• ঢাকা সোমবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১
logo
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ছাত্রদল নেতাসহ নিহত ২
লক্ষ্মীপুরে ধর্ষণের ঘটনায় ২ যুবক গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় মো. আশ্রাফ ও মো. রনি নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়। একইসঙ্গে তরুণীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে বুধবার রাতে পুলিশ বটতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আশ্রাফ কমলনগরের চরকাদিরা ইউনিয়নের বটতলী এলাকার ইব্রাহিমের ছেলে ও রনি একই এলাকার শাহজাহানের ছেলে। মামলা সূত্র জানায়, ৯ ডিসেম্বর রাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে তরুণীর মায়ের হাত-মুখ বেঁধে ফেলে তারা। পরে পাশের একটি কক্ষে তরুণীকে তারা ধর্ষণ করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত যুবক রনিকে চিনতে পারেন তরুণীর মা। বুধবার রাতে তরুণীর বাবা বাদী হয়ে কমলনগর থানায় মামলা করেন। কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ওই ঘটনায় অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আরটিভি/এএএ/এআর  
লক্ষ্মীপুরে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা
মাছ ধরতে গিয়ে বন্যার পানির স্রোতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু 
কমলনগরে রাসেলস ভাইপারকে মেরে ফেলেছে পথচারীরা
মেঘনায় এক ইলিশের দাম ৯৩৫০ টাকা
নির্বাচনী দ্বন্দ্ব, বাবার বিরুদ্ধে জামাইকে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ মেয়ের
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে জামাই মো. মহিন ও তার শ্বশুর আনল হকের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয়। এর জের ধরে একটি ‘সাজানো’ ঘটনায় মামলা দিয়ে জামাইকে কারাগারে পাঠান শ্বশুর। এরপর মেয়েকে জোরপূর্বক শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে আনল হক। বৃহস্পতিবার (২৪ মে) রাতে জেলা শহরের টাউন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনলের বিরুদ্ধে মেয়ে জেসমিন আক্তার এ অভিযাগ করেন। জেসমিন আক্তার বলেন, আমার স্বামী মহিন, ভাসুর ও দেবররা নির্বাচনে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আহসান উল্যা হিরনের (আনারস) সমর্থক ছিলেন। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। কিন্তু আমার বাবা আনল হক উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহর (মোটরসাইকেল) ভোট করেন। আমার বাবা চেষ্টা করেছেন মহিনকে তাদের সঙ্গে ভেড়াতে। এতে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এর জের ধরেই সাজানো ঘটনায় মামলা দিয়ে মহিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মহিনের সঙ্গে আরও ৩ জন কারাগারে আছেন। সংবাদ সম্মেলনে জেসমিনের শাশুড়ি নাছিমা আক্তার, ভাসুর নাছির উদ্দিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু ছিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন। মামলার বাদী এবং বিবাদীরা জেলার কমলনগর উপজেলার চর মার্টিন ইউনিয়নের উত্তর চারমার্টিন গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।  জেসমিন আরও বলেন, ৮ মে উপজেলা পরিষদের ভোট হয়। এদিন আমার বাবা ও স্বামী-ভাসুর-দেবরদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি ১৫ মে কমলনগর থানায় আমার স্বামী-ভাসুর-দেবরদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় উল্লেখ করেন ‘যৌতুকের জন্য মহিন আমাকে নির্যাতন করে ও বাবার বাড়িতে যেতে দিচ্ছে না’। ঘটনাটি মিথ্যা, বাবা আমার সংসার ভাঙতে চাচ্ছেন। ৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়েছে। কখনো মহিন আমাকে নির্যাতন করেনি, যৌতুকও দাবি করেনি। আমি স্বামীর সংসার করতে চাই। জানা গেছে, জেসমিনের স্বামী মহিনসহ ভাসুর নাছির উদ্দিন (৩৪), মো. মনির (৩৮) ও মো. খোকন, আত্মীয় সবুজ (২৮) ও মো. কালুকে (২৬) আসামী করে আনল হক মামলা করেন। বিবাদিরা গত ১৯ মে আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত আসামি নাছির ও কালুর জামিন দিয়ে বাকিদের কারাগারে পাঠায়। আনল হক বলেন, নির্বাচন দ্বন্দ্বের ঘটনা মিথ্যা। আমাকে আসামিরা মেরেছে। আমি রক্তাক্ত জখম হয়েছি। এজন্য আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। জেসমিন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু ছিদ্দিক বলেন, আনল হক মামলায় যে ঘটনা উল্লেখ করেছেন তা সত্য নয়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই কথা-কাটাকাটি হয়। আনল হকের সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় তিনি এখন সাজানো ঘটনায় মামলা করেছেন। তিনি নিজের মেয়ের সংসারও ভাঙতে চান।
সেহরি খেয়ে গেলেন নামাজে, সকালে মিলল ঝুলন্ত মরদেহ
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ঝুলন্ত অবস্থায় শিমুল (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নে সুজন ডাক্তার বাড়ির পাশে কড়ই গাছ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শিমুল ওই বাড়ির মোতাসিন বাঘার ছেলে। শিমুলের বাবা মোতাসিন বাঘা বলেন, ভোরে সেহরি খেয়ে শিমুল ফজরের নামাজের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। যাওয়ার সময় সে আমাদের ঘরের দরজা লাগিয়ে দিতে বলে। আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। এর বিচার চাই।   শিমুলের ভাই মনছুর বলেন, সকালে স্থানীয়রা গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেন। পরে পুলিশকে জানালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।   তিনি আরও বলেন, আমি অন্য জায়গায় ছিলাম। খবর পেয়ে এসে দেখি শিমুলের মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলে আছে। তবে তার হাঁটু ভাঙা পা মাটির সঙ্গে লেগে ছিল। তার দুই হাত ছিল পেছন থেকে বাঁধা। গেঞ্জি দিয়ে মুখ ঢাকা। হাত বাঁধা অবস্থায় সে কীভাবে গলায় ফাঁস দিতে পারে? এটি আত্মহত্যা নয়, কেউ তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখতে পারে।   শিমুলের ভগ্নিপতি পল্লী চিকিৎসক মো. সুজন বলেন, শিমুলের সঙ্গে তার স্ত্রীর এক বছর আগে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এ নিয়ে আদালতে একটা মামলাও চলছে। গত ছয় মাস আগে তার সাবেক স্ত্রীর অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়।   কমলনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল জলিল বলেন, শিমুলের পা মাটিতে লাগানো এবং দুই হাত বাঁধা অবস্থায় পেয়েছি। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।  
সেহরিতে চেতনানাশক খাইয়ে সর্বস্ব লুট
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যকে সেহরিতে চেতনানাশক মেশানো খাবার খাইয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ সর্বস্ব লুট করেছে চোর চক্র। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভোররাতে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের মতিরহাট এলাকার পাটোয়ারি বাড়িতে লুটপাটের এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই পরিবারের সদস্যদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। স্থানীয় ও স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার ভোর রাতে সেহরির খাবার খেয়ে অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন মন্নান পাটোয়ারির পরিবারের লোকজন। সকালে তাদের উঠতে দেরি দেখে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেন। কিন্তু তারা সাড়া না দেওয়ায় প্রতিবেশীরা অসুস্থ অবস্থায় মান্নান পাটোয়ারি, তার স্ত্রী কহিনুর বেগম ও পুত্রবধূ শারমিন আক্তারকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা জানান, ঘরের আলমিরা ও অন্যান্য আসবাবপত্র তছনছ করে নগদ টাকা ও  স্বর্ণালঙ্কারসহ সবকিছু লুটপাট করা হয়েছে। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করায় এ ঘটনা ঘটেছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সবাই শঙ্কামুক্ত। কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
শ্বশুরবাড়ির পাশে পড়ে ছিল যুবকের মরদেহ 
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে একটি সয়াবিন খেত থেকে মো. কাশেম (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চর জাঙ্গালিয়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলটি ওই যুবকের শ্বশুরবাড়ির পাশেই। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।  কাশেম কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লা বাড়ির আবু সায়েদের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষি শ্রমিক ছিলেন।  জানা গেছে, প্রায় তিন মাস আগে কাশেম হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের আলি আক্কাসের মেয়ে তাসলিমাকে বিয়ে করে। তাসলিমা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।  কাশেমের বাবা আবু সায়েদ জানান, মঙ্গলবার তার ছেলে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে তাদের বাড়ি থেকে বের হয়। সকালে ছেলের মৃত্যুর খবর পান তিনি। তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তার।   হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ইয়াছিন আরাফাত বলেন, কাশেম মঙ্গলবার বিকেলে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে চলে যান। সকালে শ্বশুরবাড়ির পাশের একটি সয়াবিন খেতে তার মরদেহ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটা হত্যাকাণ্ড হতে পারে।  কমলনগর থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল জলিল বলেন, কাশেমের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তার নাক-মুখে রক্ত দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।