• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত
‘একমাত্র ছেলেকেই কেন স্রষ্টা নিয়ে যান’
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার নতুন মুহুরীগঞ্জ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় গাড়িচাপা পড়ে মারা যান ১৩ বছরের স্কুলছাত্র জাহিদুল আলম রাফি। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাত সাড়ে আটটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, রাফি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের দৌলতপুর (ছয়ঘরিয়া) গ্রামের মো. নুরুল আলম ভূঞার ছেলে। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জাহিদুল মা-বাবার একমাত্র ছেলে। তার বাবা চট্টগ্রামের একটি শিপিং কোম্পানিতে চাকরি করেন। রাফিদের বাড়ি মহাসড়কের কাছে। রাতে মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে আহত অবস্থায় তাকে পড় থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শুক্রবার রাফিদের বাড়িতে যেয়ে দেখা যায়, ওই বাড়িতে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা ভিড়। ফুটফুটে ছেলেটি এত দ্রুত হারিয়ে যাবে, তা কেউ মানতে পারছেন না। রাফির মা নাসিমা আক্তার ছেলের শোকে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন। জ্ঞান ফিরলেই ডাকছেন রাফি রাফি করে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোশাররফ হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, ফুটফুটে নিষ্পাপ চেহারার রাফির মুখে সবসময় আলতো হাসি লেগে থাকতো। ছেলেটির দিকে তাকালেই বুক মুচড়ে ওঠে। মা-বাবার একমাত্র ছেলেকেই কেন স্রষ্টা নিয়ে যান। তিনি আরও বলেন, নুরুল আলম ভূঞার একমাত্র ছেলে জাহিদুল আলম। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে জাহিদুলের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। ফেনীর ফাজিলপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী বলেন, অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় ওই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। গাড়িটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।
নেই ভোটারদের চিরচেনা লাইন
কিশোরের পায়ুপথে ব্রাশ ঢুকিয়ে নির্যাতন, হাসপাতালে  ভর্তি
মাকে গাছে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা, ব্যাংক কর্মকর্তা আটক
গেটম্যানের গাফিলতিতে ফেনীতে ট্রেন দুর্ঘটনা
ফেনীতে পোলট্রি খামারি হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ২
ফেনীর ছাগলনাইয়ার পোলট্রি খামারি আবুল কাসেম হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকারীরা কাসেমের খামারের মুরগি বিক্রির ৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেন।  রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান জানান, এ ঘটনায় জড়িত আলাউদ্দিন মিন্টু (৩৯) ও দ্বীন মোহাম্মদ প্রকাশ নয়ন (৩৪) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, খামারি আবুল কাশেম ও ঘটনায় জড়িত সকল আসামি একই এলাকায় চলাফেরার সুবাদে একে অপরের পূর্ব পরিচিত ছিল। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আবুল কাসেম তার মুরগির খামারে প্রায় ৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকার মুরগি বিক্রি করেছে বলে জানতে পারে আসামিরা। এরপর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ১২টা থেকে ৩টা ৪৫ মিনিট; এ সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত আসামি আলাউদ্দিন মিন্টু (৩৯), দ্বীন মোহাম্মদ প্রকাশ নয়ন (৩৪) ও পলাতক আসামি ইয়াছিন খামারি আবুল কাসেমকে ডেকে নিয়ে যান। ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর তার কাছে টাকা চাইলে, টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন তারা। এরপরও টাকা না দিলে আসামি আলাউদ্দিন মিন্টু (৩৯) তার হাতে থাকা গাছের ডাল দিয়ে ভিকটিমের মাথায় সজোরে আঘাত করলে কাসেম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় অন্যান্য আসামিরা কিল, ঘুষি, লাথিসহ এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে মরদেহ গোপন করার চেষ্টা করেন। তারা ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী কালিদাস পাহালিয়া খালের ঢালে পানিতে ভাসিয়ে দেন মরদেহ। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর আসামি ইয়াছিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার মো. ওয়ালী উল্লাহ, ছাগলনাইয়া থানার ওসি মো. হাসান ঈমাম প্রমুখ। প্রসঙ্গত, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের পশ্চিম শিলুয়া বুড়া মিয়ার তাকিয়া সংলগ্ন কালিদাস পাহালিয়া নদী থেকে পোলট্রি খামারি আবুল কাসেমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সালেহা বেগম লিজা বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২৩ বাংলাদেশিকে ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ
ফেনীর ছাগলনাইয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ২৩ বাংলাদেশিকে ভারতের মনুবাজার থানায় চোরাকারবারী হিসেবে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনী-৪ বিজিবির অধিনায়ক শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা। বিজিবির অধিনায়ক জানান, ২৩ বাংলাদেশিকে আটকের বিষয়টি প্রথমে বিএসএফ স্বীকার করেনি। বুধবার তারা স্বীকার করে বলেছে চোরাকারবারী হিসেবে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পতাকা বৈঠকে আর কিছু করার সুযোগ নেই। আদালতের মাধ্যমে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আটকরা হলেন পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামের সাইমুম হোসেন (১৯), রাইসুল ইসলাম (১৯), সামিন (৪০), হারুন (২৩), লিটন (৩০), মাঈন উদ্দিন (২০), রাধানগর এলাকার মহসিন (২৫), কাজী রিপন (৪০), তাজুল ইসলাম সাকিল (২২), হানিফ (৩৫), আবুল হাসান (৩০), ইমরান (২২), রুবেল (২৮), জাফর ইমাম মজুমদার (৪০), মো. ওবায়দুল হক (৪৪), জামাল উদ্দিন (৪০), আরিফ হোসেন (২৪), করিম (২০), ছাগলনাইয়া এলাকার মটুয়া এলাকার খোরশেদ (৩৮), আজাদ হোসেন (২৫), মাহিম (২৫), হারুন (৩২), ইমাম হোসেন (২২)। জানা যায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ২টায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৯৯ নম্বর পিলার সংলগ্ন ফেনীর পূর্ব ছাগলনাইয়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। স্থানীয়রা অভিযোগ করে গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার রাতে হঠাৎ পূর্ব ছাগলনাইয়া এলাকার এক বাংলাদেশিকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে বলে গুঞ্জন শুনে স্থানীয়রা খবর নিতে সীমান্তের কাটাতারের কাছাকাছি যায়। তাৎক্ষণিক হঠাৎ বিএসএফ পুনরায় এগিয়ে এসে বাংলাদেশিদের ধাওয়া শুরু করে। একপর্যায়ে তারা সেখান থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায়।