• ঢাকা শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১
logo
নিখোঁজের ৪২ ঘণ্টা পর কর্ণফুলী নদীতে মিলল ২ পর্যটকের লাশ
নদীতে গোসলে নেমে ২ পর্যটক নিখোঁজ
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়েছে দুই পর্যটক। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নের সীতারঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ দুই পর্যটকের নাম প্রিয়ন্ত দাস (১৬) ও শাওন দত্ত (১৭)। নিখোঁজ শাওন চট্টগ্রামের রেলওয়ে পাবলিক স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র এবং চট্টগ্রামের সদরঘাট নালাপাড়া এলাকার জিদান দত্তের ছেলে। অপর কিশোর শাওনের খালাতো ভাই হলেও তার বাবার পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিখোঁজদের সঙ্গে থাকা বন্ধু সালমান আহমেদ বলেন, আমরা ৯ বন্ধু মিলে রাঙ্গুনিয়া চন্দ্রঘোনা মিশন ঘাট থেকে একটি নৌকায় করে কাপ্তাই ভ্রমণে আসি। এরপর আমরা চারজন কর্ণফুলী নদীর সীতার ঘাট এলাকায় গোসল করতে নামি। পানিতে নামার পর দুজন কূলে উঠে আসে। কিন্তু প্রিয়ন্ত ও শাওন নদীতে তলিয়ে যায়। তবে তারা নদীতে নামার আগে মাদক সেবন করেছিল বলে বলে জানান সালমান। বিকেল ৩টা পর্যন্ত নিখোঁজ দুই পর্যটকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাদের উদ্ধারে কাপ্তাই ফায়ার স্টেশনের সদস্য ও কাপ্তাই থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন। কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাসুদ বলেন, নিখোঁজ দুই পর্যটককে উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। আরটিভি/এএএ/এস 
কাপ্তাইয়ে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
কাপ্তাই হ্রদে সুবলং চ্যানেল জয়ে জলে ৩০ প্রতিযোগী
৫৬ দিন পর দৃশ্যমান রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু
আবারও খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট
১৫ দিন পর বন্ধ হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট
টানা ১৫ দিন পর বন্ধ করা হয়েছে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের স্পিল ওয়ের ১৬টি জলকপাট। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় জলকপাটগুলো বন্ধ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী পানি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের। তিনি বলেন, টানা ১৫ দিন ধরে পানি ছাড়ার পর কাপ্তাই লেকের পানির লেভেল কমতে থাকায় অর্থাৎ বিপৎসীমার নিচে চলে আসায় আমরা সোমবার সকাল ১০টায় জলকপাট বন্ধ করে দিই। তিনি আরও বলেন, গত ২৪ আগস্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত কাপ্তাই লেকের পানি বিপৎসীমার ওপরে চলে যাওয়ায় অর্থাৎ ১০৮ ফুট অতিক্রম করায় পরদিন এগুলো খুলে দেওয়া হয়েছিল। সেইজন্য ভাটি অঞ্চলে জরুরি সর্তকবার্তা দেওয়া হয়। পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্র বলছে, এই বছর কাপ্তাই লেকের পানি এত বেশি বেড়ে গিয়েছিল গত ৩ সেপ্টেম্বর স্পিল ওয়ের ১৬টি জলকপাট দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ ইঞ্চি করে পানি ছাড়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, অতিবর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই লেকের পানি গত ২৪ আগস্ট সন্ধ্যায় বিপৎসীমা অতিক্রম করায় পরদিন সকালে জলকপাটগুলো ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। আরটিভি/এমকে/এসএ
কাপ্তাই বাঁধ / জলকপাট খোলায় সেকেন্ডে ১ লাখ ৩০ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন
টানাবর্ষণ ও উজান থেকে নামা পানিতে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর এখনও চূড়ান্ত বিপৎসীমায় রয়েছে। এ কারণে  বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৫ ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রতি সেকেন্ডে ৯৮ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। এ ছাড়াও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে। সব মিলে প্রতি সেকেন্ডে ১ লাখ ৩০ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে পড়ছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেইট দিয়ে ৫ ফুট করে খুলে দেওয়া হয়। কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুরজ্জাহের জানান, বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে বাঁধের জলকপাট আড়াই ফুট থেকে ধাপে ধাপে ৫ ফুট বাড়ানো হয়েছে। এখন ১৬টি গেইট দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৯৮ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে। সব মিলে এক লাখ ৩০ হাজার কিউসেক পানি প্রতি সেকেন্ডে কর্ণফুলীতে যাচ্ছে। আশাকরি দুই একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।  জানা যায়, পানি ছাড়ার ফলে তীব্র স্রোত ও জোয়ারে করণে বন্ধ রাখা হয় চন্দ্রঘোনা ফেরি চলাচলা। এতে রাঙ্গামাটি-রাজস্থলী ও বান্দরবান সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই সড়কে দুর্ভোগে পড়ছেন স্থানীয়রা। এদিকে, সকালে শহরের শান্তিনগর, রসুলপুর ও রিজার্ভ বাজারসহ আশেপাশের এলাকার সড়ক এবং বাসাবাড়ি থেকে নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি। তবে এখনও অনেক এলাকা ও বাসাবাড়িতে পানি রয়েছে। অনেকে ত্রাণ না পাওয়া নিয়ে করছেন অভিযোগ। আবার কেউ বলছেন, ত্রাণ চাই না, দ্রুত কমিয়ে দেওয়া হোক হ্রদের পানি। পানিবান্দি থাকায় দুর্ভোগে আছেন কয়েক হাজার মানুষ। প্লাবিত এলাকায় দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। রাঙ্গামাটি শহরের রসুলপুরের একজন বলেন, আমার ঘরে রাতে প্রায় এক ফুট পানি ছিল। সকালে বাসা থেকে বের হবার সময় দেখেছি ৩ ইঞ্চির মতো পানি আছে। যদি এভাবে পানি কমতে থাকে আশাকরি আজকের মধ্যে ঘর থেকে পানি নেমে যাবে। লংগদু উপজেলার বগাবচর ইউনিয়নের একজন বাসিন্দা জানান, গত কয়েকদিন দ্রুত পানি বাড়ছিল। তবে গতকাল থেকে পানি বাড়া বন্ধ হলেও অনেক বাসাবাড়ি ও সড়ক এখনও ডুবে আছে। এমন পানি ২০০৭ সালের পরে আর হয়নি। এলাকার লোকজন গরু-ছাগল নিয়ে কষ্টে পড়েছেন।   অন্যদিকে সকালে শহরের শান্তিনগর, রসুলপুর ও রিজার্ভ বাজারসহ আশপাশে এলাকার সড়ক ও বাসাবাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে এখনো অনেক বাসাবাড়িতে পানি রয়েছে। জেলার লংগদু, বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, বরকলসহ কয়েক উপজেলার প্রায় ১৭টি গ্রামের মানুষ এখনো পানিবন্দি রয়েছেন।
ফের ৩ ফুট খোলা হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট
রাঙ্গামাটিতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। এতে আবারও বিপৎসীমায় পৌঁছেছে হ্রদের পানির স্তর। ফলে খোলা হয়েছে ১৬টি জলকপাট। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) হ্রদের পানি কমাতে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট সাড়ে তিন ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৬৮ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলীতে নির্গত হচ্ছে। এর আগে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) জলকপাট আড়াই ফুট খোলা থাকলেও হ্রদে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আজ সোমবার সকাল থেকে সাড়ে তিন ফুট করে খুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর রয়েছে ১০৮ দশমিক ৭৪ এমএসএল (সমুদ্রপৃষ্ঠ)। হ্রদের সর্বোচ্চ পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। এ বিষয়ে কাপ্তাই জল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের বলেন, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাড়ে তিন ফুট করে গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে ৬৮ হাজার কিউসেক। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট চালু রেখে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে পানি ছাড়া হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি। উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট হ্রদের পানি বেড়ে গেলে খুলে দেওয়া হয়েছিল কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট। ওই দিন সকাল সাড়ে ৮টায় স্পিলওয়ে ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।
১২৭ দিন পর কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু
চার মাস সাতদিন পর কাপ্তাই হ্রদে শুরু হয়েছে মাছ আহরণ। শনিবার (৩১ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নামে জেলেরা। ৭২৫ বর্গকিলোমিটারের হ্রদের বুক জুড়ে বসেছে জাল, জেলে ও নৌকার মেলা।  রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকেই জেলেদের আহরণকৃত মাছ বোটে করে নিয়ে আসা হচ্ছে জেলার সর্ববৃহৎ ফিশারি ঘাটে। এতে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের হাঁকডাকে মুখর হয়ে উঠেছে পল্টুন। তবে এবার কাপ্তাই হ্রদে পানি বেশি থাকায় এবং আঞ্চলিক দলের চাঁদার কারণে হ্রদের একটি অংশের জেলেরা মাছ আহরণে না নামায় প্রথমদিনে প্রত্যাশিত মাছ আহরণ হয়নি। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটি বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, জেলেদের মাঝে আশঙ্কা থাকায় প্রথম দিনে মাছের অবতরণ কম। তবে হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় বছরব্যাপী মাছ পাওয়ার আশা করছি। উল্লেখ্য, কার্প জাতীয় মাছের বংশবিস্তারের লক্ষ্যে প্রতিবছর তিন মাসের জন্য ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ থাকে। তবে এ বছর কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানির অভাবে মাছের বংশবিস্তার সুষ্ঠুভাবে না হওয়ায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ দুদফা বাড়ানো হয়। এতে চার মাস সাতদিন পর হ্রদে মাছ আহরণে নামে জেলেরা।    
এবার কাপ্তাই জলকপাট খুলে দেওয়া হলো দেড় ফুট 
পানির স্তর বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট দেড় ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে বাঁধের জলকপাটগুলো দেড় ফুট করে খুলে দেওয়া হয়। এর আগে, সোমবার সকাল ১০টায় ৬ ইঞ্চি করে জলকপাট খুলে রাখার পরও কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর হ্রাস না পাওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে এক ফুট করে জলকপাট খুলে দেওয়া হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে ১৮ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। বর্তমানে দেড় ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে জলকপাটগুলো। এতে করে প্রতি সেকেন্ডে ৩০ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্র জানায়, কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণক্ষমতা এখন একেবারেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল দশটায় হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮ দশমিক ৯২ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপৎসীমার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সোমবার সকাল দশটায় পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ১০৮ দশমিক ৮৪ এমএসএল। কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।  কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের বলেন, দুপুর থেকে দেড় ফুট করে গেইট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে ৩০ হাজার কিউসেক। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট চালু রেখে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে পানি ছাড়া হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি।
খুলেছে কাপ্তাই বাঁধের গেট, যা হতে পারে
হ্রদের পানির স্তর বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে।  রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল ৮টা ১০ মিনিটে গেটগুলো খুলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  তবে জলকপাট খোলার বিষয়টি স্বাভাবিক এবং এতে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের। জানা যায়, শনিবার রাত ১০টায় বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও রাতে শেষ পর্যন্ত খোলা হয়নি। পরে রোববার সকাল ৭টায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮ দশমিক ২৭ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) রেকর্ড করা হয়। যার ফলে বিপৎসীমা অতিক্রম করার শঙ্কা তৈরি হয়। কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। পরে গেট খুলে দেওয়া হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক ফিট পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে স্পিলওয়ের গেট খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে। জলকপাট খুলে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে নদী গবেষক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিগত বেশ কিছুদিনের বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় বেড়ি বাঁধ ভেঙে হালদার পানি হাটহাজারী, রাউজানসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করেছে। এখন নতুন করে কাপ্তাই বাঁধ যেহেতু ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এতে হয়তো নতুন করে আরও কিছু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। এতে নিচু এলাকার মানুষ পানিবন্দি হবে। সেসব এলাকার মাছের ঘের, ফসলী জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের বলেন, হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৫টি ইউনিটের সবগুলো দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে। ফলে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক ফিট পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। যা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২১৯ মেগাওয়াট। তিনি আরও বলেন, এই পানিতে কোনো ধরনের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। পানি বৃদ্ধি পেলে প্রতি বছরই পানি ছাড়া হয়। হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মোশাররফ হোসেন খান বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানি বর্তমানে বিপৎসীমায় পৌঁছেছে। বাঁধের ঝুঁকি এড়াতে এবং রুলকার্ভ অনুসরণ করে হ্রদের পানি ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিবছর এভাবেই পানি ছাড়া হয়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।