• ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১
logo
ঘোড়াঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল সবজি বিক্রেতার 
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আরেক ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১
দিনাজপুর ঘোড়াঘাটে মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে আরেক ট্রাকের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন একই ট্রাকের সহকারী।  বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের কশিগাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত ট্রাক চালক বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ইসমাইল হোসেন (৬০) এবং আহত সহকারী একই জেলার ধুনট উপজেলার বেরইবাড়ি এলাকার বাবু মিয়া (৪৫)।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঘোড়াঘাট উপজেলার কশিগাড়ি এলাকায় একটি বেকারির দোকানের সামনে একটি ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় পঞ্চগড় থেকে বগুড়া শেরপুরগামী একটি ধান বোঝাই ট্রাকটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ধান বোঝাই ট্রাকের চালক মারা যায়। গুরুতর আহত চালকের সহকারীকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  আরটিভি/এএএ     
ঘোড়াঘাটে পিস্তল-গুলিসহ যুবক আটক
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে সিমেন্ট মিক্সারের ধাক্কায় নিহত ১
দিনাজপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ভ্যানে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২
ঘোড়াঘাটে কুখ্যাত ৪ ডাকাতসহ ট্রাক জব্দ
ঘোড়াঘাট থানা থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো সেনা সদস্যদের
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় থানা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সেনা সদস্যদের। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা থানা চত্বর থেকে চলে যান।  শনিবার (৭ সেপ্টম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ। গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সরকার পতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা হয়। পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থল ছেড়ে চলে যান। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সব থানায় মোতায়েন করা হয় বিজিবি ও সেনাবাহিনী। মূলত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করেন সেনা সদস্যরা। সরকার পতনের পরবর্তী এক সপ্তাহে দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় হামলা, মারপিট, ভাঙচুরসহ বেশ কিছু ঘটনা ঘটলেও ঘোড়াঘাট থানায় দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া পুরো পরিবেশ ছিল স্বাভাবিক। ৫ আগস্টের পর থেকে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি থানা পুলিশকে সহযোগিতা করেন স্থানীয় ও বিএনপি- জামায়াতের নেতারা। এতে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকে পুলিশের কার্যক্রম। সরকার পতনের ঠিক এক মাসের মাথায় ঘোড়াঘাট থানা থেকে সেনা সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হলো। বিদায়ের আগে সহযোগিতার জন্য ঘোড়াঘাটবাসী এবং পুলিশ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সেনা সদস্যরা। নতুন দেশ গড়তে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।
এইচএসসির প্রশ্নপত্র দেখে তৈরি হচ্ছিল উত্তর, আটক ২ শিক্ষক 
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখে উত্তর সংগ্রহ এবং সরবরাহ করার সময় দুজন মাদরাসা শিক্ষককে আটক করেছেন ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম। এ সময় ৯টি মোটরসাইকেল ও  ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে থানা পুলিশ। রোববার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার ৩ নম্বর সিংড়া ইউনিয়নের কশিগাড়ী জামে মসজিদ থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় সেখানে থাকা আরও বেশ কয়েকজন কৌশলে পালিয়ে যায়। জানা যায়, রোববার বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্ন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আটক শিক্ষকদের কাছে এসেছিল। সেই প্রশ্নের সমাধান খুঁজে বের করে তারা আবারও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতেন। কিন্তু এর আগেই ধরা পড়েন। ওই দুই শিক্ষককে যে মসজিদ থেকে আটক করা হয়েছে, তার পাশেই রামেশ্বরপুর ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলছিল। আটক শিক্ষকরা ওই কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে উত্তরপত্র সরবরাহ করতেন।  আটক দুই শিক্ষক হলেন, কৃষ্ণরামপুর ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যক্ষ সুলতান হোসেন (৫২) এবং দেওগাঁ ফাজিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম (৪০)।  ঘোড়াঘাট থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘রামেশ্বরপুর ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রের সচিব বাদী হয়ে একটি নিয়মিত মামলা করবেন। আটক দুই শিক্ষককে আমরা থানা হেফাজতে রেখেছি। মামলা দায়ের হলে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার (৮ জুলাই) তাদেরকে দিনাজপুরের আদালতে পাঠানো হবে।’ এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আটক দুই শিক্ষকসহ পলাতক কয়েকজন পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর মুঠোফোনে কোনোভাবে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছবি পেয়েছিলেন। সেই ছবি দেখে তারা উত্তরপত্র তৈরি করছিলেন। এমন সময় গোপন সংবাদের বিভিন্ন খবর পেয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’ 
ঘোড়াঘাটে ট্রান্সফরমার চোর চক্রের ৫ জন গ্রেপ্তার
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ট্রান্সফরমার চোরচক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। তাদের হেফাজত থেকে জব্দ করা হয়েছে একটি ট্রান্সফরমারের অংশ বিশেষসহ বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল। উদ্ধার করা মালামালের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১ লাখ টাকা জানিয়ে সোমবার (৬ মে) বিকেল ৫টায় সংবাদ সম্মেলনে হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার দক্ষিণ দেবীপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে কাউসার ইসলাম (২২), কশিগাড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আনারুল ইসলাম (৩৫), কশিগাড়ী গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২০), গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ছোট শিমুলতলা গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে রতন মিয়া (৩৫) এবং গাইবান্ধা সদর উপজেলার ডেভিট কোম্পানী পাড়া গ্রামের শাহারুল ইসলামের ছেলে রিয়াজ আকন্দ (২৮)। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলার হাটশ্যামগঞ্জ গ্রামে বিদ্যুতিক খুঁটি থেকে একটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এ নিয়ে ঘোড়াঘাট সাব জোনাল অফিসে অভিযোগ দেন ওই গ্রামের গ্রাহক আল আমিন মিয়া। পরে সোমবার (৬ মে) সকালে ঘোড়াঘাট থানায় এজাহার দাখিল করেন দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ঘোড়াঘাট সাব জোনাল অফিসের এজিএম মেহেদী হাসান। এরপর চুরি যাওয়া বিদ্যুতিক সরঞ্জাম উদ্ধার এবং চোর শনাক্তে মাঠে নামে পুলিশ। দিনভর পৃথক কয়েকটি অভিযানে গ্রেপ্তার হয় চক্রের ৫ সদস্য এবং তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গাইবান্ধা সদর উপজেলা থেকে চোরাই মালামালগুলো জব্দ করে পুলিশ। এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম বলেন, দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার স্যারের সার্বিক দিক নির্দেশনায় আমরা ট্রান্সফরমার ও মিটার চোর চক্র নিধনে কাজ করছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছেন। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা আদালতে রিমাণ্ডের আবেদন করব।
ঘোড়াঘাটের পৌর মেয়রসহ বিএনপির ৪ নেতাকর্মী কারাগারে
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌরসভার মেয়র, জেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার মিলনসহ বিএনপির চার নেতাকর্মী নাশকতার মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে দিনাজপুর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গিয়াস উদ্দিনের আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিরা হলেন- উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মাহবুব চৌধুরী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন ও সাবেক উপজেলা ছাত্রদল নেতা সোহেল প্রধান। আদালত সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াঘাট উপজেলায় গত বছর জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও এবং অগ্নিসংযোগ করে সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতিসাধন করা হয়েছে।  সরকারবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করে। আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। রোববার (২১ এপ্রিল) তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ঘোড়াঘাটে ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ফরহাদ হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।  বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার রাণীগঞ্জ-ডুগডুগিহাট সড়কের মহিলা কলেজ এলাকা থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার অদূরে আবাদি জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  নিহত ফরহাদ হোসেন পাঁচবিবি উপজেলার গণেশপুর গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকেলে নিজবাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হয়ে ভ্যানসহ নিখোঁজ হন নিহত ফরহাদ। রাতভর তার খোঁজ না পাওয়ায় পরের দিন সোমবার তার ভাই ইউপি সদস্য (মেম্বার) শাহজাহান আলী পাঁচবিবি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে আবাদি জমির মাঝে সেচের ড্রেনের মাঝখানে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত ব্যক্তিটির বাড়ি পাঁচবিবি পৌর শহরের গণেশপুর গ্রামে। পরে নিহতের ভাই ঘটনাস্থলে এসে পরিচয় শনাক্ত করেন। ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, মরদেহ শীতে শক্ত হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গতকাল হত্যা করা হয়েছে। তার ভ্যানটি পাওয়া যাচ্ছে না। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঁচবিবি অথবা ঘোড়াঘাট থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শ্বশুরের মৃত্যু, সেই খবর শুনে মারা গেলেন পুত্রবধূ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট এলাকায় শারীরিক নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে সাহেব আলী (৭১) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শ্বশুরের মৃত্যু শোক সইতে না পেরে পুত্রবধূ ছমিরন বেগম (৪৩) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের ধারণা, হার্ট অ্যাটাকে ছমিরন বেগম মারা গেছেন। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার কালিঞ্জিরা (ওহিউড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।  এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাহেব আলী ওই গ্রামের মৃত কসর আলী ছেলে। ছমিরন বেগম সাহেব আলীর ছেলে ছানাউল মিয়ার স্ত্রী।  । নিহত সাহেব আলী ওই গ্রামের মৃত কসর আলীর ছেলে এবং ছমিরন বেগম ছানাউল মিয়ার স্ত্রী।  নিহত সাহেব আলী এবং ছমিরন বেগম শ্বশুর-পুত্রবধূর বাহিরে সম্পর্কে চাচা-ভাতিজিও ছিলেন। অর্থাৎ সাহেব আলী ভাইয়ের মেয়ের সঙ্গে নিজের ছেলের বিবাহ দিয়েছিলেন। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত ছিলেন সাহেব আলী। এছাড়া বয়সের কারণে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন এই বৃদ্ধ। শনিবার বিকেলে নিজ বাড়িতেই মারা যান সাহেব আলী। এর কিছু সময় পরে শ্বশুরের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন পুত্রবধূ ছমিরন বেগম। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের প্রতিবেশী লিটন মিয়া জানান, নিহত ছমিরন বেগম ইতোপূর্বে একবার হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন। আজ বিকেলে কিছু সময়ের ব্যবধানে শ্বশুর এবং ছেলের বউ মারা যান। রোববার সকাল ১১টায় দুজনের দাফন হবার কথা রয়েছে। ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. পার্থজ্বীময় সরকার জানান, সন্ধ্যার আগে পরিবারের লোকজন ছমিরন বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। তবে আমরা তাকে মৃত্যু অবস্থায় পেয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন।