• ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১
logo
ধামরাইয়ে খাদ থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার
ধামরাইয়ে খাদ্যপণ্য কারখানায় ডাকাতির অভিযোগ
ঢাকার ধামরাইয়ে বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড নামের একটি ফ্যাক্টরিতে ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের নান্দেশ্বরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে ১৮ থেকে ২০ জনের একটি ডাকাত দল অতর্কিতভাবে কারখানাটির দেয়াল পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা কারখানার নিরাপত্তাকর্মীদের হাত-পা মুখ বেঁধে এক জায়গায় আটকে রাখে। ডাকাতরা নগদ টাকা, জেনারেটরের কেবল ও ব্যাটারি, ল্যাপটপসহ আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। নিরাপত্তাকর্মী আজগর আলী জানান, রাতে ৫ জন নিরাপত্তাকর্মী দায়িত্ব পালন করছিল। এ সময় ডাকাতরা অতর্কিত এসে তাদের হাত-পা বেঁধে মারধর করে কারখানা থেকে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ভোরের দিকে নিজেরা বাঁধন খুলে বের হয়ে দেখেন ডাকাতরা পালিয়ে গেছে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানান তারা। ধামরাই থানা পুলিশ জানায়, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাটি জানার পরপরই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  কাওয়ালীপাড়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এস আই) অমল কুমার রায় বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  আরটিভি/এএএ/এআর 
ধামরাইয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত 
নববর্ষের অনুষ্ঠানে তরুণ গুলিবিদ্ধ
শিশু সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ, আটক ১
ধামরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র কবীর মোল্লা গ্রেপ্তার
র‍্যাব পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ১৬ মাস পর বাড়ি ফিরল যুবক
ঢাকার ধামরাইয়ে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার ১৬ মাস পর বাড়ি ফিরল নিখোঁজ মো. রহমত উল্লাহ (২১) নামে এক যুবক। রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে ঢাকার ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বড়নালাই গ্রামে বাড়িতে ফেরে রহমত উল্লাহ। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে জড়ো হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘরের ভেতরেও মানুষের ভিড়। হলুদ টি-শার্ট পরে চেয়ারে বসে থাকা তরুণকে ঘিরে সবার চোখেমুখে বিস্ময়ের ছাপ। তরুণের মায়ের চোখে অশ্রু, তবে তা আনন্দের। তিনি কখনো ছেলের কপালে চুমু দিচ্ছেন। কখনো মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। ভাই-বোনের মুখে হাসি। ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট রাতে র‌্যাব পরিচয়ে একটি দল রহমত উল্লাহকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। প্রায় ১৬ মাস পর আজ রোববার দুপুরের দিকে বাড়িতে পৌঁছান রহমত উল্লাহ (২১)। ছেলেকে জীবিত ফিরে পাবেন কি না সেটি জানা ছিল না মা মমতাজ বেগমের। ছেলেকে পেয়ে তিনি বলেন, ছেলেরে আমি পাইছি, আমি শান্তি পাইছি। আল্লায় আমার ছেলেরে আমার বুকে আনছে। মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের ৮ দিন জ্বর আছাল (ছিল)। আমার কাছেই শুয়া আছাল, র‌্যাব আর সাদাপোশাকে মানুষ ঘরে আইসা ধইরা নিয়া গেছিল। তারা কইছিল জিজ্ঞাসাবাদ কইরা ছাইড়া দিমু। র‌্যাব অফিসে, ডিবি অফিসে, পুলিশের কাছে গেছি কতবার, কোনো খোঁজ পাই নাই। আমার বাবারে এখন ফিরা পাইছি।’ পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন পান রহমত উল্লাহর বড় ভাই মো. ওবায়দুল্লাহ। অপর প্রান্তের ব্যক্তি নিজেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর থানার রহনপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এসআই (উপপরিদর্শক) মো. ফজলে বারী পরিচয় দিয়ে রহমত উল্লাহকে পাওয়ার কথা জানান। ওবায়দুল্লাহ খোঁজ নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর পরিবারের ৪ সদস্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলে যান। মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, এস আই মো. ফজলে বারীর কল পেয়ে আমরা চাঁপাইনবাবগঞ্জে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে রহমত উল্লাহকে নিয়ে বাসায় আসি। শুরুতে রহমত উল্লাহ আমাকে চিনতে পারছিল না। এখনো খুব বেশি কথা বলতেছে না। বাড়িতে ফিরেও অনেকটাই চুপচাপ রহমত উল্লাহ। কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। প্রশ্ন করা হলে চুপ থাকছেন। কিছু প্রশ্নের অল্প কথায় জবাব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ভারতের জেল থিকা বাইর করছে, তারপর বাংলাদেশে নিয়া আসছে। আজকে বাড়ি আসছি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর থানার পুলিশ জানায়, থানায় আসার পর রহমত উল্লাহ তাদের জানিয়েছেন, গত বছরের ২৯ আগস্ট নিজ বাড়ি থেকে র‌্যাব তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর ঢাকায় ৯ মাস চোখ, হাত-পা বেঁধে আটকে রাখা হয়। যেখানে তাকে রাখা হয়েছিল, এর আশপাশে বিমান ওঠানামা করত। শুধু খাওয়ার সময় চোখ খোলা রাখা হতো। খাওয়া শেষ হলে আবার তার চোখ বেঁধে ফেলা হত। এভাবে ৯ মাসের মতো রাখার পর গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন হাইয়েস গাড়িতে করে তাকে যশোরের বেনাপোল সীমান্তে নিয়ে যায়। সীমান্ত পার করে রহমত উল্লাহকে ভারতের সীমানায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। দু-তিন দিন ভারতে ঘোরার পর ভারতের পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। রহমত উল্লাহ পুলিশকে জানিয়েছেন, অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতে তাকে একটি জেলে রাখা হয়। সেখানে ৬ মাসের সাজা হয়। এ ছাড়া ১ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ মাস জেল খাটতে হবে এমন সাজা হয়। ৭ মাস জেল খাটার পর সর্বশেষ দমদম জেলখানা থেকে গাড়িতে করে সীমান্তে আনা হয়। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাকে বাংলাদেশে ‘পুশ ব্যাক’ করা হয়। পরে তিনি গোমস্তাপুর থানায় যান। এরপর থানা-পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরিবারের তথ্য নেয়। রহমত উল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদকারী রহনপুর তদন্তকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মো. ফজলে বারী বলেন, প্রথমে রহমত উল্লাহ সন্দেহ করছিলেন, পুলিশ তাকে মেরে ফেলতে পারে। তবে পরে কিছুটা স্বাভাবিক হলে তার কাছ থেকে পরিবারের তথ্য নিয়ে ধামরাই থানা-পুলিশের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে তার পরিবারের সদস্যরা থানায় পৌঁছালে নিশ্চিত হতে শনাক্তকরণ মহড়া হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন ৫ জন লোককে তার সামনে রেখে ভাইকে শনাক্ত করতে বলা হলে তিনি ভাইকে শনাক্ত করতে সক্ষম হন। মো. ফজলে বারী বলেন, তাকে (রহমত উল্লাহকে) জিজ্ঞেস করেছিলাম, তোমাকে ধরল কেন? সে উত্তরে বলেছিল, তারা বলছে (র‌্যাব) আমি নাকি জঙ্গি। তখন সিডিএমএস (সফটওয়্যার ক্রাইম ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) সার্চ করে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা পাইনি। গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল বাসার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে রহমত উল্লাহ জানিয়েছেন, ৯ মাস তাকে দেশেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক করে রেখেছিল। এরপর যশোর সীমান্ত এলাকায় মোটরসাইকেলওয়ালা দুজন লোকের কাছে দেওয়া হয়। পরে ওরা ভারতে নিয়ে যায়। পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে যাওয়ায় ভারতের পুলিশ মামলা দিলে ৭ মাস জেল খেটেছেন। গত পরশু গভীর রাতে নৌকা করে রহমত উল্লাহকে নদী পার করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। পরে তিনি লোকজনের কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এটা কোন এলাকা? লোকজন তাকে এটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর জানান। এরপর তিনি থানায় আসেন। আরটিভি/এফআই
রাইস মিলের ছাইয়ে শিক্ষার পরিবেশে বিঘ্ন, প্রতিবাদে মানববন্ধন
ঢাকার ধামরাইয়ে রাইস মিলের ছাইয়ে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।  মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের হাটিপাড়া এলাকায় ধামরাই-কালিয়াকৈর সড়কের পাশে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধামরাইয়ের সীমা অটো রাইস মিল, আরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ও সাহেব আলী অটো রাইস মিলসহ কয়েকটি রাইস মিলের কালো ধোঁয়া ও ছাইয়ের কারণে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। বারবার বলা হলেও মালিকপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন আলহাজ জামাল উদ্দিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আখতার হোসেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. আবুল হোসেন ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা। বক্তারা বলেন, রাইস মিলের কালো ধোঁয়া ও ছাইয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যহত হচ্ছে। ক্লাসের চেয়ার, টেবিল বেঞ্চ ছাইয়ের স্তূপ তৈরি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনকি টিফিনও নষ্ট হচ্ছে।  তারা বলেন, মিলের কালো ধোঁয়া ও ছাইয়ের কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা শ্বাসকষ্টসহ নানা অসুখে ভুগছে। কালো ধোঁয়া, ছাই ও নির্গত বর্জ্য থেকে কৃষি জমি সংরক্ষণ ও পরিবেশ রক্ষায় রাইস মিলগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানান তারা। আরটিভি/এএএ 
স্ত্রীর মরদেহ বাড়ি নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যু 
ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে স্ত্রীর মরদেহ বাড়ি নেওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন স্বামী ফরিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় গাড়ির ভিতরে থাকা আরও ৯ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের বাথুলী এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে স্ত্রী সুলতানা খাতুনের মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে স্বামী ফরিদুল ইসলাম মানিকগঞ্জের উদ্দেশ্যে বাড়ি ফিরছিলেন। অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের বাথুলী এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলে স্বামী ফরিদুল ইসলাম নিহত হন। এ ঘটনায় আরও ৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাড়িটি উদ্ধার করেছে গোলড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ। আরটিভি/এমকে/এস
থেমে থাকা ট্রাকে পিকআপের ধাক্কা, নিহত ২
ঢাকার ধামরাইয়ে থেমে থাকা একটি ট্রাককে পেছনে থেকে একটি পিকআপ ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপের চালক ও সহকারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।  শনিবার (১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত একটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন পিকআপের চালক কাঞ্চন (২৩) ও তার সহকারী আশরাফুল (১৯)। কাঞ্চন জামালপুর সদর উপজেলার আনিসুর রহমানের ছেলে। আশরাফুল নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার রোদনূর গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে। সাভার হাইওয়ে থানা-পুলিশ জানায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডে ঢাকাগামী লেনে একটি ইটবোঝাযই ট্রাক থেমে ছিল। শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে ট্রাকটিকে পেছন থেকে আসা একটি পিকআপ জোরে ধাক্কা দেয়। এ সময় পিকআপের চালক ও তার সহকারী ঘটনাস্থলেই মারা যান। সাভার হাইওয়ে থানার ওসি সওগাতুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার পর ইটবোঝাই ট্রাক ও পিকআপ আটক করা হয়েছে। তবে ট্রাকের চালক পালিয়ে গেছেন। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে ধামরাই থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আরটিভি/এএএ  
অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১ 
ঢাকার ধামরাইয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে কুলসুম আক্তার (৩০) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে চারজনের নামে ধামরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তার ওই নারীর নাম আমিনা (৬০)। তিনি ধামরাইয়ের কুশুরা ইউনিয়নের বান্নাখোলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি নিহতের নানি শাশুড়ি। ১০ থেকে ১২ দিন আগে মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। এছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নিহতের শাশুড়ি সুর্য বানু (৪৫), ননদ ইয়াছমিন (১৯) ও শ্বশুর আয়নাল পাগলা (৫৫)। নিহত কুলসুম ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকার ইয়ার হোসেনের স্ত্রী। তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহতের শাশুড়ির রান্না ঘরে পুত্রবধূর পালিত মুরগি গেলে বউ-শাশুড়ির মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পরে হাতাহাতির একপর্যায়ে অভিযুক্তরা কুলসুমকে শ্বাসরোধ ও মারধর করে হত্যা করেন। তার কপালের ডান চোখের পাশে রক্তাক্ত জখম, মুখ, পিঠসহ সারা শরীরে জখমের চিহ্ন দেখা যায়।   পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।   ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এস আই) মো. আজাহারুল জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে নিহতের নানি শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরটিভি/এএএ/এআর