• ঢাকা শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১
logo
বই উৎসবের ব্যানারে শেখ হাসিনার ছবি, এলাকায় তোলপাড়
ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহী কিশোরের
নোয়াখালীর চাটখিলে গরুবোঝাই ট্রাকচাপায় রাহুল নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চাটখিল বাজারের জাহাঙ্গীর টাওয়ার সংলগ্ন ঢাকা-রামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।   নিহত জিহারুল ইসলাম রাহুল (১৭) উপজেলার দক্ষিণ দশগরিয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম খোকনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন।   পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হালিমা দীঘির পাড় থেকে রাহুল তার চাচাতো ভাই আকাশের মোটরসাইকেলে চাটখিল বাজারের দিকে যাচ্ছিলো। যাত্রা পথে মোটরসাইলেটি ঢাকা-রামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের জাহাঙ্গীর টাওয়ার সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছলে একটি গরুবোঝাই ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে রাহুল সড়কে ছিটকে পড়লে ট্রাকটি তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।   চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুস সুলতান বলেন, ট্রাকটি থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে চালক পলাতক রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।     আরটিভি/এএএ
খালে মিলল থানা থেকে লুট হওয়া ৬১২ বুলেট
দিনমজুর খুন, নিখোঁজের দুদিন পর মরদেহ মিলল বিলে
নোয়াখালীতে ৪ হাজার কেজি চিনিসহ পিকআপ চালক গ্রেপ্তার
নোয়াখালীতে ৩ শিক্ষককে অব্যাহতি
জেনারেটরের শর্ট সার্কিটে পুড়ল ৮ দোকান
নোয়াখালীর চাটখিলে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ৮টি দোকান। শনিবার (৮ জুন) দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার সাহাপুর বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  এতে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে, ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।   ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের সাহাপুর বাজারের জলিলের জুতা দোকান ও জোটন বাবুর জুয়েলার্স দোকানের পেছন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা এসে আগুন নেভানোর কাজে যুক্ত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে এসে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে তিনটি মুদি, একটি জুয়েলার্স, একটি জুতার দোকানসহ অন্তত আটটি দোকান পুড়ে গেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চাটখিল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার আবুল কালাম। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের একটি দল গিয়ে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে ৮টি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। অগ্নিকাণ্ডের সময় বাজারে বিদ্যুৎ ছিলনা। তখন বৈদ্যুতিক জেনারেটর চালু ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জেনারেটরের শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। তবে এ অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।
চেম্বারে অচেতন করে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর চাটখিলে ফার্মেসিতে অচেতন করে এক কলেজছাত্রীকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগে নূর হোসেন পলাশ (৪২) নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২ জুন) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চাটখিল বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় পলাশের চেম্বার সীলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর আগে, গত ২৬ মে রোববার চাটখিল পৌর বাজারের হাসপাতাল রোডে এই ভুয়া ডাক্তারের নিজস্ব চেম্বারে ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে।   গ্রেপ্তার নুর হোসেন পলাশ (৪৫) উপজেলার চাটখিল পৌরবাজারের রক্তিম রোজ মেডিসিন পার্কের মালিক ও পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোবিন্দপুরের গনি মিয়া সাব বাড়ির খোরশেদের ছেলে। ভুক্তভোগী তরুণী অভিযোগ করে বলেন, গত ২৬ মে কলেজের ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিকেল ৪টার দিকে কিছু মেডিকেল রিপোর্ট দেখার জন্য আমাকে চেম্বারে ডাকেন নুর হোসেন পলাশ। চেম্বারে যাওয়ার পর সে তার মাস্ক খুলে আমার নাকের কাছে কিছু একটা ধরে তাকে অবচেতন করে পাশের রুমে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। বারবার পা ধরে ক্ষমা চেয়েও আমি তার হাত থেকে রক্ষা পাইনি। ধর্ষণ শেষে অভিযুক্ত নুর হোসেন আমাকে ছুরি দেখিয়ে এই ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করেন। তিনি আরও বলেন, শুরুতে ভয়ের কারণে পরিবারের কাছে আমি বিষয়টি গোপন রাখলেও, কয়েক দিন পর চিরকুট লিখে মাকে ঘটনাটি জানায়।   ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমি ছোট একটা চাকরি করে সংসার চালাই। যে আমার এই  এতিম সন্তানকে এভাবে নির্যাতন করছে, আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর মা বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় সোমবার সকালে আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। 
ধান কাটার মেশিনে শিশুর মৃত্যু, চালক গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর চাটখিলে ধান কাটার মেশিনের ধাক্কায় জান্নাতুল ফেরদাউস (৮) নামে এক শিশু মৃত্যুর ঘটনায় চালককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।   গ্রেপ্তার মো. আবু ছিদ্দিক (৪৭) লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানার উত্তর চর মার্টিন গ্রামের মো. সুফির ছেলে। রোববার (২৬ মে) লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার তেমুহনী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  এর আগে গত ২২ এপ্রিল উপজেলার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।   মামলার বরাতে র‍্যাব জানায়, নিহত জান্নাতুল হাটপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। গত ২২ এপ্রিল বিকেলে নিজেদের জমিতে ভিকটিম জান্নাতুল ধান কাটার মেশিনটি দেখতে যায়। একপর্যায়ে ধান কাটার রোলার মেশিনের চালক ছিদ্দিক বেপরোয়া ও তাচ্ছিল্যপূর্ণভাবে ধান কাটার রোলার মেশিন চালিয়ে জান্নাতুলকে পেছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সে ধান কাটার রোলার মেশিনের নিচে চাপা পড়ে ডান কানে, নাকে, চোখে ও কপালে মারাত্মক জখম হয়। তখন ভিকটিমের অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে চালক পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন জান্নাতুল ফেরদাউসকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা হেলাল হোসেন (৪৫) বাদী হয়ে চাটখিল থানায় মামলা করেন।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১১-এর সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ।  তিনি বলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চাটখিল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’ 
সিইসিকে চাটখিলে এসে ভোট প্রত্যক্ষ করার আহ্বান চেয়ারম্যান প্রার্থীর
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে। এ নির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাদের অতি উৎসাহী আচরণ ও ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) সশরীরে চাটখিল এসে ভোটগ্রহণ প্রত্যক্ষ করার আহ্বান জানিয়েছেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জেড এম আজাদ খান। রোববার (১৯ মে) সকালে চাটখিল পৌরসভার নিজ বাসভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সিইসিকে এ আহ্বান জানান তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে জেড এম আজাদ খান জানান, তিনি নির্বাচনী কর্মকাণ্ড শুরু করার পর থেকে তার নির্বাচনী কর্মীদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।  হুমকির বিষয়ে রিটার্নি কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও থানা পুলিশে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি বলে দাবি করেন তিনি। এ প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী (বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান) জাহাঙ্গীর কবিরের পক্ষে থানার ওসি সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন। যা তার কর্মকাণ্ডে প্রতীয়মান হচ্ছে। ওসি তার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। যা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের পরিবেশে বাধা সৃষ্টি করছে।’  তাই অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হকের অপসারণের দাবি জানান আনারস প্রতীকের এ প্রার্থী। এ দিকে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে ওসির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে নির্বাচনের সময় তাকে প্রত্যাহার করা হবে।’
নোয়াখালীতে ধান কাটার মেশিনের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীর চাটখিলে ধান কাটার মেশিনের ধাক্কায় জান্নাতুল ফেরদাউস (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।   সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার হাটপুকুরিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।   নিহত ফেরদাউস একই ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়ির হেলাল হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।   পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলের দিকে ফেরদাউস তাদের বাড়ির সামনে ধান খেতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। ওই সময় অসাবধানতাবশত ধান কাটার রোলার মেশিন পেছনের দিক থেকে তাকে ধাক্কা দেয়। এতে কানে, চোখে, মাথায় গুরুতর আঘাত পায় সে। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। চাটখিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।   তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। নিহত শিশুর পরিবার লিখিত কোনো অভিযোগ না দিলে এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে।  
নোয়াখালীর দুই নাবিকের মুক্তিতে বাড়িতে স্বস্তি
জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের বাংলাদেশি ২৩ নাবিক। নাবিকদের মধ্যে দুজন নোয়াখালীর— কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের নাবিক রাজু (২৭) ও চাটখিল উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের সিংবাহুড়া গ্রামের নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদ (৪৩)। তাদের মুক্তিতে পরিবারে স্বস্তি ফিরেছে। স্বস্তি এলেও বাড়ি না-ফেরা পর্যন্ত উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে পরিবার। জানা গেছে, নাবিক রাজুর বাড়িতে এসে ঈদ করার কথা ছিল। ঈদের পর রাজুর বিয়ে উপলক্ষে নতুন ঘরের কাজও চলছে। দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে রাজু সবার ছোট। গত বছরের নভেম্বরে শেষ দিকে রাজু সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজে ওঠেন। এরপর প্রথম রমজান থেকে ছেলের জিম্মি দশায় পরিবারের সব চিত্র বদলে যায়। ঈদের দুইদিন পর রাজুর মুক্তিতে পরিবারে এখন আনন্দ বিরাজ করছে।     নাবিক রাজুর বাবা মাস্টার আজিজুল হক জানান, দীর্ঘ ৩২ দিন পর ছেলের মুক্তির খবরে আমরা পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরলাম। সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে ২৩ নাবিককে উদ্ধারে পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তাদের ধন্যবাদ।   অপরদিকে স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে চাটখিলে নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদের ছোট পরিবার। তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। ছালেহ গত বছর কর্মস্থলে ঈদ করেছেন। পরিবারের আশা ছিল এবার তাদের সঙ্গে ঈদ করবেন ছালেহ। কিন্তু স্বামী জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার খবরে স্বাভাবিক জীবন এলোমেলো হয়ে যায়। তিন মেয়েকে নিয়ে অনেকটা বাকরুদ্ধ তানিয়া আক্তার স্বামীর মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছেন। ঈদের দুইদিন পরে নাবিক ছালেহ’র মুক্তির খবরে স্বস্তি এসেছে তার মাঝেও। এখন স্বামীর ফিরে আসার প্রহর গুনছেন তিনি। তানিয়া আক্তার বলেন, সরকারের কার্যকর ভূমিকায় জলদস্যুদের জিম্মি দশা থেকে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকের মুক্তিতে আমাদের সবার পরিবারের মাঝে স্বস্তি এসেছে। শঙ্কা কেটে সবার মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। তবে এখনও পরিবারগুলো তাদের স্বজনদের নিয়ে উৎকণ্ঠায় প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসবেন তারা।