কুমিল্লার নগরীর নূর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পার্শ্ববর্তী নির্মাণাধীন অবৈধ বহুতল ভবনের সাততলা থেকে পিলার ধসে গত ২৭ মে সাইফুল ইসলাম সাগর নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়। আহত হয় আরও একজন শিক্ষক। এ ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন।
কুসিক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা ঘোষণা দেন কুমিল্লা শহরে কোনো অবৈধ ভবণ নির্মাণ করা যাবে না। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার থেকে অবৈধ ভবনটি উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনও কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে ওই ভবনের ছাদ থেকে পিলারের একটি অংশ পড়ে পাশের স্কুলের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনাটিকে আমলে নিয়ে পৃথক পৃথক তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তার ভিত্তিতে নিরাপত্তা নীতি না মানায় নকশার অনুমোদন বাতিল করে ভবনটিকে উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি করপোরেশন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগেও এ ভবনটিকে তিনবার নোটিশ করা হয়েছিল, তারা যেন নিরাপত্তা নীতি মেনে ভবন নির্মাণ কাজ পরিচালনা করে। তারা সেটি কখনোই মানেনি।’
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সময় নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ রেফাইদ আবিদ বলেন, ‘ভবনটির ৬ তলা নির্মাণের অনুমোদন ছিলো। কর্তৃপক্ষ অনুমোদনবিহীন ভাবে সাত তলা ভবন নির্মাণ করছিল। এ ছাড়া তাদের কোন নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল না। অন্যদিকে ভবনের পাশে যেটুকু জায়গা ছেড়ে ভবন নির্মাণের কথা ছিল তারা সেটি করেননি। যে কারণে তাদের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ভবনটি উচ্ছেদের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে সিটি করপোরেশন।’