• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
৭ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পেটালেন ছাত্রদল নেতা  
কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দে মিলল মরদেহ
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক থেকে অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চুলডগি এলাকার জামালের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।   নিহত মো. রবিন হোসেন (১৬) একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাজহরিতালুক গ্রামের মাকু মিয়া সওদাগর বাড়ির মো. ইউনূসের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিন পেশায় একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন। তিনি তার সৎ মা রুনা আক্তারের সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করতেন। নভেম্বর মাসে তার বাবা ঢাকা যাওয়ার সময় নিজের অটোরিকশা ছেলেকে চালাতে দিয়ে যান। গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ডিবি রোড থেকে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হন রবিন। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, ওই দিন সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের জুয়েলসহ (২৬) অজ্ঞাত কয়েকজনকে স্থানীয়রা রবিনের সঙ্গে মোবাইল নিয়ে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন। এ বিষয়ে জুয়েলকে রবিনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এলোমেলো কথাবার্তা বলেন। পরে জুয়েলকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। নিখোঁজের ৬ দিন পর সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন জামালের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।  সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, গলায় কাপড় পেঁচিয়ে রবিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের সৎ মা ৫ ডিসেম্বর প্রথমে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ ভিকটিমকে না পেয়ে অপহরণ মামলা হিসেবে রুজু করে। এরপরপরই ভিকটিমের মোবাইলের সূত্র ধরে দুজনকে আটক করা হয়। তারা ভিকটিমের মোবাইল ব্যবহার করছিল। ওসি কামরুল ইসলাম আরও বলেন, আজ সকালে সেপটিক ট্যাংকের সামনে গিয়ে একটি কুকুর ঘেউ ঘেউ করতে থাকে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা এসে ট্যাংকের স্ল্যাবের মুখ খুললে রবিনের মরদেহ দেখতে পান।   আরটিভি/এমকে/এস
নোয়াখালীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
চাঁদাবাজদের জায়গা বিএনপিতে হবে না: শাহজাহান
এক শিশুর দায়ের আঘাতে আরেক শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালী জেলা পরিষদের অপসারিত প্যানেল চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
হাসিনার সংবিধানের প্রতি এতো দরদ কেন, প্রশ্ন সমন্বয়ক হান্নানের 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার সংবিধানের প্রতি এতো দরদ কেন, রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর প্রতি এতো দরদ কেন। আসলে ছাত্ররা জীবন দিয়েছে ফ্যাসিবাদকে দূর করার জন্য, কোন অন্যায়কে বরদাস্ত করার জন্য নয়। শনিবার (৯ নভেম্বর) নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ মহাবিদ্যালয় মাঠে ডা. মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশনের ১০ম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনে নোয়াখালীর আহত, নিহত সকল পরিবারের মাঝে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, ২০১৩ সালে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, জনগণের সরকার ক্ষমতায় এলে ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হবে। আমরা বলতে চাচ্ছি, চব্বিশের গণ-বিপ্লবের মধ্য দিয়ে এখনই জনগণের সরকার ক্ষমতায় আছে। এখনই শেখ হাসিনার এই মুজিববাদী, ফ্যাসিবাদী সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। বলেন, ‘আমরা যখন বলি, ফ্যাসিস্ট হাসিনা বারবার সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে এ দেশের মানুষের ভাতের অধিকার, ভোটের অধিকার, কেড়ে নিয়েছেন। এ দেশের মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। সেই সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে চব্বিশের তরুণদের হাত ধরে বিজ্ঞজনদের পরামর্শ নিয়ে নতুন সংবিধান রচনা করা হবে। তখন অনেকে বলেন, ফ্যাসিবাদী সংবিধানের কোনো প্রকার কাটাছেঁড়া করা যাবে না। ফ্যাসিবাদের এই সংবিধান নাকি ছুড়ে ফেলে দেওয়া যাবে না, এতে সংবিধানের অমর্যাদা হয়। আমি বুঝতে পারছি না, ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই সংবিধানের প্রতি এত দয়া, মায়া বা মমত্ব কিসের।’ ফ্যাসিস্টদের প্রতি যারা মায়া ও দরদ দেখাচ্ছে, তারা রাজনৈতিক দলের কাতারে পড়ে না বলে মন্তব্য করেন আবদুল হান্নান মাসুদ। তিনি বলেন, ‘অনেকে বলছেন, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল, তাদের রাজনীতি করার অধিকার দিতে হবে, তাদের ভোটাধিকার দিতে হবে। আওয়ামী লীগ যদি রাজনৈতিক দল হয়, তবে গত ১৬ বছর কেন এ দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার দেয়নি? তারা রাজনৈতিক দল হয়ে থাকলে কেন আমার দুই হাজারের বেশি ভাই-বোনকে হত্যা করেছে? কেন ১৬ বছর ধরে ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে? সন্ত্রাসী এবং রাজনৈতিক দলের মধ্যে পার্থক্য ধরতে না পারলে আমরা বুঝে নেব, আপনারাও রাজনৈতিক দলের কাতারে পড়েন না। সন্ত্রাসীরা আজীবনের জন্য সন্ত্রাসী। কোনো সন্ত্রাসী ভবিষ্যতে এ দেশের মেম্বার, চেয়ারম্যান, এমপি ও মন্ত্রী হতে পারবেন না। সন্ত্রাসী আর রাজনৈতিক দল কখনো এক হতে পারে না।’ আরটিভি/এমকে
আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে টিকটক, যুবদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫
নোয়াখালী সদর উপজেলায় থেকে ৫ অস্ত্রধারীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি পাইপগান, ১টি রামদা, ২টি ছুরি, ৩টি বাটন মোবাইল ও ৪টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার ১৯ নম্বর পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম ওরফে কালন ও তার অনুসারী একই ইউনিয়নের মেহরাজ (৪৬), মো.লিটন (৩২), মো.সাদ্দাম (২৬) আবির মিয়া (১৮)। সোমবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে নোয়াখালী সেনাক্যাম্পের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিফাত আনোয়ার তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, একই দিন ভোরে উপজেলার ১৯ নম্বর পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন থেকে তাদের আটক করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কালন তার কয়েকটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র অনুসারীদের কাছে রাখতে দিয়ে ছিলেন। পরে তার অনুসারীরা ওই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে টিকটক করে অ্যাকাউন্টে ভিডিও পোস্ট দেয়। পরে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ স্থানীয়দের নজরে আসে। ওই সূত্র ধরে যুবদল নেতা কালনের অনুসারী আবির, সাদ্দামসহ কয়েকজনকে যৌথবাহিনী আটক করে। পরবর্তীতে তাদের ভাষ্যমতে যুবদল নেতা কালনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি আবদুর রহিম রিজভী বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি শুনেছি। এর বেশি কিছু আমার জানা নেই। নোয়াখালী সেনাক্যাম্পের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিফাত আনোয়ার আরও জানান, জেলার নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণকারী সন্ত্রাসীসহ সকল অস্ত্রধারীদের আটক, অবৈধ মাদক কারবারি এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী চরমটুয়া এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে অবৈধ অস্ত্রধারী ৫ জনকে আটক করে সুধারাম মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়। আরটিভি/এফআই
ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ২ যুবক আটক
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক নারী ও তার মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হচ্ছে। এর আগে, গত রোববার রাতে উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের দুর্গম চরে এ ঘটনা ঘটে।   আটকরা হলেন—হাসান (৩৬) ও হারুন (৩২)। তারা ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা।  পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী চট্টগ্রামে গাড়ি চালান। উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের এক দুর্গম চরে ওই নারী তার এক ডিভোর্সি মেয়েকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। তার এক দূর সম্পর্কের দেবর প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। এ নিয়ে স্থানীয় রাশেদ, সাইফুল, হাসান, হারুন, রাজু ও ইব্রাহিম তাদের মা-মেয়েকে সন্দেহ করতেন। গত রোববার রাত ১১টার দিকে ৬ যুবক ভুক্তভোগী নারীর বাড়িতে ঢোকেন। একপর্যায়ে তারা ঘরের দরজা খুলে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর তারা ওই নারীর দূর সম্পর্কের দেবরকে (২১) বেঁধে তাকে ও তার মেয়েকে (২০) ঘর থেকে বের করে নিয়ে যান।   ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করে আরও বলেন, যুবকদের মধ্যে তিনজন তাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির পুকুর পাড়ে ও অন্যরা তার মেয়েকে বসত-ঘরের পাশের রান্নাঘরের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে রাত তিনটা পর্যন্ত পালাক্রমে ওই যুবকরা তাদের ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় টাকাপয়সাসহ ঘরের জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়।   কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুইজনকে আটক করে। নির্যাতিত নারী ও তার মেয়েকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।     আরটিভি/এমকে/এআর
কবিরহাটে বৃদ্ধা নারী খুন, গ্রেপ্তার ২
নোয়াখালীর কবিরহাটে বৃদ্ধা ফিরোজা বেগম (৭৫) হত্যাকাণ্ডের তিন মাস পর প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গ্রেপ্তার আনোয়ার হোসেন সুমন (৩৫) কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আবু ছালেমের ছেলে ও সালাউদ্দিন বেলাল (৩৬) একই ইউনিয়নের মৃত আমিনুল হকের ছেলে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ।   এর আগে একই দিন সন্ধ্যায় উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের কাবলীর মোকাম বাজার এলাকা ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।   গত ২৯ জুন শনিবার ভোরে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চায়ের বাড়ির পুকুর পাড় থেকে ফিরোজা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভিকটিম ওই ওয়ার্ডের পঞ্চায়ের বাড়ির মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের স্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফিরোজা বেগম স্বামীর ঘরে একা থাকতেন। প্রতিদিনের ন্যায় ফিরোজা বেগম নিজ শয়ন কক্ষে একা ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে তার বড় ছেলে রফিক উল্যাহ ঘুম থেকে উঠলে মায়ের ঘরের দুটি দরজা খোলা দেখেন। পরে তাকে তার এক ভাগনে জানান, তার মায়ের বসতঘরের সিঁধ কাটা রয়েছে। পরবর্তীতে বসতঘর সংলগ্ন পুকুর পাড়ে ভিকটিমের পা বাঁধা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে ভিকটিমের এক নাতি তার বড় ছেলে রফিক উল্যাহকে বিষয়টি জানান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত বৃদ্ধা সব সময় হাতে দুটি স্বর্ণের বালা, গলায় হার, কানে দুল ও হাতে দুটি স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করতেন। নিহতের স্বজনদের দাবি, কানের একটি দুল কান থেকে নেওয়ার সময় তার কানেও রক্তাক্ত জখম হয়। মরদেহের সঙ্গে বৃদ্ধার ব্যবহৃত কোনো স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়নি। দুর্বৃত্তরা বৃদ্ধাকে হত্যা করে স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। স্বর্ণের লোভেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে সবার ধারণা।       র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে বিষয়টি একটি হত্যাকাণ্ড বলে প্রতীয়মান হয়। ভিকটিমের মেজো ছেলে বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরে র‍্যাব এই ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামি শনাক্তে তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র‍্যাবের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুই সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কবিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।   আরটিভি/এমকে
১০ বছর পর খালাস পেলেন বিএনপি নেতা
‘‌‌স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে ২০১৪ সালে মিথ্যা মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছিল। দীর্ঘ ১০ বছর মামলা টেনেছি। জেলে গিয়েছি। বাড়িঘরে থাকতে পারি নাই। আজ সেই মিথ্যা মামলা থেকে খালাস পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ।’ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালীর জজকোর্টে খালাস পেয়ে সাংবাদিকদের কাছে এভাবেই অনুভূতি জানান নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন। নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. নোমান মঈন উদ্দিন খালাসের রায় দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম ও অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান। আজিম সুমন বলেন, শেখ হাসিনার বক্তব্যে ভিন্ন মতের মানুষের দমন করার নির্দেশ দিয়েছিল। তারপরই স্কুল শিক্ষিকা হত্যা মামলায় আমিসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০০০/২৫০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় আমরা ৫০ জনই আজ খালাস পেলাম। এটা আমাদের স্বাধীনতার প্রতিফলন। যিনি আমাদের পালিয়ে থাকতে বাধ্য করেছিলেন। তিনিই আজ পালিয়ে দেশ ছেড়ে গেছেন। জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ২০ দলের ডাকা দেশব্যাপী হরতাল চলাকালে সকাল ১০টার দিকে হরতাল সমর্থনকারী পিকেটারের ইটের আঘাতে শামসুন্নাহার ঝর্ণা (৩৫) নামে এক স্কুল শিক্ষিকা নিহত হন। শিক্ষিকা নিহতের মামলায় মঞ্জুরুল আজিম সুমনসহ ৫০ জনকে আসামি করা হয়। তৎকালীন নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ গণমাধ্যমকে জানান, পিকেটারদের ইটের আঘাতে মাথা থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শামসুন্নাহারের মৃত্যু হয়। শামসুন্নাহার রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ের তাওহিদ ল্যাবরেটরি স্কুলের সহকারী শিক্ষকা ছিলেন। তার বাড়ি ছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার পোড়াগাছা এলাকায়। নোয়াখালী জেলা কোর্ট ইন্সপেক্টর শাহ আলম গণমাধ্যমকে জানান , ২০১৪ সালের শিক্ষিকা শামসুন্নাহার হত্যা মামলায় ৫০ জন আসামি এজাহারভুক্ত ছিলেন। মহামান্য আদালত ৫০ জনকেই খালাস দিয়েছেন।
নোয়াখালীতে হত্যা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নোয়াখালী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন সুনামকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১।   শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ।  এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তাকে নোয়াখালী পৌরসভার সোনাপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।     র‍্যাব জানায়, আসন্ন দুর্গাপূজা ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় র‍্যাব সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর একটি আভিযানিক দল নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার সোনাপুর এলাকা অভিযান চালায়। অভিযানে সুধারাম থানার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক এজাহারনামীয় ৭নং আসামি সুনামকে গ্রেপ্তার করা হয়।     র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আরটিভি/এমকে/এআর