• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
হাতিয়ায় পাঁচ শিক্ষককে বিদায় সংবর্ধনা দিলো শিক্ষার্থীরা
হাতিয়ায় পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধন
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় পাবলিক লাইব্রেরির উদ্বোধন করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় পাবলিক লাইব্রেরিটি উদ্বোধন করেন ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ।  উপজেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত দ্বিতল বিশিষ্ট হাতিয়া প্রেসক্লাব ভবনে লাইব্রেরিটি উদ্বোধন করা হয়।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, বই পড়ে শিক্ষার্থীরা অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমান সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। একসময় এ হাতিয়ায় শিক্ষার গুণগত মানসহ শিক্ষার হার ছিল লক্ষণীয়। কিন্তু ইতোপূর্বে হাতিয়ায় পরীক্ষার হল সমূহে নকল সরবরাহ সহ নানান অনিয়মের ফলে শিক্ষার হার ও মান অধঃপতনের দিকে ধাবিত হয়েছে। নকলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় দ্বীপ সরকারি কলেজের এক শিক্ষককে গতবছর পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, লাইব্রেরিতে শুধু শিক্ষার্থীরা বই পড়ে মুক্ত জ্ঞানের চর্চা করবে তা নয়, এখানে সকল শ্রেণির মানুষ যাতে বই পড়ে জ্ঞানের বিকাশ ঘটাতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। সকল ধর্ম ও মতাদর্শের বই থাকতে হবে।  এ সময় হাতিয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিক ও জেলা সাংবাদিক সহ সুধী সমাজের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।  আরটিভি/এএএ
হাতিয়ায় আবদুল হান্নান মাসউদ / যে হাত দেশের মাটির দিকে আসবে, সে হাত ভেঙে দেবো
জলোচ্ছ্বাসে বেহাল সড়ক, নিঝুমদ্বীপে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের দুর্ভোগ
হাতিয়ায় পোড়ানো হলো ৩ লাখ টাকার অবৈধ জাল
হাতিয়ায় ২ ইটভাটা বন্ধ করে দিলো পরিবেশ অধিদপ্তর
১১ বছর পর শিবিরকর্মীর লাশ উত্তোলন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ১১ বছর পর কবর থেকে মতিউর রহমান সজীব (১৭) নামে এক শিবির কর্মীর লাশ (হাড়গোড়) তোলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নয়ন হাজী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এই মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সজীব একই এলাকার মৃত আব্দুল রহমানের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষার্থী ছিলেন এবং শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।   জানা যায়, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশের পর আজ দুপুরের দিকে পারিবারিক কবরস্থান থেকে সজীবের মরদেহ তোলা হয়। ওই সময় কবরে একটি বুলেট পাওয়া যায়। এ সময় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবেল উদ্দিন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মঈনুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।  ওই সময় কবর থেকে বুলেট সাদৃশ্য একটি বস্তু উদ্ধার করা হয়। পরীক্ষার পর বলা যাবে এটি বুলেট কিনা।     উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সামনে জামায়েত ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সজীবসহ চারজন শিবির নেতাকর্মীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন উপজেলা জামায়েত। পরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াতের চার নেতাকর্মীকে হত্যার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুরুজ্জামানসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয় আদালতে। পরে আদালতের নির্দেশে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়। এ ছাড়া মামলায় আসামি করা হয় কোম্পানীগঞ্জ থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক উপপরিদর্শক সুধীর রঞ্জন বড়ুয়া, আবুল কালাম আজাদ, শিশির কুমার বিশ্বাস ও উক্যসিং মারমা।   আরটিভি/এএএ/এস 
হত্যা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের চার নেতাকর্মী হত্যা মামলায় বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর নুর হোসাইন ফরহাদকে (৫৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। এর আগে রোববার দিবাগত রাতে ফেনীর এক আত্মীয়ের বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ফরহাদ বসুরহাট পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের মৃত নুর ইসলাম মেম্বারের ছেলে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।   উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার উপজেলা গেইটে জামায়াত-শিবিরের চার নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মী সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াতের চার নেতা-কর্মীকে হত্যার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুরুজ্জামানসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজু করা হয়। এ ছাড়া মামলায় আসামি করা হয় কোম্পানীগঞ্জ থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক উপপরিদর্শক সুধীর রঞ্জন বড়ুয়া, আবুল কালাম আজাদ, শিশির কুমার বিশ্বাস ও উক্যসিং মারমা।   আরটিভি/এএএ 
দিল্লির দালালরা সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে: আবদুল হান্নান মাসউদ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, যারা ভারতে বাবরি মসজিদ ভেঙে মন্দির তৈরি করে তারা আমাদের সাম্প্রদায়িকতা শেখাচ্ছে। ভারতের দাদা বাবুরা, দিল্লির দালালরা সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে। তারা বাংলাদেশকে করায়ত্ত করার চেষ্টা করছে। তারা এতদিন শেখ হাসিনার মতো দাসকে বাংলাদেশে বসিয়ে বাংলাদেশ শোষণ করেছে।  মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের ভূমিহীন বাজারে স্থানীয়দের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ঐক্য ও সংহতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ভারত আমাদের সাম্প্রদায়িকতা শিখাতে আসে অথচ তারা গুজরাটের বাবরি মসজিদ ভেঙে মন্দির তৈরি  করেছে। ভবিষ্যতে কেউ যদি এদেশের মাটির দিকে হাত বাড়ায় তাহলে তাদের দেশের মাটিও নিরাপদ থাকবে না। তিনি বলেন, স্বৈরাচারের দোসররা বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের মানুষ নতুন করে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। যতদিন তারা ঐক্যবদ্ধ থাকবে ততদিন শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। এ সময় স্থানীয় লোকজন হাতিয়ার নদীভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানান। পরে এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে হান্নান মাসউদকে অবগত করেন এবং মাসউদ তাদের কথা শুনে সেগুলো সমাধানের আশ্বাস দেন। এ সময় যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম কে বেলালের সভাপতিত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  আরটিভি/এএএ/এস
৭ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পেটালেন ছাত্রদল নেতা  
নোয়াখালীর কবিরহাটে ৭ এসএসসি পরীক্ষার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান হারুনের বিরুদ্ধে। সোমবার উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কোম্পানীরহাট বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন আবদুর রহিম উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও কোম্পানীরহাট বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল হুদা। হামলার শিকার ছাত্ররা হলেন, সালমান হোসেন (১৬), আব্দুল লতীফ অন্তর (১৭) ইমদাদুল হক মাহীম (১৬) আব্দুর রহীম (১৭) নাজমুল হক (১৭) রিয়াজ উদ্দিন সাইম (১৭) ও মো.রিয়াজ (১৬)। তারা সবাই স্থানীয় কোম্পানীহাট আবদুর রহিম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার কথা রয়েছে।   হামলার শিকার শিক্ষার্থী সালমান হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা সাতজন শিক্ষার্থী এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষায় (টেস্ট পরীক্ষা) ফেল করি।  এজন্য সোমবার সকালে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতির জন্য বিদ্যালয়ে যাই। বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখি সেখানে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বৈঠক চলছে। এরপর আমরা ৭ জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয় সংলগ্ন কোম্পানীরহাট পশ্চিম বাজার এসে অপেক্ষা করতে থাকি। সেখানে সাবেক ছাত্রদল নেতা হারুন কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় ৭ জন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এরপর তিনি ও সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহান আমাদেরকে পুরো বাজারে দৌড়াতে দৌড়াতে পিটায়। আমরা আতঙ্কিত হয়ে বাজার কমিটির সভাপতির দোকানে আশ্রয় নিলে হারুন নেতা সেখানেও আমাদের মারধর করে।’   আবদুর রহিম উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও কোম্পানীরহাট বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল হুদা বলেন, ‘সকালে ছাত্রদল নেতা হারুন কয়েকজন ছাত্রকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় দেয়। এরপর ছাত্রদের সঙ্গে ঝগড়া করে হারুন আমার দোকানে এসে পুনরায় ছাত্রদের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে হারুন বাজারে লাঠি, হকিস্টিক, কিরিচ নিয়ে বাজারে অবস্থান নেয়।’       অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান হারুন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ছাত্রদের হামলায় সাবেক ইউপি সদস্য মো. শাহজাহানসহ তার ৫ অনুসারী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।   যোগাযোগ করা হলে আবদুর রহিম উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, ‘কয়েকজন ছাত্র এসএসসির টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করে। সাকিব নামে এক ছাত্রদল নেতা তাদেরকে এসএসসির ফরম পূরণ করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। সোমবার বেলা ১১টার দিকে ছাত্রদল নেতা হারুনের সঙ্গে ছাত্রদের দেখা হয়। দেখা হলে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে ছাত্ররা জানায়, ছাত্রদল নেতা সাকিব তাদেরকে ফরম পূরণের ব্যবস্থা করে দেবেন। ওই সময় হারুন জানতে চায়, তোমরা কয় বিষয়ে ফেল করেছ। ছাত্ররা উত্তর দেয় তারা কয় বিষয়ে ফেল করেছে জানেনা। ছাত্ররা রেজাল্ট জানত, তারা বলেছে জানিনা। এ কারণে মনে হয় কয়টা চড় থাপ্পড় দিয়েছে। বাজারে এর বেশি কি হয়েছে সে বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’ কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে এ ঘটনায় কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’           আরটিভি/এমকে/এআর
মাদরাসার অধ্যক্ষকে পেটালেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা
নোয়াখালী হাতিয়ার রহমানিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এ এইচ এম জিয়াউল ইসলামের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক ও পৌরসভা বিএনপির বহিষ্কৃত সভাপতি কাজী আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে। রোববার সকালে মাদরাসা ক্যাম্পাসে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হামলার শিকার শিক্ষক হাতিয়া থানা ও নৌকন্টিনজেন্ট কমান্ডারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধ্যক্ষ জিয়াউল হক হাসেম দীর্ঘ ৩ মাস মেডিকেল ছুটিতে থাকার পর রোববার সকালে মাদরাসায় আসেন। এ সময় তাকে দেখে তিনতলায় উঠার প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ শুরু করেন কাজী আবদুর রহিম। ওই সময় অধ্যক্ষ নিচে নেমে যাওয়ার সময় দৌড়ে গিয়ে কাজী আবদুর রহিম তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং মারধর করেন। তাৎক্ষণিক অন্য শিক্ষকরা ভয়ে কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। জানা যায়, ৫ আগস্টের পর থেকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কাজী রহিমসহ একটি মহল বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে মাদরাসার ছোট ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিভিন্নভাবে উসকানি দিয়ে মিছিল পর্যন্ত করিয়েছেন কাজী আবদুর রহিম। অধ্যক্ষ জিয়াউল হক হাসেম পদত্যাগ করলে কাজী আব্দুর রহিম অধ্যক্ষ হবেন এ আশায় তিনি এসব করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, কাজী রহিম দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হওয়ায় বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তবুও তার অনিয়ম কমেনি বরং আরও বহু গুণে বেড়েছে। ৫ আগস্টের আগে তেমন প্রভাব বিস্তার না করলেও ৫ আগস্টের পর তার প্রভাব বিস্তারে অতিষ্ঠ হাতিয়া পৌরসভাবাসী। সাবেক এমপি প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিমের নাম ভাঙিয়ে সব অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন কাজী রহিম। যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত কাজী আবদুর রহিম অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসক বরাবর। তিনি ওই তদন্ত ঠেকাতে মিথ্যাচার করছেন। তার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।   হাতিয়া রহমানিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এ এইচ এম জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘একটি প্রতিষ্ঠান চলাতে গেলে কোনো না কোনো প্রয়োজনে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর দ্বারস্থ হতে হয়েছে। আমি কোনো অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত নই। আমি আমার ওপর হামলার বিচার দাবি করছি।’   হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘শনিবার রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’   আরটিভি/এমকে
কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দে মিলল মরদেহ
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক থেকে অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চুলডগি এলাকার জামালের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।   নিহত মো. রবিন হোসেন (১৬) একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাজহরিতালুক গ্রামের মাকু মিয়া সওদাগর বাড়ির মো. ইউনূসের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিন পেশায় একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন। তিনি তার সৎ মা রুনা আক্তারের সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করতেন। নভেম্বর মাসে তার বাবা ঢাকা যাওয়ার সময় নিজের অটোরিকশা ছেলেকে চালাতে দিয়ে যান। গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ডিবি রোড থেকে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হন রবিন। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, ওই দিন সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের জুয়েলসহ (২৬) অজ্ঞাত কয়েকজনকে স্থানীয়রা রবিনের সঙ্গে মোবাইল নিয়ে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন। এ বিষয়ে জুয়েলকে রবিনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এলোমেলো কথাবার্তা বলেন। পরে জুয়েলকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। নিখোঁজের ৬ দিন পর সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন জামালের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।  সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, গলায় কাপড় পেঁচিয়ে রবিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের সৎ মা ৫ ডিসেম্বর প্রথমে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ ভিকটিমকে না পেয়ে অপহরণ মামলা হিসেবে রুজু করে। এরপরপরই ভিকটিমের মোবাইলের সূত্র ধরে দুজনকে আটক করা হয়। তারা ভিকটিমের মোবাইল ব্যবহার করছিল। ওসি কামরুল ইসলাম আরও বলেন, আজ সকালে সেপটিক ট্যাংকের সামনে গিয়ে একটি কুকুর ঘেউ ঘেউ করতে থাকে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা এসে ট্যাংকের স্ল্যাবের মুখ খুললে রবিনের মরদেহ দেখতে পান।   আরটিভি/এমকে/এস