• ঢাকা শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১
logo
হাতিয়ায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত 
সরকারি জায়গায় যুবদল নেতার হোটেল নির্মাণের অভিযোগ
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ফাহাদুল ইসলাম পাভেল নামে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে বন বিভাগের গাছ কেটে সরকারি জায়গায় হোটেল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে বাঁধা দেওয়ায় বন প্রহরীকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পেটানোর হুমকি দেয় ওই যুবদল নেতা।   বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়ার সাগরিয়া রেঞ্জের রহমত বাজার ক্যাম্পের ভুক্তভোগী বন প্রহরী মো. মাহমুদুল হাসান। এর আগে, গত শনিবার ১১ জানুয়ারি অভিযুক্ত যুবদল নেতা তার দোকানে ডেকে নিয়ে ওই বন প্রহরীকে হুমকি দেয়। অভিযুক্ত যুবদল নেতা ফাহাদুল ইসলাম পাভেল উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। জুলাই বিপ্লবের পর হঠাৎ নেতা বনে যাওয়া এই পাভেল এলাকায় যেন ‘ধরাকে সরা জ্ঞান’ করছে। তার এমন কর্মকাণ্ডে চরম বিব্রত স্থানীয় বিএনপির নেতারা। বন প্রহরী মো. মাহমুদুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, গত ৪ জানুয়ারি পাভেল নামের এই যুবদল নেতা দিনেদুপুরে নোয়াখালী উপকূলীয় বনবিভাগের চর আলিমবিট সাগরিয়া রেঞ্জের ১৪ থেকে ১৫টি গাওয়া গাছ কেটে নিয়ে উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের রহমত বাজার সংলগ্ন গোলতলা পর্যটন স্পটে হোটেল নির্মাণ করে। ক্যাম্পে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় আমি তার বিরুদ্ধে কোনো কিছু বলতে পারছিলাম না। তাই বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করার কারণে যুবদল নেতা পাভেল আমাকে তার বুড়িরচর ইউনিয়নের রহমত বাজার ফার্মেসিতে ডেকে নেয়। একপর্যায়ে আমাকে বলে আমি যদি সরকারি চাকরি করতে চাই তাহলে যেন তার বিষয়ে চুপ থাকি। নাহলে সে চুপ থাকলে, আমাকে শেল্টার না দিলে লোকজন আমাকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পেটাবে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা ফাহাদুল ইসলাম পাভেল অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আমি কোনো গাছ কাটেনি এবং কোনো হোটেলও দেয়নি। বন প্রহরী হাসান যদি সরেজমিনে এসে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় তাহলে আপনারা যে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন। তবে সরেজমিনে গিয়ে রিপোর্ট করার দাবি করেন তিনি।   উপকূলীয় বনবিভাগের সাগরিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রণব কুমার বলেন, অভিযোগের বিষয়ে অবগত হওয়ার পরই ৮-৯টি গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও কয়েকটি গাছ ওই যুবদল নেতার নির্মিত ঘরে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আরটিভি/এএএ     
‘সংস্কারের নামে দেশে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে’
হাতিয়ায় সংরক্ষিত বনের গাছ কাটতে গিয়ে আটক ২
নোয়াখালীতে মিছিলে যুবদল নেতার মৃত্যু
ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
হাতিয়ায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট
হাতিয়া পৌরসভায় দিনে-দুপুরে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাত দল ওই বাড়ির শাহাদাত মোল্লার ঘর থেকে সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৬৫ হাজার টাকা মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। সোমবার (৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে হাতিয়ার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড চরকৈলাশ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  ক্ষতিগ্রস্ত শাহাদাত মোল্লা জানান, প্রতিদিনের মতো সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রাইমারি শিক্ষিকা স্ত্রীকে স্কুলে পৌঁছে দিতে নিয়ে বের হয়ে যান তিনি। এ সময় ঘরে তার শালার ১০ বছর বয়সী মেয়ে সামিয়া একা ছিলো।  প্রত্যক্ষদর্শী সামিয়া বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘরের সামনের দরজা দিয়ে ৮জন মানুষ ভেতরে প্রবেশ করে। তাদের সবার মুখ বাঁধা ছিলো। এ সময় ডাকাতরা তাকে চুপ থাকার জন্য বলে এবং চিৎকার করলে মেরে ফেলবে বলে ধমক দেয়। পরে তাদের মধ্যে কয়েকজন ঘরের আলমারি ভেঙে এবং সকল জিনিসপত্র তছনছ করে স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে চলে যায়। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’  আরটিভি/এমকে
হাতিয়ায় আলোর মশালের শীতবস্ত্র বিতরণ
দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর মশাল। শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার সোনাদিয়া চৌরাস্তা মাহমুদুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্ধশতাধিক মানুষের মাঝে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।   শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক হাতিয়ার কথার সম্পাদক মুহাম্মদ কেফায়েতুল্লাহ। প্রধান আলোচক সমাজকর্মী জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আজকের পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল মাসুম, সাংবাদিক আমির হামজা, জিল্লুর রহমান রাসেল, ছায়েদ আহামেদ, মাস্টার আবুল কাশেম, সোনাদিয়া চৌরাস্তা বাজার কমিটির সভাপতি মাহমুদ আব্বাস জনি, আলোর মশালের সাবেক সভাপতি গিয়াসউদ্দিন সোহেল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহসভাপতি আরিয়ান ফরিদ। সংগঠনের সদস্যরা জানান, আলোর মশাল ২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে তরুণেরা সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি আগামী দিনেও মানবিক কার্যক্রম গুলো অব্যাহত রাখবে।  আলোর মশালের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম, প্রচার সম্পাদক মিসকাত মামুন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আহাদর রহমান, সদস্য আরমান আলী, ইলিয়াস উদ্দিন বাবলু, রবেন উদ্দিন, রাজীব উদ্দিন, আজগর হোসেন স্বপন, মামুন হাওলাদার, সোহাগ উদ্দিন প্রমুখ। আরটিভি/এএএ 
হাতিয়ায় নদীর তীরে দাঁড়িয়ে ভাঙন রক্ষায় মানববন্ধন
নোয়াখালী হাতিয়ায় নিজেদের বাসস্থান রক্ষায় নদীর তীরে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।  শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার চরকিং চরবগুলা গ্রামে মেঘনা পাড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পল্লীচিকিৎসক মো. হালিম, প্রধান শিক্ষক আবুল বাসার, আবদুল রকিব, মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, ছাত্র প্রতিনিধি মো. সম্পদসহ ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার নারী-পুরুষ। মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে নদীর তীরে মানুষের জমায়েত হয়েছে। নদীভাঙন রোধের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান লিখে প্ল্যাকার্ড নিয়ে উপস্থিত ছিলেন চরবগুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। ছিলেন চরবগুলা গ্রামের বিভিন্ন কলেজ মাদরাসায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ব্যবসায়ী, কৃষক, জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চরবগুলা গ্রামটি নদীভাঙনে কবলে পড়ে অনেক ছোট হয়ে গেছে। গ্রামের পশ্চিম পাশে অবস্থিত মেঘনা নদী। এই নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে প্রতি বছর ড্রেজিং করতে হয়। ড্রেজিংটা নদীর কূল ঘেঁষে করার কারণে এখানে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা নদীর থেকে নিরাপদ দূরত্ব রেখে ড্রেজিং করার দাবি জানান। এ ছাড়া ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। আরটিভি/এএএ/এস
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননীর অনশন
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন নাসিমা আক্তার অনন্যা (২১) নামে এক সন্তানের জননী। দাবি না মানলে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার হুমকিও দিচ্ছেন তিনি। এদিকে তাকে দেখে পালিয়েছে প্রেমিকের বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজন। এ বিষয়ে অনন্যা থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটানাটি ঘটেছে প্রেমিকের বাড়ি নোয়াখালী হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের গামছাখালী গ্রামে।  জানা যায়, প্রেমিক আতিকুল ইসলাম রাসেল (২৫) একই এলাকার শের আলীর ছেলে। প্রেমিকা নাসিমা আক্তার অনন্যা ভোলা জেলার সদর উপজেলার পৌর কাঠালি এলাকার মৃত আজিজুল ইসলামের মেয়ে।  ঘটনাটি জানাজানির পর এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বোরকা পরিহিত মহিলা ঘরের সামনে বসে আছেন। এলাকার অনেক নারী-পুরুষ তাকে দেখতে এসেছেন। এ সময় প্রেমিক রাসেলদের পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের ঘরে দরজা বন্ধ থাকতে দেখা যায়।   স্থানীয়রা জানান, নাসিমা আক্তার অনন্যা নামের মেয়েটি সকাল থেকে রাসেলদের বাড়িতে অবস্থান করছেন। তাকে বিয়ে করা না হলে সে বিষ পান করে আত্মহত্যা করার হুমকি দিচ্ছেন অনন্যা। এই ঘটনায় ছেলের পরিবারের সবাই পালিয়েছে। এলাকার লোকজন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। ছেলের পরিবার বিষয়টি মেনে নিচ্ছে না। ইতোমধ্যে থানা থেকে পুলিশের লোকজন এসেছে। প্রেমিক অনন্যার সঙ্গে এসেছে তার বোনের জামাই ইসরাফিল। ইসরাফিল বলেন, ‘চার বছর আগে ঢাকাতে গার্মেন্টেসে চাকরির সুবাদে তাদের দুজনের পরিচয় হয়। শুরু হয় মন দেওয়া নেওয়া। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে চাকরিচ্যুত করা হয় প্রেমিক রাসেলকে। কিন্তু এরপরও তাদের যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। ইতোমধ্যে তারা বিভিন্ন জায়গায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ঘোরাফেরা করেন। অনন্যা বিবাহিত সে এক সন্তানের জননী। এক বছর আগে রাসেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এখন রাসেলও তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। এর আগে, রাসেল নিয়মিত অনন্যার ঢাকার বাসায় যাতায়াত করতেন। হঠাৎ যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় অনন্যা ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের বাড়ি চলে এসেছে।’ এ বিষয়ে অনশনে বসা প্রেমিকা অনন্যা বলেন, ‘রাসেলের সঙ্গে তার দীর্ঘ ৪ বছরের সম্পর্ক। এক সন্তানের জননী আমি। সব জেনেই রাসেল আমাকে বিয়ে করবে বলে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে আসছে। রাসেলের দেওয়া বিয়ের আশ্বাসে আমি আমার আগের স্বামীকে ত্যাগ করেছি। এর আগে রাসেল বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন রাসেল আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এজন্য ঠিকানা সংগ্রহ করে আমি রাসেলের বাড়িতে এসে অবস্থান করছি। আমাকে বিয়ে না করলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’ এ বিষয়ে হাতিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘নাসিমা আক্তার অনন্যা নামে এক মেয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। রাসেলের পরিবারের সবাই পালিয়েছে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য ছেলে পক্ষকে খোঁজা হচ্ছে।’  আরটিভি/এমকে
অতিরিক্ত যাত্রীবহন, ২ স্পিডবোট চালককে জরিমানা
নোয়াখালী হাতিয়ায় নলচিরা ঘাটে অভিযান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় অতিরিক্ত যাত্রীবহনের অভিযোগে দুটি স্পিডবোটকে জরিমানা করা হয়। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে হাতিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মং এছেন এর আদালত এই জরিমানা করেন। ঘাটের অনিয়ম রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি টিম ঘাটে যান। এ সময় দুটি স্পিডবোট চেয়ারম্যান ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে নলচিরা ঘাটে পৌঁছালে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে অতিরিক্ত যাত্রীবহন ও অনুমোদন না থাকায় কাজী রাকিবের মালিকানাধীন স্পিডবোটকে ৩ হাজার এবং আবদুর রহমানের স্পিডবোটকে ১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন থেকে নলচিরা-চেয়ারম্যান ঘাট রুটে যাত্রী পারাপার করছে অনেক গুলো স্পিডবোট। প্রশাসনের তদারকি না থাকায় অতিরিক্ত যাত্রীবহন করছে তারা। ইতোমধ্যে নদীর মাঝখানে বিকল হওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ উপজেলা প্রশাসকে জানিয়েছে এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা। এতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা কমিশনার (ভূমি) মং এছেন বলেন, নদী পথে যাত্রী পরিবহনে অনিয়ম ও অসংগতি বিষয়ে আমাদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকবে। অন্যান্য স্পিডবোট মালিকদেরকে বৈধ কাগজপত্র সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট হালনাগাদ করার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।   আরটিভি/এএএ/এআর 
ট্যুরিস্ট পুলিশের দাবিতে নিঝুমদ্বীপে মানববন্ধন
পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দারা।  সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ১ নম্বর ওয়ার্ডের নামার বাজার এলাকার বসুন্ধরা কিল্লার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘নিঝুমদ্বীপের দেশ নোয়াখালী’ বললে দেশ-বিদেশের সবাই-ই চেনে। তাই প্রশান্তির জন্য মানুষজন পরিবার-পরিজন নিয়ে নিঝুমদ্বীপে আসেন। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও নিঝুমদ্বীপ পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। নিঝুমদ্বীপ গুরুত্বপূর্ণ পর্যটক এরিয়া হলেও পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ নেই। তাই নিঝুমদ্বীপে ট্যুরিস্ট পুলিশের দাবি জানাচ্ছি। শাহিন সোহেল রিসোর্টের মালিক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক নিঝুমদ্বীপে আসেন। জায়গা না হলে তারা তাঁবুতে থাকেন। তাদের ভোগান্তি ও নিরাপত্তার জন্য তেমন প্রশাসনিক ব্যবস্থাও নেই। তাই নিঝুমদ্বীপে ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রয়োজন। নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য শাহেদ উদ্দিন শাহেদ বলেন, হাতিয়ায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র আছে, কিন্তু কোথাও ট্যুরিস্ট পুলিশ নেই। আমরা হাতিয়ার সন্তান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদসহ প্রশাসনের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যেন নিঝুমদ্বীপসহ গুরুত্বপূর্ণ  পর্যটন এলাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশ দেওয়া হয়। বিষয়টি যদি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়, তাহলে সবার জন্য ভালো হবে। আমরা চাই ট্যুরিস্টরা যেন ভোগান্তি ছাড়া নিরাপদে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। মানববন্ধনে আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. সোহেল, আরিফুল ইসলাম, এ কে এম রাসেল, মো. ফরহাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/এমকে-টি