• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি রোহিঙ্গা শিবিরে
নাফ নদীতে মিলল ২৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছ
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছ। কোরাল মাছ পেয়ে খুশিতে আত্মহারা জেলে মোজাম্মেল হক। পরে মাছটি ৮০০ টাকা কেজি দরে ২০ হাজার টাকাতে বিক্রি করা হয়। রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার শাহপরীরদ্বীপ জেটিতে এ কোরাল মাছটি শিকার করেন জেলে মোজাম্মেল।  জেলে মোজাম্মেল হক জানান, শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে বসে সকালে নাফনদীতে বড়শি ফেলেন জেলে মোজাম্মেল হক। প্রায় এক ঘণ্টা পর বড়শি টেনে তোলার চেষ্টা করলে বড়শি ভারি ভারি মনে হয়। পরে আশপাশের একজনের ডেকে সহযোগিতা নেন। বড়শি টেনে তুলে দেখেন একটি কোরাল মাছ বড়শিতে আটকে যায়। মাছটির ওজন প্রায় ২৫ কেজি।  এই কোরাল মাছটি দাম প্রায় ৮৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে কোরাল মাছটি দেখার জন্য স্থানীয় লোকজন জেটিতে ভিড় করেন। টেকনাফ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, নাফ নদীতে প্রায় সময় বড় আকারের কোরাল ধরা পড়ে। মাছটির দাম বেশি হলেও খেতে খুবই সুস্বাদ। তাছাড়া দেশে কোরাল মাছের চাহিদা অনেক। আরটিভি/এমকে
কক্সবাজারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৩
সেন্টমার্টিনে পর্যটন সীমিত করার প্রতিবাদে কক্সবাজারে সড়ক অবরোধ
সাবেক পাটমন্ত্রী গাজীর পিএস গ্রেপ্তার
টেকনাফে ১ লাখ ইয়াবাসহ আটক ২
কক্সবাজারে অস্ত্রসহ দম্পতি গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের ছয় নম্বর জেটিঘাট থেকে ৪টি দেশীয় তৈরি অস্ত্রসহ এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের এসপি মো. রহমত উল্লাহ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন দেলোয়ার হোসেন (৩২) ও তার স্ত্রী খুরশীদা আক্তার (২৬)। তাদের উভয়ের বাড়ি টেকনাফ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরান পল্লান পাড়ায়। পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে শহরের ছয় নম্বর জেটিঘাট পন্টুন থেকে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের হাতে থাকা ব্যাগ তল্লাশি চালিয়ে ৪টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তারা মহেশখালী থেকে স্পিডবোট নিয়ে এসে পন্টুনে অবস্থান নিয়েছিল।  তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসপি। আরটিভি/এমকে-টি
কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় বাড়ল
ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় বাড়ানো হয়েছে কক্সবাজার বিমানবন্দরে।  রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক মো. গোলাম মুর্তুজা। তিনি বলেন, এতদিন সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই বিমানবন্দরে বিমান উড্ডয়ন এবং অবতরণ করলেও রোববার থেকে বাড়িয়ে রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।   গোলাম মুর্তুজা বলেন, এখন থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পর্যটক ও ব্যবসায়ীরা সকালে কক্সবাজারে গিয়ে রাতে ফিরতে পারবেন। বর্ধিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রথম দিনে রাত সোয়া ৮টায় প্রথম ফ্লাইট এবং রাত সোয়া ১০টায় দ্বিতীয় ফ্লাইট কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার কথা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ উদ্যোগের ফলে স্থানীয় পর্যটন খাত ও ব্যবসা-বাণিজ্য সমৃদ্ধ হবে। এর ফলে কক্সবাজারের সঙ্গে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের যোগাযোগ আরও সহজ হয়ে উঠবে। ফ্লাইট অবতরণ ও উড্ডয়ন বিষয়ে গোলাম মুর্তুজা বলেন, রোববার নতুন সময়সূচি অনুযায়ী প্রথম দিনে পূর্বে চাইতে দুটি নতুন ফ্লাইট যুক্ত হয়েছে। ফলে কক্সবাজার থেকে ১৬টি ফ্লাইট অবতরণ ও উড্ডয়ন করার সময়সূচি নির্ধারিত রয়েছে। এ পদক্ষেপে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যেও দারুণ ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।   কক্সবাজার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, এর আগে শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে উঠানামা করেছে ১৬ থেকে ১৭টি ফ্লাইট। সেই সংখ্যা আজ থেকে পর্যায়ক্রমে বাড়বে। এতে এয়ারলাইন্স ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা যেমন লাভবান হবে, তেমন যাত্রীরাও উপকৃত হবেন। আরটিভি/এমকে-টি
সৈকতে ভেসে এলো নিখোঁজ তরুণের মরদেহ
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে নেমে স্রোতে নিখোঁজ মুহাম্মদ সায়মন (২০) মারা গেছেন। রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলে সুগন্ধা পয়েন্টের কাছাকাছি এলাকা থেকে নিখোঁজ ওই তরুণের মরদেহ ভেসে আসে কলাতলী পয়েন্টে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম। নিহত সায়মন উখিয়া উপজেলার পালংখালীর নলবনিয়া এলাকার শাহ আলমের ছেলে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসেন বলেন, বিকেলে এলাকার তিন বন্ধু মিলে সৈকতে বেড়াতে আসেন সায়মন। তারা সুগন্ধা বিচ এলাকার একপাশে গোসলে নামেন। তারা একটি বড় টায়ার টিউবে ঢেউ পাড়ি দিচ্ছিলেন। পানির সঙ্গে খেলতে গিয়ে সায়মন হঠাৎ টিউব ছেড়ে দেন। অন্য দুই বন্ধু ভেবেছিলেন সায়মন তীরে উঠে গেছেন। তিনি আরও বলেন, বেশ কিছুক্ষণ গোসল সেরে তীরে এসে তারা সায়মনের জন্য অপেক্ষা করেন। পরে না পেয়ে লাইফ গার্ড কর্মীদের বিষয়টি জানান। এরপরই পুরো সুগন্ধা পয়েন্টে নানাভাবে তল্লাশি চালিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যার আগে কলাতলী পয়েন্টে পানিতে ভাসমান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মুহাম্মদ আশিকুর রহমান বলেন, সন্ধ্যার পর এক তরুণকে সৈকত এলাকার পানি থেকে উদ্ধার করে আনা হয়। হাসপাতালে আনার অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আরটিভি/এমকে
সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে নিখোঁজ শিক্ষার্থী, অতঃপর...
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে নিখোঁজ প্রান্ত দেব প্রবালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  সোমবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কবিতা চত্বর পয়েন্ট থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সি সেইফ লাইফ গার্ডের সিনিয়র ইনচার্জ ওসমান গনী।  নিখোঁজ শিক্ষার্থী কক্সবাজার ঈদগাঁও এলাকার পলাশ দেবের ছেলে। সে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। জানা যায়, রোববার সন্ধ্যার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। সি সেইফ লাইফ গার্ডের সিনিয়র ইনচার্জ ওসমান গনী বলেন, ‘প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে নিখোঁজ স্কুলশিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের কয়েক ঘণ্টা পর সৈকতের কবিতা চত্বর পয়েন্ট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’ এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের পর্যটন সেলের ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসাইন বলেন, ‘প্রতিমা বিসর্জনের সময় এক দর্শনার্থী নিখোঁজের কয়েক ঘণ্টা পর সৈকতের কবিতা চত্বরে জোয়ারে ভেসে আসেন। জেলেরা দেখতে পেয়ে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’  আরটিভি/এমকে/এসএ
কক্সবাজারে আ.লীগের ৪০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সহিংসতার অভিযোগে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৪০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সদর থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) থানা সূত্রে জানা গেছে, শাহেদ বাবু নামে রামু উপজেলার মিঠাছড়ি এলাকার এক যুবক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। তিনি ছাত্রদের পক্ষ হয়ে এ মামলা করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সংসদের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক হুইপ ও কক্সবাজার সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদ্য অপসারিত চেয়ারম্যান শাহীনুল হক মার্শাল, কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন, কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেটের সৈয়দ রেজাউর রহমান রেজা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়, শহর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুনাফ সিকদারসহ ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও কক্সবাজার সদর থানার ওসি ফয়জুল আজিম নোমান মামলা রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেননি। তবে থানার একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে মামলাটি বৃহস্পতিবার রাতেই রেকর্ড করা হয়েছে। কক্সবাজার থানার যার মামলা নম্বর ৩০/২০২৪, জি আর নম্বর ৬৬৫। এ দিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে শেখ হাসিনার সরকারের। তার দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখনও রয়েছেন আত্মগোপনে। সরকার পতনের দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখনও হামলা আর গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন তারা। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার পর দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে যান। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় অনেকেই দেশ ছাড়েন। এখনও অনেকেই চেষ্টায় আছেন দেশ ছাড়ার। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্কের পাশাপাশি হতাশা বাড়ছে। দুই মাস ধরে আত্মগোপনে থাকার পর আরও কতদিন এভাবে থাকতে হবে তা নিয়েও তাদের ভাবতে হচ্ছে। তাছাড়া বেশি দিন লুকিয়ে থাকাও অনেকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর গ্রেপ্তার অভিযানও জোরদার রয়েছে। আরটিভি/এমকে/এআর
পূজার ছুটিতে কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের সমাগম 
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক টানা ৪ দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে কক্সবাজারে। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও বর্ষার দীর্ঘ বিরতির পর আবারও চাঙাভাব ফিরে এসেছে সমুদ্র সৈকতসহ হোটেল মোটেলে।  শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল থেকে সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শারদীয় দুর্গাপূজার বন্ধের সঙ্গে সাপ্তাহিক এবং নির্বাহী আদেশ মিলিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) থেকে ৪দিনের ছুটি কাটাতে ইতোমধ্যে হাজারও পর্যটক কক্সবাজারে ছুটে এসেছে। পার্বত্য তিন জেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটকরা এবার সৈকত নগরী কক্সবাজারে আসছেন। ইতোমধ্যে কক্সবাজারে আবাসিক হোটেল-গেস্ট হাউসের বুকিং ৮০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। তবে তারকা মানের হোটেলগুলোতে বুকিং হয়েছে শতভাগ। এর আগে পর্যটক টানতে ৯৫ শতাংশ হোটেল ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট ঘোষণা করে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কক্সবাজারের ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউসে ধারণ ক্ষমতা ১ লাখ ২০ হাজার পর্যটক। সেই হিসেবে এবারের ছুটিতেও প্রতিদিন দেড় লাখ পর্যটক কক্সবাজার অবস্থান করছেন।  কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, এবারের ছুটিতে কক্সবাজারের দীর্ঘদিনের পর্যটক খরা কেটে যাবে। পর্যটকদের আতিথেয়তায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মালিক পক্ষ। এতে লাখো পর্যটকের অবস্থানে কয়েকশ কোটি টাকা বাণিজ্য হতে পারে। বৃহত্তর বীচ ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি আবদুর রহমান বলেন, অনেকদিন পর টানা ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত হলে চেনা রূপে ফিরবে কক্সবাজার। হোয়াইট অর্কিড হোটেলের জিএম রিয়াদ ইফতেখার বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও হিমছড়ি, দরিয়ানগর, ইনানী সৈকত, মহেশখালী, ডুলাহাজারা সাফারি পার্কসহ জেলার অন্যান্য পর্যটন স্পটেও পর্যটক সমাগম ঘটেছে। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, পর্যটকদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও অপরাধ দমনে কয়েকটি ভাগে সাজানো হয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশকে। টেকনাফ ও ইনানীসহ সব স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশ দায়িত্বপালন করছে। সৈকতে পোশাকধারী পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টেও টহল জোরদার করা হয়েছে। পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে অবস্থান ও কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে পুরো সৈকত নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে। রয়েছে যৌথ টহল, প্রশাসনের মোবাইল টিম। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক টানা ৪ দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে কক্সবাজারে। সৈকতের প্রবেশ পথে তল্লাশি চৌকি স্থাপন, পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন বলেন, দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক টানা ৪ দিনের ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের বিচরণ নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের একাধিক মোবাইল টিম বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগত পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। আরটিভি/এমকে