• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
রাঙ্গামাটিতে ব্যাংক কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
রাঙ্গামাটিতে জেলা বিএনপির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন
রাঙ্গামাটিতে সংঘটিত সহিংস ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনসহ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপি। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় শহরের বনরূপা হ্যাপিড় মোড় এলাকা থেকে বিএনপি নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শুরু করে বনরূপা বাজার, ক্ষতিগ্রস্ত বনরূপা মসজিদ, মৈত্রী বিহারসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু, সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম শাকিল, জেলা কৃষক দলের সভাপতি অলক বড়ুয়া রিন্টু, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মো. মুজিবুল হক, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বাসেত অপু, জেলা জাসাসের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন প্রমুখ। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু জানান, পরাজিত শক্তিরাই পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিচ্ছে এবং এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাচ্ছে।  তিনি বলেন, রাঙ্গামাটিতে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ ব্যবসায়ী ও পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি এবং তাদের পাশে থাকার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে আশ্বাস প্রদান করেছি।  তিনি আরও বলেন, বিএনপি সাস্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। আমরা চাইনা, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে জেলার ১০ উপজেলায় সম্প্রীতি সমাবেশ করা হবে।  বর্তমানে রাঙ্গামাটিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি। আরটিভি/এমকে
পার্বত্য অঞ্চল পরিদর্শনে ৩ উপদেষ্টা
১ সেপ্টেম্বর থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার শুরু 
রাঙ্গামাটিতে একসঙ্গে ৩ পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন এক মা
বিপন্ন লজ্জাবতী বানর চলে এলো লোকালয়ে
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ভারী বর্ষণে রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ধসের শঙ্কা
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ধসের আশঙ্কা করছে জেলা প্রশাসন। রোববার (২৬ মে) রেমাল মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানান প্রস্তুতির কথা গণমাধ্যমে জানানো হয়। জেলা প্রশাসন জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং, পৌরসভায় ২৯টি এবং ১০টি উপজেলায় ৩২২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এ ছাড়াও পুলিশ, আনসার, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সংগঠনকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।  এ দিকে সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল সতর্কতায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের উদ্দেশ্যে মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন। বিকেল থেকে রাঙ্গামাটিতে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। রাঙ্গামাটির শহরের ভেদভেদী, রূপনগর, শিমুলতলীসহ আরো কয়েকটি এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে অন্তত দশ হাজারের বেশিও মানুষ। ২০১৭ সালে এই স্থানগুলোতে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। ফলে সেসময় অর্ধশতাধিক লোকের মৃত্যু হয়। যাতে পুরো জেলায় মৃত্যুবরণ করেন ১২০ জন। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হলেও ভারী বৃষ্টিপাত শুরু না হওয়ায় তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছেন। তাদের দাবি, যখনই ভারী বৃষ্টিপাত হবে, তখন তারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাবেন। ভেদভেদী এলাকার বাসিন্দা ছগির মিয়া বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হবে টিভিতে ও সংবাদে শুনতেছি, দুপুরে এ দিকে এসে মাইকিংও করেছে। তবে এখনও তেমন কোন প্রভাব আমরা দেখছি না। যদি খারাপ অবস্থা দেখি তবে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাবো।’ রূপনগরের বাসিন্দা রহিমা খাতুন বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ২০১৭ সালে পাহাড় ধসে ১৯ জন মারা গেছেন একদিনে। তাই পাহাড় ধস হবে বললে ভয় লাগে। প্রশাসন থেকে আমাদেরকে বলা হয়েছে, নিরাপদ স্থানে চলে যেতে। যদি অবস্থা সুবিধার না দেখি তবে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাবো।’ সুরেশ চাকমা বলেন, ‘পাহাড়ধস হতে পারে বলে শুনেছি। যদি সে রকম কিছু হওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পাই, তবে বউ-বাচ্চা নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাব।’ এ বিষয়ে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ‘রাঙ্গামাটি পৌর এলাকাসহ প্রতিটি উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র ও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমরা সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করে রেখেছি।’
৯ বছর পর রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন
দীর্ঘ নয় বছর পর রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমার সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার।  সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। এ ছাড়াও সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মুছা মাতব্বর, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহেদ খান ও ইবনুল এম হাসান, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক শিবলী হাসান জয়, উপ-পরিবেশ সম্পাদক মেহেদি হাসান কিরণ, উপ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অর্কপল তালুকদার, উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমির হোসেন খসরু। এ সময় বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের স্মার্ট হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে ছাত্রলীগের পতাকাতলে সমবেত হতে হবে। ছাত্রলীগের সুশৃঙ্খল নেতৃত্বের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যে সমস্যা তার দূর করতে হবে। সম্মেলনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন সে লক্ষ্যে নতুন নেতৃত্ব কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। সম্মেলনের শুরুতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার ওপর নৃত্য পরিবেশন করা হয়।