• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
বিমানবন্দরের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান নোয়াখালীবাসীর
৪৩ লাখ ‘ফ্যামিলি কার্ড’ বাতিলের প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ
শতাধিক পণ্যে শুল্ককর আরোপ, টিসিবির ট্রাক সেল বন্ধ এবং ৪৩ লাখ পরিবারের ‘ফ্যামিলি কার্ড’ বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি বসুরহাট পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বসুরহাট জিরো পয়েন্টে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেএসডি স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী। বক্তারা টিসিবির ট্রাক সেল বন্ধ ও ৪৩ লাখ পরিবারের ফ্যামিলি কার্ড বাতিল ও শতাধিক পণ্যে শুল্ককর আরোপ করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। নেতারা অবিলম্বে গ্রাম-শহরে শ্রমজীবীদের জন্য রেশন এবং ন্যায্যমূল্যের দোকান চালুর দাবি জানান। সমাবেশ থেকে কোম্পানীগঞ্জের মুছারপুরে নদীভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়। এ সময় জেএসডি সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী মুছারপুর থেকে বসুরহাটে জেএসডিরি মিছিল সমাবেশে আসার সময় বিএনপি কর্মীরা জেএসডির চারটি বাস আটকে রাখে বলে অভিযোগ করেন। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে স্থানীয় নেতাদের কাছে বিচার দাবি করেন। সমাবেশে জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীকে নোয়াখালী ৫ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেএসডির প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সিরাজ মিয়া। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেএসডি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল তারেক, নোয়াখালী জেলা জেএসডির সভাপতি ইকবাল হোসেন, সহসভাপতি মো. আলাউদ্দিন, কাজল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক নূর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মো. সাহাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ আল মামুন, প্রচার সম্পাদক মজিবুর রহমান রুবেল ও সাবেক ছাত্রনেতা হেলাল উদ্দিন প্রমুখ। আরটিভি/এএএ-টি
হাতিয়ায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত 
সরকারি জায়গায় যুবদল নেতার হোটেল নির্মাণের অভিযোগ
যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার, হাসপাতালে সাবেক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
‘ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে ১৭ বছর নোয়াখালীতে ওয়াজ মাহফিল বন্ধ ছিল’
‘সংস্কারের নামে দেশে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে’
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেছেন, ‘সংস্কারের নামে দেশে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে। চাল, ডাল, তেলসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য প্রতিদিন বেড়েই চলছে। চারদিকে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা সংস্কারের কথা আরও দুবছর আগেই বলেছেন। আমরা মনে করি অতি শিগগিরই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের মাধ্যমেই মানুষের মৌলিক অধিকার, সামাজিক অধিকার এবং রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার এ এম উচ্চ বিদ্যালয়  মাঠে উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির আয়োজনে দেশবিরোধী অপতৎপরতা রুখতে এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। শামীম বলেন, ২০২৪ এর স্বৈরাচার মুক্ত আন্দোলনে বিএনপির ৪২২ জন নেতাকর্মী শাহাদাত বরণ করেছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা গত ১৭ বছরে গুম-খুন, হামলা-মামলা নির্যাতনের মাধ্যমে তার বাবার মতো (শেখ মুজিব) বাকশাল কায়েম করতে চেয়েছিলো। কিন্তু বাংলার আপামর মানুষ সুসংগঠিত হয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তা নসাৎ করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আপনারা ইতোমধ্যে লক্ষ্য করেছেন হাতিয়ার রাজনীতি ব্যক্তি রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসেছে। আমাদের রাজনীতি হবে জিয়াউর রহমানের, খালেদা জিয়ার, তারেক রহমানের রাজনীতি। এর বাইরে কোন রাজনীতি বা গ্রুপিং চলবে না। খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান যাকেই মনোনয়ন দেবেন, আমরা সবাই তার জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাবো। এটি সম্ভাবনাময় অঞ্চল কিন্তু এখানে সাধারণ মানুষের জনদুর্ভোগের শেষ নেই। যাতায়াতের জন্য ভালো কোনো ব্যবস্থা নেই। মানুষের ম্যান্ডেট নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলে হাতিয়া হবে একটি পর্যটন এলাকা। এখানে জলপথ এবং স্থলপথের যাতায়াত ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা হবে। এ ছাড়া যেসব এলাকায় নদী ভাঙন রয়েছে সেখানে বেড়িবাঁধ করা হবে। বাণিজ্যিক উন্নয়নের জন্য একটি নৌ-বন্দর, সু-চিকিৎসার জন্য উন্নতমানের হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক খোকনের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আলা উদ্দিন রনি, সাবেক আহ্বায়ক শওকত হোসেন সাখাওয়াত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিসানুল আলম লেনিন, দ্বীপ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আমিরুল হায়দার চৌধুরী সাজ্জাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা কাদের হালিমী, হাতিয়া পৌরসভা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোকাররম বিল্লাহ শাহাদাত, যুগ্ম সম্পাদক লুৎফুল্লাহ হিল মুজিদ নিশানসহ উপজেলা বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। আরটিভি/এমকে
হাতিয়ায় সংরক্ষিত বনের গাছ কাটতে গিয়ে আটক ২ 
নোয়াখালীর হাতিয়ায় সংরক্ষিত বনে রাতের আঁধারে গাছ কেটে বন উজাড় করার সময় দুজনকে আটক করেছে জাহাজমারা বিট অফিসের বনরক্ষীরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে গাছ কাটার কুড়াল ও দা জব্দ করা হয়।  রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে আটক দুজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতরা হলেন—উপজেলার জাহাজমারা ২নং ওয়ার্ডের বেছু মাঝির ছেলে মো. সাহারার (৫০) ও‌ একই এলাকার মনির সর্দারের ছেলে আলতাফ হোসেন (৪০)। জাহাজমারা বনবিভাগের রেঞ্জার সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিট অফিসার বোখারী আহমেদ টহল স্টাফ সহ চর ইউনুছ ও হাজীর গোপট এলাকায় দেখতে পান চার-পাঁচজন লোক কুড়াল দিয়ে গাছ কাটছে। এ সময় বনরক্ষীদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুইজনকে আটক করে বনরক্ষীরা। তবে গ্রুপের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে তাদের কাটা আনুমানিক ৮০০টি ১ ফুট বেড়ের গেওয়া চারা গাছ ও রিং করা কেওড়া গাছের বাকল একটি, কুড়াল ও একটি দা জব্দ করা হয়। আসামিরা জমি তৈরির উদ্দেশ্যে আনুমানিক ১.৫ একর জমির চারা গাছ এবং ১৫ বড় কেওড়া গাছের গোড়ায় কেটে রিং করেছে। সরকারি বাগানের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণে সর্বমোট ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। আটককৃতদের রোববার আদালতে বন আইনে জামিন অযোগ্য মামলায় সোপর্দ করা হয়েছে। জাহাজমারা রেঞ্জ কর্মকর্তা এস এম সাইফুর রহমান বলেন, ১ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ম্যানগ্রোভ বন এলাকায় বিগত সরকারের আমলে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় বনউজাড় ও ভূমি দখল বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। বিগত সময়ে শতাধিক মামলা হলেও আসামিরা কোন রকম ভয় না পেয়ে অবৈধ কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। সরকারি বন রক্ষার্থে তিনি সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। আরটিভি/এএএ-টি  
নোয়াখালীতে আগুনে পুড়ল ১২ দোকান
নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে আগুনে পুড়ে গেছে ১২টি দোকান। পরে পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। শনিবার (১১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের প্রধান সড়কের গণপূর্ত অফিসের বিপরীতে পাশের কয়েকটি মার্কেট ও হকার্স মার্কেটের দক্ষিণ পাশে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন। তবে অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাতে সবাই দোকান বন্ধ করে চলে যাওয়ার আধাঘণ্টা পর হঠাৎ হকার্স মার্কেট সংলাপ নূপুর মার্কেটে আগুনের ফুলকি দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২টি দোকান পুড়ে যায়।  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশ কাজ করে। মাইজদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ হারুন পাশা জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট পৌনে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগেই ১২টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। তাৎক্ষণিক ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়নি বলেও জানান তিনি।   আরটিভি/এএএ  
নোয়াখালী হকার্স মার্কেটে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। এ ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট। শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে শহরের হর্কাস মার্কেটে অগ্নিকান্ডের এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা জামাল উদ্দিন বিশাদ ও ফয়জুল জাহান জানান, রাতে হঠাৎ হর্কাস মার্কেটে আগুনের ফুলকি দেখতে পান স্থানীয়রা। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে সেটি এখনও বোঝা যাচ্ছে না।  ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২০ থেকে ২৫টির বেশি দোকান পুড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, এর সংখ্যা বাড়তে পারে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী,পুলিশ রয়েছে। মাইজদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্য ইয়াছিন মোল্লা জানান, ‘হর্কাস মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ৫টি টিম পৌঁছেছে। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের আরও কয়েকটি টিম সেখানে পাঠানো হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’ আরটিভি/এমকে
নোয়াখালীতে মিছিলে যুবদল নেতার মৃত্যু
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় কর্মী সমাবেশ উপলক্ষে করা মিছিলে স্লোগান দিতে দিতে মারা গেছেন যুবদল নেতা ফারুক (৩৫)।   শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের চরচেঙ্গা বাজারে যুবদলের কর্মী সমাবেশের মিছিলে এ ঘটনা ঘটে।   নিহত মো. ওমর ফারুক সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের শফিউল্লাহ মিয়ার ছেলে। তিনি একই ওয়ার্ডের যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হাতিয়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চরচেঙ্গা বাজারে যুবদল একটি কর্মী সমাবেশের আয়োজন করে। ওই সমাবেশে যুবদল নেতা ফারুক স্থানীয় বাংলাবাজার থেকে নেতৃত্ব দিয়ে মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসেন। মিছিল চলা অবস্থায় হঠাৎ তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে নাকে মুখে ফেনা বের হয়ে যায়। পরে তাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে দুই ছেলেসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে স্থানীয়দের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রহমান শোক জানিয়েছেন। তিনি যুবদল নেতা ফারুকের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম আজমল হুদা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। মিছিলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থানায় ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফন করা হবে।   আরটিভি/এএএ/এস 
হাসপাতালের ডিসপ্লেতে ‘আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’
নোয়াখালীর সদর উপজেলার একটি হাসপাতালের ডিজিটাল ডিসপ্লেতে আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ লেখা ভেসে উঠেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার হাসপাতাল রোডের ‘সিটি হসপিটাল’-এর মূল ফটকের ডিসপ্লেতে এ লেখা ভেসে ওঠে। ঘটনার পরপরই বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের শাস্তি দাবি করেন।  বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুম ইফতেখার। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর হাসপাতাল রোডের ‘সিটি হসপিটাল’-এর ডিসপ্লেতে ‘আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ লেখা ভেসে ওঠে। মুহূর্তের মধ্যে হাসপাতালের সামনে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।   সিটি হসপিটালের ম্যানেজার কাজী মো. শাহজাহান নাজিম বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে প্রথম হাসপাতালে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ লেখা ভেসে ওঠে। তখন আমাদের নৈশপ্রহরী সেটা ডিসকানেক্ট করে দেয়। পরে এটা নিয়ে আর কোনো কথাবার্তা হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয় কিছু লোকজন এসে আবার ডিসপ্লেতে কানেকশন দেয় এরপর লেখাটি পুনরায় ভেসে ওঠে। হাসপাতালের ডিসপ্লের অ্যাপে তার নিয়ন্ত্রণে নেই। এটি হাসপাতালের বাহির থেকে চলে। ম্যানেজার নাজিম অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রাতে ডিসপ্লেতে লেখা ভেসে ওঠেনি। এটি ঘটানো হয়েছে। এরপর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকারসহ হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় এবং নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক সালমা ইসলামের সঙ্গে স্থানীয় এক ব্যক্তির পূর্ব বিরোধ ছিল। ধারণা করছি, ওই বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটানো হয়।   সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’     নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুম ইফতেখার বলেন, ‘ঘটনাস্থলে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’             আরটিভি/এমকে-টি