• ঢাকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১
logo
ছেলের সঙ্গে এইচএসসি উত্তীর্ণ বাবা-মা
পাবনায় মদ্যপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার চরভাঙ্গুড়া গ্রামে অতিরিক্ত মদ্যপানে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিনজনকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে তাদের মৃত্যু হয়। ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম মদপানে অসুস্থ হয়ে দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।  নিহতরা হলেন, উপজেলার চর ভাঙ্গুরা গ্রামের রামচন্দ্র ঘোষের ছেলে রবীন ঘোষ (২৫) ও মানিক চৌধুরীর ছেলে হৃদয় চৌধুরী (১৭)।  স্থানীয়রা জানান, দুর্গাপূজার উৎসব পরবর্তী আনন্দে সোমবার সন্ধ্যার পর বন্ধুদের সঙ্গে অতিরিক্ত মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন উপজেলার চর ভাঙ্গুড়া গ্রামের ঘোষপাড়ার পাঁচ যুবক। তারা পরস্পরের বন্ধু। তাদেরকে সোমবার রাতে প্রথমে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে হৃদয় চৌধুরীর মৃত্যু হয়। আর রবিন ঘোষকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. উজ্জল হোসেন বলেন, দুইজন মারা যাওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। আর গুরুতর অসুস্থ তিনজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।  ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক উজ্জ্বল হোসেন বলেন, পাঁচজনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তারা অতিরিক্ত মদ্যপানে অসুস্থ হন বলে শুনেছি। অসুস্থদের মধ্যে এর লক্ষণও ছিল। দুজন মারা যাওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। গুরুতর অসুস্থ তিনজন পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মদ্যপানে পাঁচজন অসুস্থ হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করেছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আরটিভি/এফআই-টি
ভাঙ্গুড়ায় আ.লীগের হামলায় বিএনপির ২৫ কর্মী আহত, আটক ৪
পাবনায় লিচু বাগান থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
টিসিবির কার্ড নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ
জামাই আনতে হেলিকপ্টার পাঠালেন কৃষক শ্বশুর
হাসপাতালে রোগীর অশ্লীল ভিডিও ধারণের অভিযোগ  
পাবনার সাঁথিয়ায় কাশিনাথপুর মা জেনারেল হাসপাতালে এক রোগীর অশ্লীল ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালটির ম্যানেজার ইসমাইল হাসানের বিরুদ্ধে।  শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে কাশিনাথপুর প্রাইভেট মা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ভুক্তভোগী ওই রোগী আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানিয়েছেন। ভুক্তভোগীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুরের মা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার আব্দুস সবুরের কাছে আমার মেয়েকে আমি ও আমার স্ত্রী হার্টের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই। এ সময় ডাক্তার আল্ট্রাসনোগ্রাম এবং ইসিজি করার কথা জানান। হাসপাতালের ম্যানেজার ইসমাইল হাসান মেয়েটিকে বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা করে জানান, আপনার গায়ের জামায় বোতাম আছে এতে আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি হবে না। নরম কাপড় পড়ে আসুন। একপর্যায়ে আমার মেয়ে বাথরুমে কাপড় পরিবর্তন করতে প্রবেশ করে। সেই সময় ম্যানেজার বাথরুমের দরজার ওপর দিয়ে আমার মেয়ের ভিডিও ধারণ করে। একপর্যায়ে আমার মেয়ে বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার শুরু করলে আশেপাশে থাকা অন্যান্য রোগীরা ম্যানেজারকে আটকে রাখেন একটি রুমে। আমরা বিষয়টি হাসপাতালের মালিক রুবেল খানকে জানাই।  স্থানীয়রা জানান, মেয়েটির বাবা-মা হাসপাতালের মালিককে অনুরোধ করেন যে, ছেলেটির কাছে যে ভিডিও আছে তা ডিলিট করে দেন। মালিক গড়িমসি করেন এবং একপর্যায়ে ম্যানেজারকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন হাসপাতালের মালিক। হাসপাতাল মালিক তার স্থানীয় ক্যাডার বাহিনীকে খবর দিয়ে এনে উল্টো ভুক্তভুগীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে যেতে বাধ্য করেন। এতে ভুক্তভুগীর পরিবার চরম আতঙ্কে রয়েছেন। আরটিভি/এমকে/এএইচ
পাবনায় হত্যাচেষ্টা মামলার ২ আসামি গ্রেপ্তার
পাবনার ঈশ্বরদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলি করে ছাত্রদের হত্যাচেষ্টার মামলায় পলাতক আসামি আকতারুজ্জামান মিঠু (৪৫) ও শামীম প্রামাণিককে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা। শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে তাদেরকে ঈশ্বরদী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, ঈশ্বরদী উপজেলার গড়গড়ি গ্রামের রায়হান উদ্দিনের ছেলে আকতারুজ্জামান মিঠু ও আরামবাড়িয়া গ্রামের ইলিয়াছ আলীর ছেলে শামীম প্রামাণিক। র‍্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার খন্দকার গোলাম মোরতুজা এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব সদস্যরা শুক্রবার দিবাগত রাতে ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। আরটিভি/এএএ/এসএ
হঠাৎ কলাইখেতে নামল হেলিকপ্টার, অতঃপর... 
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পাবনার সাঁথিয়ার ক্ষেতুপড়া ইউনিয়নের মিয়াপুর গ্রামের কলাইখেতে হঠাৎ একটি হেলিকপ্টার অবতরণ করে। আধা ঘণ্টা অবস্থানের পর হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে যাত্রা করে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা থেকে আসা হেলিকপ্টারটি পাবনার আতাইকুলা যাওয়ার সময় জরুরি অবতরণ করে। হেলিকপ্টার অবতরণের খবরে সেখানে ভিড় করে এলাকার উৎসুক জনতা। সাঁথিয়া ফায়ার স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দাসুদেব সরকার জানান, তারা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে তার আগেই হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে উড়াল দেয়। সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, হেলিকপ্টারটি আকিজ গ্রুপের। ঘটনাস্থল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে আতাইকুলায় তাদের কারখানা রয়েছে। সেখানে যাওয়ার পথে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পাইলট এটিকে জরুরি অবতরণ করান। হেলিকপ্টার ও যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।  আরটিভি/এএএ/এসএ
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শহীদ ও আহতদের জন্য যা করণীয় সব করবে’
আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের এবং তাদের পরিবারের জন্য যা যা করণীয় সবই করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার হাজিরহাটের বেতেপাড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, বেদনাবিধুর ৫ আগস্টের ১ মাসের রক্তের লড়াইয়ে যারা জীবন দিয়েছেন এবং পঙ্গুত্ববরণ করেছেন তারা ও তাদের পরিবার স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ’৯০-এর গণআন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, ’৫২ ভাষা আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তারা স্মরণীয় হয়ে আছে। ২০২৪-এর লড়াইয়ে ১৫৫২ জন জীবন দিয়েছে, তারা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভারতের আশ্রিত সরকার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশের মাটি কামড়ে থেকেছেন। আর ওনি ৪৫ মিনিটে পালিয়ে গেলেন। ভারত ছাড়া কোনো দেশ তাকে জায়গায়ও দিচ্ছে না। ভারতে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। আওয়ামী লীগ ও ভারতে দোসরদের কঠিন জবাব দেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী আরও বলেন, আবাবিল পাখির মতো ৫ তারিখে ঢাকার রাজপথে আবির্ভাব হয় মানুষের। গগণবিদারী স্লোগানে ঢাকার রাজপথ প্রকম্পিত হয়। পতিত সরকারের হেলমেট বাহিনী ও পুলিশ বাহিনী দিয়ে নির্বিচারে হত্যা করেছে। তাদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হওয়া দরকার। বৈষম্য ও শোষণ মুক্ত জাতি ও সমাজ গঠন করতে হবে। ‘আমরা জিয়া পরিবার’র আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন বলেন, আমরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এই শহীদ ও আহতদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। তারেক রহমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের রাস্তাঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো শহীদদের নামে নামকরণ করতে হবে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই শহীদ ও আহতদের জন্য যা যা করণীয় সবই করবে ইনশাআল্লাহ। সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে এবং জেলা জাসাসের আহ্বায়ক খালেদ হোসেন পরাগের সঞ্চালনায় ও সাবেক জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহসম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল, সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম রেজা হাবিব, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার, কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাজুসহ প্রমুখ। আরটিভি/এমকে/এআর
আইনের মাধ্যমে গণহত্যাকারীদের বিচার হবে: জামায়াত আমির
আইনের মাধ্যমে গণহত্যাকারীদের বিচার করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাবনা অ্যডওয়ার্ড কলেজ মাঠে জেলা জামায়াতের আয়োজনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। জামায়াত আমির বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের গণহত্যা, আয়নাঘরে গুম ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কোনো ক্ষমা নাই। আইনের মাধ্যমে তাদের বিচার হবে। তারা যেভাবে আইন হাতে তুলে নিয়েছিলেন সেভাবে আমরা নেবো না। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের ওপর যে পরিমাণ জুলুম করা হয়েছে আর কারো ওপর করা হয়নি। আমাদের প্রতীক কেড়ে নেওয়া হয়েছে, আমাদের অফিসগুলো সিলগালা করা হয়েছে। আমাদের ভাই-বোনদের হত্যা করা হয়েছে। আমাদের শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এ যে জুলুম করা হয়েছে আমরা বলেছি তার প্রতিশোধ নেব না। তবে হাজার হাজার মানুষকে গুলি করে যে হত্যা করা হয়েছে তার বিচার অবশ্যই হতে হবে। জামায়াতের আমির বলেন, অনেক অসামঞ্জস্য দেখতে পাচ্ছি। এ দেশের ৯০ ভাগ মানুষ আস্তিক। অথচ শিক্ষা কমিশনে আস্তিকদের প্রতিনিধিত্ব নেই। তিনি প্রশ্ন করেন যারা এ দেশের সংখ্যাঘরিষ্ট মানুষের চেতনাই বুঝতে পারে না তাদের কেন বসতে দেওয়া হয়েছে? বর্তমান শিক্ষা সংস্কার কমিশনকে ঢেলে সাজাতে হবে। এ কমিশনে যারা আস্তিক নন তাদের জাতির ঘাড় থেকে দূরে ছুঁড়ে ফেলতে হবে। আগস্ট বিপ্লবের চেতনাধারী ও আস্তিকদের সেখানে বসাতে হবে। তিনি বলেন, নাস্তিকদের এখান থেকে বের করে দেওয়া হোক। তাদের জন্য মানানসই জায়গায় তারা ফিরে যাক। এ জাতির ঘাড়ে তাদের বসতে দেওয়া যাবে না। আস্তিক এবং আগস্ট বিপ্লবের চেতনা যারা ধারণ করে তাদেরকে এখানে বসাতে হবে। জামায়াত আমির বলেন, সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন আমাদের দলের শহীদের সংখ্যা কত? কিন্তু আমরা তাদের বলেছি, আমরা সংখ্যা বলবো না। কারণ শহীদরা কারো দলের হতে পারে না। তারা জাতির সম্পদ, তারা জাতির বীর। এ সময় জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইকবাল হুসাইনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আব্দুর রহিম, নায়েবে আমির মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান, শহীদ জাহিদুল ইসলামের বাবা দুলাল উদ্দিন মাস্টার, শহীদ মাহবুব হাসান নিলয়ের বাবা আবুল কালাম, সমন্বয়ক রাসেল মাহমুদ, বরকতুল্লাহ ফাহাদ প্রমুখ। এর আগে বেলা ১১টার দিকে পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজ মাঠে জামায়াতে ইসলামীর পাবনার রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ডা. শফিকুর রহমান। এরপর দুপুরে দারুল আমান ট্রাস্টে এতিমদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খান এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। আরটিভি/এমকে
চাচাতো ভাইয়ের বুকে লাথি, অতঃপর...
পাবনার সাঁথিয়ায় জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে সেলিম ওরফে সলিম মোল্লা (৪০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামে।  নিহত সলিম মোল্লা উপজেলা ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের হবিবর মোল্লার ছেলে।  জানা গেছে, উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের হবিবুর মোল্লাদের সঙ্গে তার ভাই সাত্তারের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে শুক্রবার দুপুরে সাত্তারের ছেলে কালাম ও নিজাম বিরোধপূর্ণ জমিতে থাকা বাঁশের বাগান থেকে বাঁশ কাটতে থাকে। এ সময় হবিবুরের ছেলে সলিম তার চাচাতো ভাইদের বাঁশ কাটতে বাঁধা দেয়। এ ঘটনায় চাচাতো ভাই নিজাম সলিমকে বুকে লাথি মেরে ফেলে দেয় ও বাঁশ দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। সংঘাত এড়াতে টহল জোরদার করা হয়। এ সময় পুলিশ অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আবুল কালামের ভাই নিজাম ও মনিরুলকে আটক করেছে। সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধে সেলিম নামে একজন খুন হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছেছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আরটিভি/এমকে