• ঢাকা সোমবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১
logo
ছাদ থেকে লাফিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৪ সাংবাদিক
রামগঞ্জে ছাদ থেকে লাফিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার আত্মহত্যা
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে মোস্তফা তারেক ইকবাল ওরফে রবিন পাটোয়ারী (৩৫) নামে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভেতরে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামগঞ্জ থানার ওসি আবুল বাশার। মোস্তফা তারেক রামগঞ্জ উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।  তিনি সদর উপজেলার পৌর এলাকার বাসিন্দা ও দুই সন্তানের জনক। তার মৃতদেহ রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেল ৩টার দিকে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা মোস্তফা তারেক ইকবাল উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীন ৫ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তা মোস্তফা তারেককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। রামগঞ্জ থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- ছাদ থেকে লাফিয়ে নীচে পড়ে তারেক ইকবালের মৃত্যু হয়েছে। তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’ আরটিভি/এমকে-টি
স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন স্ত্রীও
দল্টা ডিগ্রি কলেজের নতুন সভাপতি শাকিল চৌধুরী 
মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
লক্ষ্মীপুরে মাদরাসাছাত্র শুভ হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রীসহ আটক ৩ 
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে কোহিনুর বেগম নামে এক নারীর বিরুদ্ধে তার স্বামী আবুল বাশারকে (৫৫) বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কোহিনুরসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের দিঘির পাড় এলাকার ওয়ারেছ পাটোয়ারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।   নিহত আবুল বাশার ওই বাড়ির মৃত হাবিব উল্যার ছেলে ও সৌদি প্রবাসী ছিলেন। আটক অন্যরা হলেন- নিহতের মেয়ে রাফা আক্তার ও পুত্রবধূ দিপা আক্তার।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আবুল বাশার দীর্ঘদিন সৌদিআরব ও ওমান প্রবাসী ছিলেন। প্রায় ৬ বছর আগে তিনি বাড়িতে চলে আসেন। বিদেশ থেকে আসার পর তিনি জানতে পারেন, প্রতিবেশী বিল্লাল হোসেন দিলুর সঙ্গে কোহিনুরের পরকিয়া সম্পর্ক রয়েছে। তখন থেকেই স্ত্রী কোহিনুরের সঙ্গে বাশারের কলহ শুরু হয়। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। ঘটনার সময় বাশারকে তার স্ত্রী পাশের বাড়ি থেকে ধান আনার জন্য বলে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কোহিনুর একটি বাঁশের লাঠি নিয়ে তাকে আঘাত করে। এতে বাশার অচেতন হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক বাড়ির মানুষ জড়ো হয়ে পড়েন। হাসপাতাল নেওয়ার আগেই বাশার মারা যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত বাশারের ভাতিজা বাহার উল্যাহ জানান, বাঁশের আঘাতে তার চাচা অচেতন হয়ে পড়েন। সেখানেই তিনি মারা যান। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাই।  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) হাসান মোস্তফা স্বপন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
অটোচালককে তুলে নিয়ে মারধর-মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ১
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালককে তুলে নিয়ে মারধর ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় সম্রাট মাহমুদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে ভুক্তভোগী অটোরিকশাচালক বাচ্চু মিয়া বাদী হয়ে সম্রাটসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপরই সম্রাটকে থানায় তলব করে পুলিশ। পরে মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। গ্রেপ্তার সম্রাট উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। অভিযুক্ত অন্যজন মো. আরমান হানুবাইশ গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তারা দুজনই লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। মামলার বাদী বাচ্চু ভাটরা ইউনিয়নের দল্টা গ্রামের মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়ার ছেলে ও পেশায় অটোরিকশাচালক। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে অটোরিকশা নিয়ে রামগঞ্জ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বাচ্চু মিয়া। পথে রামগঞ্জ-দল্টা বাজার সড়কের ভাদুর উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে অভিযুক্তরা মোটরসাইকেলযোগে গিয়ে তার অটোরিকশার গতিরোধ করে। পরে তাকে টেনে-হিঁচড়ে পাশের একটি সুপারি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর অভিযুক্তরা মোবাইল ফোনে অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও কয়েকজনকে ডেকে আনে। পরে তারা তাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। বাঁচার জন্য আকুতি করলে অভিযুক্তরা তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা দিতে অপারগতা জানালে তাকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে বাচ্চু মিয়া তার ভাই ও বোনকে কল করে বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা এনে অভিযুক্তদের দেন। এ ঘটনা গোপন রাখতে তাকে হুমকিও দেওয়া হয়। পরে অভিযুক্তরা চলে গেলে বাচ্চু মিয়া প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন এবং পরে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। বাচ্চু মিয়া বলেন, আমাকে অনেক মেরেছে। ৫০ হাজার টাকা নিয়ে তারা আমাকে ছেড়ে দেয়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি থানায় মামলা করেছি। রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, ভুক্তভোগী থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।