• ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১
logo
এডহক কমিটি নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের দ্বন্দ্ব, কলেজ অধ্যক্ষকে মারধর
ছেলের সঙ্গে এইচএসসি উত্তীর্ণ বাবা-মা
পাবনার সুজানগরে বাবা-মা ও ছেলে একইসঙ্গে এবারে এইচএসসি পাস করেছেন। বাবা বিএম ফারুক হোসেন জিপিএ-৪.৭১, মা মোছা. জাকিয়া সুলতানা জিপিএ-৪.২৫ এবং ছেলে বিএম হুজ্জাতুল ইসলাম ফাহিম জিপিএ- ৪.১৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসির ফল প্রকাশের পর এমন সাফল্যে পরিবার-পরিজনসহ এলাকাবাসীর প্রশংসায় ভাসছেন বাবা-মা ও ছেলে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সাতবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজের বিএম শাখা থেকে বাবা ও মা এবং ছেলে উইলস্ লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ (ইংলিশ ভার্সন) থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।  বাবা-মার সঙ্গে এইচ এসএসসি (সমমান) পরীক্ষায় পাশ করে উচ্ছ্বসিত ছেলে বিএম হুজ্জাতুল ইসলাম ফাহিম। তিনি জানান, একই বছর আমার সঙ্গে এইচএসসি পাস করায় সত্যিই অনেক খুশি।  মা জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমার খুব ইচ্ছা ছিল এইচএসসি পাস করার, কিন্তুি মা-বাবার সংসারে সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। পরে আমি আমার স্বামী ও ছেলের পরামর্শে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আমি এবং আমার স্বামী সুজানগর উপজেলার সাতবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজের বিএম শাখায় ভর্তি হই। এইচএসসি (সমমান) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছি, তাই আমি আনন্দিত। বাবা বিএম ফারুক হোসেন বলেন, অল্প বয়সে ২০০২ সালে আমার বিয়ে হয়। এরপর সংসারের হাল ধরার কারণে ব্যবসা করায় তখন আর লেখাপড়া হয়ে ওঠেনি। আমার ২ ছেলে ও এক মেয়ে। স্ত্রী ও আমি একই সঙ্গে কলেজে ভর্তি হই। এবং একসঙ্গে স্ত্রী ও বড় ছেলের সঙ্গে একই বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করে আমি অনেক খুশি।  তিনি আরও বলেন, সমাজে চলতে অনেক সময় শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য বিড়ম্বনায় পড়তে হতো। সত্যি কথা বলতে লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নেই। পাস করার ফলে আমাদের মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাবে। আমি এবং আমার স্ত্রী উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে পড়ালেখা চালিয়ে যাব। সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, একই সঙ্গে বাবা-মা ও ছেলে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় আমাদের সামনে তারা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাদের এমন কৃতিত্বকে সবার সম্মান করা উচিত। এবং তাদের দেখে অন্যরাও উচ্চশিক্ষায় অগ্রসর হবেন বলে প্রত্যাশা করি।  আরটিভি/এএএ
জামাই আনতে হেলিকপ্টার পাঠালেন কৃষক শ্বশুর
স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে গৃহবধূকে ধর্ষণ
পাবনার চিনাখড়া কবরস্থান থেকে ৫ কঙ্কাল চুরি 
আটকের ১২ ঘণ্টা পর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মুক্তি
পাবনায় ২৩ লাখ টাকাসহ উপজেলা চেয়ারম্যান আটক
ভোটের একদিন আগে গভীর রাতে প্রায় ২৩ লাখ টাকাসহ পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহীনসহ ১১ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। পাশাপাশি উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহীনের নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়িও জব্দ করা হয়। সোমবার (৬ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুজানগরের চর ভবানীপুরের নির্বাচনী এলাকা থেকে তাকে আটক করেন র‌্যাব-১২ ক্যাম্পের সদস্যরা। শাহিনুজ্জামান শাহীন এবারের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী (আনারস প্রতীক)। তিনি সুজানগর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। এ ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বাকি আটককৃতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তবে আটককৃতদের মধ্যে সুজানগর পৌরসভার ৪ ও ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরও রয়েছেন। এ বিষয়ে র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান বলেন, আগামী ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথমধাপের সুজানগর উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের নিয়মিত টহল দল সুজানগরের চর ভবানীপুর এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনকে দুই ব্যাগভর্তি ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭শ টাকা ও দশ সহযোগীসহ আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, টাকাগুলো অসৎ উদ্দেশ্যে বিতরণের জন্য রাখা হয়েছিল। ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করার জন্য। আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি তিনি এসে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পাবনা জেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
জাস্টিন ট্রুডোর জন্ম বাংলাদেশে!
কাগজে-কলমে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়নের নাগরিক হিসেবে দেখানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ওই ইউপির দেওয়া জন্মনিবন্ধন সনদে কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পরিচয় দেওয়া হয়েছে। নাম জাস্টিন ট্রুডো, পিতা পিয়েরে ট্রুডো, মাতা মার্গারেট ট্রুডো। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে আহম্মদপুর ইউনিয়নের সচিব আওলাদ হাসানকে দুষছেন। তারা জানায়, আওলাদের ছত্রছায়ায় ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর নিলয় হোসেন টাকার বিনিময়ে যার তার নামে জন্মনিবন্ধন দিতেন। এ জন্য এমন ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে সচিব আওলাদ হাসান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। সার্ভারের ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড আমার কাছে থাকলেও নিলয় হয়তো কোনো সময়ে জেনে গেছে। আমার অগোচরে সে ওটিপি কোড নিয়ে এসব করেছে। সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকার বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। এটা হয়তো কেউ হ্যাকড করে করেছে। বিষয়টি তদন্তধীন, দ্রুত আসল বিষয়টি জানা যাবে।