• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষণ: আ.লীগ নেতা নুর আলম গ্রেপ্তার
কোটা সংস্কার আন্দোলন: ফেনীতে আরও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফেনীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত শিক্ষার্থী আবিদুল ইসলাম (১৮) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।  শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত আবিদুল ইসলাম দাগনভূঞা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড আমানউল্লাপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ও স্থানীয় দাগনভূঞা একাডেমির নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দাগনভূঞা থানার ওসি মুহাম্মদ আবুল হাসিম। পরিবার জানায়, গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বাবাকে মারধরের প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন তিনি। পাঁচ দিন পর শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলে জানায় পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, ফেনীর দাগনভূঞায় সুমাইয়া নামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন কর্মী পরিবারসহ আমানুল্লাপুর গ্রামের নিজাম টাওয়ার নামে একটি বহুতল ভবনে ভাড়া থাকতেন। সোমবার তিনি ওই বাড়ির ছাদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এতে ভবন মালিক নিজাম উদ্দিন, তার ভাই জসিম উদ্দিন ও বাড়ির দারোয়ানসহ কয়েকজন তাকে মারধর করেন। এতে আবিদুল ইসলামের বাবা একই এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়। বাবাকে মারধরের প্রতিবাদ করতে গেলে আবিদুলকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।  পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার রাতেই তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার সকালে তিনি মারা যান। তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ জানতে পারে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ থানা হেফাজতে নিয়ে রাখা হয়।   এ বিষয়ে ওসি মুহাম্মদ আবুল হাসিম বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
প্রহরীদের হাত-পা বেঁধে ২৫ লাখ টাকার গরু লুট
ফেনীতে দুস্থদের মাঝে বিজিবির ইফতার বিতরণ
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
শিশু সন্তানকে নিয়ে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী, থানায় অভিযোগ দায়ের   
ফেনীতে ফুলকলি মডেল স্কুলে ভাঙচুর
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের গজারিয়া ফুলকলি মডেল কিন্ডারগার্টেনে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে অজ্ঞাতনামা ওই চক্রের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে বিদ্যালয়টির অফিস কক্ষের জানালার সব গ্লাস ভাঙচুর করে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রহিম ও আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ৩/৪ বছর ধরে স্থানীয় একটি দুষ্টচক্র প্রতিষ্ঠানটির ধারাবাহিক সাফল্যে ইর্ষান্বিত হয়ে নানা ষড়যন্ত্র ও ক্ষতি করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে বিষয়টি দেখতে পায়। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আশপাশের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।  বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম ইউসুফ আলী জানান, এর আগেও বেশ কয়েকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন সময় ওই চক্রটি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটকের নামফলক, শহীদ মিনার ভাঙচুর ও খড়ের আঁটিতে অগ্নিসংযোগ করে শ্রেণিকক্ষের ভেতরে ছুড়ে মারার ঘটনাও ঘটিয়েছে। এসব ঘটনায় প্রতিবারই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং থানা পুলিশকেও জানানো হয়ছে।  স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, স্থানীয় কয়েকজন বখাটে কিশোর রাতে এসে বিদ্যালয় সড়ক ও মাঠে বাজে আড্ডা দিতেও একাধিক সময় দেখা গেছে। দাগনভূঞা থানার এসআই মো. শহিদ উল্যাহ বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করেছেন।
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত আজরাইল দিঘি
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে ফেনীর দাগনভূঞার আজরাঈল দিঘি। প্রতিবছর এ দিঘিতে শীতে আশ্রয় নেয় শত শত অতিথি পাখি। সরেজমিনে উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের উত্তর আলামপুর গ্রামে গিয়ে জানা যায়, স্থানীয়ভাবে আজরাঈল দিঘি বলেই পরিচিত দিঘিটি পূর্বে হাজেরা খাঁ দিঘি নামেও পরিচিত ছিল। নীরব নিস্তব্ধ এই দিঘিটি এখন নানা জাতের অতিথি পাখির কিচিরমিচিরে মুখরিত।  স্থানীয়রা জানান, গত বছরের চেয়ে এবার বিপুল পরিমাণ পাখির আগমন ঘটেছে দিঘিটিতে। এসব পাখি দেখতে অনেক দর্শনার্থী ওই এলাকায় ভিড় করেন। অতিথি পাখির কিচিরমিচির শব্দে প্রতিদিন আশপাশের লোকজনের ঘুম ভাঙছে। উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের দর্শনার্থী আবুল হাসান বলেন, প্রতিবছর এখানে বেশ কয়েকবার ঘুরতে আসি। বিশেষ করে শীতের সময়টা অনেক ভালো লাগে। অতিথি পাখিরা আসে, তাদের কিচিরমিচির শব্দ একটা সুরের পরিবেশ সৃষ্টি করে। পাখির আগমনে জায়গাটির সৌন্দর্য আরও ফুটে উঠেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য জহিরউদ্দিন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এসব পাখি এই দিঘিতে আসে। পাখিরা এখানে অনেক নিরাপদ। দিঘিটি পাখির একটি নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে গড়ে উঠেছে। এ দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসে এখানে।  দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমা বলেন, এর সৌন্দর্য রক্ষা এবং উপভোগ করা সবারই দায়িত্ব। কারও বিরুদ্ধে পাখি শিকারের অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
হাজী রহিম উল্লাহর ভোট বর্জন
অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ফেনী-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্লাহ।  রোববার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে সোনাগাজী জিরো পয়েন্টে তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। ফেনী-৩ আসনের অধিকাংশ কেন্দ্রে জালভোট ও অনিয়মের অভিযোগ করেন হাজী রহিম উল্লাহ বলেন, তার  এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে সরকারি দলের লোকজন। তার সঙ্গে নবাবপুরের অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আমির হোসেন দুর্ব্যবহার করেছেন। উল্লেখ্য, দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলা নিয়ে গঠিত ফেনী-৩ আসনে আওয়ামী লীগ তার দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার করে মহাজোটের প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে সমর্থন দিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন হাজী রহিম উল্লাহ। আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১০ প্রার্থী। আসনে মোট ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫২। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫৯। নারী ভোটার ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৯২।
ভোটের আগমুহূর্তে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রিন্টু
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ (দাগনভূঞা-সোনাগাজী) আসনের বাঁশি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রিন্টু আনোয়ার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।  শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে আসার খবর নিশ্চিত করেন এ স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রিন্টু আনোয়ার জানান, বিগত ১০-১২দিন দাগনভূঞা-সোনাগাজী এলাকার বহু স্থানে ভোটার, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও গণসংযোগ করেছেন। রিন্টু আনোয়ার বলেন, স্থানীয় জনগণ এখানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতিও তাদের কোনো বিশ্বাস নেই। গণতন্ত্র সচেতন এই এলাকার মানুষ মনে করে, গণতন্ত্রকে যে জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাতে এখন আর তারা আস্থা রাখতে পারছে না। ‘আমার ভোটের কোনো মূল্য নেই’- এমন ভাবনা মনের মধ্যে আসন করে নিয়েছে। এটি গণতন্ত্রের জন্যে অশনি সংকেত। আমি গণসংযোগে মানুষকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি কিন্তু মানুষ ভোট দিতে যাওয়ার জন্য রাজি নয়। তারা বলছে, ভোট দিয়ে কি হবে? এমপিতো নির্ধারণ হয়ে আছে। মোট কথা এখানে বার বার ‘নির্বাচন ফেনী স্টাইল’ মঞ্চায়ন হওয়ার কারণে ভোটের প্রতি মানুষ পুরোপুরি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। ফলে, যে জনপ্রতিনিধি জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হয় না, সেই জনপ্রতিনিধি আমি হতে চাই না। রিন্টু আনোয়ার আরও বলেন, আমার মার্কা বাঁশির হুইসেলে ফেনী-৩ (দাগনভূঞা-সোনাগাজী) এলাকায় আমি সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে এলাকার বিবেকবান সচেতন মানুষদের সজাগ করার চেষ্টা করেছি। এ চেষ্টায় ব্যাপক সাড়াও মিলেছে। এতে মহলবিশেষের গাত্রদাহ দেখা দিয়েছে। তাছাড়া এখানে নির্বাচন মানে শুধু ফলাফল ঘোষণার পালা। এমন নির্বাচনে থাকা মানে তথাকথিত ‘ডামি’ নির্বাচনকে সহায়তা ও সমর্থন করা, যা আমি করতে চাই না। সাধারণ মানুষের মনোভাবের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে এই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম। অর্থাৎ আমি এই তথাকথিত ‘ডামি’ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না।