• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশ্বাসঘাতকতার ধ্বনি শোনা যাচ্ছে: গোলাম পরওয়ার
চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী, বৃদ্ধার মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে আছিয়া খাতুন (৮০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৩ জুন) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আছিয়া খাতুন চুয়াডাঙ্গা শহরের বাগানপাড়ার মৃত আশরাফ আলীর স্ত্রী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাজমুস শাকিব। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ দিনে অর্থাৎ ১৭ জুন থেকে ২৩ জুন বিকেল ৩টা পর্যন্ত ডায়রিয়া ওয়ার্ডের নারী, শিশু, বয়োবৃদ্ধসহ মোট ১৭৩ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন ডায়রিয়া ও আবহাওয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরই মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে ডা. নাজমুস শাকিব বলেন, রোববার সকালে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে আছিয়া খাতুন সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দুপুরে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে নারীর মৃত্যুর খবর আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো। ঈদের মধ্যে মাংস অনেক বেশি খাওয়া এবং বাহিরে ঘুরতে গিয়ে ফুচকা, চটপটি ইত্যাদি ফাস্ট ফুড আইটেম বেশি খাওয়ার কারণে এবং তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ডায়রিয়া হলে প্রচুর স্যালাইন পানি পানসহ সতর্ক থাকতে হবে।
চুয়াডাঙ্গায় ২ মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, যুবক নিহত
চুয়াডাঙ্গায় ২ সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
চুয়াডাঙ্গায় কৃষককে গলাকেটে হত্যা
বিয়ের আসরে দেনমোহর নিয়ে ঝগড়া, গণপিটুনির শিকার বর
চুয়াডাঙ্গায় রেলস্টেশনে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের (৬৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত ৩টার দিকে রেল ফাঁড়ি পুলিশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই বৃদ্ধকে মৃত ঘোষণা করেন। বুধবার (২৯ মে) সকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের। রেল ফাঁড়ি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অজ্ঞাত ওই বৃদ্ধের গায়ে ক্রিম কালারের ফতুয়া এবং ঘিয়ে কালারের চেক লুঙ্গী রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা রেল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য মফিজুল সঙ্গীয় ফোর্সসহ তাকে হাসপাতালে রেখে যান। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী কোনো এক ট্রেন থেকে চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে অজ্ঞান অবস্থায় ওই বৃদ্ধকে নামানো হয়েছে। এরপরই রেল পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রেনের মধ্যে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়তে পারেন অজ্ঞাত ওই বৃদ্ধ। এ বিষয়ে ডা. আব্দুল কাদের বলেন, ‘একজন বৃদ্ধকে রেল পুলিশের সদস্যরা জরুরি বিভাগে রেখে গেছেন। আমরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখেছি বৃদ্ধ মারা গেছেন।’
আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে
বেশ কয়েকদিন ধরেই তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা ও যশোরের ওপর দিয়ে।  বুধবার (১ মে) বিকেল ৩টায় এ দুই জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ২২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যা ছিল দেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। একইদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে রেকর্ড করা হয়, ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৭৩ সাল থেকে দেশের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ২০০৯ সালে যশোরে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছিল। চলতি মাসের ১২ এপ্রিল থেকে সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপদাহ। তীব্র তাপদাহের কারণে প্রশাসনের তরফ থেকে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগীর চাপ অস্বাভাবিকহারে বেড়ে গেছে। প্রচণ্ড তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সেই সঙ্গে বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। তাপদাহে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি বলেন, আজ দুপুর ১২টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং তখন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ। বিকেল ৩টায় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ বিষয়ে খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, দুপুর ৩টায় যশোর বিমান বাহিনীর আবহাওয়া দপ্তর যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ দিকে গত কয়েক দিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে যশোরের সাধারণ মানুষের জনজীবন। শহরে দিনে লোকজনের উপস্থিতি কমে গেছে। তবে তিন চাকার চালকরা রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মুজিব সড়ক, দড়াটানা মোড় থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন সড়কে তীব্র দাবদাহে প্রায় জনশূন্য দেখা গেছে। মানুষের উপস্থিতি যেমন কম, তেমনি যানবাহনের উপস্থিতিও কম। কিছু ইজিবাইক, রিকশা দেখা গেলেও যাত্রীর অপেক্ষায় মোড়ে মোড়ে বসে থাকতে দেখা গেছে চালকদের।
৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ মামলায় বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় সুন্নত আলী নামের এক ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা দর্শনা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত সুন্নত আলী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের মৃত পিরু মণ্ডলের ছেলে ও পেশায় মুদি দোকানদার। ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ভুক্তভোগী শিশুকে তার মা সুন্নত আলীর দোকান থেকে মোবাইলের রিচার্জ কার্ড (মিনিট কার্ড) কিনতে পাঠান। এ সময় বৃদ্ধ শিশুটিকে দোকানের মধ্যে নিয়ে তার যৌনাঙ্গে জোরপূর্বক আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেন। এতে শিশুটির যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে শিশুটি বাড়ি গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানালে তারা দ্রুত দর্শনা থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন। পরে পুলিশের সহায়তায় শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতেই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে দর্শনা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা। তিনি বলেন, শিশুটির পরিবার ধর্ষণ মামলা দায়ের করায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সরাসরি ধর্ষণ না হলেও যৌন চাহিদা পূরণ করতেই শিশুটির সঙ্গে এমন কাজ করেছেন তিনি। এ ছাড়া ধর্ষণ হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে আমরা চিকিৎসকের মতামত নেব। তদন্ত করে যেটা পাব সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফারহানা পলাশ বলেন, রাতেই ওই শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।
৩৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মরুভূমির মতো তাপমাত্রার পারদ যেন চুয়াডাঙ্গায় বেড়েই চলেছে। পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে জেলায় চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার (২৯ এপ্রিল) এ তাপমাত্রা রেকর্ড করার কথা জানানো হয়।  জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ মে এ জেলায় ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। সে হিসাবে ১০ বছর পর চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে আরেকটি রেকর্ড গড়ল। সরেজমিনে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টানা খরতাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে জনজীবন ওষ্ঠাগত। দিন-রাতের তাপমাত্রার পার্থক্যও থাকছে কম। দিনে প্রচণ্ড রোদ আর সন্ধ্যার পর ভ্যাপসা গরম নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবনে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। যারা বের হচ্ছেন, তাদের ছাতা মাথায় দেখা গেছে। এই তাপপ্রবাহে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর এবং ভ্যান ও রিকশা শ্রমিকেরা। গরমে ঘেমে অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন। এ দিকে তীব্র তাপদাহে মাঠের ফসলও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছে।  এদিকে আজকের তাপমাত্রার তথ্য নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ রকম তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে আরও দু’তিন দিন। আগামী দু’তিন দিন পর তাপমাত্রা কমতে পারে। তিনি আরও বলেন, ২০০২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাপমাত্রা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০০২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাপমাত্রা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০০২ সালের ২০ মে চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২০০৫ সালের ২ জুন রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৪ সালের ২১ মে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গতকাল এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ১৯৮৫ সালে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস স্থাপনের পর এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। সে অনুযায়ী গত ৩৯ বছরের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
নির্বাচন প্রভাবমুক্ত রাখতে পরিষ্কার বার্তা রয়েছে : ইসি হাবিব
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, এবারের নির্বাচন প্রভাবমুক্ত রাখতে সরকার এবং রাজনৈতিক দল থেকে পরিষ্কার বার্তা রয়েছে। তবুও দলীয় লোকজন ও স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর কেউ কেউ সে নির্দেশনা কি মানছে! কেমন করে একটি দলের সভানেত্রী ও সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করছেন তা আমার বোধগম্য নয়।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১টায় চার জেলার সমন্বয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনী আচরণবিধি ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। স্থানীয় নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের প্রভাবমুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনার কি ব্যবস্থা নিতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, নিজেদের সম্মান নিজেদের রক্ষা করতে হবে। দলের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা উচিত। তবে ভোটাররা প্রভাবিত না হলে কোনো প্রভাবই কাজে লাগবে না। এবারের নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দিতে বাধাগ্রস্ত করলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল হবে। প্রার্থীদের ব্যাপারে ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, আমাদের কাছে প্রার্থীর মধ্যে কোনো হাইভোল্টেজ কিংবা লোভোল্টেজ নেই। ভোটের দিন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার চেষ্টা করা হলেই তা নির্মূল করা হবে। কোনো ভোল্টেজ দিয়ে কাজ হবে না। জনগণকে ভালোবাসতে হবে তাদের কাছে ভোট চাইতে হবে, তবেই ভোট পাওয়া যাবে। এ সময় সাংবাদিকরা বিনা বাধায় ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন, সংবাদ সংগ্রহ করতে পারবেন। এতে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ইসি হাবিব। নির্বাচনী আচরণবিধি ও মতবিনিময়সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হোসেন, পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আজীম উল আহসান, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা ও পুলিশ সুপার এ এইচ এম আব্দুর রকিবসহ চার জেলার নির্বাচন গ্রহণকারী কর্মকর্তা ও প্রার্থীরা।
সব রেকর্ড ভেঙে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
অব্যাহত অতি তীব্র তাপদাহে স্বস্তি নেই চুয়াডাঙ্গায়। সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এখানকার জনপদ। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। এরই মাঝে আজ মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুই দিন এমন অবস্থা বিরাজ করতে পারে।  এ দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দুপুর থেকেই মরুভূমির মতো তাপ অনুভূত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে। চলমান তাপদাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন শ্রমজীবীরা। তীব্র তাপদাহে নষ্ট হচ্ছে ধান, ভুট্টা, কলা, আম, লিচুসহ মৌসুমি ফসল।