• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
নারী চিকিৎসককে মারধর, জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে আল্টিমেটাম
চিকিৎসককে মারধরে কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে রোগীরা
জামালপুরের বকশীগঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় রজব আলী (৪৫) নামে এক রিকশাচালকের মৃত্যুর অভিযোগে এক চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভর্তিরত রোগীরা। এ ছাড়াও আগত রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে অন্যত্র ফিরে যাচ্ছেন। জানা যায়, সোমবার বিকাল ৫টার দিকে বুকে ব্যথা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন রিকশাচালক। তিনি পৌর এলাকার চরকাউরিয়া সীমারপাড় গ্রামের বাসু মিয়ার ছেলে রজব আলী। এর কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হলে রজব আলীর স্বজন ও স্থানীয় এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠে। এ সময় রজব আলীর স্বজন ও তাদের লোকজন হাসপাতালে আরএমও ডা. আসমা লাবনীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং তাকে মারধর করেন। মৃত রজব আলীর ছেলে নুর আলম জানান, আমার বাবার অবস্থা খারাপের দিকে গেলে কর্তব্যরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসমা লাবনীকে ডাকা হলে তিনি আসেন নি। এক পর্যায়ে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এ ব্যাপারে আরএমও ডা. আসমা লাবনী বলেন, রোগীর অবস্থা আগে থেকে খারাপ থাকায় তাকে রেফার্ড করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু রোগীর স্বজনরা আর্থিক সংকটের কথা বলে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখানে রোগীর চিকিৎসায় কোন অবহেলা হয়নি। এ দিকে হাসপাতালের চিকিৎসককে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে অর্নিদিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মরত সকল চিকিৎসক ও সিনিয়র স্টাফ নার্স এবং কর্মচারীরা। হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তারা দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।   হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীরা জানান, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। চিকিৎসক কর্মচারীরা কর্মস্থলে নিরাপত্তা না পেলে তারা কিভাবে কাজ করবেন। তাই দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, একজন নারী চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় আমরা বসে থাকতে পারি না। আমাদের দাবি মানা না হলে কর্মবিরতি চলতেই থাকবে। আমরা এ ঘটনায় মামলা দায়ের করব। বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, সোমবার হাসপাতালের চিকিৎসকের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরটিভি/এমকে-টি
বকশীগঞ্জে নাশকতার মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
বকশীগঞ্জে তীব্র লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন
গরু বোঝাই ভটভটি উল্টে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ২ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
বকশীগঞ্জ সীমান্ত থেকে গভীর রাতে ২১ বাংলাদেশিকে আটক  
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের দীঘলা কোনা পাহাড়ি এলাকা থেকে ২১ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে কর্তব্যরত আনসার ভিডিপির সদস্যরা তাদের আটক করেন। শনিবার (১০ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাতানী পাড়া বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার খন্দকার সাইফুল ইসলাম। জানা যায়, বকশীগঞ্জ সীমান্তবর্তী ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের দিঘলা কোনা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সাধু আন্দ্রে ধর্মপল্লীর পাহারা দিচ্ছিলেন ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন আনসার ভিডিপির সদস্যরা। ওই রাতে দীঘলা কোনা এলাকায় পাহাড় দিয়ে কিছুসংখ্যক ব্যক্তি ঘুরাঘুরি করতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। পরে ২১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতীয় সীমান্তের কাছ থেকে তাদের আটক করা হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণে রাতেই স্থানীয় সাতানী পাড়া বিজিবি ক্যাম্পে তাদের রাখা হয়। আটককৃতরা বকশীগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে এ সীমান্তে এসেছিলেন। সাতানী পাড়া বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার খন্দকার সাইফুল ইসলাম বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা গভীর রাতে কেন সীমান্তে গিয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন আনসার ভিডিপির দলনেত্রী নূরজাহান বেগম অঞ্জলী বলেন, গভীর রাতে নোম্যান্স ল্যান্ডের কাছাকাছি ঘুরাঘুরি করতে দেখে আমরা তাদের আটক করি এবং বিজিবির ক্যাম্পে রাখি। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।  দেশের চলমান পরিস্থিতির মধ্যে জামালপুরের বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে কারো অনুপ্রবেশ না ঘটে সেদিকে নজরদারি বাড়াতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
অটোভ্যানের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
জামালপুরের বকশীগঞ্জে অটোভ্যানের চাকার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে হাজেরা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২২ জুন) বিকেল ৩টার দিকে বাট্টাজোড় ইউনিয়নের বাট্টাজোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  হাজেরা বেগম বাট্টাজোড় পশ্চিম পাড়া তালুকবাড়ির মোয়াজ্জেম হোসেন জজ তালুকদারের স্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে শ্রীবরদী উপজেলার মেয়ে জামাই বাড়ি থেকে অটোভ্যানে চড়ে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন হাজেরা বেগম। তিনি অটোভ্যানে করে চন্দ্রাবাজ এলাকায় পৌঁছালে অসাবধানতাবশত হাজেরা বেগমের ওড়না চলন্ত অটোভ্যানের চাকার সঙ্গে পেঁচিয়ে গেলে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। এ সময় আহত অবস্থায় দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বকশীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় সাহা বলেন, ‘চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বকশীগঞ্জে বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, দেখা দিয়েছে নদীভাঙন
জামালপুরের বকশীগঞ্জে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে বকশীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুদিন থেকে বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া, মেরুরচর ও বগারচর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ, দশানী নদী ও জিঞ্জিরাম নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চর গাজীরপাড়া, কতুবের চর, শেকপাড়া, মদনের চর, চর কামালের বার্ত্তী, চর আইরমারী, আইরমারী, তালতলা গ্রাম, মেরুরচর ইউনিয়নের খেওয়ারচর, চিনারচর, পূর্ব কলকিহারা, উজান কলকিহারা, ভাটি কলকিহারা, মাইছানিরচর ও মাদারেরচর এলাকার নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি আইরমারী খান পাড়া, কতুবের চর, বাংগালপাড়া, পূর্ব কলকিহারা এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙনের ফলে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কুতুবের চর জামে মসজিদ, বসতভিটা, ফসলি জমি, গ্রামীণ রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও কুতুবের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হুমকির মুখে রয়েছে। নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় বিলীন হতে পারে এই বিদ্যালয়টি। বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মজনুর রহমান বলেন, ‘কিছু এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। কুতুবের চর গ্রামে নদী ভাঙনের শিকার পরিবারের তালিকা চাওয়া হয়েছে। নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোকে সহযোগিতা করা হবে।’ বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অহনা জিন্নাত বলেন, ‘কুতুবের চর গ্রামে নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ৫০০ জিও ব্যাগ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আজ-কালের মধ্যেই ভাঙন কবলিত জায়গায় জিও ব্যাগগুলো ফেলা হবে।’
২৭ বছর পর বাড়ি ফিরলেন হারিয়ে যাওয়া শাহীদা
ঢাকার উত্তরায় ৭ বছর বয়সে হারিয়ে ২৭ বছর পর নিজ বাড়ি জামালপুরের বকশীগঞ্জে ফিরলেন শাহীদা বেগম নামে পোশাককর্মী। নানা সংগ্রামের মধ্যদিয়ে জীবন পার করা শাহীদা বাড়িতে ফিরলেও দেখা পাননি বাবা-মার। ৪ বছর আগে বাবা-মা মারা গেলেও শাহীদার সঙ্গে দেখা মিলেছে তার বড় বোন খালেদা বেগমের। দুই বোনের সাক্ষাৎ হওয়ায় যেন নতুন পৃথিবীর সন্ধান পায় বাবা-মা হারা শাহীদা বেগম। ২৭ বছর পর স্বজনদের সঙ্গে দেখা হওয়ায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন শাহীদা বেগম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলাখিয়া ইউনিয়নের দিকপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম খলিল ১৯৯৭ সালে জীবিকার তাগিদে স্ত্রী, তিন কন্যা ও এক ছেলেকে নিয়ে পাড়ি জমায় রাজধানী ঢাকায়। ঠাঁই হয় ঢাকার উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে। সেখানে তার সেজো মেয়ে শাহীদা বেগমও জীবিকার তাগিদে লাকড়ি সংগ্রহের কাজ করতেন। একদিন সকালে লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে হারিয়ে যান সাত বছরের শাহীদা। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি শাহীদাকে।  এরই মধ্যে ঘটে গেছে শাহীদার জীবনে নানান ঘটনা। প্রথমে কুমিল্লা পরে নারায়ণগঞ্জে এক ফায়ার কর্মীর বাসায় গৃহকর্মীর কাজ পান ছোট্ট শাহীদা। সেই থেকে নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে চলছে তার জীবন। এরমধ্যেই গাজীপুরের কালীগঞ্জের রাজমিস্ত্রি সেলিম মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শাহীদার। এই অবস্থায় কেটে গেছে শাহীদার জীবনের ২৭টি বছর। শাহীদা বেগম বারবার তার নিজ ভূমিতে ফেরার চেষ্টা করলেও ঠিকানা ও কারও পরিচয় না-জানার কারণে ফেরা সম্ভব হয়নি। তবে নিজ গ্রাম দিকপাড়া ও থানার নাম বকশীগঞ্জ মুখস্থ থাকায় সেই ভরসা নিয়েই ১৪ এপ্রিল ঢাকা থেকে স্বামী ও একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে রওনা দেন বকশীগঞ্জের উদ্দেশে।   অবশেষে বকশীগঞ্জ শহরে পৌঁছে বিভিন্ন মানুষের সাহায্য নিয়ে খুঁজে বের করেন দিকপাড়া গ্রাম। অবশেষে বাড়ি ফিরলেও বাবা-মার সঙ্গে দেখা হয়নি তার। বাবা ইব্রাহিম খলিল ও মা ছাবেদা বেগম পরপারে চলে গেছেন আরও ৪ বছর আগে। বিষয়টি জানাজানি হলে পাশের গ্রাম বোলাকী পাড়া থেকে হারিয়ে যাওয়া বোনকে দেখতে ছুটে আসেন বড় বোন খালেদা বেগম। নিজ বাড়িতে কেউ না থাকায় খালেদার বাড়িতে অবস্থান নেন ২৭ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া শাহীদা। এ দিকে বাড়ির সন্ধান পাওয়া ও বড় বোন, দুলাভাই ও ভাগ্নেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। ২৭ বছর পর বাড়ি ফেরায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যেও খুশির আমেজ বিরাজ করছে। তারাও শাহীদাকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় করছেন তার বোনের বাড়ি বোলাকী পাড়ায়।   শাহীদার বড় বোন খালেদা বেগম বলেন, আমরা আমার এই বোনের আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। আবার তার সঙ্গে দেখা হবে, কথা হবে, তার হাত দুটো ধরতে পারব, তা ছিল কল্পনার অতীত। বাড়ি ফেরা শাহীদা বেগম বলেন, জীবনে কল্পনা করিনি আমি নতুন করে আমার বাড়ি ও আত্মীয় স্বজনদের খুঁজে পাব। ২৭ বছর পর ভাই, বোন, আত্মীয়স্বজনদের কাছে পেয়ে নতুন করে আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। মরার পর কবর দেওয়ার মতো মানুষ খুঁজে পেয়েছি এটাই জীবনের বড় পাওয়া। তবে আফসোস থেকে গেল বাবা-মাকে জীবিত দেখতে পারলাম না, এ জন্য।  
রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাক চাপায় আইনজীবী নিহত
জামালপুরের বকশীগঞ্জে রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকের চাপায় গোলাম মোস্তফা আজাদ (৬০) নামে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মালিবাগ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গোলাম মোস্তফা আজাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কামালপুর গ্রামের মৃত সোনা মিয়া চেয়ারম্যানের ছেলে। তিনি শেরপুর জেলা জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, পৌর শহরে ব্যক্তিগত কাজ শেষে পৌর শহরের উত্তর বাজার এলাকার নিজ বাসায় ফিরছিলেন আইনজীবী আজাদ। এসময় তিনি মালিবাগ মোড় পার হতে গেলে বিপরীত দিক আসা একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাকসহ চালক গোলাপ মিয়াকে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে আটক করেছেন। বকশীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান,  ট্রাকের চাপায় আইনজীবী নিহতের ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ঈদে স্ত্রীকে মাংস কিনে খাওয়াতে না পারায় চিঠি লিখে আত্মহত্যা
জামালপুরে ঈদের দিন স্ত্রীকে মাংস কিনে খাওয়াতে না পেরে স্বামী হাসান আলী (২৬) নামের এক যুবক চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে জেলার বকশিগঞ্জে উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের বান্দের পাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাজমিস্ত্রী রহাসান আলী ওই এলাকার রহমত আলীর ছেলে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যান হাসান আলী। শুক্রবার স্ত্রী আফরোজা বেগমকে শ্বশুর বাড়ি থেকে আনার কথা ছিল। সকাল  ১১টা পর্যন্ত তিনি শ্বশুর বাড়িতে না যাওয়ায় আফরোজা বেগম নিজেই বাড়ি চলে এস দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। এ সময় ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে আফরোজা দেখেন তার স্বামী আড়ার সঙ্গে ঝুলছেন। তার চিৎকারকে স্থানীয় লোকজন এসে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেন। চিঠিতে হাসান আলী লিখেছে, ‘মা-বাবা তোমরা ক্ষমা করে দিও। আমি মরার পরে আমার বউ বাচ্চাকে দেখে রেখো। আমি জানি আমার বউ আমার সাথে রাগ করছে। ঈদে সবাই গুছ (গোস্ত) খাইছে, কিন্তু আমি বউকে গুছ খাওয়াইতে পারি নাই। আমি আমার বউয়ের মুখ ঈদের দিন বেজার (মন খারাপ) দেখছি। যদি পারো আমাকে ক্ষমা করে দিও। আফরোজাকে আমি অনেক ভালবাসি, তাকে ও আমার সন্তানকে দেখে রেখো। স্ত্রীর উদ্দেশে তিনি লেখেন, আফরোজা তোমার জীবন স্বাধীন করে দিলাম। তোমার জীবনে কেউ নাই। বকশিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, পরিবারের আপত্তি না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।