• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
‘আব্বা মারা যায়তাম তাড়াতাড়ি ট্যায়া দাও’, ভিডিও সম্পর্কে যা জানা গেল
টেকনাফে শিশুসহ ৩৮ রোহিঙ্গা উদ্ধার
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের জেরে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে সাগরপথে কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া উপকূল দিয়ে অনুপ্রবেশকালে ৩০ শিশুসহ ৩৮ রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে ৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী থাকলেও কোনো পুরুষ ছিল না। বুধবার সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ার নোয়াখালীয়াপাড়া সাগর পথে অনুপ্রবেশকালে তাদেরকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ‎বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা। ‎তিনি বলেন, সাগর পাড়ি দিয়ে রোহিঙ্গারা টেকনাফের বাহারছড়ার নোয়াখালীয়া এলাকার দিয়ে দালালের মাধ্যমে অনুপ্রবেশ করছেন। দালালচক্রের লোকজন পালিয়ে যাওয়াই তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে ৩০ জন শিশুসহ ৩৮ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গারা সবাই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম থেকে পালিয়ে দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। এর জন্য তাদের মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়েছে। বর্তমানে তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তাদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। নিদের্শনা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‎অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ রোধ করতে সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পাওয়া পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি টেকনাফের মেরিন ড্রাইভের সাবরাং মুন্ডারডেইল ঘাট দিয়ে একটি ট্রলারে নারী-শিশুসহ ৩৬ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকালে বিজিবির হাতে আটক হয়েছিল। পরে তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়। আরটিভি/এমকে/এস
এবার রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ডে ভেসে উঠল ‘ছাত্রলীগ ভয়ঙ্কর রূপে ফিরবে’
বাথরুমে পড়ে ছিল মা-মেয়ের মরদেহ
রামুতে অটোরিকশা-মিনিট্রাক সংঘর্ষ, নিহত ১ 
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কাউন্সিলরকে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
কক্সবাজারের চকরিয়ার প্যারাবনে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চকরিয়া বদরখালী ইউনিয়নের টুটিয়াখালী পাড়ার মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে মো. বশির (৩৮), ঢেমুশিয়া পাড়ার আবদুস সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহান (২৭) ও কলেজ পাড়া এলাকার মো. ইছহাকের ছেলে মো. কাজল (২৩)। ধর্ষণের শিকার ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।  এর আগে গত রোববার রাত ১০টার দিকে ওই কিশোরী বাঁশখালী থেকে ফিরছিল। এরপর সে চকরিয়া বদরখালী বাজারে বাস থেকে নামার পর মহেশখালীগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠে। পথে বদরখালী সেতুতে গাড়ি নষ্ট হয়েছে বলে চালক ওই কিশোরীকে নামিয়ে দেন। গাড়িটিতে কিশোরী একাই ছিল। এ সময় দুর্বৃত্তরা কিশোরীর গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে প্যারাবনে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। স্থানীয় লোকজন অজ্ঞান অবস্থায় ওই কিশোরীকে বদরখালীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। চকরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে প্রেরণের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আরটিভি/এএএ/এআর
চকরিয়ায় বন্য হাতির আক্রমণে একজনের মৃত্যু
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে বন্য হাতির আক্রমণে ফরিদুল আলম (৩৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ঘুনিয়া পাহাড়তলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলালী। নিহত ফরিদুল আলম ওই এলাকার মরহুম আলী আহমদের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, পাহাড়ে খাবার না পেয়ে দলছুট একটি বন্য হাতি খাবারের খোঁজে রাত ১২টার দিকে লোকালয়ে চলে আসে। এ খবর পেয়ে এলাকার লোকজন বন্য হাতিটিকে তাড়াতে এলে হঠাৎ হাতির সামনে পড়ে গেলে তিনি হাতির আক্রমণে শিকার হন। পরে তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলালী বলেন, দলছুট একটি হাতির আক্রমণে তার মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় বনবিভাগকে অবগত করা হয়েছে। আরটিভি/এমকে/এস
কক্সবাজারে পিস ফেলোশিপের উদ্বোধন
কক্সবাজারে যুব নেতৃত্ব ও যুব কণ্ঠকে শক্তিশালী করতে ‘ক্যামেরায় গাঁথি শান্তির গল্প – পিস ফেলোশিপ’ প্রোগ্রামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। কানাডিয়ান হাইকমিশন বাংলাদেশের কানাডিয়ান ফান্ড ফর লোকাল ইনিশিয়েটিভস (সিএফএলআই)-এর সহযোগিতায় এবং ফ্লিম ফর পিস ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সাত মাসব্যাপী এই ফেলোশিপ শুরু হয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে স্থানীয় একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তরুণদের সৃজনশীল ধারণা এবং ক্রিয়েটিভ কনটেন্টের মাধ্যমে তারা দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে। এর মাধ্যমে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব। ফ্লিম ফর পিস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পারভেজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো: মাহফুজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিমউদ্দীন চৌধুরী, বাংলাদেশস্থ কানাডার হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সিলার মার্কাস ডেভিস, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডিন প্রফেসর কাজী মোস্তাহিন বিল্লাহ, চলচ্চিত্র নির্মাতা মাসুদ চৌধুরী এবং প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবর রহমান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ফ্লিম ফর পিস ফাউন্ডেশনের কমিউনিকেশন লিড রাগিব হাসান এবং জেলা সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মারুফ বিন কবির। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এই ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় জেলার ২৫ জন তরুণ-তরুণীকে ফটোগ্রাফি, ফিল্মমেকিং, গ্রাফিক ডিজাইনসহ বিভিন্ন সৃজনশীল দক্ষতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন, জীবনমান উন্নয়ন এবং ক্যারিয়ার গঠনে সহায়তা করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে এই উদ্যোগ। ফেলোশিপটি কক্সবাজারের তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতা বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে। আরটিভি/ ডিসিএনই  
সীমান্ত শান্ত থাকলেও অনুপ্রবেশের আশঙ্কা, ৩৬ রোহিঙ্গা ফেরত
কয়েক সপ্তাহ ধরে সীমান্ত শান্ত রয়েছে। তবে মংডু সহ রাখাইন রাজ্য আরাকান আর্মি দখলে নেওয়ায় রোহিঙ্গারা পালিয়ে যাচ্ছে। গত এক বছরে মিয়ানমার জান্তা সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান যুদ্ধে প্রায় ৬০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে সরকার। গত ডিসেম্বরের শুরুতে মংডু শহর দখলে নেওয়ায় বাংলাদেশে আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছে  সংশ্লিষ্টরা। এরই প্রেক্ষিতে রোববার (৫ ডিসেম্বর)  দুপুরে  শিশু সহ ৩৬ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। তবে তাদের সন্ধ্যার দিকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়ে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো ও শান্ত রয়েছে। গতকাল অনুপ্রবেশের সময় ৩৬ রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করা হয়েছে।  যে কোনো ধরনের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এ দিকে সীমান্তের ওপারে মাঝে মধ্যে আগুনের কুণ্ডলী দেখা যায়। রোহিঙ্গাদের স্থাপনা পুড়িয়ে দেয়া ও মাঝে মধ্যে ঝোপঝাড় পরিষ্কার করায় এমন আগুনের কুণ্ডলী দেখা যায়। সীমান্ত ও জেলারা বলেন, কয়েকদিন ধরে সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। যেহেতু যুদ্ধ চালানোর জন্য কোনো প্রতিপক্ষ নেই, সেহেতু  যুদ্ধ হবার কোনো কারণ নেই। তবে আধিপত্য বিস্তারে মিয়ানমারে আরাকান আর্মির সাথে আরএসওর গোলাগুলি হয়ে থাকে। এখানকার রোহিঙ্গা নেতারা জানান, সেখানে সরকারের পক্ষে কেউ নেই, যা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের তাড়ানোর জন্য হচ্ছে। আরএসওর সাথে আরাকান আর্মির গোলাগুলি হয় আধিপত্য নিয়ে। মংডুর রোহিঙ্গাদের চাপ সৃষ্টি করায় তারা পালিয়ে এ পারে চলে আসছে। গত রোববারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। পরে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছেন তারা। আরটিভি/এসএপি
রামু স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি তপন মল্লিক গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি তপন মল্লিক গ্রেপ্তার হয়েছেন।  সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে রামু বাইপাস সংলগ্ন ইসলামী ব্যাংকের সামনে থেকে ছাত্রজনতা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। তপন মল্লিক বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমলের ডান হাত হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তপন মল্লিক রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের শ্রীকুল গ্রামের বাসিন্দা। এ বিষয়ে রামু থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী বলেন, ‘স্থানীয়রা রামু বাইপাস এলাকা থেকে তপন মল্লিককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। বর্তমানে তিনি রামু থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।’ উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে রামুতে বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে কয়েকমাস আগে রামু থানায় মামলা দায়ের করেন বিএনপি নেতা মেরাজ আহমেদ মাহিন চৌধুরী। তিনি ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। আরটিভি/এমকে
সিএনজি থেকে নামিয়ে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালীর সংযোগস্থল বদরখালী ব্রিজ সংলগ্ন প্যারাবনে ২৫ বছর বয়সী এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ওসি মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া। মুঠোফোনে জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা রাত থেকেই ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। ভুক্তভোগী নারী চকরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ভুক্তভোগী নারী মহেশখালী উপজেলার বাসিন্দা।  কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় থাকা ওই নারী জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে তার বোনের আকদ্ অনুষ্ঠান শেষে রাত ১০টার দিকে বদরখালী স্টেশন থেকে অটোরিকশা (সিএনজি) করে মহেশখালীর নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। বদরখালী-মহেশখালী ব্রিজের মাঝখানে গিয়ে সিএনজি চালক যান্ত্রিক ত্রুটির কথা বলে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। পরে আবারও সিএনজি স্টেশনে আসার পথে কয়েকজন যুবক তাকে ব্রিজ সংলগ্ন প্যারাবনে নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় ৮ থেকে ১০ জন যুবক তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কয়েক দফায় ধর্ষণ করেন। এ বিষয়ে ওসি মঞ্জুর বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আইনানুগ প্রক্রিয়া শুরু করেছি আমরা। স্থানীয়দের সহযোগিতায় বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরিবারের সঙ্গে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পাঠানো হয়েছে। ওই নারীকে উদ্ধারকারীদের একজন চকরিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক আল জাবের। তিনি বলেন, ‘ওই সিএনজির চালকের নাম সায়মন।’ এ ঘটনায় ওই সিএনজি চালক জড়িত থাকার দাবি করে আল জাবের আরও বলেন, ‘বদরখালী এলাকায় এদের একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট রয়েছে। ছোটন, শরীফ ও সাকিব নামেরও কয়েকজন যুবক এ সিন্ডিকেটের সদস্য। এ ধরনের অপরাধ রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সিন্ডিকেটের সদস্যরা করে থাকেন।’ আরটিভি/এমকে/এআর