• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
চকরিয়ায় অবৈধ বালু পরিবহনের দুটি ট্রাক জব্দ
কক্সবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ তৈয়ব (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।   রোববার (৩ নভেম্বর) উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুচ্ছালিয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তৈয়ব একই এলাকার সাহাব মিয়ার ছোট ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।    স্থানীয়রা জানান, রোববার সকালের দিকে বসতভিটা লাগোয়া ইটের তৈরি নির্মিত দোকানঘরে মোটরের পাইপ দিয়ে পানি দিচ্ছিল। ওই সময় তার মাথার ওপরে দুই ফুট উঁচুতে পল্লীবিদ্যুৎ লাইনের তারের সঙ্গে স্পর্শ লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান তিনি।   চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আরটিভি/এমকে-টি
কক্সবাজারে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
ছাগলের খামারে মিলল ১৫ কোটি টাকার অবৈধ সিগারেট স্ট্যাম্প
চকরিয়ায় বন্য হাতির আক্রমণে নারীর মৃত্যু
সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার
অভিযানকালে ডাকাতের গুলিতে সেনা কর্মকর্তা নিহত
কক্সবাজারের চকরিয়ায় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানকালে ডাকাতের গুলিতে সেনা কর্মকর্তা তানজিম ছরোয়ার নির্জন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৩টায় ডুলহাজারা ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, এদিন রাতে ডাকাতের গুলিতে গুরুতর আহত হন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছরোয়ার নির্জন (বিএ-১১৪৫৩)। পরে তাকে কক্সবাজারে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে রামু এলাকায় পৌঁছালে তিনি মারা যান।  চকরিয়া থানার ওসি মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, ‘সোমবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি দল ডুলাহাজারার মাইজপাড়া গ্রামে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায়। রাত সাড়ে ৩টায় সশস্ত্র ডাকাত দেখে দ্রুত আটক করতে গেলে লেফটেন্যান্ট তানজিমের সঙ্গে ডাকাতের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ডাকাতরা গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন সেনা কর্মকর্তা তানজিম। পরে তাকে কক্সবাজার নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।’ তিনি আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনীর এ অভিযানে ডাকাত দলের সদস্য জিয়াবুল ও বেলালসহ তিনজনকে আটক করা হয়। নিহত সেনা কর্মকর্তার মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’ আরটিভি/এসএপি-টি
চকরিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা, নিহত ১
কক্সবাজারের চকরিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় মোহাম্মদ সেলিম (৪৩) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন শফি আলম নামের আরেক ব্যক্তি।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের মানিকপুরের উত্তরপাড়ার নবীণ কাবের সামনে পূর্ববিরোধের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় লোকজন দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিমকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শফিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খুনের শিকার মোহাম্মদ সেলিম উত্তর পাড়ার নূর আহমদের ছেলে। তবে আহত শফির বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য জাহেদুল ইসলাম সিকদারের সঙ্গে সেলিম ও শফির মধ্যে বিরোধ ছিল। এর জের ধরে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জাহেদের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেল দুই ট্রেন
মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের লোহাগাড়া থেকে চকরিয়া অংশে এ দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। দুই চালকের উপস্থিত বুদ্ধিতে মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়া থেকে রক্ষা পায় ট্রেন দুটি। কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল কক্সবাজার এক্সপ্রেস। আর ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী ছিল পর্যটক এক্সপ্রেস। ট্রেনে দুটিতে প্রায় ৮০০ করে যাত্রী ছিল। রেলওয়ে সূত্রে জানায়, কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস চকরিয়া স্টেশনে এসে পৌঁছায় শুক্রবার বেলা ১টা ২২ মিনিটে। এসময় চকরিয়া স্টেশনমাস্টার আজিম উদ্দিন কক্সবাজার এক্সপ্রেসকে চকরিয়া থেকে লোহাগাড়া যাওয়ার জন্য সংকেত দেন। অপরদিকে, লোহাগাড়া স্টেশনমাস্টার লোহাগাড়া থেকে হারবাং স্টেশন পর্যন্ত যাওয়ার জন্য পর্যটক এক্সপ্রেসকে সংকেত দেন। পাহাড়তলী নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকেও দুই ট্রেনকে নির্ধারিত স্টেশনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। সংকেত পেয়ে দুই লোকমাস্টার (ট্রেনচালক) ট্রেন চালাতে শুরু করেন। তবে পর্যটক এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রসুল কক্সবাজার এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার মো. জাহেদুল ইসলামকে ফোন করে ট্রেন কোথায় আছে জানতে চান।  জাহেদুল ইসলাম তাকে জানান, ট্রেন নিয়ে তিনি চকরিয়া থেকে লোহাগাড়ার দিকে রওনা দিয়েছেন। মোহাম্মদ গোলাম রসুলও জানান তিনিও ট্রেন নিয়ে লোহাগাড়া থেকে হারবাং স্টেশনে যাচ্ছেন। ট্রেনের অবস্থান জেনে দুই লোকোমাস্টারই বুঝতে পারেন, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। দুই ট্রেনের গতি ছিল তখন ৫০ কিলোমিটার। যদি তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেন থামানো না হলে মাঝপথে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটবে। তারা দ্রুত পাহাড়তলীর নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে দুই ট্রেনকেই থামার নির্দেশ দেওয়া হয়।  দুই চালকই ট্রেন থামিয়ে দেন। অল্পের জন্য বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ট্রেন দুটি। পর্যটক এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রসুল গণমাধ্যমকে জানান, সাধারণত নিয়ন্ত্রণকক্ষ ও স্টেশনমাস্টারদের সংকেত ও নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রেন চালিয়ে থাকি। ওই দিন কী মনে করে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার মো. জাহেদুল ইসলামকে ফোন দিই। জানতে চাই, কোন স্টেশনে আছে, কোথায় ক্রসিং হবে। জাহেদ জানান, লোহাগাড়ার দিকে আসছে। আমিও আমার অবস্থান জানাই। এই খবর শুনে টেনশনে পড়ে যাই। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রেন থামিয়ে দিই। জাহেদও ট্রেন থামিয়ে দেন। যদি ফোন না করতাম তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যাবস্থাপক সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, স্টেশনমাস্টার ভুল সংকেতে এ দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। তবে চালকদের উপস্থিত বুদ্ধিতে ট্রেন দুটি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে। এ ঘটনায় চকরিয়া স্টেশনমাষ্টার আজিম উদ্দিনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিপুল ভোটে জয়ী কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (হাতঘড়ি)। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (হাতঘড়ি) প্রতীক পেয়েছেন প্রাপ্ত ভোট ৮১ হাজার ৯৫৫। পরাজিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম (ট্রাক গাড়ি)। তার প্রাপ্ত ভোট ৫২ হাজার ৯৮৬।  এ নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৭জন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও জাফর আলম এমপি। অন্য প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির হোসনে আরা (লাঙ্গল), তার প্রাপ্ত ভোট ৭৭৩। বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির হাজী বশিরুল আলম (হাতুড়ি), তার প্রাপ্ত ভোট ৫৩৭। ইসলামী ফ্রন্টের বেলালউদ্দিন (মোমবাতি), তার প্রাপ্ত ভোট ৬৯১। স্বতন্ত্র প্রার্থী কমরুদ্দিন আরমান (কলারছড়া), তার প্রাপ্ত ভোট ১৮০। তানভির ছিদ্দিকী তুহিন (ঈগল), তার প্রাপ্ত ভোট ২৪৪। এদিকে নানা অনিয়মের অভিযোগে তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেওয়া হয়। স্থগিত কেন্দ্র তিনটি হলো- চরন্দ্বীপ ভুমিহিন সমবায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কেন্দ্র নম্বর ২৫), দক্ষিণ ফুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কেন্দ্র নম্বর ৭৪), মরনঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কেন্দ্র নম্বর ৮০)। এদিকে পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ভোট ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে বিকেল ৩টা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম এমপি। জাফর আলম অভিযোগ করেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে বিজয় করতে আনসার ও পুলিশ সদস্যরা প্রভাব খাটিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেন। তার বিজয় তারা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়েছে বলে দাবি করেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি স্থানে তার লোকজনকে মারধর করা হয়েছে।
শেষবেলায় সরে দাঁড়ালেন জাফর আলম
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম শেষবেলায় এসে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।  রোববার (৭ জানুয়ারি) বেলা তিনটার দিকে জাফর আলমের নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্বে অধিকাংশ কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতি ও আমার এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে আমি ভোট বর্জন করলাম। জাফর আলম অভিযোগ করেন, চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষ অকুণ্ঠ সমর্থন দিলেও ভোটের দিন তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদেরও নির্মমভাবে আহত করা হয়েছে বলেও জানান এ স্বতন্ত্র প্রার্থী। চকরিয়া-পেকুয়াবাসীর উদ্দেশে ভিডিও বার্তায় জাফর আলম বলেন, প্রতিরোধ করতে গিয়ে প্রাণহানি হওয়ার চেয়ে নির্বাচন থেকে দূরে সরে দাঁড়ানো ভালো। আমি তা-ই করলাম। আপনাদের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ। আমি আপনাদের পাশে ছিলাম এবং পাশে থাকব। উল্লেখ্য, জাফর আলম কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদকে। তবে ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়ন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন ও উচ্চ আদালত। পরে কল্যাণ পার্টির প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে জেলা আওয়ামী লীগ সমর্থন দেয়।
এমপি জাফরের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আ.লীগের চিঠি
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়েছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) এ চিঠি পাঠানো হয়।  চিঠিতে বলা হয়েছে, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া ও পেকুয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম এমপি গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর পেকুয়ায় প্রকাশ্য জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, আমি মাতারবাড়ীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ করেছি। নেতাদের থ্রিস্টার হোটেলে রেখেছি। মাতারবাড়ীতে ৪০ হাজার মানুষকে খাবার দিয়ে ১ হাজার ট্রাক নিয়ে জনসভাকে সফল করেছি। আপনি সেখানে ঘোষণা করলেন, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি প্রার্থী। জনসভায় তিনি আরও বলেন, ‘শোনেন নেত্রী, আল্লাহ উপরে আছেন, আমি দোষ করলে আল্লাহ আমার বিচার করবেন, কিন্তু আমি মনে করি আমার প্রতি অবিচার হয়েছে। আমাকে ঠকিয়ে আরেকজনের কাছে নৌকা দিয়ে আমার কাছ থেকে নৌকা কেড়ে নিয়েছেন।’ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাফর আলমের এ বক্তব্য দম্ভোক্তিমূলক। যা সংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও অমার্জনীয় অপরাধ। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাময়িক অব্যাহতি ও কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেন। তারই প্রেক্ষিতে জাফর আলম কর্তৃক নোটিশের জবাব কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সন্তুষ্ট না হওয়ায় তা গ্রহণ করা হয়নি।