায়ুন কবির স্যারকে এ ধরনের আচরণ না করার জন্য সাবধান করা হয়েছে। আজ শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে মিছিল করেছে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন যে ব্যবস্থা নেন সেটাই আমরা গ্রহণ করবো। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, ছাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তৌহিদকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দশ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে এবং ওই শিক্ষককে পাঠদান থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কসবায় ট্রাক্টর চাপায় শিশুর মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মাটিবাহী ট্রাক্টর চাপায় ইমরুল হোসেন (১০) নামে একটি শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে কসবা-সৈয়দাবাদ সড়কের পৌর শহরের কদমতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  ইমরুল পৌর শহরের আড়াইবাড়ী গ্রামের ভাড়াটিয়া ইমতিয়াজ হোসেনের একমাত্র ছেলে।  এ ঘটনায় চালক পালিয়ে গেলেও ট্রাক্টরটিকেও জব্দ করে পুলিশ। এ দিকে শিশুর মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে সাইকেল চালিয়ে এসে পৌর শহরের কদমতলী মোড়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলো। সৈয়দাবাদের দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা মাটিবাহী একটি ট্রাক্টর শিশু ইমরুলকে চাপা দেয়। এ সময় ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে ইমরুলে মাথা থেঁতলে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশু ইমরুল। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিশু ইমরুলের পরিবার কসবার আড়াইবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। তাদের বাড়ি পাশ্ববর্তী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাড়ানী গ্রামে। ইমরুলের বাবা একজন অটোরিকশা চালক। ইমরুল পৌর শহরের আইডিয়াল প্রিক্যাডেট স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ট্রাক্টর চাপায় নিহত শিশু ইমরুলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ট্রাক্টরটিকে জব্দ করা হয়েছে।