• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
হাতিয়ায় পাঁচ শিক্ষককে বিদায় সংবর্ধনা দিলো শিক্ষার্থীরা
হাতিয়ায় পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধন
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় পাবলিক লাইব্রেরির উদ্বোধন করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় পাবলিক লাইব্রেরিটি উদ্বোধন করেন ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ।  উপজেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত দ্বিতল বিশিষ্ট হাতিয়া প্রেসক্লাব ভবনে লাইব্রেরিটি উদ্বোধন করা হয়।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, বই পড়ে শিক্ষার্থীরা অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমান সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। একসময় এ হাতিয়ায় শিক্ষার গুণগত মানসহ শিক্ষার হার ছিল লক্ষণীয়। কিন্তু ইতোপূর্বে হাতিয়ায় পরীক্ষার হল সমূহে নকল সরবরাহ সহ নানান অনিয়মের ফলে শিক্ষার হার ও মান অধঃপতনের দিকে ধাবিত হয়েছে। নকলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় দ্বীপ সরকারি কলেজের এক শিক্ষককে গতবছর পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, লাইব্রেরিতে শুধু শিক্ষার্থীরা বই পড়ে মুক্ত জ্ঞানের চর্চা করবে তা নয়, এখানে সকল শ্রেণির মানুষ যাতে বই পড়ে জ্ঞানের বিকাশ ঘটাতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। সকল ধর্ম ও মতাদর্শের বই থাকতে হবে।  এ সময় হাতিয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিক ও জেলা সাংবাদিক সহ সুধী সমাজের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।  আরটিভি/এএএ
হাতিয়ায় আবদুল হান্নান মাসউদ / যে হাত দেশের মাটির দিকে আসবে, সে হাত ভেঙে দেবো
জলোচ্ছ্বাসে বেহাল সড়ক, নিঝুমদ্বীপে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের দুর্ভোগ
হাতিয়ায় পোড়ানো হলো ৩ লাখ টাকার অবৈধ জাল
হাতিয়ায় ২ ইটভাটা বন্ধ করে দিলো পরিবেশ অধিদপ্তর
দিল্লির দালালরা সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে: আবদুল হান্নান মাসউদ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, যারা ভারতে বাবরি মসজিদ ভেঙে মন্দির তৈরি করে তারা আমাদের সাম্প্রদায়িকতা শেখাচ্ছে। ভারতের দাদা বাবুরা, দিল্লির দালালরা সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে। তারা বাংলাদেশকে করায়ত্ত করার চেষ্টা করছে। তারা এতদিন শেখ হাসিনার মতো দাসকে বাংলাদেশে বসিয়ে বাংলাদেশ শোষণ করেছে।  মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের ভূমিহীন বাজারে স্থানীয়দের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ঐক্য ও সংহতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ভারত আমাদের সাম্প্রদায়িকতা শিখাতে আসে অথচ তারা গুজরাটের বাবরি মসজিদ ভেঙে মন্দির তৈরি  করেছে। ভবিষ্যতে কেউ যদি এদেশের মাটির দিকে হাত বাড়ায় তাহলে তাদের দেশের মাটিও নিরাপদ থাকবে না। তিনি বলেন, স্বৈরাচারের দোসররা বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের মানুষ নতুন করে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। যতদিন তারা ঐক্যবদ্ধ থাকবে ততদিন শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। এ সময় স্থানীয় লোকজন হাতিয়ার নদীভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানান। পরে এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে হান্নান মাসউদকে অবগত করেন এবং মাসউদ তাদের কথা শুনে সেগুলো সমাধানের আশ্বাস দেন। এ সময় যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম কে বেলালের সভাপতিত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  আরটিভি/এএএ/এস
মেঘনায় নৌকাডুবি, ২ জেলের মরদেহ উদ্ধার
নোয়াখালী হাতিয়ার মেঘনা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় ২ জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে আরও দুইজন।  শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৪টার দিকে হাতিয়ার বুড়ির দোনা ঘাটের দক্ষিণে মেঘনা নদীতে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।  নিহত আব্দুল হাসেম (৫০) বুড়িরচর ৯নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল আলীর ছেলে ও মো. জুয়েল (২৭) একই এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে। তারা সম্পর্কে আপন মামা-ভাগিনা। স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে ২৪ জন জেলে নিয়ে হাতিয়ার বুড়ির দোনা ঘাটের দক্ষিণে মেঘনা নদীতে বেহুন্দী জাল বসানোর জন্য যায় রবিয়ল মাঝির নৌকাটি। শুক্রবার ভোরে ডুবো চরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাদের নৌকাটি উল্টে যায়। ২০ জন সাতরিয়ে কূলে উঠলেও ৪ জন উঠতে পারেনি। পরে স্থানীয়রা গিয়ে নৌকার ভিতরে থাকা ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। দেলোয়ার ও ইরান নামে অন্য দুজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে । এই ঘটনায় নিহত জেলেদের গ্রামের বাড়ি বুড়ির চরের কালির চরে শোকের মাতম চলছে।  এ বিষয়ে নলচিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ টিটু কুমার নাথ জানান, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা মৃত জেলেদের পরিবারে সঙ্গে কথা বলেছি। লাশ দাফনের প্রক্রিয়া চলছে। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের আমরা চেষ্টা করছি। আরটিভি/এএএ/এস 
হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে দেখা মিলল বিশালাকৃতির তিমি মাছ
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ডুবোচরে আটকেপড়া অবস্থায় দেখা মিলেছে বিশাল আকৃতির একটি তিমি মাছের। পরে কোস্টগার্ড গিয়ে মাছটি নিরাপদে নদীর গভীর পানিতে ছেড়ে দেয়। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার চর আতাউরের কাছে ডুবোচরে দেখা মেলে এই মাছের। হাতিয়া কোস্টগার্ড জানায়, সকালে জেলেদের কাছে সংবাদ পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। এ সময় চরে তিমি মাছটি কাদার সঙ্গে আটকে থাকতে দেখেন। পরে জেলেদের সহযোগিতায় মাছটিকে টেনে পানিতে নামিয়ে দেন। জেলেরা সকালে চরে হাঁটার সময় মাছটি দেখতে পান। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে জোয়ারে এটি এখানে এসে আটকে পড়েছে। হাতিয়া কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার মো. খালিছুর রহমান জানান, মাছটি প্রায় ৫০ মনের মতো ওজন হবে। মনে হয় দলছুট হয়ে ছোট নদীতে চলে এসেছে। বারবার নদীতে নামিয়ে দেওয়ার পরও এটি পুনরায় তীরে উঠে যায়। পরে গভীর পানিতে নামিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে তিমি মাছটি দেখতে সাধারণ মানুষের ভিড় জমে নদীর তীরে। অনেককে পানিতে নেমে হাত দিয়ে স্পর্শ করতে দেখা গেছে। অনেককে মাছের সঙ্গে ছবি তুলতেও দেখা যায়। আরটিভি/এমএ
হাতিয়ায় ইসলামী আন্দোলনের গণ জমায়েত
উগ্রবাদী সংগঠন ইসকন বন্ধের দাবিতে গণ জমায়েত করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।  বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সংগঠনের হরনী ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে পরিষদ মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  এতে প্রধান অতিথি হিসাবে ইসলামী আন্দোলন হাতিয়া উত্তর শাখার সভাপতি আবু যর গিফারী সুমন। বক্তব্য রাখেন উত্তর শাখার সহসভাপতি হাজী হারুনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ওমর ফারুখ, ইসলামী যুব আন্দোলন সভাপতি গোলাম মাওলা, সাধারণ সম্পাদক এম আসাদুল্লাহ গালিব, হাফেজ মইনুল ইসলঅম মো. ইয়াসিন আরাফাত। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবু যর গিফারী সুমন বলেন, ইসকন একটি উগ্রবাদী সংগঠন। ইতোমধ্যে এই সংগঠনের কর্মকাণ্ড সারা বিশ্বে সমালোচিত হয়েছে। আমরা এই সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।  তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর সারা দেশ স্বাধীন হলেও হাতিয়ার হরণী ইউনিয়ন স্বাধীন হয়নি। এই ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে সন্ত্রাসী গ্রুপ রাজত্ব করছে। তারা আওয়ামী লীগ আমলে আওয়ামী লীগের, এখন তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের সমর্থন নিয়ে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।  ইতোমধ্যে তারা অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করেছে। মাছ ঘাটও দখল থেকে বাদ যায়নি। এক সময় এই ইউনিয়নরে টাংকি বাজার ও মাইন উদ্দিন বাজারে দুটি পুলিশ ফাঁড়ি ছিল। এখন এই দুটি পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম বন্ধ। এতে সন্ত্রাসীরা সহজে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এই দুটি পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম চালু করার দাবি জানাচ্ছি। এদিকে গণ জমায়েতকে কেন্দ্র করে হরণী ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে বিশাল প্যান্ডেল তৈরি করা হয়। ইউনিয়নরে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দুপুরের পর পরই লোকজন এসে উপস্থিত হন। আরটিভি/এএএ 
হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়ন / নেই প্রশাসনের প্রত্যক্ষ তদারকি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি
চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে করা হয় হামলা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে করা হয় জখম। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা শেষে মামলা করেন ভুক্তভোগী। এবার মামলা করার দায়ে করা হয় এলাকাছাড়া। অপহরণ করে জিম্মি করে রাখা হয় বাদীকে। দীর্ঘ একমাস এলাকার বাহিরে অবস্থান করতে হচ্ছে পুরো পরিবারকে। সহযোগিতা চেয়েও নদীর ওপারে হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা পাননি তিনি। এটি নোয়াখালী হাতিয়ার ২নং চানন্দী ইউনিয়নের বালু ব্যবসায়ী ফরহাদ উদ্দিনের বক্তব্য। সম্প্রতি ফরহাদ উদ্দিনের (৫০) সঙ্গে দেখা হয় চানন্দী ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে দরবেশ বাজারে। সাংবাদিকদের দেখে নিজের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কাঁদতে কাঁদতে সঙ্গে থাকা আহত ছেলের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্নগুলো দেখান। এ সময় এলাকার অনেকে ফরহাদের পক্ষে সমবেদনা জানাতে দেখা যায়। ফরহাদের বাড়ি চানন্দী ইউনিয়নের করিম বাজারের পাশে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে এখনো বাড়ি যেতে পারছে না।  ফরহাদ জানান, অনেকদিন থেকে বালুর ব্যবসা করে আসছেন তিনি। হাসিনা সরকার পতনের পর বহিরাগত ও স্থানীয় মিলে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সন্ত্রাসীরা করিম বাজার এসে সাউন্ড-বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সব অন্ধকার করে ফেলে।  এ সময় বাজারের একটি দোকানে থাকা তার ছেলে ও নুরউদ্দিন (২৫) নামে এক প্রতিবেশীকে পিঠিয়ে আহত করে। সন্ত্রাসীরা তার ছেলের মাথায় কুপিয়ে আহত করে। প্রতিবেশী নুরউদ্দিন বাচাতে এলে তাকে পিঠিয়ে ডান হাত ভেঙে দেয়। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। একমাস পর এসে ৫ নভেম্বর ৮ জনকে আসামি করে হাতিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানাকে আদেশ দেন। কিন্তু একমাস পার হয়ে গেলেও পুলিশ কোনো আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ফরহাদ আরও জানান, এদিকে মামলা করার পর সন্ত্রাসীরা তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। কিছুদিন আগে সন্ত্রাসীরা তাকে বাজারে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে থানারহাট বাজার পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। চানন্দী ইউনিয়নটি হাতিয়া উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। এখানে কোন ঘটনা হলে মামলা করতে নদী পাড়ি দিয়ে হাতিয়া উপজেলা সদরে যেতে হয়। ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে থানার হাট এলাকায় একটি পুলিশ ফাঁড়ি আছে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর এলাকায় পুলিশ সদস্যদের তেমন একটা কার্যক্রম নেই। স্থানীয়রা জানান, শুধু ফরহাদ উদ্দিনের সঙ্গে নয় পুরো ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি না থাকায় সন্ত্রাসীরা এসব কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। ৫ আগস্টের পর দেশের পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে একটি গ্রুপ পুরো চরের নিয়ন্ত্রণ করছেন। এদের অনেকের বাড়ী পার্শ্ববর্তী সূবর্ণচর উপজেলায়। তারা প্রতিদিন সন্ধ্যার পর করিম বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সাউন্ড বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। বেশকয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে তারা এলাকায় মোহড়া দেন। তাদের ভয়ে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে থাকে।  ৫ আগস্টের পর সারা দেশে আইন শৃঙ্খলা চরম অবনতি হলে সরকার সেনা ও নৌবাহিনীকে মাঠে নামায়। দেওয়া হয় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা। আর হাতিয়া উপজেলার জন্য দেওয়া হয় নৌবাহিনী, এই বাহিনীর ক্যাম্পটি স্থাপন করা হয় হাতিয়ার মূল ভূখণ্ডে উপজেলা সদরে। এতে হাতিয়ার মূল ভূখণ্ডের ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় নৌবাহিনীর তদারকিতে নিয়ন্ত্রণে আসলেও অরক্ষিত থেকে যায় চানন্দী ও হরনী ইউনিয়ন।  চানন্দী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নাসিরপুর গ্রামে বসবাস করেন কৃষক নবির উদ্দিন। নবীর জানান, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে ৮ জনের সংসার। গত মাসের প্রথম দিকে একদল সন্ত্রাসী তার বাড়িতে হামলা করে। এতে প্রাণ ভয়ে নবির ও দুই ছেলে পালিয়ে যায়। পরে সন্ত্রাসীরা তাদের খোঁয়াড়ে থাকা দুইটি গরু নিয়ে যায়। এদিগে বাড়ির বাহিরে অবস্থান করা ছেলেরা উপার্জনের জন্য মাছধরা ট্রলারে চুক্তিভিত্তিক কাজ নেয়। কিছুদিন পর নবিরের বড় ছেলে এক-সন্তানের জনক বজ্রপাতে মাছধরা ট্রলারে নিহত হন।  নবীর আরও জানান, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেকের বাড়ি সূবর্ণচর উপজেলায়। রকি, মাসুদ কেরানি, ফারুক ডাক্তার সহ অনেকে আছেন যাদের বাড়ি হাতিয়ার সীমানা এলাকায়।  বেলাল উদ্দিন চানন্দী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক প্রশাসনিক মেম্বার। ২০০৮ সালে ইউনিয়ন ঘোষণার পর দীর্ঘ ১৬ বছরের প্রশাসনিক মেম্বার ছিলেন তিনি। আলাপ কালে বেলাল জানান, পুরো ইউনিয়নে নৈরাজ্য চলছে। প্রশাসনিক কার্যক্রম একেবারেই অনুপস্থিত। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতির সুযোগে ওঁত পেতে থাকা সীমান্ত এলাকার সন্ত্রাসীরা পুরো এলাকায় রাজত্ব করছে। কেউ কেউ বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে এসব অপকর্ম করছে। এখানে বিএনপির শক্ত কোনো সাংগঠনিক কাঠামো নেই। এই সুযোগে যে যার মত করে বিশৃঙ্খলভাবে কার্যক্রম করছে। সারা দেশে নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনী আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। অথচ এই ইউনিয়নে ৫ আগস্টের পর থেকে আজ পর্যন্ত এই বাহিনীর কোন সদস্য বা টিম আসেনি। অনেকে হাতিয়া উপজেলা সদরে গিয়ে নৌবাহিনীর ক্যাম্পে আইনগত সহায়তার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু নদী পাড়ি দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে বাহিনীর কেউ এলাকায় আসেনি।    চানন্দী ইউনিয়ন পূর্ব শাখার সভাপতি মাহবুবের রহমান জানান, দলের মধ্যে কিছু অনুপ্রবেশকারী যোগ দিয়ে এসব অপকর্ম করছে। এছাড়া চানন্দী ইউনিয়নটি বিশাল বড় এরিয়া। এর একপাশে সূবর্ণচর উপজেলা। সেখান থেকেও সন্ত্রাসীরা এসে অপকর্ম করছে।  এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক খোকন বলেন, চানন্দী ইউনিয়নসহ হাতিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা কাজ করছি। চানন্দীতে বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী অনিয়ম করে আসছে। এই বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের আগেও সতর্ক করা হয়েছে। কেউ যেন দলের নাম ভাঙিয়ে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি।  হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, হরনী ও চানন্দী নামে দুটি ইউনিয়ন নদীর ওপারে। মূল ভূখণ্ড থেকে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। আমাদের যানবাহন ও জনবল সংকট রয়েছে। ৫ আগস্টের পর পুলিশ প্রশাসন একটু ঝিমিয়ে কাজ করছে। এই সুযোগে অন্য উপজেলার কিছু লোক এসে এখানে অপকর্ম করছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আরটিভি/এএএ
হাতিয়ায় মাছ ঘাটের উদ্বোধন
নোয়াখালী হাতিয়ায় বৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সূর্যমুখী ঘাট এলাকায় মৎস্যজীবী ও জেলেদের সার্বিক যোগাযোগ ও ব্যবসায়িক সুবিধার্থে বড় পরিসর নিয়ে প্রকৌশলী ফজলুল আজিম মাছ ঘাটের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে প্রকৌশলী ফজলুল আজিম মাছ ঘাট সমিতির সভাপতি আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাতিয়া পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী আবদুর রহিম। সূর্যমুখী দ. বাজার ফজুলল আজিম মৎস্য ঘাট সমিতির প্রায় ৪০ জন সদস্যদের উদ্যোগে দুই একর জমির ওপর এ মাছ ঘাট বিশেষ দোয়া মাহফিলের পর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথিসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিপ উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিনসহ হাতিয়া পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক  নিজাম উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল উল্যাহ রাসেলসহ দলীয় নেতাকর্মী ব্যবসায়ী ও এলাকার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।   আরটিভি/এএএ