• ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১
logo
হবিগঞ্জে সাবেক এসপিসহ ৫৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা
জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বৃদ্ধা রুকিয়া 
লাখাইয়ে জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন মোছা. রুকিয়া খাতুন নামে এক বৃদ্ধা। মানবেতর জীবনযাপন করলেও সরকারি কোনো সাহায্য সহায়তা ভাগ্যে জুটেনি তার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লাখাই উপজেলার ৬নং বুল্লা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব বুল্লা গ্রামের মৃত ছায়েব আলীর স্ত্রী মোছা. রুকিয়া খাতুন তার স্বামী ৩ মেয়েকে রেখে মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনদের সহায়তায় ৩ মেয়েকে কোনমতে বিয়ে দিতে পেরেছেন। এরপর থেকেই জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জরাজীর্ণ একটি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন মোছা. রুকিয়া খাতুন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘরটি হেলে পড়লে প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের সহায়তায় ওই ঘরটি কোনো রকম ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। মোছা. রুকিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর ৩ মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর আমি এখন একা। আমি বরশি দিয়ে মাছ ধরে কোনভাবে দুমুঠো ভাত খাই।’  আপনি কি কোনো সরকারি সাহায্য সহায়তা পান কি না এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি গরিব অসহায় বিধবা মহিলা, আমাকে কে সাহায্য দেবে, আমি মেম্বার চেয়ারম্যানসহ অনেকের কাছে গেছি সাহায্য চাওয়ার জন্য। কেউই কিছু দেয় নাই।’  এ বিষয়ে ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারিভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ বরাদ্দ না থাকায় মোছা. রুকিয়া খাতুনকে সরকারিভাবে কোন সহায়তা করা যাচ্ছে না। তবে সরকারি কোনো বরাদ্দ আসলে এ বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।’  ৬নং বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খোকন চন্দ্র গোপ বলেন, ‘রুকিয়া খাতুনের বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জেনেছি। দ্রতই চেষ্টা করবো তাকে সরকারিভাবে কোনো সহায়তা দেওয়া যায় কি না সেই ব্যবস্থা করার।’ লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা বলেন, ‘এ বিষয়ে আপনার মাধ্যমে অবগত হয়েছি। মোছা. রুকিয়া খাতুন আমার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করলে কোনো ধরনের সরকারি সহায়তা দেওয়া যায় কিনা সেই ব্যবস্থা করবো। এ বিষয়ে দ্রুত খতিয়ে দেখব।’
বন্ধুর বিয়েতে এসে স্রোতে তলিয়ে গেল যুবক
হ‌বিগ‌ঞ্জের লাখাইয়ে নারী শি‌ক্ষিকার মর‌দেহ উদ্ধার
হবিগঞ্জের শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকার আত্মহত্যা
হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনা : নিহত ৪ জনের দাফন সম্পন্ন
লাখাইয়ে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন 
লাখাই মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ডিগ্রি কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ জাবেদ আলীর বিরুদ্ধে বারবার দুর্নীতি ও অনিয়ম এবং পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) লাখাই মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সামনে হবিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে মানববন্ধন করেন কলেজের কয়েক শত শিক্ষার্থী। মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন স্থগিত করার আহ্বান জানান লাখাই উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান, লাখাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম আলম, লাখাই থানার ওসি মো. আবুল খায়ের ও লাখাই থানার ওসি (তদন্ত) চম্পক দাম। প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দের আশ্বাসে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন স্থগিত করেন এবং শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করেন।  এ সময় লাখাই মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ডিগ্রি কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ জাবেদ আলীর বিরুদ্ধে বারবার দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে দ্রুত পদত্যাগের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।  এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
জমে উঠেছে লাখাই উপজেলা পরিষদের নির্বাচন, আলোচনায় ৬ প্রার্থী 
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৩০ এপ্রিল প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।  আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা না দেওয়ার ঘোষণায় তফসিল ঘোষণা না হলেও জমে উঠেছে লাখাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন। বিভিন্ন কৌশলে ভোটারদের মন জয় করতে ও জনসমর্থন আদায় করতে সামাজিক, পারিবারিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন প্রার্থীরা।  আবার অনেক প্রার্থীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে উঠান বৈঠক করছেন এবং ভোটারদের দোয়া ও সমর্থন চাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।  উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ও চায়ের স্টলে প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে আসন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ নিয়ে চলছে আলোচনা ও তর্ক-বিতর্ক।  এলাকার সাধারণ ভোটার ও সচেতন মহলের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সৎ, নিষ্ঠাবান ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে তারা বিজয়ী করতে চান।  উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত লাখাই উপজেলা পরিষদ। লাখাই উপজেলার মোট ভোটার ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৪ হাজার ১৩৭ জন ও মহিলা ভোটার ৬১ হাজার ৯৪১ জন এবং হিজড়া ভোটার ১ জন। ৩৯টি কেন্দ্রে উপজেলার ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।   লাখাই উপজেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন লাখাই উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মো. মুশফিউল আলম আজাদ, বামৈ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মাহফুজুল আলম মাহফুজ, লাখাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য রফিক আহমেদ, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম আলম, লাখাই উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ইকরামুল মজিদ চৌধুরী শাকিল ও হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফয়সল চৌধুরী।
হবিগঞ্জে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ
হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার ৫নং করাব ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. জিলু মিয়ার বিরুদ্ধে উৎকোচ দাবি ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।  এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোছা. ইয়াসমিন আক্তার গত ১৬ জানুয়ারি লাখাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।  লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ডিসেম্বর অভিযোগকারী ইয়াসমিন আক্তারের মেয়ে মোছা. লাভলী আক্তারের জন্ম নিবন্ধন করার জন্য ৫নং করাব ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. জিলু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কয়েকজনের উপস্থিতির মধ্যেই ইয়াসমিন আক্তারের মেয়ের কাজটি বুঝে নেন। জমা দেওয়ার তিন থেকে চারদিন পরে যোগাযোগ করলে করাব ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দুই থেকে তিন দিনপর ইয়াসমিন আক্তারকে দেখা করতে বলেন। সচিব মো. জিলু মিয়া গত ৫ জানুয়ারি ইয়াসমিন আক্তারের কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন এবং টাকা দিতে অপারগতা জানালে অফিস থেকে তাকে বাহির করে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে করাব ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. জিলু মিয়া বলেন, কে বা কারা অভিযোগ দিয়েছে এ বিষয়ে আমি এখন পর্যন্ত কোন কাগজপত্র পাইনি। অভিযোগের কাগজপত্র পাওয়ার পরে আমি যদি অন্যায় করি তাহলে শাস্তি পাব। লাখাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা সুলতানা বলেন, করাব ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. জিলু মিয়ার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।