• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ছেলের মুখে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা শুনে মায়ের আত্মহত্যা
চুয়াডাঙ্গায় এক যুবককে মোটরসাইকেলসহ পুড়িয়ে হত্যা
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সবুজ হোসেন (২২) নামে এক মোটরসাইকেল ব্যবসায়ীকে তার মোটরসাইকেলসহ পুড়িয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতে আলমডাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর ও বেলগাছি গ্রামের মাঠের একটি মেহগনি বাগানে এ ঘটনা ঘটে।  বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান। হত্যার শিকার সবুজ হোসেন আলমডাঙ্গা উপজেলার বাদেমাজু গ্রামের জয়নাল আলীর ছেলে। তিনি পুরাতন মোটরসাইকেলের বেচাকেনা করতেন।  এ বিষয়ে ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, ‘বুধবার সকালে ৮টার দিকে ফরিদপুর-বেলগাছি গ্রামের কৃষকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে মাঠের মেহগনি বাগানে নিহত সবুজের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সবুজের পোড়া মরদেহ ও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ।’   ওসি আরও বলেন, ‘নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে।’ আরটিভি/এমকে
পূজা দেখতে বেরিয়ে নিখোঁজ, রাতে নদীতে মিলল ২ শিশুর মরদেহ
নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর ডোবায় মিলল শিশুর মরদেহ
নারীকে বাঁচাতে খালে ঝাঁপ, ৩৬ ঘণ্টা পর বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
কেশবপুরে ট্রাক্টরচাপায় প্রাণ গেল শিশুর
শ্বাসরোধে সন্তান হত্যার পর নাটক সাজান মা
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ৭ বছর বয়সী শিশু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। ৭ বছরের সন্তান মাইশাকে হত্যার পর নিজেকে বাঁচাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিজের মেয়ে মারা গেছে এমন নাটক সাজিয়ে মোবাইলফোনের চার্জার গলায় জড়িয়ে রাখেন এক মা। ১৬৪ ধারায় আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দোষ স্বীকার করে নিজের শিশু সন্তান মাইশাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পৈশাচিক বর্ণনা দিয়েছেন মা পপি খাতুন। হত্যাকারী মা পপি খাতুন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোগাইল বগাদি গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে। সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।  তিনি বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোগাইল বগাদী গ্রামের মাইশা খাতুন নামে ৭ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়। মোবাইল চার্জার নিয়ে খেলতে গিয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় বলে ধারণা করা হয়। তার মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওইদিন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। অপমৃত্যু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আতিকুর রহমান জুয়েল রানা মামলার তদন্ত করার সময় দুর্ঘটনামূলক স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হলে শিশুটিকে ময়নাতদন্ত করা হয়।  তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, শিশু মাইশাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। বিদ্যুতস্পৃষ্টে মৃত্যুর প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরই ভিত্তিতে গত ৩ মে নিহত মাইশার নানা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি আরও বলেন, মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। সেখানে মা পপি খাতুনের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বেচ্ছায় এই হত্যার দায় স্বীকার করেন। তিনি তার পারিবারিক কারণে নিজেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানান। হত্যাকারী পপি খাতুন আগের পারিবারিক ব্যক্তি জীবন, একাধিক বৈবাহিক জীবন আবার বিবাহ বিচ্ছেদ এবং বিবাহ বিচ্ছেদ পরবর্তী সময়ের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে যা এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে বলে জানান আরএম ফয়জুর রহমান।  উল্লেখ্য, শিশু মাইশা খাতুন ভোগাইল বগাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। মা-বাবার বিয়ে বিচ্ছেদ হলে মায়ের সঙ্গে মাইশা নানা বাড়িতেই থাকতো।
চুয়াডাঙ্গায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ, নিহত ১
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস-মোটরসাইকেলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আলামিন হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা আঞ্চলিক সড়কে নিগার সিদ্দিক ডিগ্রি কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আলামিন উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের মুন্সীগঞ্জ এলাকার মৃত মিন্টু ইসলামের ছেলে।  জেহালা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি ইউপি সদস্য ছিলেন তিনি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গণি মিয়া। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলামিন মোটরসাইকেলযোগে মুন্সীগঞ্জের নিগার সিদ্দিক কলেজ এলাকার (এডিবি) ব্রিকসে যাচ্ছিলেন। এ সময় ট্রাক ওভারটেক করতে গেলে সামনে থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনি গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার সময় তার মৃত্যু হয়। ওসি শেখ গণি বলেন, মুন্সীগঞ্জের নিগার সিদ্দিক কলেজ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুনেছি তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন।   শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার পারলক্ষীপুর গ্রামে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন-ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বুড়া গ্রামের সেন্টু মিয়ার ছেলে খালিদ হোসেন (১৮) ও একই গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে তামিম হোসেন (১৮)। আহত সজিব আলী (১৯) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সিন্দুরিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাতে কুষ্টিয়ায় একটি কনসার্টে গিয়েছিলেন ওই তিন যুবক। পরে একই মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। এসময়  পারলক্ষীপুর গ্রামে পৌঁছালে তাদের মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান খালিদ ও তামিম। গুরুতর আহত হন সজিব। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।  ওই ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় দম্পতিকে খুনের দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। একই মামলায় একজনকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামিদের উপস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে সাহাবুল হক (২৬), একই গ্রামের পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব হোসেন (২৭) ও মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (২৫)। দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন একই উপজেলার আসাননগর গ্রামেরতাহাজ উদ্দিনের ছেলে শাকিল হোসেন (২৫)। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে আলমডাঙ্গা শহরের পুরাতন বাজার এলাকার নজির মিয়া (৭০) ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে (৬০) শ্বাসরোধ করে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত দম্পতির মেয়ে ডালিয়ারা পারভীন শিলা। চাঞ্চল্যকর ওই মামলার তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে একই বছর ২৮ সেপ্টেম্বর চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একরামুল হক। সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ ওই রায় দেন বিচারক।
গান শোনাকে কেন্দ্র করে ২ গ্রামের সংঘর্ষ, আহত ৮
গান শোনাকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গোপালদিয়াড় ও বাঁশবাড়িয়া নামের ২ গ্রামের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সেবাবাগ বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মসজিদের মাইকে লোকজন ডেকে মারামারির জন্য একত্রিত করার অভিযোগ উঠেছে বাঁশবাড়িয়া গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। গোপালদিয়াড় গ্রামের আহতরা হলেন জামাত আলীল ছেলে আশিক (২৫), মৃত আজগর আলীর ছেলে চাঁদ আলী (৫০), শুকুর আলীর ছেলে ইকলাচুর রহমান (৩৫), আক্তার আলীর ছেলে সাহাবুল হক (৪০) ও আব্দুল বারেক আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৫)। বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আহতরা হলেন ইউনুচ আলীর ছেলে নান্নু (৩৫), মহিদুল ইসলামের ছেলে জীবন আলী (২৮) ও মৃত ফাকের আলীর ছেলে ইউসুচ আলী (৬০)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকেলে হাটবোয়ালিয়া বাজারে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ইমরান নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে গোলযোগ বাধে গোপালদিয়াড় গ্রামের এনামুল নামের আরেক ব্যক্তির। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। এ সময় স্থানীয় হাটবোয়ালিয়া বাজারে থাকা লোকজন তাদের দুজনকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। তারা গ্রামে ফিরে গ্রামের মানুষকে বিষয়টি জানায়। পরে ইমরানের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ফেরার সময় গোপালদিয়াড় গ্রামবাসী সেবাবাগ বাজার নামক স্থানে তাদের সঙ্গে আবার ঝামেলা শুরু করে। এ সময় বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মসজিদে মাইকিং করে মারামারির জন্য লোকজনকে একত্রিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উভয় গ্রামের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে আলমডাংগার হারদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে আলমডাঙ্গা থানা, ওসমানপুর পুলিশ ফাঁড়ি ও হাটবোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) একরাম হোসাইন বলেন, মাইকে প্রচারের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ২ গ্রামের কয়েকজন মানুষের মধ্যে হাতাহাতি-মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিক পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। কোনো পক্ষের অভিযোগ আমরা পাইনি। এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের হয়ে প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক তরুণী
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর পক্ষে প্রক্সি দেওয়ার সময় সালমা খাতুন নামে এক ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।  শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ১ বছরের কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সালমা খাতুন (২৪) একই উপজেলার রাধিকাগঞ্জ গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ/বিএসএস কোর্সের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা চলছিল। এ পরীক্ষায় অংশ নেন আলমডাঙ্গা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু। কিন্তু তার পরিবর্তে পরীক্ষার হলে প্রক্সি দিচ্ছিলেন সালমা খাতুন নামে এক নারী।  খবর পেয়ে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হন আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ। সেখান থেকে আটক করা হয় সালমা খাতুনকে।  ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ভুয়া পরীক্ষার্থী সালমা খাতুনকে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০  এর ৩ ধারা অনুযায়ী তাকে ১ বছরের জেল ও ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। যিনি প্রকৃত পরীক্ষার্থী তাকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।