• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
নেত্রকোণায় মায়ের ওপর অভিমান করে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
কেন্দুয়ায় বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌরশহরের বাজারে একটি দোকান ঘরের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু'পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে।   এতে উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। আহতরা কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।  সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কেন্দুয়া মধ্য বাজারে থাকা সোহেল আমিন নামে এক ব্যক্তির একটি দোকান ঘরের জায়গা বুধবার রাতে দখল করতে যান পৌরশহরের দিগদাইর গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা যুবদল নেতা নাসির খন্দকারের বড় ভাই আল আমিন। একই সময় সোহেল আমিনের পক্ষ নিয়ে ওই জায়গাটি দখলদারদের কাছ থেকে রক্ষা করতে যান চকবাট্টা গ্রামের বাসিন্দা বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন ভূইয়া।  একপর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে যুবদল নেতা নাসির খন্দকারের পক্ষে পৌরসভার দিগদাইর গ্রামের লোকজন এবং বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন ভূইয়ার পক্ষে উপজেলার চিরাং ইউনিয়নে চকবাট্টা গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পরলে উভয়পক্ষের অর্ধশত লোকজন আহত হন।  নাসির খন্দকার এবং জসিম উদ্দিন ভূইয়া দুজনই কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম হিলালী গ্রুপের নেতা বলে জানান স্থানীয়রা। এদিকে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। এ ব্যাপরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল ভুইয়া জানান, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির খন্দকার লোকজন নিয়ে একটি দোকানে তালা দিয়েছিল। পরে আমাদের লোকজন বাধা দিলে দোকানে তালা খুলে দেন। কিন্তু দোকানে ব্যবসা পরিচালনা করতে তাদেরকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। এর মধ্যে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের মধ্যে উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক নাসির খন্দকার ও তার লোকজন আমাদের লোকজনের ওপর গুলি চালায়। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা যুবদলের নেতা নাসির খন্দকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে মিটিংয়ে থাকার কথা বলে ফোন রেখে দিন। এ দিকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অনুপ কুমার সরকার জনান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫ জনের মতো চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ থাকার কথাও জানান তিনি। কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, কেন্দুয়া পৌর শহরের মধ্যবাজারে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আরটিভি/এফআই/এআর
ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১
নেত্রকোণায় ৪৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৮ জনই পেলেন জিপিএ-৫
কেন্দুয়ায় তামাক চাষে ঝুঁকছে কৃষক, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি