• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনতে চাই এমনটা বলিনি: মির্জা ফখরুল
বাসযাত্রীর জুতায় মিলল কোটি টাকার স্বর্ণ   
জুতার ভেতর অভিনব কৌশলে পাচারকালে ফেনীতে ১ হাজার ১৬৬ গ্রাম ওজনের ১ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের ১০টি স্বর্ণের বারসহ দ্বীজেন ধর (৩৯) নামে এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের খাইয়ারা ব্রিক ফিল্ড সংলগ্ন এলাকায় ঢাকামুখী তিশা প্লাটিনাম পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি করে তাকে আটক করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফেনী জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান। আটক দ্বীজেন ধর চট্টগ্রামের রাউজান থানার কেউটিয়া বণিকপাড়ার মৃত শুধাংশু বিমল ধরের ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, অবৈধ স্বর্ণ নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে এক ব্যক্তি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফেনী মডেল থানার আওতাধীন বোগদাদিয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের খাইয়ারা এলাকায় অবস্থান নেন। পরে ঢাকামুখী তিশা প্লাটিনাম পরিবহনের একটি বাস তল্লাশি করলে সন্দেহজনকভাবে দ্বীজেন ধরকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে স্বর্ণের বার রয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিলে পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি আমাকে অবগত করেন। তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক ও সেনাবাহিনীকে জানিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থলে তাকে তল্লাশি করা হয়। এ সময় তার পায়ের জুতার ভেতর থেকে বিশেষ কৌশলে রাখা ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। আটকের পর ওই ব্যক্তি জব্দকৃত স্বর্ণের বার সংক্রান্ত কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আটক ব্যক্তি অবৈধভাবে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে অন্য দেশ থেকে স্বর্ণের বার চোরাচালানে জড়িত। তার বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-খ ধারায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) দীন মোহাম্মদ (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/এমকে-টি
ফেনীতে অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ 
১৯ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা, অতঃপর...
ক্লাসে না এলে ৫০, স্কুল পালালে ১০০ টাকা জরিমানা
বিপৎসীমার ওপরে মুহুরী, বাঁধ ভেঙে প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা, চালক নিহত
ফেনীতে দ্রুতগামী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মো. মোস্তফা (৫০) নামে এক চালক নিহত হয়েছেন। রোববার (৩০ জুন) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দেবীপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মো. মোস্তফা মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা।  স্থানীয়রা জানান, সকালের দিকে পণ্যবাহী একটি ট্রাক ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দেবীপুর এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় ট্রাক চালক মো. মোস্তফা গুরুতর আহত হন।  খবর পেয়ে মহিপাল হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে চালককে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনী মহিপাল হাইওয়ে থানার ওসি মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘নিহতের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। স্বজনরা আসলে অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’
ফোন বন্ধ থাকলে বুঝবা আমাকে মেরে ফেলেছে, মাকে মেয়ের শেষ কথা
প্রায় দুই বছর আগে সিনথিয়া ইসলাম খুসবুকে বিয়ে করেন আক্কাস আলী রনি (২৬)। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ চলছিল। মঙ্গলবার (১১ জুন) রাতে ফেনী পৌরসভার চর গণেশ এলাকার ভাড়া বাসায় বাজার আনা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে বুধবার (১২ জুন) ভোরে খুসবুকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন আক্কাস। পরে থানায় এসে নিজেই হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা করেন। তাদের বাড়ি ভোলা জেলায়। বুধবার সকালে সিনথিয়া ইসলাম খুশবুর মা লিপি আক্তার জানতে পারেন তার মেয়ে স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন। এদিন রাতেই ঢাকা থেকে তিনি ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানায় আসেন। এ সময় কাঁদতে কাঁদতে লিপি বেগম বলেন, পরিবারের অমতে আক্কাসকে বিয়ে করে সিনথিয়া। পরে তাদেরকে আমরা ঢাকায় আসতে বলি। কিছুদিন ধরে আলী আক্কাস ব্যবসা করার জন্য সিনথিয়ার মাধ্যমে টাকা চাইতে থাকে। আমরা বলেছি, তোমরা ঢাকায় আসলে টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু ঢাকায় না গিয়ে আক্কাস সিনথিয়াকে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার পর সিনথিয়া আমাকে বারবার ফোন দিতে থাকে। ফোন ধরার পর সিনথিয়া জানায় যে আক্কাস তাকে টাকার জন্য প্রচণ্ড মারধর করছে। এরপর রাত সাড়ে তিনটার দিকে মেয়ে আবারও ফোন দিয়ে বলে, `মা, আমার ফোন বন্ধ থাকলে বুঝবা, তোমাদের জামাই আমারে মেরে ফেলেছে।’ আর সকাল হতে না হতেই থানা-পুলিশ মুঠোফোনে জানায়, আমার মেয়েকে আক্কাস জবাই করে হত্যা করেছে। বুধবার রাতেই সিনথিয়ার মা বাদী হয়ে আলী আক্কাসকে আসামি করে রাতেই থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দাফনের জন্য ঢাকায় নিয়ে যায় সিনথিয়ার পরিবার।  সিনথিয়ার মুঠোফোন থেকে উদ্ধার হওয়া কাবিন থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর ১ লাখ টাকা দেনমোহরে ফেরিওয়ালা আলী আক্কাসকে বিয়ে করেন সিনথিয়া। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্কাসের কাছে চলে আসার পর মা লিপি বেগমকে জানান তারা বিয়ে করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) শৈবাল বড়ুয়া বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে সিনথিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আলী আক্কাসকে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ আশিকুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে আক্কাস হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়।
গরু আনতে মাঠে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত মাদরাসাছাত্র
ফেনীতে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে এক মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আনোয়ার হোসেন (১৪)।   রোববার (৯ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর কাশিমপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আনোয়ার উত্তর কাশিমপুরের নূর করিমের ছেলে। আনোয়ার উত্তর কাশিমপুর মডেল দাখিল মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত।  জানা যায়, সকালে বাবার সঙ্গে গরু নিয়ে উত্তর কাশিমপুর নিলানজলায় যায় আনোয়ার। দুপুর ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক লিটন বলেন, দুপুরের দিকে মাঠে গরু আনতে গেলে বজ্রপাতে আনোয়ারের মৃত্যু হয়। সন্তানের এমন আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফেনী মডেল থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে নিহতের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা আসলে বিস্তারিত জানতে পারব।’ 
মায়ের চোখের সামনে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হলো মেয়ে
ফেনীতে মায়ের চোখের সামনে বালুবাহী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে জান্নাতুল মাওয়া (৬) নামের এক শিশু মারা গেছে। রোববার (১২ মে) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার কসকা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। জান্নাতুল সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের সফরপুর গ্রামের হাজারীবাড়ির সালিম উল্যাহ হাজারীর মেয়ে। তার বাবা কুয়েত প্রবাসী। জান্নাতুল স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে জান্নাতুল তার মা ও অন্য আত্মীয়দের সঙ্গে বাড়িতে ফিরছিল। পথে জান্নাতুল ও অপর এক শিশু মো. সজীব (১০) দৌড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পারাপার হতে গিয়ে একটি বালুবাহী ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় জান্নাতুল। মারাত্মকভাবে আহত হয় সজীব নামের অপর শিশু। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে দ্রুত ফেনী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সজীবকে ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফেনীর ফাজিলপুর (মুহুরীগঞ্জ) হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদ খান চৌধুরী। তিনি বলেন, খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। ট্রাকটি শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জামাতে ফজর নামাজ পড়ে উপহার পেলেন ১০ মুসল্লি
টানা ৪০ দিন ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে বিশেষ ঈদ উপহার পেয়েছেন ১০ মুসল্লি। ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদে এ উপহার দেওয়া হয়। রোববার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে মুসল্লিদের হাতে উপহার হিসেবে ঈদের পোশাক তুলে দেওয়া হয়। উপহারপ্রাপ্ত মুসল্লিদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত দুদক কর্মকর্তা আবদুল লতিফ, ব্যবসায়ী রুহুল করিম, বেসরকারি চাকরিজীবী আনোয়ার হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম, অটোচালক ইব্রাহিম, কৃষক নুরুল আমিন, কলেজছাত্র আবসার ও দুজন কিশোর রয়েছেন। এ উপলক্ষে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মো. মামুনের সঞ্চালনায় উপহার প্রদান করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মসজিদ কমিটির সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রবিউল হক। এ প্রসঙ্গে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. মামুন বলেন, নামাজের পুরস্কার তো আল্লাহ দেবেন। আমরা মুসুল্লিদের উৎসাহ দিতে এমন আয়োজন করেছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন ফয়সল, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন ফরহাদ, মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ পারভেজসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
ফেনীতে ট্রেন-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৬ : গেটম্যান সাইফুল গ্রেপ্তার
ফেনীর মুহুরীগঞ্জে ট্রেন ও ট্রাকের সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় রেলওয়ের গেটম্যান মো. সাইফুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।  রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বামনসুন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।  গ্রেপ্তার সাইফুল মিরসরাই উপজেলার উত্তর সোনাপুর গ্রামের মৃত শেখ মো. আনোয়ারুল আজিমের ছেলে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফেনীস্থ র‍্যাব অধিনায়ক স্কোয়াডন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম। তিনি জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মামলার প্রধান আসামি মো. সাইফুল ইসলামকে মিরসরাইয়ের বামন সুন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তার আসামিকে লাকসাম রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র‌্যাব-৭ জানায়, গেট ব্যারিয়ার না নামানোর কারণে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। ঘটনার পর সাইফুলকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বামনসুন্দর এলাকায় সাইফুল অবস্থান করছেন এমন খবরে র‌্যাবের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল ওই মামলার পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেন। পরে তাকে লাকসাম রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ দিকে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী রিটন চাকমা বলেন, গেটম্যানদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তদন্ত সাপেক্ষে নিশ্চিত হওয়া যাবে। দুর্ঘটনার সময় সিগন্যাল বারটি ফেলা হয়নি বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ফেনীর মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ-সংলগ্ন ক্রসিংয়ে চট্টগ্রামগামী একটি মেইল ট্রেন বালুবাহী ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে ৬ জন নিহত হন। এ ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়। এতে দুর্ঘটনাস্থলের ক্রসিংয়ের দায়িত্বে থাকা গেটম্যান মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. রাশেদ খানকে আসামি করা হয়।