• ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১
logo
ট্রাকের পেছনে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল ২ জনের
সহ-সমন্বয়কের বাড়ির দেয়ালে লেখা ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও’
বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক আহসান হাবিব আবু সায়েমের বাড়ির দেয়ালে লেখা ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও’ নিয়ে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে ঘুম থেকে উঠেই তাদের বাড়ির দেয়ালে এমন লেখা দেখতে পান তারা। নিজ বাড়ির দেয়ালে হত্যার এমন হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সায়েম ও তার পরিবারের সদস্যরা। সায়েম বগুড়া সদর উপজেলার নওদাপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বগুড়া জেলা কমিটির সহ-সমন্বয়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে সায়েম বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় সায়েম ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দীন জানান, ঘটনাটি শোনার পর থেকেই আমাদের থানার একাধিক টিম কাজ করছে। যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আরটিভি /এএ   
বগুড়ায় ইজতেমায় যৌতুকবিহীন বিয়ে
পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়া পরা আসামি ছিনতাই
বগুড়ায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ২
ভারতকে আর সুযোগ দেবে না বাংলাদেশের মানুষ: সারজিস
বগুড়ায় যুবলীগ নেতা লাখিন আটক
বগুড়ায় যুবলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার খায়রুল আলম লাখিনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৩০ নভেম্বর) ভোরে শহরের লতিফপুর কলোনির বেলজিয়াম মাঠ এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দীন।  খায়রুল আলম লাখিন বগুড়া জেলা যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় নেতা। এ ছাড়াও তিনি বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং লায়ন ক্লাবের সঙ্গে জড়িত।   বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে লাখিনকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া লাখিনের নামে মামলা আছে কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে। আরটিভি/এমকে/এস
চেয়ারম্যান হত্যায় ২ জনের যাবজ্জীবন
বগুড়ায় ইউপি চেয়ারম্যান তারাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার সিনিয়র দায়রা জজ শাহজাহান কবির এ রায় দেন।  দণ্ডিতরা হলেন- উপজেলার আটবাড়িয়া গ্রামের তারাজুলের গাড়িচালক হেলাল উদ্দিন ও মানিক। আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, শহরের রহমান নগর এলাকায় সপরিবারে বাস করতেন তারাজুল ইসলাম। রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা করতেন তিনি। ২০১৬ সালে সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে তিনি গাবতলীর সোনারায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে নিজ গ্রামের বাড়ি উপজেলার আটবাড়িয়া গ্রামে গেলে ৮ জুলাই রাতে শয়নকক্ষের জানালা দিয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে। মাথায় গুলিবিদ্ধ তারাজুল ইসলামকে তাৎক্ষণিক প্রথমে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে আবার বগুড়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এতদিন তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তারাজুলের স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু ১২ জুলাই গাবতলী মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। অভিযান চালিয়ে পুলিশ গাড়িচালক বেলালকে গ্রেপ্তার করে পরে তিনি তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে গাড়িচালক হেলালসহ দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আরটিভি/এএএ/এস  
ডিপ ফ্রিজে নারীর মরদেহ / মুক্তি পেয়ে যা বললেন মাকে হত্যায় অভিযুক্ত সাদ
জামিনে মুক্তি পেয়েছেন মাকে হত্যার পর মরদেহ ফ্রিজে রাখার অভিযোগে অভিযুক্ত বগুড়ার সাদ বিন আজিজুর রহমান। তার দাবি, তিনি র‍্যাবের কাছে কোনো স্বীকারোক্তি দেননি। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জামিনে জেলখানা থেকে মুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। ‘তাকে র‍্যাব কোনো নির্যাতন করেছিল কিনা ও ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে কিনা?’- প্রশ্নের জবাবে সাদ বলেন, ‘ওই সব নিয়ে আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমি ছোট মানুষ ওই সময় কি হইছে না হইছে সে বিষয়ে কিছুই বলতে চাচ্ছি না। আর আমার ওই রকম কোনো অভিযোগ নেই।’  ‘বেশ কিছুদিন জেল খাটার পর বের হলেন যাদের কারণে জেল খাটলেন, আপনি তাদের বিচার চান কি না?’ -প্রশ্নের উত্তরে সাদ বলেন, ‘যারা প্রকৃত হত্যাকারী তাদের সঠিক বিচার আমি চাই। আর কোনো কথা থাকলে আপানারা আমার অভিভাবকের কাছে থেকে জেনে নেন। হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাচ্ছি।’ ‘মাকে হত্যার দায় দিল র‍্যাব এ বিষয়ে আপনার কী মতামত? -প্রশ্নের জবাবে সাদ বলেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আমাকে নির্দোষভাবে প্রমাণ করা হয়েছে। আর আমি যে নির্দোষ তা সবার কাছে উন্মোচিত হয়েছে। যারা প্রকৃত হত্যাকারী তাদের শাস্তি হোক এটা এখন আমার চাওয়া। আর ওই রকম বিষয়ে আমার কোনো চাওয়া পাওয়া নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমার ওপর যে জুলুমটা হইছে, তা হইছে, আমি ওই রকমভাবে কিছু বলতে পারছি না। ওই বিষয়ে আপনারা আমার অভিভাবকদের কাছে জেনে নিন। আমি ওই বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না।’  ‘আদালত আপনাকে জামিন দিয়েছে কিন্তু কাগজে কলমে আপনি এখনও আপনার মা হত্যার দায় এখনও রয়েছে, সে দায় থেকে আপনি মুক্তি চান কিনা?’ প্রশ্নে সাদ বলেন, ‘আমি অবশ্যই মুক্তি চাই।’ এর আগে গত ১০ নভেম্বর বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ‘আজিজয়া মঞ্জিল’ বাড়িতে খুন হন উম্মে সালমা। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় র‌্যাব জানিয়েছিল, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধে ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর (১৯) তার মা উম্মে সালমা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে লাশ বাড়ির ডিপ ফ্রিজে রাখে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) পুলিশ দাবি করে ছেলে নয়, উম্মে সালমা খাতুনকে হত্যার পর মরদেহ ফ্রিজে রাখেন বাড়ির ভাড়াটিয়া। আরটিভি/এসএপি/এস  
‘ওরা আমার কুড়িয়ে পাওয়া সোনা মানিকের বুক ঝাঁঝরা করে দিছে’
কিশোর সিয়াম তার জন্মদাতা বাবা-মার চেহারা মনে রেখেছিলেন কি না তা কেউ জানে না। কিন্তু পালক বাবা-মায়ের আদর ভালোবাসায় এই নশ্বর পৃথিবীতে বেড়ে উঠছিলেন তিনি। সেই সিয়াম আর নেই। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের অপরাজনীতি ও ক্ষমতার নীল বিষে হারিয়ে গেছে সিয়ামের কচি প্রাণ। খেটে খাওয়া নিম্ন আায়ের পরিবার বলেই হয়তো সিয়ামের প্রাণের মূল্য হয়ে ওঠেনি দুর্মূল্য। কারও নজরে নেই তার পালক বাবা-মা ও ভাই-বোনদের। বগুড়া শহরের সেউজগাড়ীর আমতলা মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই শুক্রবার বিকেলে পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলাকালে গুলিতে প্রাণ হারায় সিয়াম শুভ (১৬)। সে পাশের হাড্ডিপট্টি এলাকায় তার পালক বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতো।  সাত বছর আগে সিয়ামকে বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনে কুড়িয়ে পান তার বর্তমান মা হাড্ডিপট্টি বস্তির বাসিন্দা শাপলা বেগম (৫১)। সে সময় তার বয়স ছিল নয় বছর। পরে বাড়িতে নিয়ে আশিক-শাপলা দম্পতি সিয়ামকে লালনপালন করেন। কখনও ভাঙারির দোকানে কাজ করতো সিয়াম। কখনওবা বাবার সঙ্গে বাসে হেলপারি করতো সংসারে বাড়তি আয়ের জন্য।  সিয়ামের পরিবার ও প্রতক্ষ্যদর্শীদের কাছে জানা যায়, ১৯ জুলাই বিকেল ৩টার পর কাজ শেষে নানার কাছ থেকে ১০০ টাকা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিতে যায় সিয়াম। বিকেল ৪টার দিকে বগুড়া সেউজগাড়ী আমতলা মোড়ে আন্দোলনকারীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। বিকেল ৫টার পরে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ সেখানে জলকামান দিয়ে গরম পানি ছিটিয়ে আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পুলিশ আর্মড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) থেকে নেমে শর্টগান থেকে অসংখ্য গুলি শুরু করে। গোলাগুলিতে দৌড়ে সেখান থেকে সরে যাওয়ার সময় জলকামানের পানিতে পা পিছলে রাস্তায় পড়ে যায় সিয়াম। রাস্তা থেকে ওঠার সময় তার সারা শরীরে পুলিশের ছররা গুলি লাগে বলে জানায় তার সঙ্গে আন্দোলনে থাকা একাধিক শিক্ষার্থী। পরে তাকে কাছেই অবস্থিত বগুড়া নার্সিং হোমে নেওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ দেখে তাকে পাঠানো হয় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ওই দিন সন্ধ্যায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মো. সালেহ জানান, সিয়ামের সারা শরীরে ছররা গুলি ঢুকে যাওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। হাড্ডিপট্টি বাসস্ট্যান্ডের নৈশ্যপ্রহরী ফারুক হোসেন বলেন, শনিবার সিয়ামের মরদেহ আমরাই গোসল করাই। তখন তার শরীরে অসংখ্য গুলির আঘাতের চিহ্ন দেখেছি। যখন আমরা এখানে গোসল করিয়ে দিচ্ছিলাম, তখনও পুলিশ এসে এখানে গুলি করে যায়। মরদেহ রেখে কিছু সময়ের জন্য আমাদের দৌড়াতে হয়েছিল। ফারুক আরও জানান, অনেক রিস্ক নিয়ে পুলিশের ভয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে মাত্র কয়েকজন মিলে বগুড়ার কেন্দ্রীয় কবরস্থান নামাজগড়ে দাফন করা হয় সিয়ামকে। সিয়ামের পালক বাবা-মায়ের খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, শাপলা নিজের ঘরে শুয়ে আছেন। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ঠিকমতো চলতে পারেন না তিনি। এদিকে ছেলে হারানোর শোকেও কাতর হয়ে আছেন। শোক কাটাতে পারছেন না কোনমতেই।  শাপলা খাতুন বলেন, পেটের ছোল হলেই নিজের ছোল হয় না, ভাই। অনেক সময় কুঁড়ে পাওয়া ছোল পেটের ছোলের চেয়ে আপন হয়। সিয়াম আমার তেমন ছোল। আমরা ওকে পড়ালেখা করাতে চাইছিলাম। কিন্তু ও নিজেই আর পড়ল না। ছোট থেকেই টাকা কামাই করে এনে আমাকে দিত। বলতো আম্মু আমি থাকতে তোমার কোনো কষ্ট হবে না। সেই ছোলটাক গুলি করে মারলো। আমার কুড়ে পাওয়া সোনা মানিকের বুক ঝাঁঝরা করে দিছে। সিয়ামের পালিত বাবা মো. আশিক (৫৭) জানান, তার বাবা-মা কি করতো সেটা আমরা জানি না। যখন সিয়ামকে কুড়িয়ে পাই তখন ওর বয়স ছিলো নয় বছর। সে আমাদের যেটুকু বলেছে সেটাই জানি। সে আমাদের বাড়িতেই ছিল। ছোট বেলায় অল্প কিছুদিন লেখাপড়া করেছে। পরে বড় হওয়ার পর আর লেখাপড়া করেনি। আমাদের আর দুই ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে। তারা লেখাপড়া করে। গত ১৯ জুলাই সিয়ামের শহিদ হওয়ার শোক কাটাতে না কাটাতে নতুন বিড়ম্বনায় পড়ে দিনমজুর পরিবারটি। গত ২১ জুলাই বগুড়া সদর থানায় সিয়াম নিহতের ঘটনায় মামলা হয়। এজাহারে বলা হয়, আন্দোলনকারীদের ছোঁড়া ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয়ে সিয়াম শুভ নিহত হয়েছে।  শুধু তাই নয়, তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় লোকজন সিয়াম ও তার পালক বাবা-মায়ের নামে মাদক ব্যবসায়ীর তকমা লাগিয়ে দেয়। এটা নিয়ে শাপলা ও তার স্বামী আশিককে অনেকভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়।  গত ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর চিত্র পাল্টাতে শুরু করে। সিয়ামের নিহতের ঘটনায় করা সাজানো মামলাটি খারিজ হয়। এরপর শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে শাপলা খাতুন বাদি হয়ে মামলা করেছেন। শাপলা খাতুন জানান, আমি এখন সারাদিন বিছানায় পড়ে থাকি। সিয়াম ও তার বাবা সংসারের সব খরচ দেখত। এখন সিয়াম নাই। ওর বাপেরও কাজ নাই। ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার খরচের চাপ।  কোন দিকে যাবো কিছু জানি না। এখন পর্যন্ত তেমন সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে কেউ আসেনি। স্থানীয়ভাবেও কেউ এগিয়ে আসেনি। সিয়ামের মা আরও জানান, চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসেবে অনেক দিন ধরে প্রতিবন্ধী কার্ড করে নেয়ার জন্য ঘুরতেছি। দুজন কাউন্সিলর চলে গেল। আমার কার্ড হলো না। সিয়ামের বাপের একটা কাজ হলে তাও সংসার চালানো যায়। সিয়াম খালি বলত, আম্মু আমি থাকতে তোমার কোনো কষ্ট নাই। এখন সিয়াম নাই। আমাদের কে দেখবে?-বাসস। আরটিভি/এসএপি
বগুড়ার সেই তুফান সরকারের ১৩ বছর কারাদণ্ড
অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে বগুড়ার আলোচিত তুফান সরকারের ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপু‌রে বগুড়ার স্পেশাল জজ আদাল‌তের বিচারক মোহাম্মদ শ‌হিদুল্লা এ রায় দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস এম আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তুফান সরকার বগুড়া শহ‌রের চক সূত্রাপুর এলাকার ম‌জিবর রহমান সরকা‌রের ছে‌লে। তিনি বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের সদস্য ছিলেন। স্থানীয়রা জানায়, ২০১৭ সালে তুফান সরকার এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন। সেই ঘটনা জানাজানি হলে ওই তরুণী ও তার মাকে ধরে তাদের চরিত্রহীন আখ্যা দিয়ে মা ও মেয়েকে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। সে সময় ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচনায় আসে। পরে পুলিশ তুফান সরকারকে আটক করে। সেই সময় তুফান সরকা‌রের বিরু‌দ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। প‌রে বিষয়‌টি আম‌লে নি‌য়ে তদ‌ন্ত ক‌রে। এরপর ২০১৮ সা‌লের ৩১ ডি‌সেম্বর বগুড়া সদর থানায় মামলা ক‌রেন দুদক বগুড়া‌ কার্যাল‌য়ের তৎকালীন সহকারী প‌রিচালক আমিনুল ইসলাম। এরপর ২০২০ সা‌লের ২৭ ফেব্রুয়ারি তি‌নি আদাল‌তে চার্জশিট দা‌খিল ক‌রেন। দুদকের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ ব‌লেন, মামলায় দু‌টি ধারায় তুফান সরকারের ১৩ বছ‌রের সাজা হ‌য়ে‌ছে। এ ছাড়াও তার অবৈধ সম্পদ এক কো‌টি ৫৯ লাখ ৬৮ হাজার ১৮২ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বা‌জেয়াপ্ত করা হ‌য়ে‌ছে। তুফান সরকার বর্তমা‌নে পলাতক। গ্রেপ্তারের পর থে‌কে এ দণ্ডা‌দেশ কার্যকর হবে। আরটিভি/এএএ/এস
বগুড়ায় কারা হেফাজতে আ.লীগ নেতার মৃত্যু
বগুড়ায় কারা হেফাজতে আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শাহাদাৎ আলম ঝুনুর (৬০) মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পথিমধ্যে সিরাজগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ। ঝুনু বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও কমিউনিটি পুলিশিং জেলা কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন। শাহাদত আলম ঝুনু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বগুড়া কারাগারে ছিলেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তিনি কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা আইসিইউ ইউনিটে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ইউনাইটেড হার্ট স্পেশালিস্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়ার সময় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পথিমধ্যে সিরাজগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ বলেন, ঝুনু গোসল করার সময় বাথরুমের দরজার কাছে অসুস্থ হয়ে পড়ে যান। কারাগারের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। সন্ধ্যার দিকে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আরটিভি/এমকে-টি