• ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১
logo
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫
ঘাস খেয়ে মারা গেল খামারির ২৭ গরু
নেপিয়ার জাতীয় ঘাস খাওয়ার পর নেত্রকোণার পূর্বধলায় একটি খামারের ষাঁড়, গাভি, বাছুরসহ ২৭ গরুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সদর ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া গ্রামের ‘তাহাযিদ অ্যাগ্রো’ ফার্মে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া খামারটির আরও বেশ কয়েকটি গরু অসুস্থ রয়েছে। বুধবার (১২ জুন) এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এম এম এ আউয়াল তালুকদার। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে খামারের মালিক জাহেরুল ইসলাম বলেন, আমি ওই দিন বাড়িতে না থাকায় খামার দেখাশোনা করার লোকজন খেত থেকে কচি ঘাস কেটে সঙ্গে সঙ্গে গরুগুলোকে খেতে দেওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। সাধারণত নেপিয়ার ঘাস আগের দিন কেটে রেখে পরদিন দেওয়া হতো। অথবা দুই ঘণ্টার মতো রোদে রেখে প্রাণীগুলোকে খেতে দেওয়া হতো। খামারের ২০৩টি গরুর মধ্যে অন্তত ৫০টি গরুকে এই ঘাস খেতে দেওয়া হয়েছিল। ২৭টি গরু মারা যাওয়ার পর খামারে এখনও ৪টি গরু অসুস্থ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা এসে মৃত গরুগুলো নমুনা ও ঘাসের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন।  এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এম এম এ আউয়াল তালুকদার বলেন, বৃষ্টির সময় কচি ঘাসে নাইট্রোজেনের মাত্রা বেশি থাকে। নাইট্রেট বিষক্রিয়ায় গরুগুলো মারা যেতে পারে। ঘাসের নমুনা ও মারা যাওয়া গরুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে। এম এম এ আউয়াল তালুকদার আরও বলেন, এ ব্যাপারে খামারির সঙ্গে অধিদপ্তরের মেডিকেল দল সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ খোঁজখবর রাখছে। খামারিদের গরুকে শুধু কাঁচা ঘাস দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এ ছাড়া নেপিয়ার ঘাস কাটার সঙ্গে সঙ্গে গরুকে খেতে দেওয়া উচিত নয়।
ফার্মেসিতে ঔষধের খালি বক্সে মিললো অর্ধ শতাধিক সাপের বাচ্চা
পূর্বধলায় ট্রাকচাপায় নারীর মৃত্যু
জাল রশিদ তৈরি করে প্রতারণা, কম্পিউটার দোকানির বিরুদ্ধে মামলা
পূর্বধলায় ৫২তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফেরত দিয়ে খবরের শিরোনাম ৩ স্কুলছাত্রী
কুড়িয়ে পাওয়া ৮০ হাজার টাকা প্রকৃত মালিককে ফেরত দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তিন স্কুলছাত্রী। তারা নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার হোগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে ওই উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের জটিয়াবর গ্রামের কৃষক আবুল কালামের মেয়ে রাবেয়া আক্তার ও সহপাঠী শারমিন আক্তার ও নাজমা আক্তার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এ টাকা কুড়িয়ে পায়। জানা যায়, একই উপজেলার মেঘশিমূল গ্রামের গৃহিণী রাবেয়া বেগম ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ঋণের টাকা উত্তোলন করে বাড়ি ফেরার পথে হারিয়ে ফেলেন। হারিয়ে যাওয়া টাকা খোঁজার জন্য ব্যাংকের ম্যানেজারকে ফোন করে জানালে আগিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরশাদ ফকির ও ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান ব্যাংক রাস্তায় টাকা খুঁজতে থাকেন। এসময় স্কুলছাত্রী রাবেয়া বেগমের সামনে আসলে সে জিজ্ঞেস করে, আপনাদের কি কোনো কিছু হারানো গেছে? এসময় তারা জানান, তাদের ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ওঠানো ৮০ হাজার টাকা হারানো গেছে।  তখন স্কুলছাত্রী রাবেয়া আক্তার জানায়, টাকাগুলো তারা মসজিদের সামনের রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছে।  পরে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজার, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও হোগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে সেই টাকা ফেরত দেয় ওই শিক্ষার্থীরা। টাকার মালিক রাবেয়া বেগম বলেন, আমি দুপুরে হোগলা ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে টাকা তুলে বাড়ি ফিরছিলাম। পথে কখন যে পড়ে যায় বুঝতে পারিনি। তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাংকের ম্যানেজারকে ঘটনাটি ফোন করে জানালে কিছুক্ষণ পরে ম্যানেজার জানায় স্কুলছাত্রী টাকাগুলো পেয়েছে। ওদের সততা দেখে অবাক হয়েছি, ওরা চাইলে কাউকে না বলে খরচ করতে পারতো। স্কুল ছাত্রী রাবেয়া আক্তার বলেন, আমার বাবা একজন কৃষক। আমি একজন খেটে খাওয়া কৃষকের সন্তান। সৎ পথে টাকা উপার্জন করা কতটা পরিশ্রমের এবং কষ্টের, পরিবার সেটা আমাকে শিক্ষা দিয়েছে। পরিবারের আদর্শ, শিক্ষকদের উপদেশ অন্যের টাকায় লোভ করতে নেই। তাই কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফেরত দিয়েছি। ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তিনজন স্কুলছাত্রীর বুদ্ধিমত্তা, আদর্শ ও সততায় মুগ্ধ হয়েছি। ব্র্যাক ব্যাংক থেকে আদর্শবান এই তিন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আরশাদ ফকির বলেন, হারিয়ে যাওয়া টাকা কুড়িয়ে পেয়ে ফেরত দেওয়াতে একটা সততার নজির স্থাপন হলো। ছাত্রীদের এমন কাজে পরিবার ও বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলে উচ্ছ্বসিত।
প্রতিপক্ষের হামলায় আহত গৃহবধূর মৃত্যু, আটক ৫
নেত্রকোণার পূর্বধলায় ছেলেকে মারপিটের বিচার চাইতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ছালেমা খাতুন (৩২) নামে এক গৃহবধূ নিহতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাত ১১টার সময় উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের বাড়হা উত্তরপাড়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে ছালেমা খাতুন মারা যান। নিহত ছালেমা খাতুন বাড়হা উত্তরপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল বারেকের স্ত্রী।  পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ জানুয়ারি বিকেলে নিহত ছালেমা খাতুনের ছেলে রাকেল (১০) প্রতিবেশী বাচ্চাদের সঙ্গে বাড়ির পূর্বপাশের মাঠে গোল্লাছুট খেলতে যায়। একপর্যায়ে খেলার সময় ঝগড়া হলে একই গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে রমজান ওরফে জুনাইদ রাকেলকে মারপিট করে। রাকেল বিষয়টি তার মা ছালেমা খাতুনকে জানালে, তিনি ছেলেকে মারপিটের বিচার চাইতে প্রতিবেশীর বাড়িতে যান। তখন প্রতিবেশী হেলালের স্ত্রী খাদিজা ঝাড়ু দিয়া ছালেমা খাতুনকে মারপিট করেন। এ সময় হেলাল, তার ছেলে শাহিন, মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আলাল এলোপাতাড়ি মারপিট করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ছালেমা খাতুন।  স্থানীয়রা তাকে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ছালেমা খাতুনকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়। নিজ বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় বুকের ব্যাথায় ছালেমা খাতুন মারা যান।  ঘটনার খবর পেয়ে পূর্বধলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করে থানা পুলিশ। এ বিষয়ে নিহতের বাবা সাজত আলী বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় মামলা করেছেন। পূর্বধলা থানার ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, প্রতিপক্ষের মারপিটের ঘটনায় আহত ছালেমা খাতুনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নারীসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের বাবা বাদী সাজত আলীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।