• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ফরিদপুরে চাঁদাবাজি মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ফরিদপুর থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ 
থ্রি হুইলার ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে ফরিদপুর থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা। বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল থেকেই বিভিন্ন রুটের যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায়।   সরেজমিনে আন্তজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, ফরিদপুর থেকে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, বরিশাল, শরীয়তপুর, মাগুরা, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন আন্তজেলা রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ওই পথে চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। জানা যায়, মহাসড়কে অবৈধভাবে থ্রি হুইলার চলাচল ও যাত্রী তোলা নিয়ে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ফরিদপুরের নগরকান্দায় মিনিবাসের চালকদের সঙ্গে থ্রি হুইলারের শ্রমিকদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে সেটি উভয়পক্ষের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলা ঘটনা ঘটলে বাস শ্রমিকরা ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ করে বাস চলাচল বন্ধ রাখে। রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে কোনো ধরনের সমঝোতা না হওয়ায় মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকেও অভ্যন্তরীণ কোনো রুটেই বাস চলাচল করেনি। এ দিন দুপুর থেকে মুন্সীবাজার এলাকায় মহেন্দ্র শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করলে ফরিদপুর থেকে দূরপাল্লার সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বুধবারও আন্তজেলা সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত সোমবার দুপুরে যাত্রী তোলা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে ফরিদপুরের তালমার মোড় এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক নাজমুলকে (২৫) মারপিট করে বাস শ্রমিকরা। আহত নাজমুল নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় মহেন্দ্র শ্রমিকদের হামলায় তালমার মোড় এলাকায় ৩টি বাসের কাচ ভাঙচুর ও বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী। পরে ফরিদপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাস শ্রমিকরা অতর্কিতভাবে হামলা চালালে ফরিদপুর জেলা সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি মো. রিপন (৪৫) আহত হন। এ ছাড়া ৩-৪ টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আহত সিএনজি চালককে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  এরপর সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বাস শ্রমিকরা আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পরিবহন মালিকরাও দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখেন। এ বিষয়ে ফরিদপুর বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, মহাসড়কে মাহেন্দ্র চলাচল বন্ধ করার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছি। মহাসড়কে তিন চাকার যন্ত্রযান চলতে পারবে না এ বিষয়ে হাইকোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু মহাসড়কে তিন চাকার অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়নি। এখন এ পথে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে আমারা যাত্রী পাচ্ছি না। এর জন্য বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে শ্রমিকরা। তিনি বলেন, ঢাকার যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে শুধুমাত্র ফরিদপুর-ঢাকা রুটে বাস চলাচল করছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ ও আন্তজেলা পথে সব বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।  ফরিদপুরের ট্রাফিক পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। অতিশিগগিরই এই সমস্যার সমাধান করা হবে।’ আরটিভি/এমকে-টি
নিখোঁজের ২৬ ঘণ্টা পর কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
শ্বশুরের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ, অতঃপর... 
রাসেলস ভাইপার কাণ্ডে বিব্রত আ.লীগ নেতা, পুরস্কার ঘোষণা প্রত্যাহার
মাদক মামলায় সাবেক ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের যাবজ্জীবন
ফরিদপুর জেলা বাস মালিক গ্রুপের নির্বাচন: সভাপতি কামরুল, সম্পাদক রাশেদ
দ্বিবার্ষিক নির্বাচন শেষে ফরিদপুর জেলা বাস মালিক গ্রুপের নবনির্বাচিত কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. কামরুজ্জামান সিদ্দিকী কামরুল এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন খন্দকার আব্দুর রাশেদ।  শুক্রবার (২৪ মে) ফরিদপুর জেলা বাস মালিক গ্রুপের নির্বাচনী বোর্ডের সভাপতি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা যায়। গত ২২ মে বুধবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২১ সদস্যবিশিষ্ট নবনির্বাচিত কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সহসভাপতি আনিচুর রহমান, কাজী সাইফুর রহমান সোহেল ও মোহাম্মদ আলী ফকির, যুগ্ম সম্পাদক ডা. অরুপ প্রকাশ রায় অপু ও রাজিবুর রহমান সুজন, কোষাধ্যক্ষ মানিক চৌধুরী মিঠু, দপ্তর সম্পাদক খান মো. আবু দাউদ রিজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহসিনুল কবির রুবেল, প্রচার সম্পাদক সৌরভ দাস।  কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন, মো. জয়নাল আবেদীন, বিজন কুমার সাহা, আলমগীর মোল্লা, মো. জিল্লুর রহমান, মো. কালাম মিয়া, ফারুক আলম ভূঁইয়া, মো. সালেহ উদ্দিন মিয়া স্বপন, মোহাম্মদ শাহীনুর আলম শাহীন ও দিলীপ কুমার সরকার।
ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩
ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যান সংঘর্ষের ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ জনে। নিহতদের মধ্যে ৫ জন একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন করিমপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন। এ দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৬ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বেজিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা তারা মোল্লার ছেলে রফিক মোল্লা (৩৫), তার স্ত্রী সুমী বেগম (২৩), দুই ছেলে রুহান মোল্লা (৬) ও হাবিব মোল্লা (৩), রফিক মোল্লার মা। নিহত আরও একজন হলেন শেখর ইউনিয়নের বাসিন্দা মর্জিনা বেগম। বাকিদের নামপরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিশুসহ ১১ জন নিহত হন। ওই পিকআপ ভ্যানটি ভাড়া করে কয়েকজন ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। আরও পাঁচজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে হাসপাতাল পরিদর্শনে যান ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোরশেদ আলম। এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘খবর পেয়েই আমরা ছুটে এসেছি। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ৫ লাখ এবং আহতদের পরিবারের জন্য ৩ লাখ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে।’ ফরিদপুরের জেলা পুলিশ সুপার মোরশেদ আলম বলেন, ‘সড়কে আমাদের চলাচলে আরও সচেতন হতে হবে। তা না হলে থামবে না মৃত্যুর মিছিল। শুধু যাত্রীদেরই নয় মালিক ও শ্রমিকদের বড় ভূমিকা রাখতে হবে।’ এই ঘটনার কানাইপুরের দিগনগর গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে আসার পর বাসটির একটি চাকা রাস্তার গর্তে পড়ে যায়। গাড়িটি আড়াআড়িভাবে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পিকআপ ভ্যানটি বাসটির মাঝামাঝিতে এসে আঘাত করলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ওসি হাসানুজ্জামান বলেন, ‘মরদেহগুলোর সুরতহালের পরে পরিচয় শনাক্ত করার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।’
ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১১
ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই শিশুসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিশুসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী।  তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে হতাহতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, একটি পরিবারের লোকজন পিকআপ ভাড়া করে ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন।
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ফরিদপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তার নাম শংকর মালো (৪২)। এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার ছেলে অন্তর মালো (২০)। রোববার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মাঝকান্দি মাজেদা জুটমিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  শংকর মালো ফরিদপুর সদর উপজেলার ভাটি কানাইপুর গ্রামের মলিন মালোর ছেলে। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, শংকর মালো তার ছেলে অন্তর মালোকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কানাইপুর থেকে মাগুরা যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাত এক গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলেই শংকর নিহত হন। এতে তার ছেলে অন্তর গুরুতর আহত হন। অন্তরকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন করিমপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী। ওসি সালাউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত অন্তর মালোকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত শংকর মালোর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ঘাতক গাড়িটি বাস নাকি ট্রাক তা শনাক্ত করা যায়নি, শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসপাতালের অভ্যন্তরে গাঁজার বাগান!
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল অভ্যন্তরে গাঁজার বাগানে পরিণত হয়েছে। যদিও কেউ বলছেন গাঁজার গাছ, কেউ বলছেন ভাংগাছ। তবে সবাই বলছেন দুটি গাছই নেশাজাতীয় গাছ। দিনের পর দিন কয়েকশ গাঁজার গাছ বেড়ে উঠলেও তা চোখে পড়েনি শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। একশ বছরের প্রাচীন ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল। জেলা সদরের মুজিব সড়কে অবস্থিত এ হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসেন কয়েকশ রোগী। হাসপাতালের অভ্যন্তরে খেয়াল করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের অভ্যন্তরে জনচলাচলের রাস্তার পাশেই জন্মেছে কয়েকশ গাঁজা কিংবা ভাংগাছ। জেনারেল হাসপাতালের উত্তর দিকে স্টাফ কোয়ার্টারের পথের পাশে ও হাসপাতালের উত্তর পাশে শত শত গাঁজার গাছের বেড়ে ওঠা যেন কেউ দেখতে পাননি। অনেকে বলছেন, বছরের পর বছর ধরে এভাবেই গাঁজা কিংবা ভাংগাছগুলো বেড়ে উঠেছে। হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দারা জানালেন, প্রায় চার-পাঁচ বছর যাবত এই গাঁজার গাছগুলো বেড়ে উঠেছে। আগে আরও বেশি ছিল। অনেক গাছ কেটে তারা পরিষ্কার করেছেন। তারপর আবার হয়েছে। সবার সামনেই বেড়ে উঠেছে। তারা জানালেন, এমন গাছ হাসপাতালের অভ্যন্তরে রয়েছে। এছাড়া জেলখানার সড়কের পাশে, শহরের রাস্তার ধারে কিছু কিছু জায়গায় এ গাছের দেখা মেলে। তবে এ গাছগুলো অনেকটা দুপুরিয়া ফুলগাছের মতো দেখতে হওয়ায় ফুলগাছ ভেবে কাটা হয় না। জেলা সিভিল সার্জন বলেন, গাছগুলো কাটার জন্য বলা হয়েছে। মাঝে-মধ্যেই গাছগুলো কাটা হয়। আবার এমনিতেই গজিয়ে যায়। সময়মতো লেবার না পাওয়ায় এবার কাটতে দেরি হয়েছে বলে জানান তিনি।  
‘আ.লীগ নির্বাচনী ইস্তেহার পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করবে’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এমপি বলেছেন, আমাদের যে নির্বাচনী ইস্তেহার ঘোষিত হয়েছে সেই ইস্তেহার পূর্ণাঙ্গভাবে আমরা বাস্তবায়ন করবো। আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।  শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুরের ইমাম উদ্দিন স্কয়ারে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের দেওয়া এক গণসংবর্ধণা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে পারলে নিশ্চয়ই এই দেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ হবে, সত্যিকার অর্থেই স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।  তিনি বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন, তারা অনেকেই নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন। শুধুমাত্র টাকার পাহাড় ছড়িয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ফরিদপুরকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে হত্যায় বার বার ষড়যন্ত্র হয়েছে এখনও হচ্ছে, আওয়ামী লীগের একজন সৈনিক জীবিত থাকতে ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবেনা।  ফরিদপুরকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে পরিকল্পিতভাবে পরিচ্ছন্ন জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ সময় যারা নানা প্রলোভনে মূল দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন তাদের দলের মূল ধারায় ফিরে এসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলিষ্ঠভাবে নেতৃত্ব দিয়ে সবাইকে একই ছাতার নিচে থেকে দলকে সুসংগঠিত করার আহ্বান জানান তিনি।  ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, সহ-সভাপতি শ্যামল ব্যানাজী, সহ-সভাপতি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ বোস, দপ্তর সম্পাদক আলী আশরাফ পিয়ার, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম নাছিরসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সোনার নৌকার রেপ্লিকা ও পৌরসভার মেয়রের পক্ষ থেকে পৌরসভার উন্নয়ন চাবির রেপ্লিকা তুলে দেওয়া হয় আবদুর রহমানের হাতে।