• ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১
logo
সাঁথিয়ায় মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা 
সরিষার হলুদ ফুলে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন
পাবনার বেড়া ও শাহাজাদপুর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হুড়াসাগর নদীর পলি মিশ্রিত করশালিখা গ্রামে মাঠভরা সরিষা ফুলের গন্ধ বাতাসে ভাসছে। দিগন্ত জোড়া হলুদের বিস্তার। চরের ফসলি মাঠের চারপাশ ভরে উঠেছে হলুদের ঘ্রাণ আর সৌরভে। গার হলুদ বর্ণের এ ফুলে মৌ-মাছিরা গুন গুন করে মধু আহরণ করছে। সরজমিনে দেখা যায়, দূর থেকে সরিষার খেত গুলো দেখে মনে হয়, কে যেন হলুদ চাদর বিছিয়ে রেখেছে। রোদে ঝলমল করছে সরিষার খেত। হলুদের সমারোহে সজ্জিত সরিষার প্রতিটি ফুলে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। সরিষার ব্যাপক ফলনে গ্রামীণ অর্থনীতিতে সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। হলুদ সরিষার ফুলের অবারিত সৌন্দর্য এখন মাঠে মাঠে। শীতের কুয়াশাকে উপেক্ষা করে চাষিরা সরিষার ক্ষেতের যত্ন নিচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষা বীজ বুনে ভালো ফলনের আশা করছেন চাষিরা। মাঠের পর মাঠ প্রকৃতিতে যেন অন্য এক মাত্রা এনে দিয়েছে। হলুদ সরিষা ফুলের মৃদু সৌরভ ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামের এখানে-সেখানে। যেকোনো মাঠে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে সোনাঝরা এ ফুলের সীমাহীন ফসলি জমির বাগান। পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে পাবনার নয় উপজেলায় সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৩ হাজার ৫৬৫ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৩৭ হাজার ৯৭৪ হেক্টরে। প্রতি হেক্টরে দুই টন হিসেবে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৫ হাজার ৯৪৮ টন। যমুনার চরনাগদা গ্রামের বর্গাচাষি আশরাফ জানান, চার বিঘা জমিতে তিন ধরনের সরিষা আবাদ করেছি। সরিষা ফুলেখেত ভরে গেছে। দেখে খুব ভালো লাগছে।  পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৩ হাজার ৫৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদেও লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। গত বছর সরিষার ভালো দাম পাওয়ায় চলতি মৌসুমে চাষিরা সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়ে। এ বছর জেলা সদর, বেড়া, সাঁথিয়া, সুজানগর, ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া, চাটমোহর, ফরিদপুর, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় সরিষা আবাদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৭ হাজার ৯৭৪ হেক্টরে। উন্নত জাতের বীজ, সারের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের পাশে ছিল বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি অফিস।  আরটিভি/এএএ 
ট্রলিচাপায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
বাস-অটোভ্যান সংঘর্ষ, প্রাণ গেল ভ্যানচালকের
সাঁথিয়ায় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে খিচুড়ি পার্টি চেয়ারম্যানের, অতঃপর...
সম্পত্তি লিখে নিয়ে মারধর, ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন বাবা
পাবনার সুজানগরে চিকিৎসার কথা বলে বাবার সম্পত্তি লিখে নিয়েছেন দুই ছেলে। সম্পত্তি নেওয়ার পর দায়িত্বে অবহেলা ও তাকে মারধর করার অভিযোগে বাবা মোসলেম উদ্দিন প্রামাণিক (৭০) প্রতিকার চেয়ে দুই ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বাবার ওপর ছেলের বর্বর নির্যাতনের এমন নির্দয় ঘটনা ঘটেছে উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের চর জোড়পুকুরিয়া গ্রামে।  সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা। জানা যায়, ছেলের হাতে মারপিটে রক্তাক্ত হওয়ার পর তার জামাই আব্দুল মালেক সুজানগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে অসহায় মোসলেম উদ্দিনকে চিকিৎসা প্রদান করান।    থানা সূত্রে জানা গেছে, মোসলেম উদ্দিনের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। অসুস্থ বৃদ্ধ বাবাকে প্ররোচনা দিয়ে তাকে চিকিৎসা করানোর কথা বলে জমি লিখে নেন তার দুই ছেলে সুন্দর আলী ও শুকুর আলী। সম্পত্তি লিখে নেওয়ার পর দুই ছেলে তার বাবা-মার প্রতি দায়িত্বে অবহেলা শুরু করেন। বাবার চিকিৎসা তো দূরের কথা এখন আর খোঁজখবর পর্যন্ত নিচ্ছে না তার দুই সন্তান। জীবনের শেষ লগ্নে এসে অসুস্থ বৃদ্ধ স্বামীকে নিয়ে বর্তমানে চিন্তিত তার স্ত্রী। দু’মুঠো ভাত ও ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বামী মোসলেম উদ্দিনের চিকিৎসার টাকার জন্য তাকে ঘুরতে হচ্ছে পথে পথে। বাধ্য হয়ে শনিবার নিজের চিকিৎসার খরচ এবং ভরণপোষণের জন্য ছেলেদের কাছে টাকা চাইলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বাবা মোসলেম উদ্দিনকে মারধর করে রক্তাক্ত করে তার দুই সন্তান সুন্দর আলী ও শুকুর আলী। পরে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ছেলের বিচার দাবি করে থানায় দুই ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন অসহায় বাবা মোসলেম উদ্দিন প্রামাণিক।  এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে শুকুর আলীকে তার বাবার কাছ থেকে জমি লিখে নেওয়া ও বাবাকে মারধর করার বিষয়ে তার মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি সরাসরি সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে জানান।   সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বাবা মোসলেম উদ্দিনের মামলার ভিত্তিতে তার দুই সন্তানকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।’ আরটিভি/এমকে
ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার 
পাবনার চাটমোহরে ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে নিখোঁজ কল্পনা খাতুন (৯) নামে এক শিশুকন্যার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার গুনাইগাছা গ্রামের পৈলানপুর মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  নিহত শিশুকন্যা কল্পনা খাতুন উপজেলার চর মথুরাপুর গ্রামের আলাল হোসেনের মেয়ে। তিনি চড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।   পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, কল্পনা শুক্রবার সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশে দহপাড়া গ্রামে ওয়াজ মাহফিলে যায়। কিন্তু রাতে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি পরিবারের লোকজন। আজ সকালে পৈলানপুর মাঠের মধ্যে একটি লিচু বাগানে মেয়েটির মরদেহ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।  চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।  আরটিভি/এএএ  
কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে চার মাস পর চালু স্পিডবোট সার্ভিস
পাবনার কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে বন্ধ থাকার চার মাস পর চালু হয়েছে স্পিডবোট সার্ভিস।  শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কাজীরহাট ঘাটে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে সীমিত পরিসরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (পোর্ট) এ কে এম আরিফ উদ্দিন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্টের বিপ্লবের পর এই নৌরুটের দুই পাড়ের বোট মালিকরা লাপাত্তা হয়ে যান। তাদের অনুপস্থিতির কারণে টানা চার মাস স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকে। ভোগান্তিতে পড়েন দুই পাড়ের সাধারণ যাত্রীরা। যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে বিআইডব্লিউটিএ উদ্যোগ নিয়েছে। লাপাত্তা হয়ে যাওয়া স্পিডবোট মালিকদের রুট পারমিট বাতিল করা হয়। নতুন করে স্পিডবোট মালিকদের কাছ থেকে রুট পারমিটের জন্য আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। আগ্রহীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই করে প্রথম অবস্থায় কাজীরহাট ঘাটের ৪৩টি ও আরিচা ঘাটের ১১টি স্পিডবোট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। আরও ৫০টি স্পিডবোটের রুট পারমিটের আবেদন রয়েছে। বিআইডাব্লিউটিএয়ের নগরবাড়ী-কাজিরহাট-নরাদহ নদীবন্দরের পোর্ট অফিসার মো. আব্দুল ওয়াকিল গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা স্পিডবোট মালিক সমিতির সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি। কিন্তু তারা লাপাত্তা হওয়ায় চালু করা যায়নি। অবশেষে অফিশিয়াল সিস্টেম সম্পন্ন করে নতুনভাবে অনুমোদন সাপেক্ষে স্পিডবোট সার্ভিস চালু করা হলো। আগের সময়ের সব স্পিডবোটের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন আরিচা বন্দর পোর্ট অফিসার মামুনর রশিদ ও নগরবাড়ী নদী বন্দর পোর্ট অফিসার আব্দুল ওয়াকিল, আরিচা ঘাটের স্পিডবোট মালিক ভজন দাস, নাসির উদ্দিন, কাজীরহাট ঘাটের স্পিডবোট মালিক রইচ উদ্দিন, ফেরদৌস কবির, সমেজ হোসেন। এ ছাড়া দুই পাড়ের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তারা। আরটিভি/এএএ-টি  
সাঁথিয়ায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে লাভবান কৃষক
কৃষি প্রধান দেশে পাবনার সাঁথিয়া কৃষি উৎপাদনে জেলার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। সাঁথিয়ায় মসলাসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য উৎপাদনে যেমন সুনাম রয়েছে তেমনি অসময়ে কৃষি উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছে কৃষক। একই জমিতে তিন থেকে চার ফসল উৎপাদন করছে কৃষকেরা। এখন সারা দেশে চলছে পেঁয়াজ চাষের প্রস্তুতি। আর সাঁথিয়ার কৃষক পেঁয়াজ জমি থেকে উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করছে। অফ সিজন বা অসময়ের ফসল হিসেবে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে এ বছর বেশি লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।   কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হওয়ায় বেশ ভালো উৎপাদন হচ্ছে। আধুনিক পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে ফলন বেশি পাওয়া যাচ্ছে। নতুন প্রযুক্তিতে আবাদ করা এ পেঁয়াজ বিঘা প্রতি ফলন হচ্ছে ৬৬-৮০ মণ। এতে বিঘা প্রতি প্রায় ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা লাভ হচ্ছে কৃষকদের। এই সময়ে বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ চাষি সাঁথিয়া পৌরসভার মুরাদুজ্জামান, নন্দনপুর ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, কাশিনাথপুর ইউনিয়নের করিয়াল গ্রামের রজব আলী, শরিফ হোসেন জানান, এবছর জুলাই মাসে বীজ তলা তৈরি করে চারা উৎপাদন করে ৪০ দিন বয়সের চারা সেপ্টেম্বর মাসের ২য় সপ্তাহে জমিতে লাগানো হয়। পরিচর্যা, সেচ, সুষম সার প্রয়োগ শেষে ডিসেম্বরে প্রথম থেকেই পেয়াজ উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করছেন কৃষকের। তারা আরও বলেন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উত্তোলন করে এখন শীত মৌসুমের সিজনাল পেঁয়াজ চাষ হবে একই জমিতে। যার ফলে অধিক লাভবান হচ্ছেন তারা। আগামীতে আরও বেশি জমিতে গ্রীষ্ম কালীন পেঁয়াজ চাষ করবে বলে আশা করছেন তারা। উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জীব গোস্বামী জানান, গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ উৎপাদন প্রণোদনা মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প, লাভজনক পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় নাসিক রেড এন-৫৩ জাতের পেয়াজ চাষ করা হয়। ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে উত্তোলন শুরু করা হয়েছে। গড় ফলন ৬৬-৮০ মন বিঘা প্রতি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিঘায় ৯০ মণের অধিক ফলন পাওয়া যায় বলে জানান তিনি। আরটিভি/এএএ  
রূপপুরের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি: অর্থ উপদেষ্টা
রূপপুরের নিরাপত্তার বিষয়টি যতটা সম্ভব আমরা খতিয়ে দেখছি বলে জানিয়েছেন অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পাবনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।  এর আগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ দলকে সঙ্গে নিয়ে উপদেষ্টা রূপপুর প্রকল্প ঘুরে দেখেন। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার পক্ষে। রূপপুর আমাদের সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট, এটা বিদ্যুতের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক হবে। এটা নিয়ে আগের সরকার কী করেছে না করেছে সেটা অন্য জিনিস, কিন্তু আমরা এটা শেষ করার পক্ষে, সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। আর নিরাপত্তার বিষয়টি যতটা সম্ভব আমরা খতিয়ে দেখছি। প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বড় প্রকল্প হিসেবে যেটুকু মেয়াদ বেড়েছে তা খুব বেশি নয়, আর সুদের বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ রয়েছে। এ সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোকাব্বির হোসেন, পাবনা জেলা প্রশাসক মফিজুল হক, পুলিশ সুপার মোর্তজা আলীসহ সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/এমকে
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৩
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বাঘইল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন, উপজেলার বাঘইল গ্রামের জফির উদ্দিনের ছেলে সেলিম হোসেন, আফাজ উদ্দিনের ছেলে আইনুল হক ও আবদুর রাজ্জাকের ছেলে নাসিম আহমেদ। তাদের মধ্যে নাসিম আহমেদকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও অপর দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব ও ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মেহেদি হাসান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে কিছুদিন আগে পুকুর দখল নিয়ে বাঘইল এলাকায় দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। রোববার সন্ধ্যায় মেহেদি হাসান গ্রুপের সদস্য খোকন হোসেন ও রানা হোসেনের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জন নেতাকর্মী হাবিব সমর্থক সেলিমের অফিসে গিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান শহিদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আরও সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাত ১২টা পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।