• ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১
logo
চাঁদপুর সদর চান্দ্রা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সম্মেলন
রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশ্বাসঘাতকতার ধ্বনি শোনা যাচ্ছে: গোলাম পরওয়ার
রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশ্বাস ঘাতকতার ধ্বনিও শোনা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।  শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা অডিটেরিয়ামে আয়োজিত জেলা রুকন সম্মেলন উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। চক্রান্ত রুখে দিতে দেশপ্রেমিক জনগণ, সেনাবাহিনী এবং ছাত্র জনতাকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশে নতুন চক্রান্ত চলছে। রাজনীতিতে নানান খেলা চলছে। অনেকে আওয়ামী অপশক্তির সঙ্গে রং-রস আর আপোষের কথা বলছেন, অথচ এখনো শহীদদের মায়েদের চোখের পানি শুকায়নি, রক্ত শুকায়নি।  তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশ গঠনে নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। বর্তমান সরকারকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। ফুলকোর্ট আদালত বসিয়ে, আনসার কাণ্ড ঘটিয়ে, সাম্প্রদায়িক হানাহানির অপচেষ্টা করে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে ফ্যাসিবাদিরা। শেখ হাসিনার কড়া সমালোচনা করে সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, তিনি বাইরে বসে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। নানান অডিও-ভিডিও দিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। কখনো বলা যাচ্ছে, যেকোন সময় দেশে ঢুকে পড়বে আবার কখনো বলছে ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ সারতে হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রসঙ্গে জামায়াত নেতা আরও বলেন, ‘এমন হত্যা, নারকীয় তাণ্ডব চালানো নিষ্ঠুর বর্বর খুনি শাসককে দেশের মানুষ আর ক্ষমতায় বসতে দেবে না। তাদের রাজনীতি আর নির্বাচনে আসার নৈতিক অধিকার নেই। আওয়ামী লীগ শুধু ফ্যাসিস্টই নয়, স্যাডিস্ট। হাসিনা যে অপরাধ করেছেন তা শুধু ফ্যাসিস্ট বলে কভার করা যায় না। তিনি স্যাডিস্টও। কারণ তিনি মানুষের দুঃখ, কষ্ট, বেদনা, খুন, গুম দেখে উপভোগ করেছেন। সকল খুনের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনাই ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম স্যাডিস্ট।’ চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসাইন, অঞ্চল টিম সদস্য মনোয়ার হোসেন, ড. আলমগীর বিশ্বাস ও মেহেরপুর জেলা আমির তাজ উদ্দীন খাঁন।  উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আজিজুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান। আরটিভি/এমকে
চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী, বৃদ্ধার মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ২ মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, যুবক নিহত
চুয়াডাঙ্গায় ২ সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
চুয়াডাঙ্গায় কৃষককে গলাকেটে হত্যা
বিয়ের আসরে দেনমোহর নিয়ে ঝগড়া, গণপিটুনির শিকার বর
চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের আসরে দেনমোহর নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে স্ত্রীকে তালাক দিতে চাওয়ায় গণপিটুনির শিকার হয়েছেন এক প্রবাসী বর। শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে শোলগাড়ি গ্রামের কনের বাড়িতে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।  তবে এ ঘটনায় ছেলে ও মেয়ে পক্ষের কেউই কথা বলতে রাজি হননি। জানা যায়, দেনমোহরের অর্থ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে দর-কষাকষি নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বরকে উদ্ধার করে থানায় নেয়। সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের শোলগাড়ি গ্রামে বিয়ে করতে গিয়ে এমন বিপাকে পড়েন পার্শ্ববর্তী আলমডাঙ্গা উপজেলার হাড়গাড়ি গ্রামের প্রবাসী রফিকুল ইসলাম। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন। তিনি বলেন, ‘এখন এসব নিয়ে আর কথা না বলি ভাই। এখানকার ঝামেলা মিটমাট হয়ে গেছে।’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাড়গাড়ী গ্রামের আশরাফুল মালিথার ছেলে প্রবাসী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের শোলগাড়ী গ্রামের এক নারীর বিয়ে হয়। প্রবাসী বর দেশে ফিরে আসার পর শুক্রবার বিয়ের আনুষ্ঠানিক আয়োজন চলছিল। কথা ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেনমোহরের বিনিময়ে সম্পন্ন হবে কাবিন। কিন্তু এতে বাধ সাধে বরপক্ষের লোকজন। তাদের দাবি, ৫ হাজার টাকায় হবে দেনমোহর। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে চলে দর-কষাকষি ও কথা-কাটাকাটি। একপর্যায়ে বর রফিকুল বলে বলেন, ‘দরকার হলে দেড় লাখ টাকা দিয়েই কাবিন করব, কিন্তু আজই টাকা পরিশোধ করে বউ তালাক দিয়ে যাবো।’ এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কনেপক্ষের লোকজন। একপর্যায়ে গণপিটুনির শিকার হন বর রফিকুল ইসলাম। পরে ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বরপক্ষকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শনিবার (১ জুন) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক রাজীব। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে বর ও তার স্বজনদের থানায় নেওয়া হয়। পরে রাতে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তারা নিজেরাই মীমাংসা করে নিয়েছেন।’
চুয়াডাঙ্গায় রেলস্টেশনে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের (৬৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত ৩টার দিকে রেল ফাঁড়ি পুলিশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই বৃদ্ধকে মৃত ঘোষণা করেন। বুধবার (২৯ মে) সকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের। রেল ফাঁড়ি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অজ্ঞাত ওই বৃদ্ধের গায়ে ক্রিম কালারের ফতুয়া এবং ঘিয়ে কালারের চেক লুঙ্গী রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা রেল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য মফিজুল সঙ্গীয় ফোর্সসহ তাকে হাসপাতালে রেখে যান। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী কোনো এক ট্রেন থেকে চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে অজ্ঞান অবস্থায় ওই বৃদ্ধকে নামানো হয়েছে। এরপরই রেল পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রেনের মধ্যে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়তে পারেন অজ্ঞাত ওই বৃদ্ধ। এ বিষয়ে ডা. আব্দুল কাদের বলেন, ‘একজন বৃদ্ধকে রেল পুলিশের সদস্যরা জরুরি বিভাগে রেখে গেছেন। আমরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখেছি বৃদ্ধ মারা গেছেন।’
আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে
বেশ কয়েকদিন ধরেই তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা ও যশোরের ওপর দিয়ে।  বুধবার (১ মে) বিকেল ৩টায় এ দুই জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ২২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যা ছিল দেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। একইদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে রেকর্ড করা হয়, ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৭৩ সাল থেকে দেশের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ২০০৯ সালে যশোরে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছিল। চলতি মাসের ১২ এপ্রিল থেকে সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপদাহ। তীব্র তাপদাহের কারণে প্রশাসনের তরফ থেকে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগীর চাপ অস্বাভাবিকহারে বেড়ে গেছে। প্রচণ্ড তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সেই সঙ্গে বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। তাপদাহে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি বলেন, আজ দুপুর ১২টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং তখন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ। বিকেল ৩টায় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ বিষয়ে খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, দুপুর ৩টায় যশোর বিমান বাহিনীর আবহাওয়া দপ্তর যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ দিকে গত কয়েক দিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে যশোরের সাধারণ মানুষের জনজীবন। শহরে দিনে লোকজনের উপস্থিতি কমে গেছে। তবে তিন চাকার চালকরা রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মুজিব সড়ক, দড়াটানা মোড় থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন সড়কে তীব্র দাবদাহে প্রায় জনশূন্য দেখা গেছে। মানুষের উপস্থিতি যেমন কম, তেমনি যানবাহনের উপস্থিতিও কম। কিছু ইজিবাইক, রিকশা দেখা গেলেও যাত্রীর অপেক্ষায় মোড়ে মোড়ে বসে থাকতে দেখা গেছে চালকদের।
৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ মামলায় বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় সুন্নত আলী নামের এক ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা দর্শনা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত সুন্নত আলী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের মৃত পিরু মণ্ডলের ছেলে ও পেশায় মুদি দোকানদার। ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ভুক্তভোগী শিশুকে তার মা সুন্নত আলীর দোকান থেকে মোবাইলের রিচার্জ কার্ড (মিনিট কার্ড) কিনতে পাঠান। এ সময় বৃদ্ধ শিশুটিকে দোকানের মধ্যে নিয়ে তার যৌনাঙ্গে জোরপূর্বক আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেন। এতে শিশুটির যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে শিশুটি বাড়ি গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানালে তারা দ্রুত দর্শনা থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন। পরে পুলিশের সহায়তায় শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতেই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে দর্শনা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা। তিনি বলেন, শিশুটির পরিবার ধর্ষণ মামলা দায়ের করায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সরাসরি ধর্ষণ না হলেও যৌন চাহিদা পূরণ করতেই শিশুটির সঙ্গে এমন কাজ করেছেন তিনি। এ ছাড়া ধর্ষণ হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে আমরা চিকিৎসকের মতামত নেব। তদন্ত করে যেটা পাব সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফারহানা পলাশ বলেন, রাতেই ওই শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।
৩৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মরুভূমির মতো তাপমাত্রার পারদ যেন চুয়াডাঙ্গায় বেড়েই চলেছে। পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে জেলায় চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার (২৯ এপ্রিল) এ তাপমাত্রা রেকর্ড করার কথা জানানো হয়।  জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ মে এ জেলায় ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। সে হিসাবে ১০ বছর পর চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে আরেকটি রেকর্ড গড়ল। সরেজমিনে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টানা খরতাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে জনজীবন ওষ্ঠাগত। দিন-রাতের তাপমাত্রার পার্থক্যও থাকছে কম। দিনে প্রচণ্ড রোদ আর সন্ধ্যার পর ভ্যাপসা গরম নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবনে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। যারা বের হচ্ছেন, তাদের ছাতা মাথায় দেখা গেছে। এই তাপপ্রবাহে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর এবং ভ্যান ও রিকশা শ্রমিকেরা। গরমে ঘেমে অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন। এ দিকে তীব্র তাপদাহে মাঠের ফসলও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছে।  এদিকে আজকের তাপমাত্রার তথ্য নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ রকম তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে আরও দু’তিন দিন। আগামী দু’তিন দিন পর তাপমাত্রা কমতে পারে। তিনি আরও বলেন, ২০০২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাপমাত্রা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০০২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাপমাত্রা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০০২ সালের ২০ মে চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২০০৫ সালের ২ জুন রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৪ সালের ২১ মে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গতকাল এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ১৯৮৫ সালে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস স্থাপনের পর এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। সে অনুযায়ী গত ৩৯ বছরের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
নির্বাচন প্রভাবমুক্ত রাখতে পরিষ্কার বার্তা রয়েছে : ইসি হাবিব
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, এবারের নির্বাচন প্রভাবমুক্ত রাখতে সরকার এবং রাজনৈতিক দল থেকে পরিষ্কার বার্তা রয়েছে। তবুও দলীয় লোকজন ও স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর কেউ কেউ সে নির্দেশনা কি মানছে! কেমন করে একটি দলের সভানেত্রী ও সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করছেন তা আমার বোধগম্য নয়।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১টায় চার জেলার সমন্বয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনী আচরণবিধি ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। স্থানীয় নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের প্রভাবমুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনার কি ব্যবস্থা নিতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, নিজেদের সম্মান নিজেদের রক্ষা করতে হবে। দলের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা উচিত। তবে ভোটাররা প্রভাবিত না হলে কোনো প্রভাবই কাজে লাগবে না। এবারের নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দিতে বাধাগ্রস্ত করলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল হবে। প্রার্থীদের ব্যাপারে ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, আমাদের কাছে প্রার্থীর মধ্যে কোনো হাইভোল্টেজ কিংবা লোভোল্টেজ নেই। ভোটের দিন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার চেষ্টা করা হলেই তা নির্মূল করা হবে। কোনো ভোল্টেজ দিয়ে কাজ হবে না। জনগণকে ভালোবাসতে হবে তাদের কাছে ভোট চাইতে হবে, তবেই ভোট পাওয়া যাবে। এ সময় সাংবাদিকরা বিনা বাধায় ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন, সংবাদ সংগ্রহ করতে পারবেন। এতে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ইসি হাবিব। নির্বাচনী আচরণবিধি ও মতবিনিময়সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হোসেন, পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আজীম উল আহসান, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা ও পুলিশ সুপার এ এইচ এম আব্দুর রকিবসহ চার জেলার নির্বাচন গ্রহণকারী কর্মকর্তা ও প্রার্থীরা।