• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
রোহিঙ্গা শিবিরে ফের আগুন, পুড়ল ৫ স্থাপনা
উখিয়া সীমান্তে পিস্তল-গুলিসহ যুবক আটক
কক্সবাজারের উখিয়ার সীমান্ত থেকে দুটি দেশীয় পিস্তল ও ১০ রাউন্ড গুলিসহ এক যুবককে আটক করেছে বিজিবি। রোববার (২৪ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মাশরুকী। আটক যুবক উখিয়ার পালংখালি ইউনিয়নের বালুখালি গ্রামের আলতাজ মিয়ার ছেলে আবদুর রহিম (৩২)। লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আরটিভি/এমকে-টি
দেশে ফিরে যেতে উখিয়ায় রোহিঙ্গা তরুণদের সমাবেশ
১০ দিনেও খোঁজ মেলেনি ৪ জেলের
নাফ নদী থেকে অপহৃত এক জেলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকের মৃত্যু
কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের উখিয়ায় নাশকতা, ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাটের মামলায় উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ওসি আরিফ হোসেন। জানা যায়, সম্প্রতি রাজাপালং ইউনিয়নের ফলিয়াপাড়ার বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার বাদী উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল গ্রামের আব্দুল হাকিম। স্থানীয় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নেতা আনিস পুরো এলাকায় ক্ষমতার দাপট দেখাতেন। সাধারণ জনগণকে হুমকি-ধমকি থেকে শুরু করে সরকারি বনভূমি দখল করতেন তিনি। এক সময় ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন আনিস। এরপর জেলা মৎস্যজীবী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতির পদ বাগিয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকালে দীর্ঘ সময় নানা অপরাধসহ জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে উখিয়া থানার ওসি আরিফ হোসেন বলেন, থানায় দায়ের করা নাশকতা, ভাঙচুর ও লুটপাট মামলার আসামি হিসেবে মৃত সিকান্দারের ছেলে আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরটিভি/এমকে
কক্সবাজারে ২ এনজিও কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজার উখিয়াতে ২ এনজিও কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা দুজনই এনজিও সংস্থা আরটিএম ইন্টারন্যাশনালের কর্মী ছিলেন। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে উখিয়া রাজাপালং ও উপজেলা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ সংলগ্ন এলাকা থেকে পৃথকভাবে দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ওসি তদন্ত শফিকুল ইসলাম। নিহতরা হলেন- পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার মাঝপাড়া এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে মেহেরাব হোসেন (৩০), হবিগঞ্জ নবীগঞ্জ উপজেলার কসবা এলাকার সুখ লাল দেবের মেয়ে পপি দেব (২৭)।  এ বিষয়ে ওসি তদন্ত শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উখিয়া থেকে পৃথকভাবে ২ এনজিও কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুজনে একইভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। দুজনই একই এনজিও সংস্থার কর্মী এবং সহকর্মী ছিলেন।’  তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ এটি নিয়ে কাজ করছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে সেটি এখনও জানা যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’ আরটিভি/এমকে
প্রত্যাবাসনে সরকারের সহযোগিতা চান রোহিঙ্গারা 
উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গা মাঝি, মৌলভি, নারী ও এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এ সময় রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ ছাড়াও তিনি ডব্লিউএফপি ও ইউএনএইচসিআরের প্রকল্পসহ নারীদের জন্য পরিচালিত হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।   মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপদেষ্টা ক্যাম্প-৪ এ ডব্লিউএফপি কর্তৃক পরিচালিত রোহিঙ্গাদের রেশন উত্তোলন কার্যক্রম ই-ভাউচার আউটলেট পরিদর্শন করেন।  এ সময় তিনি ডব্লিউএফপির কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং এর কার্যক্রমকে আরও সুসংহত করার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি একই ক্যাম্পের হোপ হসপিটাল ফর উইমেন পরিদর্শন করে মহিলাদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আলোচনা করেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তিনি সেবা প্রদানে মান উন্নয়নের তাগিদ দেন। পরে উপদেষ্টা ক্যাম্প-৫ এ ইউএনএইচসিআরের অর্থায়নে পরিচালিত একটি প্রকল্প পরিদর্শন করেন। তিনি রোহিঙ্গা মহিলাদের তৈরি পাটের ব্যাগসহ অন্যান্য হস্তশিল্প পর্যবেক্ষণ করে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির সুযোগ নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগকে আরও প্রসারিত করার আহ্বান জানান। পরিদর্শনের শেষ পর্যায়ে উপদেষ্টা ক্যাম্প-৮ এর রোহিঙ্গা মাঝি, মৌলভি ও নারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। উপদেষ্টা ফারুক ই আজম তাদের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার আহ্বান জানান এবং আশ্বাস দেন যে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হবে। এ ছাড়াও তিনি ক্যাম্পে কার্যক্রমরত এনজিওদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন এবং তাদের কাজের প্রশংসা করেন। এপিবিএনের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্যাম্প পরিদর্শনে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এপিবিএনের কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব মো. হাসান সারওয়ার, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দীন এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। আরটিভি/এমকে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদেশি অস্ত্রসহ আরসা কমান্ডার আটক
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদেশি রাইফেলসহ আরসার এক কমান্ডারকে আটক করেছে এপিবিএন।  শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) পালংখালী ইউনিয়নের তানজিমারখোলার ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ আমির জাফর। আটক নুরুল ইসলাম (৪৫) উখিয়ার তানজিমারখোলা ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-২ ব্লকের গুলা হোসেনের ছেলে। ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ আমির জাফর বলেন, ‘ভোরে ক্যাম্পে সশস্ত্র লোকজন অপরাধ সংঘটনের জন্য অবস্থান করছে খবরে সেখানে অভিযান চালায় এপিবিএন। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ৪ থেকে ৫ জন সন্দেহভাজন লোক এপিবিএন সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।’  তিনি আরও বলেন, ‘আটক ব্যক্তির দেওয়া তথ্যমতে, গোপন একটি আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে বিদেশি একটি জি-৩ রাইফেল ও ১০টি গুলি উদ্ধার করা হয়।’ আরটিভি/এমকে/এআর
রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস
বাংলাদেশে বসবাসরত মায়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য চলমান সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. রফিকুল ইসলাম। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের বাস্তুচ্যুত রাখাইনদের ক্যাম্প পরিদর্শন করে এ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশন (পিএমও) এবং মিয়ানমার রিফিউজি রিলিফ অপারেশনের (এমআরআরও) অধীনে স্বাস্থ্য, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, পানি, স্বাস্থ্যবিধি ও স্যানিটেশন, আশ্রয়ণ এবং জীবিকায়ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন বিডিআরসিএস চেয়ারম্যান। পরিদর্শনকালে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের সহায়ক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি যেকোনো দুর্যোগ ও মানবিক সংকটে প্রথম সাড়াদানকারী হিসেবে কাজ করছে। ২০১৭ সালে মিয়ানমারে দমন অভিযানের পর প্রায় ১০ লাখ মানুষ কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছিল। ম্যান্ডেট অনুযায়ী বিডিআরসিএস পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশন এর মাধ্যমে ২০১৭ সাল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে জীবন রক্ষাকারী হিসেবে সহায়তা প্রদান করছে। ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বিডিআরসিএস কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অংশীদারদের উপস্থিতিতে আয়োজিত সভায় যোগ দেন তিনি।  মানবিক কর্মকাণ্ডে বিডিআরসিএস’র অঙ্গীকারের ওপর জোর দিয়ে স্বেচ্ছাসেবা, সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং অংশীদারিত্বমূলক নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি এবং সেই সঙ্গে সকল কিছুর ঊর্ধ্বে মানবিকতাকে ধরে রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব ড. কবির মো. আশরাফ আলম (এনডিসি), উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ, ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, আইএফআরসি’র হেড অব ডেলিগেশন আলবার্তো বোকানেগ্রা। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি), জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন, জাতিসংঘ সংস্থা এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ এ মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
ঘর থেকে তুলে নিয়ে ২ রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ায় ঘর থেকে তুলে নিয়ে দুজন রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সন্ত্রাসীরা। রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে উখিয়ার জামতলী আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-১৫) একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আরেকটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ভোরে উখিয়ার কুতুপালং (ক্যাম্প-৪ বর্ধিত) আশ্রয়শিবিরে।  মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন। নিহতরা হলেন- জামতলী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১৫) এ-ব্লকের বাসিন্দা রোহিঙ্গা নেতা নুর বশর (৫৪) ও কুতুপালং (ক্যাম্প-৪ বর্ধিত) আশ্রয়শিবিরের সি-১ ব্লকের বাসিন্দা কবির আহমদ (২৭)। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রোহিঙ্গারা জানান, নিহত নুর বশর কয়েক মাস আগে আরসা ছেড়ে মিয়ানমারের আরেকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সঙ্গে যুক্ত হন। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করেছে আরসা।  এ বিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন বলেন, ঘর থেকে তুলে নিয়ে রোহিঙ্গা নেতা নুর বশরকে হত্যার ঘটনায় আশ্রয়শিবিরে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নুর বশরের একটি গুলি বুকের বাঁ পাশে এবং আরেকটি বাঁ পাশের কোমরে লাগে। ঘটনাস্থলে নুর বশরের মৃত্যু হয়েছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীর ৩০-৪০ জনের একটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গভীর রাতে নুর বশরকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন আরও বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে রোহিঙ্গা সশস্ত্রগোষ্ঠীর সন্ত্রাসীরা কবির আহমদকে রোববার ভোরে হত্যা করেছে। আরসার ১০-১২ জন সন্ত্রাসী কবির আহমদকে ঘর থেকে তুলে আশ্রয়শিবিরের পাশের লালপাহাড়ে নিয়ে যায়। এরপর ছুরিকাঘাত ও গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে আশ্রয়শিবিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক ও অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, ‘আশ্রয়শিবিরে আধিপত্য বিস্তার, মাদক চোরাচালানের টাকা ভাগাভাগি, চাঁদাবাজি, মুক্তিপণের জন্য অপহরণ এবং পূর্বশত্রুতার জেরে মিয়ানমারের দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। প্রায় সময় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়।’ আরটিভি/এমকে