• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১
logo
জামালপুরের মাদারগঞ্জে জামাই মেলায় মানুষের ঢল
ঐতিহাসিক ধানুয়া কামালপুর হানাদারমুক্ত দিবস আজ
আজ ৪ ডিসেম্বর, ঐতিহাসিক ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে আজকের দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটি কামালপুর দুর্গের পতন হয়। তাই দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছরই স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা হানাদারমুক্ত দিবস পালন করে আসছে।  বুধবার (৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের আয়োজনে দিবসটি উদযাপনে নানা কর্মসূচি পালিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জামালপুর জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম।  স্থানীয় সূত্র ও ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলার মহেন্দ্রগঞ্জ ও জামালপুর জেলার পাহাড় ঘেঁষা বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুরে হানাদার বাহিনী যুদ্ধের শুরু থেকেই শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল। এখান থেকেই হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলা চালায়। উত্তর রণাঙ্গনের ১১ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল যেকোনো মূল্যে এই ঘাঁটি দখল করা। এই যুদ্ধে কামালপুর রণাঙ্গনে হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের ৮ দফা সম্মুখ যুদ্ধ হয়। ৩১ জুলাইয়ের আগে ধানুয়া কামালপুর রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন জেড ফোর্স। জেড ফোর্সের অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান পাক বাহিনীর সঙ্গে মোকাবিলা করেন। তৎকালীন ৩১ জুলাই সম্মুখ যুদ্ধে পাক বাহিনীর গুলিতে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ বীর উত্তম শাহাদাত বরণ করেন। ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ শহীদ হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধারা সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু তাহেরের (পরে কর্নেল) পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৪ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর ধানুয়া কামালপুর ঘাঁটি অবরোধ করেন। অবরোধের প্রথম দিনই কামালপুর মৃধাপাড়া মোড়ে সম্মুখযুদ্ধে মর্টার শেলের আঘাতে সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু তাহের (পরে কর্নেল) একটি পা হারান। যুদ্ধে পা হারানোর পরও কর্নেল তাহেরের নির্দেশে প্রাণপণ যুদ্ধ চালিয়ে যান মুক্তিযোদ্ধারা। পরে ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব নেন উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহ খান বীরপ্রতীক। ১০ দিন প্রচন্ড যুদ্ধের পর ৪ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় সেক্টর কমান্ডারের নিদের্শক্রমে সাহসী বীরমুক্তিযোদ্ধা বশির আহমেদ (বীরপ্রতীক) নিজের জীবন বাজি রেখে পাক বাহিনীর ক্যাম্পে সারেন্ডার পত্র নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যা ৭টায় ৩১ ব্যালুচ রেজিমেন্টের গ্যারিসন কমান্ডার আহসান মালিকসহ ১৬২ জন হানাদার বাহিনীর সদস্য মিত্র বাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করে। এর মাধ্যমে শত্রু মুক্ত হয় ধানুয়া কামালপুর। মহান মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হয় এই ধানুয়া কামালপুরে।  ধানুয়া কামালপুর যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ (বীর উত্তম), মুক্তিযোদ্ধা গাজী আহাদুজ্জামান, তসলিম উদ্দিন সহ শহীদ হন ১৯৭ জন মুক্তিযোদ্ধা। গুলিবিদ্ধ হয়ে ক্যাপ্টেন হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বীর বিক্রম (সাবেকমন্ত্রী মেজর হাফিজ) সহ অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেন। অন্যদিকে একজন ক্যাপ্টেনসহ হানাদার বাহিনীর ২২০ জন সৈন্য মারা যায় এ যুদ্ধে। ধানুয়া কামালপুর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ২৯ জনকে তাদের বীরত্বের জন্য বীর বিক্রম, বীরউত্তম ও বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়া হয়। শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণে তৎকালীন বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) নিজস্ব অর্থায়নে ধানুয়া কামালপুর স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণে নির্মাণ করা হয়েছে ধানুয়া কামালপুর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। প্রতিদিন শত শত মানুষ এই জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি ও প্রামাণ্যচিত্র দেখতে আসেন। ডিসেম্বর মাস এলেই মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলায় পরিণত হয় মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টর ধানুয়া কামালপুর । 
জামালপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
ছাগল চুরি করে পালাতে গিয়ে ডিবির গাড়িতে ধাক্কা, অতঃপর...
জামালপুরের সেই যুবদল নেতাকে শোকজ
জামালপুরে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ  
সেনাসদস্যের স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, মূলহোতা গ্রেপ্তার
জামালপুরের মেলান্দহে এক সেনাসদস্যের স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলা দায়েরের ২৯ দিন পর মূলহোতা রাসেল খানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব। গ্রেপ্তার রাসেল খান মেলান্দহ থানার সুলতান খালি গ্রামের বাবুল খানের ছেলে।   র‌্যাব-১৪ সিপিসি-১ জামালপুর ক্যাম্পের পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলার মেলান্দহ উপজেলার দুরমুট এলাকায় একাই বসবাস করতেন সেনা সদস্য আব্দুল সালামের স্ত্রী শাহিদা আক্তার। গত ১১ সেপ্টেম্বর সকালে নিজ ঘরে শাহিনা আক্তারকে চোখ, হাত-পা বাঁধা মৃত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, ডাকাতি করতে এসে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর দিন নিহতের ভাই মুঞ্জুরুল ইসলাম মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ছায়া তদন্তে ও গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে ঘটনার ২৯ দিন পর গত রাতে সদর থানার পলাশীগর থেকে আসামি রাসেল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়৷   এ বিষয়ে র‌্যাব-১৪ সিপিসি-২ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হাই চৌধুরী বলেন, ‘আসামিকে জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ আরটিভি/এমকে
নারী চিকিৎসককে মারধর, জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে আল্টিমেটাম
জামালপুরের বকশীগঞ্জ হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আজিজুল হক। শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্যকালে তিনি এ আল্টিমেটাম দেন। এ সময় তিনি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নারী চিকিৎসক ডা. আছমা লাবনীর ওপর হামলা ও মারধরকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে জেলার হাসপাতালগুলোতে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন। এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, চিকিৎসকরা যদি নিরাপত্তা না পায় তাহলে তারা কীভাবে মানুষের সেবা দেবেন। তাই প্রথমে কর্মস্থলে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।  অবস্থান কর্মসূচিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল চিকিৎক ও কর্মচারীরা অংশ নেন। উল্লেখ্য, সোমবার (২৮ অক্টোবর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিরত রিকশাচালক পৌর এলাকার চরকাউরিয়া সীমারপাড় গ্রামের বাসু মিয়ার ছেলে রজব আলীর চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে আরএমও ডা. আসমা লাবনীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং তাকে মারধর করেন। নারী চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে ৮ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আজিজুল হক। আরটিভি/এএএ/এসএ
সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জামালপুরে হামলার ঘটনায় সাবেক মুখ্য সচিব ও জামালপুর-৫ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের নামে অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের ১০ নেতার নাম উল্লেখসহ ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে জামালপুর সদর থানার ওসি আবু ফয়সাল মো. আতিক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, শুক্রবার (১ নভেম্বর) সদর থানায় জামালপুর জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি শাহাদত হোসেন সাগর বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, জামালপুর শহরের বেলটিয়া এলাকার সফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, পৌরসভার সাবেক মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারহান আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বি, পাথালিয়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে রেজুয়ান রাজন, মেলান্দহ উপজেলার চরশুকনা গ্রামের মোকলেছুর রহমান, একই এলাকার মুকলেছুর রহমানের ছেলে সাইফুল্লা ইসলাম ও পৌর শহরের পাথালিয়া এলাকার সাকিবুল আহসান।  মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ আগস্ট জামালপুর শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সাধারণ ছাত্র-জনতা একটি র‌্যালি বের করে। র‌্যালিটি মির্জা আজম চত্বর প্রদক্ষিণ করে শহরের নতুন হাইস্কুলে মোড় অতিক্রম করার সময় আওয়ামী লীগসহ তার অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আহত হন। এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ওসি আবু ফয়সাল মো. আতিক বলেন, গত ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে শাহাদাত হোসেন সাগর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।  আরটিভি/আইএম/এসএ
স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
জামালপুরে স্ত্রীকে শাসরোধ করে হত্যার দায়ে তার স্বামীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।  বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) জেলা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এই দণ্ডাদেশ দেন।  মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী আহসান হাবীব ইসলামপুর উপজেলার রাজনগর এলাকার মৃত আজাহার আলীর ছেলে ও নিহত স্ত্রী তিথি বেগম দেওয়ানগঞ্জের চিকাজানী গ্রামের মো. এনু শেখের মেয়ে। এ বিষয়ে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী শাহ মো. এনায়েত হোসেন বলেন, ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল রাতে ইসলামপুর উপজেলার রাজনগর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে আহসান হাবীব তার স্ত্রী তিথি বেগমকে যৌতুকের দাবিতে মারধর করে ও এক পর্যায়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এই ঘটনার পরের দিন তিথির মামা আব্বাস আলী ফরাজী ইসলামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  তিনি আরও বলেন, আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে সন্দেহাতীতভাবে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় বিচার প্রক্রিয়া শেষে আসামি আহসান হাবীবের উপস্থিতিতে আজ রায় প্রদান করা হয়। রায়ে আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন বিচারক।    আরটিভি/আইএম
চিকিৎসককে মারধরে কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে রোগীরা
জামালপুরের বকশীগঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় রজব আলী (৪৫) নামে এক রিকশাচালকের মৃত্যুর অভিযোগে এক চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভর্তিরত রোগীরা। এ ছাড়াও আগত রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে অন্যত্র ফিরে যাচ্ছেন। জানা যায়, সোমবার বিকাল ৫টার দিকে বুকে ব্যথা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন রিকশাচালক। তিনি পৌর এলাকার চরকাউরিয়া সীমারপাড় গ্রামের বাসু মিয়ার ছেলে রজব আলী। এর কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হলে রজব আলীর স্বজন ও স্থানীয় এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠে। এ সময় রজব আলীর স্বজন ও তাদের লোকজন হাসপাতালে আরএমও ডা. আসমা লাবনীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং তাকে মারধর করেন। মৃত রজব আলীর ছেলে নুর আলম জানান, আমার বাবার অবস্থা খারাপের দিকে গেলে কর্তব্যরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসমা লাবনীকে ডাকা হলে তিনি আসেন নি। এক পর্যায়ে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এ ব্যাপারে আরএমও ডা. আসমা লাবনী বলেন, রোগীর অবস্থা আগে থেকে খারাপ থাকায় তাকে রেফার্ড করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু রোগীর স্বজনরা আর্থিক সংকটের কথা বলে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখানে রোগীর চিকিৎসায় কোন অবহেলা হয়নি। এ দিকে হাসপাতালের চিকিৎসককে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে অর্নিদিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মরত সকল চিকিৎসক ও সিনিয়র স্টাফ নার্স এবং কর্মচারীরা। হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তারা দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।   হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীরা জানান, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। চিকিৎসক কর্মচারীরা কর্মস্থলে নিরাপত্তা না পেলে তারা কিভাবে কাজ করবেন। তাই দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, একজন নারী চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় আমরা বসে থাকতে পারি না। আমাদের দাবি মানা না হলে কর্মবিরতি চলতেই থাকবে। আমরা এ ঘটনায় মামলা দায়ের করব। বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, সোমবার হাসপাতালের চিকিৎসকের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরটিভি/এমকে-টি
মার্কায় ভোট হবে, ব্যক্তিতে নয়: ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, মার্কায় ভোট হবে, ব্যক্তিতে নয়। তাহলে কোটি কোটি টাকার মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হবে। পেশীশক্তি বন্ধ হবে, কালো টাকার ছড়াছড়ি থাকবে না। যে মার্কা যত পার্সেন্ট ভোট পাবে, ওই দল সেই পরিমাণে সদস্য সংসদে পাঠাবে। সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে জামালপুর শহরের ফৌজদারি মোড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জামালপুর জেলা শাখা আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ফয়জুল করীম বলেন, ৯৮ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লুটপাট করা হয়েছে। ৫৩ বছর পর্যন্ত কোনো গরিব ধনী হয়নি, ধনীরা ধনী হয়েছে। যাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি তারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। তিনি বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে, চুরি, ডাকাতি, দখলদারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আবার গুন্ডামি, চাঁদাবাজি, অত্যাচার, অনাচার আবার মিথ্যা মামলা। এটা দেখার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি নাহিদ খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ ইউনুস আহমেদ, সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা কামাল, সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদ সিরাজী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আরটিভি/আইএম-টি