• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ঘাস খেয়ে মারা গেল খামারির ২৭ গরু
ফার্মেসিতে ঔষধের খালি বক্সে মিললো অর্ধ শতাধিক সাপের বাচ্চা
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলাধীন ঘাগড়া গ্রামে ওষুধের খালি বক্সে মিলল অর্ধ শতাধিক সাপের বাচ্চা।  শনিবার (১১ মে) এশার নামাজের পর স্থানীয় চৌরাস্তা বাজারে এক ফার্মেসিতে এ ঘটনা ঘটেছে।  প্রতিদিনের মতো এদিন এশার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন শিফা ফার্মেসির মালিক মো. দুলাল। তার দোকানে ওষুধ বিক্রির পর খালি বাক্সগুলো একটি বড় কার্টুনে ভরে পেছনে রাখতেন। চরপাড়া গ্রামের আশু মিয়া এসেছিলেন সেগুলো নিতে। তখন দোকানের পেছনে যান এবং কার্টুন নিয়ে বাহিরে এসে ঢেলে দেন। তারপর একে একে বেরিয়ে আসে ৩০-৪০টি সাপের বাচ্চা। তৎক্ষণাৎ উৎসুক জনতা ভিড় করে এবং সাপগুলো মেরে ফেলে। তারপর দোকানের পেছন থেকে আরও অনেক সাপের বাচ্চা পাওয়া যায়। একই বাজারের ব্যবসায়ী রানা এবং হাজারী বেপারীর দোকান থেকেও কিছুদিন আগে ৭-৮টি সাপের বাচ্চা পাওয়া যায়। তারা জানান, দোকান পরিষ্কার করতে গিয়ে এসব বাচ্চা বেরিয়ে আসে। কিন্তু সেখানে কোনো বড় সাপ দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে সব ঢোরা সাপের বাচ্চা।  স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল জানান, কিছুদিন ধরে এ বাজারের আনাচে-কানাচে সাপের বাচ্চার ছড়াছড়ি। এ নিয়ে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী উভয়েই আতঙ্কিত। তবে ভাগ্যের বিষয় এগুলো বিষধর সাপ নয়। ঘাগড়া-চৌরাস্তা বাজারের সভাপতি সোহেল জানান, বেশ কিছুদিন ধরে শুনছিলাম বাজারের কয়েকটি দোকানে সাপের উপদ্রবে সবাই আতঙ্কিত। এক ফার্মেসির পেছনে ৪০-৫০টি সাপের বাচ্চা পাওয়া আমাদের সবার জন্য দুশ্চিন্তার। আমাদের সবাইকে দোকানপাট পরিষ্কার রাখতে হবে এবং আরও সতর্ক থাকতে হবে।  
পূর্বধলায় ট্রাকচাপায় নারীর মৃত্যু
জাল রশিদ তৈরি করে প্রতারণা, কম্পিউটার দোকানির বিরুদ্ধে মামলা
পূর্বধলায় ৫২তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফেরত দিয়ে খবরের শিরোনাম ৩ স্কুলছাত্রী
প্রতিপক্ষের হামলায় আহত গৃহবধূর মৃত্যু, আটক ৫
নেত্রকোণার পূর্বধলায় ছেলেকে মারপিটের বিচার চাইতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ছালেমা খাতুন (৩২) নামে এক গৃহবধূ নিহতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাত ১১টার সময় উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের বাড়হা উত্তরপাড়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে ছালেমা খাতুন মারা যান। নিহত ছালেমা খাতুন বাড়হা উত্তরপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল বারেকের স্ত্রী।  পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ জানুয়ারি বিকেলে নিহত ছালেমা খাতুনের ছেলে রাকেল (১০) প্রতিবেশী বাচ্চাদের সঙ্গে বাড়ির পূর্বপাশের মাঠে গোল্লাছুট খেলতে যায়। একপর্যায়ে খেলার সময় ঝগড়া হলে একই গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে রমজান ওরফে জুনাইদ রাকেলকে মারপিট করে। রাকেল বিষয়টি তার মা ছালেমা খাতুনকে জানালে, তিনি ছেলেকে মারপিটের বিচার চাইতে প্রতিবেশীর বাড়িতে যান। তখন প্রতিবেশী হেলালের স্ত্রী খাদিজা ঝাড়ু দিয়া ছালেমা খাতুনকে মারপিট করেন। এ সময় হেলাল, তার ছেলে শাহিন, মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আলাল এলোপাতাড়ি মারপিট করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ছালেমা খাতুন।  স্থানীয়রা তাকে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ছালেমা খাতুনকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়। নিজ বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় বুকের ব্যাথায় ছালেমা খাতুন মারা যান।  ঘটনার খবর পেয়ে পূর্বধলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করে থানা পুলিশ। এ বিষয়ে নিহতের বাবা সাজত আলী বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় মামলা করেছেন। পূর্বধলা থানার ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, প্রতিপক্ষের মারপিটের ঘটনায় আহত ছালেমা খাতুনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নারীসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের বাবা বাদী সাজত আলীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।