• ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১
logo
ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি দেখে দৌড়, এরপর যা ঘটল 
অবৈধভাবে ভারত যাওয়ার পথে আটক ৮
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এক মানব পাচারকারীর বাড়ি থেকে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় শিশুসহ আট বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার লালারচক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে রাতে তাদেরকে কুলাউড়া থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি। আটককৃতরা হলেন- মো. মফিজুর রহমান চৌধুরী (৫০), মো. সেলিম ফকির (৩০), মো. সাগর শেখ (১৭), মো. লিটন মোল্লা (২৫), মোছা. লামিয়া (৭), ফুলি (৩৫), সাথী (২৫) ও তার তালহা (২)। তারা সবাই খুলনা ও নড়াইল জেলার বাসিন্দা। ৪৬ বিজিবির শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. জামাল হোসেন বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে লালারচক এলাকার মানব পাচারকারী মো. ওয়াসকুরুনীর বাড়িতে লালারচক বিজিবির সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পাঠাতে আটজন বাংলাদেশি নাগরিককে তার বাড়িতে রাখেন। সেখান থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। মো. জামাল হোসেন আরও বলেন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, বিনা পাসপোর্টে তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মানব পাচারকারী ওয়াসকুরুনীর কথামতো তার বাড়িতে অবস্থান নেয়। ঘটনাস্থলে ওয়াসকুরুনীকে পাওয়া না গেলেও তাকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আটককৃতদেরও রাতে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আপছার বলেন, আটককৃতদের শুক্রবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হবে। আরটিভি/এএএ/এস
টিকেট ছাড়া রেল ভ্রমণ, ৮ জনকে জরিমানা
স্ত্রীর মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পর মারা গেলেন স্বামী
কুলাউড়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত ও সংস্কারে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ
মৌলভীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু
বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরের মরদেহ ফেরত পেল পরিবার
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মুরাইছড়া সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরের মরদেহ ফেরত পেয়েছে পরিবার। সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বিজিবি মরদেহ গ্রহণ করে সীমান্ত এলাকায়ই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।  জানা গেছে, রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে মুরাইছড়া বস্তির আছকির মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (১৫) ও একই গ্রামের মৃত সাদাই মিয়ার ছেলে ছদ্দেকুর রহমান (৩৪) মুরাইছড়া সীন্তের শিকরিয়া এলাকায় গরু চরাতে চরাতে সীমান্তের জিরো লাইনের কাছাকাছি চলে যায়। এ সময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উনকোটি জেলার মাগুরুলি বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলিতে কিশোর সাদ্দাম ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় ছিদ্দেকুরকে আহতবস্থায় বাংলাদেশ সীমান্তে ফিরে আসলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুলাউড়া, পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতাল নেয়। তবে সেখানেও অবস্থা খারাপ হলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তিনি সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অপরদিকে নিহত সাদ্দাম হোসেনের মরদেহ নিয়ে যায় পুলিশ। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিলভিস্টার পাঠাং জানান, নিহত সাদ্দামের মরদেহ ভারতের কৈলাশহর হাসপাতালের মর্গে ছিল। মরদেহ ফেরাতে তারা বিজিবির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেন। এরপর বিজিবি ও বিএসএসফের যোগাযোগ হলে আজ মরদেহ ফেরত পাওয়া গেছে। বিকালে বিএসএফ সাদ্দামের মরদেহ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করলে রাতে বিজিবি তা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। কুলাউড়া থানা অফিসার ইনচার্জ আলী মাহমুদ জানান, সোমবার বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে বিএসএফ মরদেহ বাংলাদেশে পাঠালে প্রথমে বিজিবি তা গ্রহণ করে। পরে থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে। বিষয়টি নিয়ে ভারতের কৈলাশহর থানায় মামলা হয়েছে। মামলার ডকুমেন্টসহ তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। আইনি কার্যক্রম শেষে মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
কুলাউড়ায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোর নিহত, গুলিবিদ্ধ ১ 
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত কিশোর সাদ্দাম (১৩) উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুড়ইছড়া বস্তির আছকির মিয়ার ছেলে। আহত হয়েছেন ওই গ্রামের মৃত সাদই মিয়ার ছেলে ছিদ্দেকুর রহমান (৩৬)। জানা যায়, রোববার বিকলে নিহত সাদ্দাম তার পরিবারের গৃহপালিত দুটি গরু আনতে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া সীমান্তে যান। এ সময় সাদ্দাম তাদের গরু আনতে গেলে সীমান্ত এলাকার ৪৩ নম্বর মূল পিলারের কাছে প্রবেশ করার চেষ্টাকালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যর উনকোটি জেলার মাগুরউলি এলাকায় বিএসএফের একটি টহল দল তাকে মারধর করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই সাদ্দাম মারা যান। এ সময় সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের হাতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন ছিদ্দেকুর রহমান নামের আরও এক ব্যক্তি।  আলীনগর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার হরি জীবন বলেন, এ বিষয়ে পরে কথা বলবো এখন বিএসএফের সঙ্গে আছি।  কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ বলেন, নিহত সাদ্দাম ও আহত ছিদ্দেকুর রহমান এলাকায় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধে ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে স্থানীয় সবশ্রেণির মানুষকে নিয়ে একাধিকবার মতবিনিময় করা হয়েছে। কিন্তু একটি চক্র চোরাচালান কাজ বন্ধ করেনি।  কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ক্যশৈনু বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। যতটুকু জেনেছি সাদ্দামকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে। এ দিকে আহত ছিদ্দিককে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মায়ের বিরুদ্ধে যমজ সন্তানকে ‘চুবিয়ে’ মারার অভিযোগ
মানসিক ভারসাম্যহীন এক মা নিজের যমজ সন্তানকে ‘চুবিয়ে’ হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২১ জানুয়ারি) ভোরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের উত্তরভাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুই শিশু কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের উত্তরভাগ গ্রামের দুবাই প্রবাসী বাচ্চু মিয়ার সন্তান। মর্মান্তিক এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আরও পড়ুন : শ্রম আইন সংশোধনীর অগ্রগতি জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র   নিহত যমজ শিশুর চাচা বাদশা মিয়া জানায়, সম্প্রতি বাচ্চু মিয়া দেশে এসেছেন। রোববার ভোরে তিনি ঘুম থেকে উঠে স্ত্রী ও সন্তানদের ঘরে দেখতে না পেয়ে বাইরে আসেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে দেখতে পান ৪ বছর বয়সী ২ শিশু রাদিয়ান আহমদ ও রাইয়ান আহমদ বাড়ির পুকুরে ভাসছে। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুদের মৃত ঘোষণা করেন। বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী রিমা বেগম মানসিকভারসাম্যহীন। শিশু দুটিকে খেয়াল করতে না পারায় ডুবে মারা যায় বলেও জানান তিনি। তবে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী মাহমুদ বলছেন, শিশু দুটির মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। মানসিকভারসাম্যহীন রিমা বেগম পুকুরে ফেলে দিয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি জানান, দুবাই প্রবাসী বাচ্চু মিয়ার বড় ভাই বাদশা মিয়া ভোরের দিকে দেখতে পান তার ভাইয়ের স্ত্রী রিমা বেগমের ঘরের দরজা খোলা। ঘরে ঢুকে দেখতে পান তার চার বছর বয়সের যমজ সন্তান রাদিয়ান ও রাইয়ান ঘরের বিছানায় নেই। সঙ্গে সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে পুকুর ঘাটে গেলে শিশু দুটির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এতে তিনি চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন জড়ো হন। আরও পড়ুন : নতুন সরকারের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক জোরদার হবে : চীনা রাষ্ট্রদূত   পরে শিশু দুটিকে উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মা রিমা বেগম দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
‘জিনদের বলে দিয়েছি, কেউ ভোট চুরি করতে পারবে না’
ইসলামী ঐক্যজোটের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আছলাম হোছাইন রহমানী বলেছেন, আমার এখানে শুধু মানুষ এজেন্ট থাকবে না এখানে জিনরাও কাজ করেব। তাদের (জিনদের) বলে দিয়েছি, কেউ ভোট চুরি করতে পারবে না।  শনিবার (৬ জানুয়ারি) মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। অভিনব পদ্ধতিতে মৌলভীবাজারে-২ (কুলাউড়া) আসনে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন ইসলামী ঐক্যজোটের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আছলাম হোছাইন রহমানী। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নির্বাচনী মাঠে ভোট চাইতে গিয়ে তিনি ঝাড়ফুঁক ও পানি পড়া দিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করছেন। ইসলামী ঐক্যজোটের এই প্রার্থী বলেন, ভোট যেন কারচুপি না হয় এজন্য জিনদের বলে দিয়েছি। আমার এখানে মানুষ এজেন্টদের পাশাপাশি জিনরাও কাজ করবে। এজেন্টতো থাকবেই সঙ্গে জিনরাও খবরাখবর দিবে যে ভিতরে কোনো কারচুপি হচ্ছে কি না। তিনি বলেন, ভোট যেন কারচুপি না হয় এজন্য জিনদের বলে দিয়েছি। সুতরাং কেউ ভোট চুরি করতে পারবে না। মাওলানা আছলাম হোসাইন রহমানী বলেন, আপনারা জানেন যারা তসকিয়া বিশ্বাস করেন। তারা জানেন। ফুলতলী সাহেবের অনেক জিন মুরিদ ছিল। আমাদেরও তাদের মতো না হলেও কিছু জিনের সঙ্গে দেখা হয় আলোচনা হয়। আমি তাদের বলে দিয়েছি আমার ভোট যেন কারচুপি না হয়।