• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
কাপ্তাই হ্রদে সুবলং চ্যানেল জয়ে জলে ৩০ প্রতিযোগী
৫৬ দিন পর দৃশ্যমান রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু
কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে থাকার দীর্ঘ ৫৬ দিন পর ভেসে উঠেছে সিম্বল অব রাঙ্গামাটি খ্যাত ঝুলন্ত সেতু। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সেতুর পাটাতন থেকে হ্রদের পানি নেমে গিয়ে সেটি দৃশ্যমান হতে শুরু করে।  রাঙ্গামাটি ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সহসভাপতি রমজান আলী গণমাধ্যমকে বলেন, রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে ঝুলন্ত সেতু প্রধান আকর্ষণ। তাই এতদিন বেড়াতে আসা পর্যটকদের ঝুলন্ত সেতুর আনন্দ উপভোগ না করে হতাশ হয়ে ফেরত যেতে হয়েছে। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় আজ থেকে সেতু জেগে উঠেছে। এখন থেকে পর্যটক সমাগম বাড়বে বলে আশা করছি। উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট রাঙ্গামাটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উজান হতে নেমে আসা ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে তলিয়ে যেতে শুরু করে ঝুলন্ত সেতু। এরপর দীর্ঘ ৫৬ দিন পানির নিচে থাকার পর ভেসে উঠেছে সেতুটি। আরটিভি/এএএ
আবারও খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট
১৫ দিন পর বন্ধ হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট
কাপ্তাই বাঁধ / জলকপাট খোলায় সেকেন্ডে ১ লাখ ৩০ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন
ফের ৩ ফুট খোলা হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট
১২৭ দিন পর কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু
চার মাস সাতদিন পর কাপ্তাই হ্রদে শুরু হয়েছে মাছ আহরণ। শনিবার (৩১ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নামে জেলেরা। ৭২৫ বর্গকিলোমিটারের হ্রদের বুক জুড়ে বসেছে জাল, জেলে ও নৌকার মেলা।  রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকেই জেলেদের আহরণকৃত মাছ বোটে করে নিয়ে আসা হচ্ছে জেলার সর্ববৃহৎ ফিশারি ঘাটে। এতে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের হাঁকডাকে মুখর হয়ে উঠেছে পল্টুন। তবে এবার কাপ্তাই হ্রদে পানি বেশি থাকায় এবং আঞ্চলিক দলের চাঁদার কারণে হ্রদের একটি অংশের জেলেরা মাছ আহরণে না নামায় প্রথমদিনে প্রত্যাশিত মাছ আহরণ হয়নি। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটি বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, জেলেদের মাঝে আশঙ্কা থাকায় প্রথম দিনে মাছের অবতরণ কম। তবে হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় বছরব্যাপী মাছ পাওয়ার আশা করছি। উল্লেখ্য, কার্প জাতীয় মাছের বংশবিস্তারের লক্ষ্যে প্রতিবছর তিন মাসের জন্য ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ থাকে। তবে এ বছর কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানির অভাবে মাছের বংশবিস্তার সুষ্ঠুভাবে না হওয়ায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ দুদফা বাড়ানো হয়। এতে চার মাস সাতদিন পর হ্রদে মাছ আহরণে নামে জেলেরা।    
এবার কাপ্তাই জলকপাট খুলে দেওয়া হলো দেড় ফুট 
পানির স্তর বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট দেড় ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে বাঁধের জলকপাটগুলো দেড় ফুট করে খুলে দেওয়া হয়। এর আগে, সোমবার সকাল ১০টায় ৬ ইঞ্চি করে জলকপাট খুলে রাখার পরও কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর হ্রাস না পাওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে এক ফুট করে জলকপাট খুলে দেওয়া হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে ১৮ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। বর্তমানে দেড় ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে জলকপাটগুলো। এতে করে প্রতি সেকেন্ডে ৩০ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্র জানায়, কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণক্ষমতা এখন একেবারেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল দশটায় হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮ দশমিক ৯২ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপৎসীমার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সোমবার সকাল দশটায় পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ১০৮ দশমিক ৮৪ এমএসএল। কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।  কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের বলেন, দুপুর থেকে দেড় ফুট করে গেইট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে ৩০ হাজার কিউসেক। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট চালু রেখে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে পানি ছাড়া হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি।
খুলেছে কাপ্তাই বাঁধের গেট, যা হতে পারে
হ্রদের পানির স্তর বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে।  রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল ৮টা ১০ মিনিটে গেটগুলো খুলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  তবে জলকপাট খোলার বিষয়টি স্বাভাবিক এবং এতে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের। জানা যায়, শনিবার রাত ১০টায় বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও রাতে শেষ পর্যন্ত খোলা হয়নি। পরে রোববার সকাল ৭টায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮ দশমিক ২৭ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) রেকর্ড করা হয়। যার ফলে বিপৎসীমা অতিক্রম করার শঙ্কা তৈরি হয়। কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। পরে গেট খুলে দেওয়া হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক ফিট পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে স্পিলওয়ের গেট খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে। জলকপাট খুলে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে নদী গবেষক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিগত বেশ কিছুদিনের বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় বেড়ি বাঁধ ভেঙে হালদার পানি হাটহাজারী, রাউজানসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করেছে। এখন নতুন করে কাপ্তাই বাঁধ যেহেতু ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এতে হয়তো নতুন করে আরও কিছু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। এতে নিচু এলাকার মানুষ পানিবন্দি হবে। সেসব এলাকার মাছের ঘের, ফসলী জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের বলেন, হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৫টি ইউনিটের সবগুলো দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে। ফলে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক ফিট পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। যা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২১৯ মেগাওয়াট। তিনি আরও বলেন, এই পানিতে কোনো ধরনের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। পানি বৃদ্ধি পেলে প্রতি বছরই পানি ছাড়া হয়। হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মোশাররফ হোসেন খান বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানি বর্তমানে বিপৎসীমায় পৌঁছেছে। বাঁধের ঝুঁকি এড়াতে এবং রুলকার্ভ অনুসরণ করে হ্রদের পানি ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিবছর এভাবেই পানি ছাড়া হয়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। 
খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধ, আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ
টানা বৃষ্টিপাতের ফলে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় কাপ্তাই বাঁধের স্পিলওয়ে খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এতে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে হ্রদ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে বাঁধের স্পিলওয়ে খুলে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।   কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৭ দশমিক ৬৬ এমএসএল (মীনস সি লেভেল) রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপৎসীমার কাছাকাছি হওয়ায় হ্রদের উজান ও ভাটি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণে পানি নিষ্কাশনের জন্য স্পিলওয়ের ১৬টি গেটের ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউবিক ফিট পানি নিষ্কাশিত হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে হ্রদের ইনফ্লো ও বৃষ্টিপাত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইনফ্লো বেশি হলে অর্থাৎ পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে স্পিলওয়ের গেটের খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে। কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের বলেন, হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৫টি ইউনিটের সবগুলো দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে ফলে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউবিক ফিট পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, কাপ্তাই হ্রদে পানি বর্তমানে বিপদসীমায় পৌঁছেছে। বাঁধের ঝুঁকি এড়াতে এবং রুলকার্ভ অনুসরণ করে হ্রদের পানি ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিবছর এভাবেই পানি ছাড়া হয়।  তাই আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য তিনি সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রত্যাশিত পানির ইনফ্লো না পাওয়ায় রাতে খুলছে না কাপ্তাই বাঁধ
রাত ১০টায় কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের গেট খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রত্যাশিত পানির ইনফ্লো না পাওয়ায় গেট খোলা হয়নি বলে জানিয়েছেন কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের।  শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি। এ টি এম আবদুজ্জাহের বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে কখন খোলা হবে তা গণমাধ্যমকে পরে জানানো হবে।’  এর আগে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর বিপদসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় কাপ্তাই বাঁধের স্পিলওয়ে শনিবার রাত ১০টায় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শনিবার বিকেলে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছিল। তবে এতে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।   বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৭ দশমিক ৬৬ এমএসএল (মীনস সী লেভেল) রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপদসীমার কাছাকাছি হওয়ায় হ্রদের উজান ও ভাটি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণে পানি নিষ্কাশনের জন্য শনিবার রাত ১০টায় স্পিলওয়ের ১৬টি গেইটের ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু প্রত্যাশিত পানি না হওয়ায় রাতে গেট খোলা হয়নি।  বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে হ্রদের ইনফ্লো ও বৃষ্টিপাত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইনফ্লো বেশি হলে অর্থাৎ পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে স্পিলওয়ের গেটের খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে। কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের বলেন, হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৫টি ইউনিটের সবগুলো দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে ফলে প্রতি সেকেণ্ডে ৩২ হাজার কিউবিক ফিট পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, কাপ্তাই হ্রদে পানি বর্তমানে বিপদসীমায় পৌঁছেছে। বাঁধের ঝুঁকি এড়াতে এবং রুলকার্ভ অনুসরণ করে হ্রদের পানি ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শনিবার ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিবছর এভাবেই পানি ছাড়া হয়।  তাই আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য তিনি সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন।
কাপ্তাই বাঁধের ফটক খুললে প্লাবিত হতে পারে ৪ উপজেলা
কাপ্তাই হ্রদের বাঁধের ফটক খুলে দিলে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে চট্টগ্রামের ৪ উপজেলা। এতে পানিবন্দি হতে পারেন প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ মানুষ। শনিবার (২৪ আগস্ট) কর্ণফুলী জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি স্পিলওয়ে এর গেট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জল বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।  কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি গেইট ৬ ইঞ্চি করে ১৬টি গেট দিয়ে ছাড়া হবে পানি। এতে পানি নিষ্কাশন করা হবে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক। এ ছাড়া বৃষ্টিতে পানি আরও বাড়লে স্পিলওয়ের গেট খোলার পরিমাণ আরও বাড়াতে পারে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।   এ বিষয়ে নদী গবেষক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিগত বেশ কিছুদিনের বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় বেড়ি বাঁধ ভেঙে হালদার পানি হাটহাজারী, রাউজানসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। এখন নতুন করে কাপ্তাই বাঁধ ছাড়লে নতুন করে আরও অনেক এলাকা প্লাবিত হতে পারে। এতে মানুষ পানিবন্দি হওয়ার পাশাপাশি মাছের ঘের, ফসলী জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।   তবে রাত দশটায় পানি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় থাকলেও হ্রদের নির্ধারিত পরিমাণ পানি পূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে গেট খোলা হবে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।   কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক ড. এম এম এ আব্দুজ্জাহের বলেন, পানি ছাড়ার ক্ষেত্রে সাধারণত ভাটার সময় ছাড়তে চেষ্টা করি। এতে ভাটির টানে পানি যাতে সহজে নেমে যেতে পারে। তবে যখনই পানি ধারণ ক্ষমতার বেশি হয়ে যায় তখন পানি ছাড়তে হয়। আমরা এরই মধ্যে সতর্কতা জারি করেছি।