• ঢাকা সোমবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১
logo
পা পিছলে নদীতে পড়া নারীকে উদ্ধার করল নৌপুলিশ
‘টাকা গুনে নেওয়া সুন্নত’ বলে ঘুষ গ্রহণ, এসআই প্রত্যাহার
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানা থেকে পুলিশের এসআই মাহফুজুর রহমানকে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সম্প্রতি তার একটি ঘুষ গ্রহণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব।  এর আগে, সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে এসআই মাহফুজকে হাজীগঞ্জ থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, এসআই মাহফুজুর রহমান হাজীগঞ্জের একটি দোকানে সাদা পোশাকে বসে ঘুষের টাকা গুনে নিচ্ছেন। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা জনমনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। ভিডিওতে দেখা যায়, এসআই মাহফুজ স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। প্রথমে তিনি বলেন, ‘১০ হাজার টাকা কইছি’, এরপর তার সামনে বসে থাকা ব্যক্তি বলেন, ‘সবুরে মেওয়া ফলে।’ মাহফুজ উত্তরে বলেন, ‘এক টাকাও কম হইতো ন।’ তারপর তিনি মুচকি হাসে এবং ‘কাম শেষ, এখন টিয়া’ বলে আরেকজনের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করেন।  তার কথোপকথনে আরও উঠে আসে, ‘টাকা গুনে নেওয়া সুন্নত’ এবং ‘রুম অন্ধকার, আল্লাহ কইছে মাইনসেরে দেহাই কিল্লাই।’ ঘটনার পর প্রথমে এসআই মাহফুজ অভিযোগ অস্বীকার করেন, পরে তিনি বলেন, ‘এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’  ঘুষ নেওয়ার ভিডিও সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি চুপ থাকেন। চাঁদপুর পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখে এসআই মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাকে হাজীগঞ্জ থানা থেকে প্রত্যাহার করে চাঁদপুর পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এখন এই ঘটনার তদন্তে একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।’ আরটিভি/এমকে/এসএ
চাঁদপুর পৌরসভার অবৈধ দোকান পাট উচ্ছেদ অভিযান 
চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের দালালদের হামলায় সমন্বয়ক আহত
চাঁদপুরে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির অভিযান, ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
চাঁদপুরে সরগরম ইলিশের আড়ত
ইলিশ ধরার সময় কৃষি ব্যাংকের এজিএমসহ ১৪ জেলে আটক
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞার শেষ দিনে ইলিশ ধরার অপরাধে কৃষি ব্যাংক চাঁদপুর শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) কাইয়ুম খানসহ ১৪ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ। রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পুলিশ জানায়, মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে একটি জেলে নৌকায় সাতজনকে আটক করা হয়। ওই নৌকা থেকে কৃষি ব্যাংক চাঁদপুর শাখার এজিএম কাইয়ুম খানকে আটক করা হয়। এ ছাড়া প্রায় ১ লাখ মিটার অবৈধ জাল উদ্ধার এবং ১০০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে। আটককৃত ১৪ জনের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা করা হবে। আটক ব্যাংক কর্মকর্তা কাইয়ুম খান কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা। তিনি ব্যাংকের ভবনেই থাকতেন। তিনি সাংবাদিকদেরকে বলেন, তিনি জানতেন না মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলছে। জেলে নৌকাটি তার একজন পরিচিতি লোকের। ওই নৌকায় তিনি জেলেদের সাথে ঘুরতে গিয়েছিলেন। এ দিকে ২২ দিনের অভিযান প্রসঙ্গে সংক্ষিপ্ত প্রেসবিফ্রিং করেন পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ২২ দিনেন অভিযানে ৩৪৬ জেলে গ্রেপ্তার, ৭৫ লাখ ৯৭ হাজার মিটার জাল, ২ হাজার ৪৭৯ কেজি মাছসহ ১১৪টি জেলে নৌ জব্দ করা হয়। এ ছাড়া ২৯টি মোবাইল কোর্টে ১৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। আরটিভি/এমকে-টি
চাঁদপুরে তেলের জাহাজে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে পদ্মা ডিপোতে তেল আনলোডের প্রস্তুতিকালে সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ নামে তেলের জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে পদ্মা ওয়েল কোম্পানির ডিপো ইনচার্জ মুহাম্মদ লোকমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মুহাম্মদ লোকমান বলেন, পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিজিএম আসিফ মালেককে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে, রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে চাঁদপুর শহরের কয়লাঘাট পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিপো এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে তেলের জাহাজের ইঞ্জিন কক্ষে জেনারেটর বিস্ফোরণে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে জাহাজে থাকা ৬ কর্মচারী আহত হন। এর মধ্যে গোলাপ নামে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এই জাহাজে সাড়ে ৭ লাখ ৭৮ হাজান লিটার পেট্রোল ও ডিজেল ছিল। আরটিভি/এমকে
ডাকাতিয়া নদীতে তেলবাহী জাহাজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে ‘এভি সাদিয়া অনিক’ নামে একটি তেলবাহী জাহাজের ইঞ্জিনকক্ষে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।  রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে নদীর পদ্মা ওয়েল কোম্পানির জেটিতে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মোরশেদ আলম। খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ারসার্ভিস ও কোস্টগার্ড। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই জাহাজে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। পরিচালক সৈয়দ মোরশেদ আলম বলেন, বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ওই নদীর পদ্মা ওয়েল কোম্পানির জেটির অদূরে ডাকাতিয়া নদীতে ‘এমভি সাদিয়া অনিক’ নামে একটি তেলবাহী জাহাজের ইঞ্জিনকক্ষে আগুন লাগে। তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে ফায়ারসার্ভিস ও কোস্ট গার্ড এক ঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আরটিভি/এমকে-টি
চাঁদপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার চাঁদপুরে স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে (২৫) যৌতুকের দাবিতে হত্যার দায়ে স্বামী মো. মহিন উদ্দিনকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল হান্নান এ রায় দেন। হত্যার শিকার মরিয়ম বেগম হাজীগঞ্জ উপজেলার মোল্লারডর মিজি বাড়ির হাজি নেয়ামত উল্লাহ মিজির মেয়ে।  মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. মহিন উদ্দিন একই উপজেলার পূর্ব কাজিরগাঁও গ্রামের মোহন গাজীবাড়ীর লিয়াকত আলীর ছেলে। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, পারিবারিক সম্মতিতে মরিয়ম ও মহিন উদ্দিনের বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের সময় মরিয়মের বাবা স্বর্ণলঙ্কার ও নগদ ১ লাখ টাকা দেয়। এরপরে মহিন উদ্দিন নতুন ব্যবসা দেবে এবং বিদেশে যাওয়ার কথা বলে বার বার মরিয়মের মাধ্যমে যৌতুক হিসেবে শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা দাবি করতে থাকে। এসব নিয়ে একাধিকবার পারিবারিকভাবে বৈঠকও হয়। ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে কোনো একসময় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মহিন উদ্দিন স্ত্রী মরিয়মকে বালিশ চাপা ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ বিষয়ে মরিয়মের বাবা নেয়ামত উল্লাহ মিজি বলেন, ঘটনার পরদিন ৩ নভেম্বর সকালে আমরা মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পাই। সেখানে গিয়ে আমার মেয়েকে শ্বশুর বাড়ির একটি দোচালা ঘরে পাতলা কাঁথা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় পাই। পরে পুলিশ এসে সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় ৭ নভেম্বর মরিয়মের বাবা নেয়ামত উল্লাহ মিজি হাজীগঞ্জ থানায় জামাতা মহিন উদ্দিনসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি আদালত গ্রহণের পর তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এতে মামলার ৫ জন আসামির মধ্যে মহিন উদ্দিন ছাড়া বাকি ৪ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।   চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শামছুল ইসলাম মন্টু বলেন, মামলাটি প্রায় ৭ বছর চলমান অবস্থায় আদালত ৯ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। সাক্ষ্যগ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ইকবাল বিন বাশার ও বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট হান্নান কাজী। আরটিভি/এমকে-টি
মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়নে চাঁদপুরে নৌর‌্যালি
মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়নে চাঁদপুরে র‌্যালি ও সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে শহরের তিন নদীর মোহনা মোলহেডে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। তিনি বলেন, নিজের বাড়িতে নিজে যদি নিরাপদ থাকি তাহলে ইলিশের বাড়িতে ইলিশ কেন নিরাপদে থাকবে না। আমাদের দেখাতে হবে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে ইলিশ নিরাপদ। আইনের প্রয়োগ করতে আমরা চাচ্ছি না। আমরা চাই, নিজের সম্পদকে আপনারা নিজেরা রক্ষা করবেন। ইলিশ মাছ আমাদের জাতীয় সম্পদ। নিজের সম্পদকে কেন ধ্বংস করবেন আপনারা। ইলিশ যেহেতু রাষ্ট্রের সম্পদ, আপনার স্বার্থ থাকবে রাষ্ট্রের জন্যে। দেশের সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব সবার। জেলা প্রশাসক বলেন, ভুল করলে মাফ পাওয়া যায়, কিন্তু অপরাধ করলে মাফ পাওয়া যাবে না। ২২ দিন নদীতে মাছ ধরলে তা অপরাধ হবে। চাঁদপুরের সবগুলো বরফ কল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নদীতে যাত্রী পারাপার ছাড়া কোন স্পিডবোট চলবে না। চুরি করে যে মাছ বাজারে বিক্রি করবেন, সে বাজারগুলোতে আমরা মনিটরিং করবো। আমরা মা ইলিশ সংরক্ষণে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। ২২ দিন নদীতে কোন ইলিশ ধরা যাবে না। নদীতে কোন মাছ ধরার নৌকাও যাবে না। সম্মিলিতভাবে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব, নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মো. মোশফিকুর রহমান, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আমিরুল ইসলাম, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার সাব লেফটেন্যান্ট এম ফজলুল হক, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত। স্বাগত বক্তব্য দেন সভার সভাপতি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান। জেলেদের পক্ষে বক্তব্য দেন জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তছলিম বেপারী। সভার সঞ্চালনায় ছিলেন হাইমচর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাহবুব রশীদ। সভায় জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, জেলা মৎস্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং কয়েক শতাধিক উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সকল অংশীজনদের নিয়ে মেঘনার মোহনা থেকে একটি বর্ণাঢ্য নৌর‌্যালি বের হয়ে অভয়াশ্রম এলাকা ঘুরে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়। শনিবার (১২ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টার পর থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ রক্ষায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। আরটিভি/এমকে
‘মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন নদীতে জাল ফেলা নিষিধ’
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, এবারের মা ইলিশ রক্ষা অভিযান একটু ব্যতিক্রম হবে। যেকোনো মূল্যে জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষা করা হবে। সুতরাং নিষিদ্ধ সময়ে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় জেলেরা জাল ফেলা থেকে বিরত থাকবেন। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  রোববার (৬ অক্টোবর) বিকালে মোহনপুর লঞ্চঘাটে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত মা ইলিশ রক্ষায় সচেতনমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মা ইলিশের মধ্যে যদি ৪০ শতাংশ মাছ ডিম ছাড়তে পারে, তাহলেও ২৫ শতাংশ বেশি উৎপাদন হবে। তার মানে আপনারা যারা মৎস্যজীবী তারাই বেশি লাভবান হবেন। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মা ইলিশ রক্ষা করতে হবে।  জেলেদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারের পক্ষ আপনাদের খাদ্য সহায়তা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ দিচ্ছে। তাই আবারও বলছি, নিষিদ্ধ সময়ে সকলে মা ইলিশ রক্ষার্থে নদীতে জাল ফেলা থেকে বিরত থাকবেন। মতলব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিল্লোল চাকমা, মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান, মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ।  সভায় মেঘনা নদী উপকূলীয় এলাকার জেলে, বিভিন্ন পেশা ও রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/এমকে/এএইচ