• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
সংসদ সদস্য মাহফুজা সুলতানার বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি
ঘুষ নিতে বাড়িতে কনস্টেবল, আটকে ৯৯৯-এ কল
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক পুলিশ সদস্যকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে আটকে রেখে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।  শনিবার (১৯ মে) আক্কেলপুর পৌরশহরের শ্রীকৃষ্টপুর মহল্লার মৃত সেকেন্দার আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  জানা যায়, পুলিশের ওই কনস্টেবলের নাম আশিক হোসেন। ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে তাকে আটকে রাখেন শ্রীকৃষ্টপুর মহল্লার বাসিন্দা সোহেল রানা ও স্থানীয় লোকজন। এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহখানেক আগে জমিজমা নিয়ে একটি অভিযোগের তদন্ত করতে থানার এক এসআইয়ের সঙ্গে কনস্টেবল আশিক হোসেন শ্রীকৃষ্টপুর মহল্লায় এসেছিলেন। তখন সোহেল রানার কাছে এক হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন আশিক। দুদিন পর রাতের বেলায় স্থানীয় একটি সড়কে কনস্টেবল আশিক সোহেল রানার পকেট তল্লাশি করে ইয়াবা পান বলে দাবি করেন। তখন তাকে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন ওই কনস্টেবল। সোহেল রানা পরদিন সকালে ঘুষের টাকা দেবেন বলে কথা দিয়ে সেখান থেকে চলে আসেন। পরদিন শুক্রবার সকালে কনস্টেবল আশিক ঘুষের টাকা নিতে সোহেলের বাড়িতে এলে তাকে না পেয়েই চলে যান। স্থানীয়রা আরও জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আশিক হোসেন শ্রীকৃষ্টপুর মহল্লায় সোহেল রানার বাড়িতে গিয়ে ফের ঘুষের ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। সোহেল রানা কনস্টেবলের হাতে পাঁচ হাজার টাকা দেন। এ সময় সোহলের স্ত্রী মুঠোফোনে গোপনে ভিডিও ধারণ করেন। টের পেয়ে টাকা ফেরত দিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করেন আশিক। তখন সোহেল রানা কনস্টেবল আশিককে তার বাড়িতে আটকে রেখে ৯৯৯-এ কল করেন।  ভুক্তভোগী সোহেল রানা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘জমিজমা সংক্রান্ত একটি অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে এসে কনস্টেবল আশিক হোসেন আমার কাছে টাকা দাবি করেন। সেই টাকা না দেওয়ায় পরে আমাকে রাস্তার মধ্যে পকেটে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেন তিনি। পরে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার চুক্তিতে তিনি আমাকে ছেড়ে দেন। ওই টাকা নিতে আসলে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ এসে আমার স্ত্রীর ধারণ করা ভিডিও ডিলিট করে তাকে নিয়ে যায়।’ অভিযুক্ত আশিক হোসেন বলেন, ‘গত কয়েক দিন আগে আমার মা মারা যান। তারপর থেকে মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছি। আমি ওই এলাকায় মাদকের খোঁজ নিতে গেলে তারা কৌশলে আমাকে ডেকে নিয়ে ফাঁসিয়ে দেন। আমি কোনো টাকা-পয়সা লেনদেন করিনি।’ পৌর কাউন্সিলর ফেরদৌস সরদার বলেন, ‘সোহেল রানার বাড়িতে সাদা পোশাকে একজন কনস্টেবলকে আটকে রাখার ঘটনাটি পুলিশের মাধ্যমে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে থানা পুলিশের সঙ্গে ওই কনস্টেবলকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’ আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাসুদ রানা শনিবার রাতে বলেন, ‘ওই ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একটি লিখিত প্রতিবেদন দিয়েছি। এ বিষয়ে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’
এক হাত না থাকা হুজাইফা পেয়েছেন জিপিএ-৫, হতে চান ম্যাজিস্ট্রেট
আক্কেলপুর সিনিয়র মাদরাসার কেউ পাস করেনি
২ টাকার বেগুন এখন হাফ সেঞ্চুরি
মনোনয়নপত্র নিতে প্রার্থীর বাড়িতে লোক পাঠালেন রিটার্নিং কর্মকর্তা
বাবা-মাকে খুঁজছে ৫ বছরের অবুঝ শিশু জুনায়েদ
বাবা-মাকে খুঁজছে ৫ বছরের শিশু জুনায়েদ ইসলাম। গত বুধবার সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান জুনায়েদ মা-বাবা। গুরুতর আহত হয় সে নিজেও। তবে মা-বাবার মৃত্যুর বিষয়টি এখনও বুঝতে পারেনি ছোট্ট এই অবুঝ শিশু। এ বাড়ি, ও বাড়ি মা-বাবাকে খুঁজে ফিরছে অসহায় নিষ্পাপ শিশু জুনায়েদ। সে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার নারিকেলি গ্রামের নিহত আনসার ভিডিপি সদস্য এনামুল হক (৪০) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুনের (৩২) ছেলে। স্থানীয়রা জানান, অসুস্থ জুনায়েদকে নিয়ে বুধবার ভোরে মোটরসাইকেলে নওগাঁর নওহাটা এলাকায় এক কবিরাজের বাড়িতে গিয়েছিল এনামুল ও বৃষ্টি। বাড়ি ফেরার পথে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সান্তাহার-নওগাঁ সড়কের সাহাপুর মোড়ে অপর মোটরসাইকেলের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সড়কে ছিটকে পড়া এনামুল ও বৃষ্টিকে দ্রুতগতির একটি ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় ৫ বছরের জুনায়েদ। যদিও তার মাথা ও মুখে মারাত্মক ক্ষত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নারিকেলি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জুনায়েদ বসে আছে ফুফুর কোলে। ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর থেকেই এদিক ওদিক মাকে খুঁজছে সে। স্বজনরা বিভিন্নভাবে তাকে ভোলানোর চেষ্টা করছেন। আক্কেলপুর আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা কাজী মাকামাম মাহমুদা জানান, দাফনের জন্য প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। আরও সহায়তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, এ ঘটনায় নওগাঁ সদর থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জয়পুরহাটে নৌকার ২ নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন
জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল ও কালাই) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের দুটি পৃথক নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন লাগিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১ জানুয়ারি) রাতে আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের খাঁপাড়া ও শৃগালদীঘি গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আক্কেলপুর থানার ওসি শাহিনুর রহমান। ওসি জানান, রাত পৌনে ১০টার দিকে খাঁপাড়া মোড় এলাকায় নৌকা প্রতীকের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপরই সেখান থেকে আধা কিলোমিটার দূরে শৃগালদীঘি গ্রামেও নৌকা মার্কার নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।