• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
মোটরসাইকেলচাপায় প্রাণ গেল মা-মেয়ের 
নিক্সন চৌধুরীসহ আ.লীগের শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সোমবার ভাঙ্গা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন।  মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের শেখ। মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৪০-৫০ জনকে। জানা যায়, উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সড়কে রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাঙ্গা পৌরসভার মধ্যপাড়া হাসামদিয়া মহল্লায় এ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত অবস্থায় একটি ককটেল উদ্ধার করে। এ দিকে এ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন, ফরিদপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা করেছেন ভাঙ্গা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম ওরফে বিটু মুন্সী। এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের শেখ বলেন, রোববার রাতে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের পাশের সড়কে ককটেল বিস্ফোরণের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থল থেকে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেছেন ভাঙ্গা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম। আরটিভি/এমকে
ট্রেনে বসা নিয়ে বাগবিতণ্ডা, বহিরাগতদের ডেকে হামলা চালালেন স্কুলশিক্ষক
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্ত্রী নিহত, স্বামী আহত
চলন্ত বাস উল্টে গেল মহাসড়কে, সুপারভাইজার নিহত
সেপটিক ট্যাংক থেকে ৪০ হাজার ডলার উদ্ধার
কলম কিনতে গিয়ে গাড়িচাপায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কলম কিনতে গিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়িচাপায় এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম ইয়াসিন শেখ বাপ্পী (৯)। সোমবার (২০ মে) ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের চুমুরদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শেখ বাপ্পী ভাঙ্গার চুমুরদী ইউনিয়নের চুমুরদী পোদ্দারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। সে চুমুরদী ইউনিয়নের পোদ্দারপাড়া গ্রামের খোকন শেখের ছেলে। পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গার চুমুরদী বাসস্ট্যান্ডে কলম কিনতে যাওয়ার সময় রাস্তা পার হতে গেলে গাড়িচাপায় গুরুতর আহত হয় ইয়াসিন শেখ। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই আব্দুল্লাহেল বাকী। তিনি জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। আহতাবস্থায় ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়।
শিল্পপতির সংসার ছাড়তে গরিবের মেয়ের সংবাদ সম্মেলন
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নেশাগ্রস্ত এবং বিকৃত স্বভাবের স্বামী দীপের সংসার ছাড়তে মশলা বিক্রেতার মেয়ে প্রিয়ন্তী সাহা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ভাঙ্গা উপজেলা পৌর সদরের চৌধুরীকান্দা গ্রামে নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। জানা গেছে, প্রিয়ন্তীর স্বামী দীপ একজন শিল্পপতির ছেলে। আর প্রিয়ন্তীর বাবা কুমারেশ সাহা ভাঙ্গায় ফুটপাতের পাশে মশলা বিক্রি করে সংসার চালান। সংবাদ সম্মেলনে  প্রিয়ন্তী জানান, আমার বাবা-চাচাদের অনেক লোভ দেখিয়ে আমাকে বিয়ে করে দীপ। আমার বাবা সুখের কথা ভেবে আমাকে বিবাহ দেন ভাঙ্গা বাজারের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী রবিন সাহার ছেলে দীপের সঙ্গে। বিবাহ হয় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। হিন্দু ধর্মের রীতি-নীতিতে অনেক কিছু করতে হয়, যা দীপ প্রথম রাতেই বিবাহ সম্পন্ন না করে নেশায় আসক্ত হন। সে আমাকে একা রেখে নেশা করতে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়, ফিরে আসে ভোররাতে। তাই নেশাগ্রস্ত স্বামীর সঙ্গে কোনোভাবেই আমার সংসার করা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেন স্ত্রী প্রিয়ন্তী। তিনি জানান, তাকে জোর মদপান করতে হতো। মদ না খেলে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে টয়লেটের মধ্যে আটকে রাখত। এছাড়া আমার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড নিয়ে সে সেটা চেঞ্জ করে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি ফেসবুকে ছেড়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেছে। এ নিয়ে আমি ভাঙ্গা থানায় অভিযোগ করেছি। প্রিয়ন্তীর মা শিখা সাহা জানান, নেশাগ্রস্ত ছেলে দীপ আমার মেয়ে প্রিয়ন্তীর জীবনটা বিপন্ন করে ফেলেছে। ছেলে যে এমন নেশাগ্রস্ত তা জানলে কিছুতেই তার কাছে বিয়ে দিতাম না মেয়েকে। এছাড়া দীপের পরিবার অনেক ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রিয়ন্তীর চাচা গোপাল সাহা জানান, নেশাগ্রস্ত ছেলের কাছে আমার ভাতিজি মেধাবী শিক্ষার্থীকে প্রিয়ন্তীকে বিয়ে দেওয়ার পর তার জীবনটা বিপন্ন করে ফেলেছে। আমরা এর বিচার চাই।   দীপের চাচা রাজকুমার সাহা জানান, আমার ভাইয়ের একমাত্র ছেলে দীপ। আমরা অনেক আনন্দ করে বিয়ে করিয়েছিলাম, কিন্তু দীপ মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। মনে করেছিলাম বিয়ের পর সব ঠিক হয়ে যাবে।  এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ওসি মামুন আল রশিদ বলেন, দীপের বিরুদ্ধে আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। দীপ তার স্ত্রীকে দিয়ে মদপানসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করাতে জোর করত। পরে তার স্ত্রী প্রিয়ন্তীকে আমরা উদ্ধার করে ওর বাবা-মায়ের হাতে দিয়েছি। এরপরও স্বামী দীপ কোনো অন্যায় করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  
ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেলেন মা
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিখোঁজ সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেছেন এক মা।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে নিহত স্কুলছাত্র হাসিব মোল্যার (১৮) পরিবারের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। জানা যায়, নিহত হাসিবের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সদরদীতে। নিখোঁজের একদিন পর খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ছেলের মরদেহ পাওয়া গেছে শুনে মারা যান তার মা হেলেনা বেগম (৪৫)। হাসিব মোল্যা পূর্ব সদরদীর বাস্তখোলা গ্রামের ফরহাদ হোসেন মোল্যার ছেলে। তবে হাসিবের পরিবার জীবিকার তাগিদে দীর্ঘ বছর ধরে ঢাকার ডেমরার সারুলিয়া নামক এলাকায় বসবাস করে আসছেন। বাবা ফরহাদ হোসেন ডেমরা এলাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন। হাসিব ডেমরা এলাকার একটি স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্র।  এ ঘটনায় শোকে স্তব্ধ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পৌরসভা এলাকার ছিলাধরচর বাস্তুখোলা গ্রামে নিহতদের স্বজনরা। এ ব্যাপারে হাসিবের চাচা মো. বিপ্লব মোল্যা বলেন, ঈদের নামাজ পড়তে বন্ধুদের নিয়ে বাসা থেকে বের হয় হাসিবুল। এরপর হাসিবুল মোল্যা আর বাসায় ফেরেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ ছিল। হাসিবকে তার বন্ধুরা ডেকে নিয়ে হত্যা করে খালে ফেলে দিয়েছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।   এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার ডেমরার একটি খাল থেকে হাসিবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত কিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে পেয়েছি। সেখানে দেখা গিয়েছে হাসিবসহ তিন বন্ধু মিলে মদ নিয়ে ঘুরছেন। পরে একটি বাড়িতে গিয়ে তিন বন্ধু মিলে মদ পান করেন। ওই রাতেই কাউকে না বলেই হাসিব বাড়ি থেকে বের হন। রাস্তা দিয়ে হেঁটে একটি ব্রিজে বসেন।  ওসি আরও বলেন, সেখান থেকে খালের পানিতে পড়ে হাসিবের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। আপাতত থানাতে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাবা হত্যার আসামি সেই ছেলের প্রাণ গেল সড়কে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাবাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ছেলে নাঈম ফকির (২২) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে শুরুর অংশে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ভাঙ্গা পৌরসভার ছিলাধরচর মহল্লার কিবরিয়া ফকিরের ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাঈম বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। এ সময় সড়কের রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহিল বাকী জানান, নিহত নাঈম ২০২২ সালে তার বাবা কিবরিয়া ফকিরকে খুন করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জামিনে বেরিয়ে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর সময় এক্সপ্রেসওয়ের রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনায় পড়েন।
ফরিদপুরে বাস উল্টে নিহত ৩, আহত ৩০
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে ঘটনাস্থলে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় আরও একজন।  শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে উপজেলার বাবনা তলা নামক স্থানে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এএসআই আবু সাঈদ। খবর পেয়ে ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মী ও হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করে। নিহতরা হলো- পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার পানদুড়িয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস মিয়ার পুত্র শফিকুল ইসলাম সুরুজ (৪৫)। বাকি দুজনার পরিচয় এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার আবু জাফর জানান, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা ইমরান ট্রাভেলস নামের গাড়িটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিলো। রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। আহতদেরকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহত এক যাত্রী জানায়, হঠাৎ বাউলি দিয়ে রাস্তার ওপর উল্টে যায় বাসটি। এতে গাড়ির অধিকাংশ যাত্রী আহত হয় এবং ঘটনাস্থলে দুই জন নিহত হয়।