• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
মহেশখালীতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার 
আজ থেকে উৎপাদনে ফিরছে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র
কয়লা সংকটের কারণে প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর আজ থেকে আবারও উৎপাদনে ফিরছে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র।  শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের মাতারবাড়ী সাইট অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিচলন) মনোয়ার হোসেন মজুমদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, আগামী রোববার ৬৬ হাজার টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে আরেকটি জাহাজ মাতারবাড়ীতে আসবে। আইনি জটিলতা শেষে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে এক বছরে ৩৫ লাখ টন কয়লা আমদানি করার জন্য মেঘনা গ্রুপ ও বিরলা নামে যৌথ একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে জেটিতে জাহাজ ভিড়েছে। ফলে এক মাস বন্ধ থাকার পর শনিবার (৩০ নভেম্বর) থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র আবারও উৎপাদনে যাচ্ছে ৬০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট।  মনোয়ার হোসেন মজুমদার আরও বলেন, এখন বিদ্যুতের চাহিদা আগের চেয়ে কমেছে। তবে চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় ইউনিটের আরো ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদনে যাবে।  জানা গেছে, শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইন্দোনেশিয়ার পতাকাবাহী একটি জাহাজ ৭০ হাজার টন কয়লা নিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে পৌঁছায়। পরে শুরু হয় খালাস কার্যক্রম। প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে মাতারবাড়ীর ১ হাজার ৬০০ একরের পরিত্যক্ত লবণ মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ধারণক্ষমতার এই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ৫১ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিডেট।  কয়লা সংকটের কারণে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গত ৩১ অক্টোবর থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আরটিভি/আইএম
ফের উৎপাদনে ফিরছে মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র
মহেশখালী থেকে বিলুপ্তপ্রায় ১২ হনুমান উদ্ধার
কয়লা সংকটে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ
‘মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে’ 
মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা 
কয়লা আমদানি নিয়ে সুখবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, কয়লা আমদানি নিয়ে আদালতের যে নিষেধাজ্ঞা ছিলো সেটি স্থগিত করা হয়েছে। ফলে কয়লা আমদানি নিয়ে এখন আর কোনো জটিলতা নেই। নিয়ম অনুযায়ী সব প্রক্রিয়া চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কয়লা দেশে চলে আসবে।  শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের হিলডাউন সার্কিট হাউজে এক সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি।  জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, মহেশখালীতে গত সরকার প্রকল্প বিলাস চালিয়েছে। যেকারণে জনকল্যাণে আসছে না। এ রকম হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে শুধু লুটপাট করার জন্য।  আইনি জটিলতায় কয়লা আমদানি আদালতে ঝুলে থাকায় মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন চালু রাখা নিয়ে চরম আশঙ্কা তৈরি হয়েছিলো। কারণ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বর্তমানে কয়লা মজুদ রয়েছে আর মাত্র মাস খানের।  উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সকাল সাড়ে ৮টায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। সকাল সাড়ে ৮টায় নৌপথে তিনি মহেশখালীর মাতারবাড়ি আল্টা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্ল্যান্টের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সফরসঙ্গী ছিলেন।
মহেশখালীতে দেশীয় মদ তৈরির কারখানা ধ্বংস করলো নৌবাহিনী
কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে দেশীয় মদ তৈরির কারখানা ধ্বংস করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের মুহুরিঘোনায় পাহাড়ের পাদদেশে মদ তৈরির আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে নৌবাহিনী মহেশখালী কন্টিনজেন্ট।  অভিযানের সময় প্রায় ২০০ লিটার বিক্রয় উপযোগী মদ, দুই হাড়ি প্রক্রিয়াধীন মদ, ৬ ড্রাম মদ তৈরির কাঁচামাল ও মদ তৈরির নানারকম সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে উল্লিখিত মদ ও মদ তৈরির সরঞ্জাম এবং আস্তানাটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে সংশ্লিষ্ট কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।  উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মহেশখালীসহ দায়িত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে অবৈধ ও লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে নিয়মিত যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করে আসছে নৌবাহিনী। এ ধারাবাহিকতায় মহেশখালীতে যৌথ বাহিনীর এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় নৌবাহিনীর এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
১ পোপা মাছের দাম হাঁকা হচ্ছে ৭ লাখ টাকা
কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৩০ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের একটি পোপা মাছ ধরা পড়েছে। যার দাম হাঁকা হচ্ছে ৭ লাখ টাকা। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে মহেশখালীর হোয়ানক এলাকার এফবি মোহাম্মদ আনোয়ার মেম্বারের ফিশিং ট্রলারে এ মাছটি ধরা পড়ে। পরে সকাল ১০টার দিকে হোয়ানক গালাগাজির পাড়া বাজারের মরহুম জাহাঙ্গীর আলম মেম্বারের কোল্ড স্টোরেজে মাছটি আনা হয়। ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ আনোয়ার মেম্বার গণমাধ্যমকে বলেন, আজ সকালে আমার ট্রলারটি সাগরে মাছ শিকারে যায়। পরে জাল ফেলা হলে একটি পোপা মাছ তাতে আটকা পড়ে। মাছটি ট্রলারে তোলার পর মাঝি বিষয়টি আমাকে জানালে ট্রলারটি নিয়ে কূলে আসতে বলি।  তিনি আরও বলেন, আপাতত মাছটির দাম ৭ লাখ টাকা চাচ্ছি। ইতোমধ্যে কয়েকজন ব্যবসায়ী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। ট্রলারের মাঝি মাহবুব আলম বলেন, বন্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সাগরে মাছ ধরতে যেতে না পেরে অলস জীবন কাটাচ্ছিলাম। আজ সকালে আটজন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে গিয়ে প্রথম জাল ফেলার সঙ্গে সঙ্গে মাছটি ধরা পড়ে। মাছটি পেয়ে আমরা অনেক খুশি। প্রসঙ্গত, পোপা মাছের বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা যায় বলে বিভিন্ন দেশে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এ কারণে পোপা মাছের দাম এত বেশি।
মহেশখালীতে অস্ত্র-গুলিসহ আটক ১
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ মো. রায়হান নামে এক যুবককে আটক করেছে নৌবাহিনী। তার কাছ থেকে দুই রাউন্ড গুলিও জব্দ করা হয়। শনিবার উপজেলার আদিনাথ মন্দির এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।  শনিবার (১০ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। পরে জব্দ অস্ত্র ও গুলিসহ আটক যুবককে মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়। আটক রায়হান মহেশখালী নতুন বাজার ফকিরাঘোনা এলাকার আমির হোসেনের ছেলে। আইএসপিআর জানায়, জনসাধারণ ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মাঠে রয়েছে নৌবাহিনী। শনিবার বিকেলে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সৈয়দ আহমেদ সাকিবের নেতৃত্বে একটি সেকশন ঠাকুরতলা আদিনাথ মন্দির এলাকায় টহল পরিচালনা করছিল। এ সময় খবর আসে আদিনাথ মন্দিরের অদূরে স্থানীয়দের ওপর হামলা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে নৌবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখান থেকে এক যুবককে অস্ত্র-গুলিসহ আট করা হয়। এ সময় কয়েকজন সন্ত্রাসী পালিয়ে যায়।
লবণের মাঠে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গুলিতে নিহত ১
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া পশ্চিমপাড়ায় লবণ মাঠের দখল নিয়ে সংঘর্ষের সময় গুলিতে ১ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।  শনিবার (২ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে গুলিবিদ্ধ হন সাইফুল ইসলাম (৩৮) নামের এক ব্যক্তি। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  নিহত সাইফুল ইসলাম বড় মহেশখালী মুন্সির ডেইল গ্রামের মৃত গোলাম কুদ্দুসের ছেলে। এ ঘটনায় আহত ৪ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোনাদিয়া এলাকায় একটি লবণ মাঠের মালিকানা ও দখল নেওয়া নিয়ে স্থানীয় জাহাঙ্গীর ও শাহ আলম গংয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুপক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৪ জনেরও বেশি আহত হন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।