• ঢাকা শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১
logo
৪৩ লাখ ‘ফ্যামিলি কার্ড’ বাতিলের প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ
ট্রাক্টর উল্টে প্রাণ গেল চালকের
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মাটিবাহী ট্রাক্টর চাপায় এক কিশোর চালকের মৃত্যু হয়েছে।   শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রয়েল ব্রিক ফিল্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ইসমাইল হোসেন শাহীন (১৬) উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওমান প্রবাসী আবুল হাশেমের ছেলে । পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের রয়েল ব্রিক ফিল্ডে ইট তৈরির জন্য ট্রাক্টর দিয়ে মাটি ফেলার সময় উঁচু মাটির স্তূপ থেকে ট্রাক্টরটি উল্টে যায়। এতে ট্রাক্টরের নিচে পড়ে শাহীন ঘটনাস্থলেই মারা যায়।   কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ তদন্ত ছাড়া দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নেওয়া হয়। আরটিভি/এএএ 
১১ বছর পর শিবিরকর্মীর লাশ উত্তোলন
হত্যা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার আসামি নোয়াখালীর ইউপি চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেপ্তার
কোম্পানীগঞ্জে ট্রাকের চাপায় শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীতে অগ্নিকাণ্ডে ৮ দোকান পুড়ে ছাই
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ৮টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। রোববার (১৭ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের কদমতলা বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৩৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।  ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাজারের ব্যবসায়ীরা যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন শেষ রাতের আগুনে সব নিঃশেষ হয়ে গেছে। আগুন লাগার পরই আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দুটি হার্ডওয়্যার, দুটি ফার্মেসি, একটি মুরগির দোকান ও একটি স্টেশনারি দোকানসহ ৮টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ জামিল মিয়া জানান, প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এর আগেই ৮টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। ধরণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়নি বলেও জানান তিনি। আরটিভি/এএএ/এআর
খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে খাল দখল করে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে এক যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।   বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে ফেনীতে তার মৃত্যু হয়। এর আগে, একই দিন বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গুচ্ছ গ্রাম এ ঘটনা ঘটে।  নিহত যুবদল নেতার নাম মো. ইউনুস আলী ওরফে এরশাদ (৪০)। তিনি চরফকিরা ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন এবং একই ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। এরশাদ উপজেলার দিয়ারাবালুয়া গুচ্ছ গ্রামের রইছুল হকের ছেলে। তিনি পেশায় একজন নৌকার মাঝি ছিলেন। নিহতের ভগ্নিপতি মো. জয়নাল আবেদীন আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, গত ৬-৭ মাস আগে মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী (পলাতক) আমার থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুছাপুর ক্লোজারের পশ্চিমের দা খালটি ইজারা দেয়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর খালটি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতা। গত বুধবার বিকেলে মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ও বিএনপি নেতা বাবরের নির্দেশে স্থানীয় সমীর খাঁন, জাবেদ, ওবায়দুল্যাহ খানসহ ১০-১৫ জন দায়ের খালে আমাদের মাছ ধরার জালটি কেটে তাদের জাল বসিয়ে দেয়। খাল দখলকারীরা বলে আওয়ামী সরকার এখন নেই তাদের সময়ের দেওয়া ইজারা বাতিল। এই বলে তারা খালটি দখলে নেয়। ভগ্নিপতি জয়নাল আবেদীন আলমগীর অভিযোগ করে আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমিসহ আমাদের পরিবারের আরও চারজন সদস্য আমাদের জাল কেটে খাল দখল করে মাছ ধরার বিষয়টি জিজ্ঞাসা করতে চরফকিরা ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রাম ঘাটে যাই। সেখানে স্থানীয় নেজাম (৪২) তার ছেলে সুজন (২৫) ও তারেক (২৬) এবং তাদের আত্মীয় তারেক (২৬) বাবলু (২৭) রুমনের (২৫ ) সাথে আমাদের বাগবিতণ্ডা বেঁধে যায়। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে নিজাম ডাকাত ও তার লোকজন ইউনুছ আলী এরশাদকে তলপেটে ছুরিকাঘাত করলে তার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। এ ছাড়া আরও চারজনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে গুরুতর আহত এরশাদকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত ৯টার দিকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে ফেনীতে তার মৃত্যু হয়।  এক প্রশ্নের জবাবে আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান ও তার ছোট ভাই উপজেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক মানছুরুল হক বাবরের নির্দেশে এই হামলা ও হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। চরফকিরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম রব্বানী বিপ্লব বলেন, বৃহস্পতিবার গুচ্ছ গ্রামের ঘাট এলাকায় একটি ভিটিতে মাটি ফেলাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে মুছাপুরের খাল দখলের বিষয়টিও জড়িত রয়েছে। নিহতের ছোট ভাই সামছুদ্দিন বলেন, দুই মাস আগে উপজেলার গুচ্ছ গ্রামের সুভাষ নামে এক ব্যক্তির থেকে ১ ডিসমিল জমি তিন বছরের জন্য বন্ধক নেয় আমার বড় ভাই এরশাদ। বৃহস্পতিবার সকালে ওই জায়গার ওপর মাটি ফেলে ভিটি বাঁধার কাজ শুরু করে আমার ভাইয়েরা। তখন সুজন, জাবেদ, জিয়া খাঁন, সমীর খাঁন মেঘনা নদী হয়ে গুচ্ছ গ্রাম ঘাট দিয়ে সেখানে আক্রমণ চালায়। এতে আমার চার ভাই আহত হয়। বড় ভাইকে তলপেটে ছুরিকাঘাত করে। এ ছাড়া গত বুধবার বিকেলে বিএনপি নেতা শাহজাহান ও তার ভাই বাবরের নির্দেশে মুছাপুরের দায়ের খাল দখল করে আমাদের মাছ ধরার জাল কেটে হামলাকারীরা দখল করে।   নিহতের স্বজনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে আমিও আমার ছোট ভাই বাবর কোনো ভাবেই জড়িত নেই। এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। কোন নেতা ষড়যন্ত্র করে আমাদের নাম বলাচ্ছে।  এ বিষয়ে জানতে বাবরের মুঠোফোনে কল করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।           আরটিভি/এএএ
বিএনপি নেতা তোতাকে হত্যা, ২ মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি আসামি 
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা মাস্টার, চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসেন মেম্বার, নিহতের ছেলে চরএলাহী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ইসমাইল তোতা ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সবুজ তোতা প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, তোতা চেয়ারম্যান দুঃসময়ে ওতোপ্রোতভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেন। তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার ৬৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও কোনো আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ভুক্তভোগী পরিবারে হতাশা দেখা দিয়েছে। উল্টো ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাকের অর্থায়নে নিহত বিএনপি নেতা তোতার পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা ধর্ষণ মামলাসহ ৮টি মামলায় জড়ানো হয়। ফ্যাসিবাদের দোসর রাজ্জাক চেয়রম্যানসহ তার সহচররা প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফ্যাসিবাদ শক্তির ইশারায় অদৃশ্য কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।   কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের এক মাস পরে আমি এই থানায় যোগদান করি। আসামিরা কেউ এলাকায় নেই। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’     উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে চরএলাহী বাজারে চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, বর্তমান ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মেম্বার, চরএলাহী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ও চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের যোগসাজশে একদল অস্ত্রধারী বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করে। চার দিন পর গত ৩০ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।   আরটিভি/এমকে
২১ মামলার আসামি কাদের মির্জার সহচর পিচ্চি মাসুদ গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতিসহ ২১ মামলার পলাতক আসামি আনোয়ার হোসেন ওরফে পিচ্চি মাসুদকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।  এর আগে, রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন থেকে একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।     গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ ওই ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের তবারক আলী ভূঞা বাড়ির আবুল খায়েরের ছেলে এবং বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি ডাকাতি, একটি খুনসহ ডাকাতি, তিনটি মাদক, একটি পুলিশ আক্রান্ত ও দুটি অন্যান্যসহ মোট ২১টি মামলা রয়েছে।   জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জে কাদের মির্জার হেলমেট বাহিনীর অন্যতম সদস্য ছিল পিচ্চি মাসুদ প্রকাশ্যে কোমরে পিস্তল নিয়ে চলত। কাদের মির্জার প্রশ্রয়ে মাসুদ এলাকায় খুন, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। জনশ্রুতি রয়েছে, কাদের মির্জা তার থেকে ডাকাতির টাকার ভাগ পেতেন। ২০২১ সালে পিচ্চি মাসুদ অস্ত্র হাতে গুলি করার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিল। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।   তিনি বলেন, পিচ্চি মাসুদকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে ২১ মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।     আরটিভি/এমকে-টি
বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মো. সবুজ (১৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।  শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলের দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।   নিহত মো. সবুজ ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদ মেম্বারের বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবুজ তার ফুফার মুদি দোকানে চাকরি করতেন। বিকেল ৪টার দিকে ফুফার মুদি দোকানের টিনের ওপর থাকা গাছের ডাল কাটার সময় বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে যায়। এক পর্যায়ে ছেঁড়া তার তার মাথার ডান পাশে এসে পড়ে। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।  কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফজল আজিম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরটিভি/এএএ 
ছোট ফেনী নদীতে নৌকা উল্টে নরসুন্দর নিখোঁজ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ক্লোজার ঘাটে নদীর পাড় থেকে গাছ উপড়ে পড়ে নৌকাডুবে এক নরসুন্দর নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ সজিব জলদাস (২৩) উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ জেলে বাড়ির জনার্দন জলদাসের ছেলে। তিনি পেশায় নুরসুন্দর ও কন্যাসন্তানের বাবা ছিলেন।     শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার মুছারপুর ইউনিয়নের মুছাপুর ক্লোজার এলাকার ছোট ফেনী নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।     এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ জামিল মিয়া। মো. আমির হোসেন জাহিদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, কিছু দিন আগে বন্যার পানিতে মুছাপুর স্লুইসগেট রেগুলেটর তলিয়ে যায়। এরপর থেকে মুছাপুর ইউনিয়নের ছোট ফেনী নদী-সংলগ্ন মুছাপুর ক্লোজার এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। শুক্রবার দুপুরের দিকে সজিব তার বাবার সঙ্গে উপজেলার ছোট ফেনী নদীর উড়িরচর এলাকায় মাছ ধরতে যান। মাছ ধরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাবার সঙ্গে নৌকায় করে মুছাপুর ক্লোজার ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। যাত্রাপথে তারা মুছাপুর ক্লোজার ঘাট-সংলগ্ন এলাকার ছোট ফেনী নদীর পাড়ের কাছাকাছি পৌঁছালে  দুটি ঝাউগাছ উপড়ে তাদের নৌকার ওপর পড়ে। এতে নৌকা ডুবে সজিব নিখাঁজ হয়ে যায়। পরে তার বাবা পাড়ে উঠে এসে বিষয়টি সবাইকে জানান। স্থানীয়রা তাকে নদীতে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তবে ঘটনার ৩ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও তাকে পাওয়া পায়নি। কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ জামিল মিয়া বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি। এখনও নিখোঁজ যুবকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। শনিবার সকালে চট্রগ্রাম থেকে একদল ডুবুরি দল আসার কথা রয়েছে।   আরটিভি/এমকে/এসএ