• ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১
logo
এবার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ
মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে দুপুরে তাদেরকে সিআরপিসির ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আক্তার উজ জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুলিয়ারা গ্রামের ইসমাইল হোসেন মজুমদার (৪৩), মো. জামাল উদ্দিন মজুমদার (৫৮), ইলিয়াছ ভূঁইয়া (৫৮), কুলিয়ারা মসজিদের ঈমাম ও নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট গ্রামের আবুল কালাম আজাদ (৪৮) ও চাঁদপুর জেলা সদরের ইমতিয়াজ আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ (১৯)। ওসি জানান, এ ঘটনায় থানায় এখনও কোনো মামলা না হওয়ায় গ্রেপ্তারকৃতদের ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজ দেখে ওই ৫ ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছিল। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে অভিযান চালাচ্ছে। আরটিভি/এএএ 
অবশেষে মুখ খুললেন হেনস্তার শিকার সেই মুক্তিযোদ্ধা কানু
বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা, নিহত ৩
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, হেলপারের মৃত্যু
মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে প্রাণ গেল ২ বন্ধুর
প্রবাসে মাঙ্কিপক্সে বাংলাদেশির মৃত্যু, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কুমিল্লায় দাফন
সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া প্রবাসী কামাল হোসেনের (৩৮) মরদেহ নিজ গ্রাম কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দাফন করা হয়েছে।  শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাশটি দাফন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। কামাল হোসেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের মেসতলা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে তার মরদেহ ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। গত ৩ সেপ্টেম্বর আরব আমিরাতে তার মৃত্যু হয়। জানা গেছে, প্রায় ৭ বছর আগে কামাল হোসেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি জমিয়েছিলেন। সেখানে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন তিনি। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হওয়ার পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ শহরের একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। কামাল হোসেনের দুই মেয়ে রয়েছে। কামাল হোসেনের বাবা বলেন, প্রশাসনের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকা থেকে আজ সকাল ৭টা ২০ মিনিটে মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছায়। পরে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল আটটায় গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে লাশ দাফন হয়েছে। ছেলেটাকে এভাবে বিদায় দিতে হবে কখনো ভাবেননি। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া কামাল হোসেনের মরদেহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী দাফন করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থেকে সার্বিক বিষয়ে খেয়াল রাখা হয়েছে কেউ যেন স্বাস্থ্যবিধি অমান্য না করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাসজনিত ছোঁয়াছে রোগ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। কামাল হোসেনের পরিবারের আট সদস্যকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম আক্তার উজ জামান বলেন, কামাল হোসেনের মরদেহ দাফনের বিষয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দাফন করা হয়েছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/এমএ/এআর
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জামায়াত নেতার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। যতটুকু সময় দরকার সংস্কারের ঠিক ততটুকু সময় নেওয়ার পর নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানাচ্ছি।’  বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নানকরা হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) মহিলা মাদরাসার নতুন ভবন ও মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।  তিনি আরও বলেন, যে জাতি ইতিহাস ভুলে যায় তারা বেশিদূর যেতে পারে না। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন, যেন জনগণ তাদের অধিকার ফিরে পায়।  মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য আব্দুস সাত্তার, জেলা দক্ষিণ আমির অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতে আমির মাহফুজুর রহমানসহ আরও অনেকে।  আলোচনা শেষে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ও মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। আরটিভি/এমকে-টি
‘তোমাকে দাফন করলাম, তুমি কোথা থেকে এলে?’
দাফনের ৯ দিন পর বাড়ি ফিরলেন নিখোঁজ তরুণী রোকসানা আক্তার (৩০)। এ নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, রোকসান তোমাকে দাফন করলাম, তুমি এখন এলে কোথায় থেকে?  বুধবার (২৬ জুন) ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর গ্রামে। রোকসানা আক্তার ওই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের মেয়ে। অপরদিকে ফিরে আসা তরুণীকে এক নজর দেখতে উৎসুক মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জমায়। শনিবার (২৯ জুন) রাতে জানা গেছে, মে মাসের শেষে রোকসানা আক্তার বাড়ি থেকে ছোট ভাই সালাহ উদ্দিনের চট্টগ্রামের ষোলশহরের বাসায় বেড়াতে যান। ১ জুন ভোরে কাউকে না জানিয়ে রোকসানা বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন আত্মীয়স্বজনসহ সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত ১৭ জুন ঈদুল আজহার দিন বিকেলে ফেনী শহরে ভাড়া বাসায় অবস্থানরত খালাতো বোন হাজেরা আক্তার ও খালাতো ভাই শাহজাহান খবর পান, ফেনী শহরের জিয়া মহিলা কলেজের সামনে ড্রেনের মধ্যে একজন নারীর লাশ পড়ে আছে। তারা সেখানে গিয়ে লাশের চেহারা রোকসানা আক্তারের চেহারার সঙ্গে মিল দেখে ভাই এবায়দুল হককে খবর পাঠান। এরই মধ্যে ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ লাশটির সুরতহাল শেষে উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। রাতে এবায়দুল হক জিয়া মহিলা কলেজের ড্রেন এলাকায় পৌঁছে আশপাশের মানুষকে বোনের ছবি দেখিয়ে লাশটি একই রকম কিনা জিজ্ঞেস করলে সবাই ছবির সঙ্গে মিল রয়েছে বলে জানান। পরে এবায়দুল হকসহ আত্মীয়-স্বজনসহ ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে লাশ উদ্ধারকারী উপপরিদর্শক প্রতুল দাসের সঙ্গে দেখা করে বোন রোকসানার ছবি দেখান। উপস্থিত পারস্পরিক আলোচনায় উপপরিদর্শক প্রতুল দাসকে তারা রোকসানার লাশ শনাক্ত করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ এবায়দুল হকের হাতে বোন রোকসানা আক্তারের লাশ হস্তান্তর করে। ওইদিন বাদ আসর গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর মধ্যমপাড়ায় সামিশকরা দীঘির দক্ষিণ পাড়ে তার লাশ দাফন করা হয়।  লাশ দাফনের ৯ দিন পর গত ২৬ জুন বুধবার বিকেলে ঘটে বিপত্তি। হঠাৎ ‘দাফন করা’ রোকসানা সশরীরে বাড়িতে হাজির হলে আৎকে উঠেন সবাই। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি জানাজানি হলে বাড়ির উঠানে আশেপাশের উৎসুক মানুষ তাকে একনজর দেখতে ভিড় জমায়। এ সময় নারী-পুরুষ তাকে একবাক্যে জিজ্ঞেস করে, রোকসান তোমাকে দাফন করলাম, তুমি কোথায় থেকে আসলে? তখন সে বলতে থাকে, কে বলছে আমি মারা গেছি? আমি ঢাকায় ঘুরতে গেছিলাম। শরীর খারাপ থাকায় কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। উল্টো এখন রোকসানাই ভাই এবায়দুল হক ও সাধারণ মানুষকে প্রশ্ন করছে, আমাকে ভেবে তোমরা কোন নারীকে দাফন করেছ, কি তার পরিচয়?  ফিরে আসা রোকসানা আক্তার বলেন, আমি চট্টগ্রামে ভাইয়ের বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে ঢাকায় চলে যাই। সেখানে গিয়ে আমি একটি চাকরি পেয়েছি। যেহেতু আমি বাড়ি থেকে কোনো কাপড় নিয়ে যাইনি, তাই কাপড় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়িতে ফিরে আসি। ২৬ জুন বুধবার বাড়িতে এসে দরজা নক করলে আত্মীয়-স্বজনরা আমাকে দেখে হতবাক হয়েছেন। তখন আমি জানতে পারি, আমি নাকি মারা গেছি এবং আমার লাশও দাফন করা হয়ে গেছে। আমিতো জীবিত ফিরে আসলাম।   ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক প্রতুল দাস শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, উদ্ধার করা লাশটি বিকৃত ছিল। এবায়দুল হক ও তার স্বজনরা উদ্ধারকৃত লাশটি রোকসানার বলে শনাক্ত করে আমার কাছ থেকে নিয়ে যায়। এখন যেহেতু তাদের বোন সশরীরে বাড়িতে উপস্থিত হয়েছে, তাই আমরা বিষয়টি নতুন করে তদন্ত করব। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, তরুণী নিখোঁজ, উদ্ধার, দাফন ও আবার ফিরে আসার বিষয়ে কেউ আমাকে অবগত করেনি। খবর নিয়ে দেখব-আসলে কি ঘটেছে।
কুমিল্লায় সম্পত্তির বিরোধে ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বড় ভাই মো. ইলিয়াছকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে ছোট ভাই বাহার মিয়া। বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের চাঁন্দকরা মধ্যমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইলিয়াস ওই গ্রামের মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামিল রেজা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়ির জায়গা নিয়ে বড় ভাই মো. ইলিয়াছের সঙ্গে ছোট ভাই বাহার মিয়ার বিরোধ চলছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুই ভাই ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে বাহার মিয়া ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে ইলিয়াছকে কুপিয়ে জখম করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তবে সেখানে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান। নিহত ইলিয়াছের চাচাতো ভাই আবদুল মান্নান বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে বসতভিটার জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব চলছিল। বুধবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে আবারও দুই ভাই ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। ক্ষিপ্ত হয়ে বাহার ধারালো দা দিয়ে বড় ভাই ইলিয়াছকে কুপিয়ে হত্যা করে। আব্দুল মান্নান আরও বলেন, বাহার একজন মাদকাসক্ত। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ বলেন, অভিযুক্ত বাহার মাদকাসক্ত। বসতভিটার বিরোধকে কেন্দ্র করে মাদকাসক্ত বাহার প্রায়ই ইলিয়াছের ওপর হামলা করে। বুধবার সন্ধ্যায় বাহার আবারও ধারালো দা দিয়ে ইলিয়াছকে আঘাত করে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামিল রেজা বলেন, ইলিয়াছ নামের এক ব্যক্তিকে সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে আমাদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। আমরা পরীক্ষা করে দেখি তিনি মারা গেছেন। তার পিঠে একাধিক ধারালো অস্ত্রের গভীর ক্ষত রয়েছে। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বলেন, আব্দুল মান্নান নামে একজন নিজেকে ইলিয়াছের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইলিয়াছ নামে এক ব্যক্তিকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে তার ছোট ভাই বাহার কুপিয়ে হত্যা করেছে।
দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির পেছনে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কা, নিহত ২
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দাঁড়িয়ে থাকা অপর কাভার্ডভ্যানের চালক ও হেলপার নিহত হয়েছেন।  মঙ্গলবার (৪ জুন) ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার ছুপুয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করেছেন মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ওসি এস এম লোকমান হোসাইন। নিহতরা হলেন কুঁড়িগ্রামের বাসিন্দা সাগর (২২) ও বেলাল (১৭)। এ বিষয়ে ওসি এস এম লোকমান হোসাইন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার ছুপুয়া এলাকায় ঢাকাগামী সড়কে মালবাহী একটি কাভার্ডভ্যান বিকল হয়ে পড়ে। পরে অন্যগাড়ির সহায়তা চেয়ে চালক সাগর ও বেলাল তাদের কাভার্ডভ্যানটি সচল করতে চাইলে পেছন থেকে অন্যএকটি কাভার্ডভ্যান ওই গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাগর ও বেলালের মৃত্যু হয়। ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। এ সময় ঘাতক কাভার্ডভ্যানটিকে জদ্ধ করা গেলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে বলে তিনি জানান।
যুবলীগ নেতা হত্যা : ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামি গ্রেপ্তার
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জামাল উদ্দিন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার (১৩ মে) ভোরে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১১-এর সদস্যরা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শিলরী গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে খন্দকার মফিজুর রহমান ও আলকরা গ্রামের নাসির আহমদের ছেলে রেজাউল করিম বাবুল। সোমবার দুপুরে র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান র‌্যাবের কোম্পানি অধিনায়ক, উপপরিচালক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান। তিনি জানান, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাতে যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনকে প্রকাশ্যে গুলি ও জবাই করে হত্যা করা হয়। এ মামলায় রোববার কুমিল্লা আদালতে ৯ জনের ফাঁসি ও ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা সবাই পলাতক ছিলেন। রায়ের পরই র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। রায়ের খবরে পালিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের সোমবার কুমিল্লা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের কর্মকর্তা।