• ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১
logo
শ্রীমঙ্গলে নারীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
রিসোর্ট থেকে সাবেক অতিরিক্ত সচিবের মরদেহ উদ্ধার 
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের একটি রিসোর্ট থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব সালাহ উদ্দিন মাহমুদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার রাধানগরের বালিশিরা রিসোর্ট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার সরকারি সফরে মৌলভীবাজার আসেন সালাহ উদ্দিন মাহমুদ। তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ছিলেন। বর্তমানে একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে এসএমই ফাউন্ডেশনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জেনারেল হিসেবে কর্মরত। বুধবারও এসএমই ফাউন্ডেশনের কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশ নেন তিনি। প্রোগ্রাম শেষ করে রাত ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা রিসোর্টে ঘুমাতে যান। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রুমে গেলে ভিতর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ বিকল্প উপায়ে জানালা দিয়ে রুমে প্রবেশ করে মরদেহ উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার সকালেও শ্রীমঙ্গলে এসএমই ফাউন্ডেশনের কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তার। শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, খবর পেয়ে রিসোর্ট থেকে মরদেহ উদ্ধার করি। রাতের কোনো একসময় তিনি মারা যান। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে স্বজনরা মরদেহ গ্রহণ করতে দেরি হওয়ায় সচিবের সহকর্মী এসএমই ফাউন্ডেশনের এজিএম মাসুদুর রহমানের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। তিনি ঢাকায় রওনা হয়েছেন। আরটিভি/এএএ/এসএ  
শ্রীমঙ্গলে শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার
জমি নিয়ে বিরোধ, শ্রীমঙ্গলে যুবক নিহত 
‘বেত আঁচড়া’ সাপ উদ্ধার
শ্রীমঙ্গলে ২০ কেজি ওজনের অজগর সাপ উদ্ধার
মৌলভীবাজারে বিষধর গ্রিন পিট ভাইপার উদ্ধার
মৌলভীবাজারে গ্রিন পিট ভাইপার নামে একটি বিষধর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীমঙ্গলের নতুন বাজার কলার আড়ত থেকে এ সাপটিকে উদ্ধার করেছে শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন।  শুক্রবার (৭ জুন) সাপটিকে লাউয়াছড়া বনে অবমুক্ত করা হয়। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সাপটিকে অবমুক্ত করে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম। জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে শামীম নামে এক ব্যক্তির আড়তের কলাগুলো আলাদাভাবে রাখতে গিয়ে সবুজ রঙের গ্রিন পিট ভাইপার নামের এ সাপটি দেখতে পান সেখানে কাজ করা শ্রমিকরা। এ সময় সাপ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দোকানদাররা। পরে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনকে খবর দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান এটি বিষধর পিট ভাইপার সাপ। সাপটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।  এ বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের সদস্যরা সাপটিকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। সাপটি সুস্থ থাকায় শুক্রবার দুপুরে লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত করা হয়েছে।’
কলাগাছের তন্তু থেকে প্লাস্টিক পণ্য
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ক্ষুদে বিজ্ঞানী সাজ্জাদুল ইসলাম কলাগাছের তন্তু দিয়ে প্লাস্টিক, কার্বন ও সিলিকন পণ্যের বিকল্প ব্যবহারযোগ্য পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরির ফরমুলা আবিষ্কার করেছেন। একই সঙ্গে সে পচা ও অব্যবহৃত সবজির শ্বেতসার থেকে তৈরি করেছে পচনযোগ্য পলিথিন। তার দাবি এটি পরিবেশবান্ধব এবং অনেকটা সাশ্রয়ী। সাজ্জাদুল ইসলাম জানান, ‘শুধু টাইলস নয় তার আবিষ্কৃত কাঁচামাল দিয়ে প্লাস্টিক, কার্বন ও সিলিকনে তৈরি প্লাস্টিকের আসবাবপত্র, টিন, টাইলস ও কার্বনের তৈরি মোটরযানের যন্ত্রাংশের বিকল্প হিসেবে কলাগাছের তন্তু ব্যবহার করা সম্ভব। এমনকি বুলেটপ্রুফ দরজা জানালাও তৈরি করা সম্ভব। আবিষ্কৃত কাঁচামালে ৬৫ শতাংশ কলাগাছের তন্তু ও ৩৫ শতাংশ রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করেই এসব তৈরি করা যায়।  তিনি জানান, তার আবিষ্কৃত প্লাস্টিক পণ্য উচ্চতাপে গলিয়ে সহজেই রাসায়নিক দ্রব্য ও কলাগাছের তন্তু আলাদা করা য়ায়। আর সবজির শ্বেতসার থেকে তৈরি পলিথিন মাটিতে ১ মাসে ও পানিতে ৩ মাসে পচে যাবে; যা মাটির জন্য হবে জৈব সার ও পানিতে হবে মৎস্য খাদ্য।   শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক হৃদয় কুমার ভৌমিক জানান, তাদের কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল কলাগাছের সেলুলোজ সমৃদ্ধ তন্তুর হাইডো-অক্সাইড ও রেজিন ব্যবহার করে এক টুকরো টাইলস তৈরি করে এবং আলুর শ্বেতসার থেকে পলিথিন তৈরি করে এনে দেখায়। পরে আমরা সরকারি কলেজের ল্যাব থেকে তাকে এটি করে দেখানোর আহ্বান জানালে কলেজের ল্যাবে এই দুই পণ্য তৈরি করে। এ সময় কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তা দেখেন।  প্রভাষক হৃদয় কুমার বলেন, ‘সে যে কাঁচামাল ব্যবহার করেছে তা পরিবেশের ভারসাম্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আরও অধিক গবেষণায় এটি ভালো কোনো আবিষ্কার হতে পারে।’ কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক রোমান মিয়া বলেন, ‘যেহেতু এর প্রধান কাঁচামাল কলাগাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং কলাগাছ সহজলভ্য; তাই এটির ব্যবহারে গ্লাস ফাইবার ও কার্বন ফাইবারের প্রয়োগ কমবে। আর তার আবিষ্কৃত এ পলিথিন পরিবেশের ওপর অপচনশীল পলিথিনের প্রভাব কমাবে।’  সাজ্জাদুলের মাধ্যমিক বিদ্যালয় শ্রীমঙ্গল মহাজেরাবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান হুগলিয়া হাজী মনছব উল্লাহ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুল হাছান বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই সাজ্জাদুলের বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কারে ছিল কৌতুহল। এ থেকেই বিভিন্ন কিছু আবিষ্কারে তার মনোযোগ আসে। সাজ্জাদুল ইতোমধ্যে কলাগাছের তন্তুকে ব্যবহার করে তৈরি করেছে টাইলস আর অব্যবহৃত সবজির শ্বেতসার থেকে তৈরি করেছে পরিবেশবান্ধব পলিথিন।’  শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক বিজন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘যেহেতু এর প্রধান কাঁচামাল কলাগাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়, তাই এই কাঁচামাল দিয়ে পলিথিন তৈরি করলে পরিবেশের ওপর অপচনশীল প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার কমবে।’  এ বিষয়ে ক্ষুদে বিজ্ঞানী সাজ্জাদুল ইসলাম জানান, কলাগাছের তন্তু থেকে এই কঠিন যৌগ তৈরি করতে তার সর্বোচ্চ ৬৫ ভাগ তন্তু দিলে এর মধ্যে রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রণ হবে। সে জানায়, তার তৈরি টাইলসের ওজন পায় ৩০০ গ্রাম। যার মধ্যে ২০০ গ্রাম কলাগাছের তন্তু ও হাইডোঅক্সাইড ৬০ গ্রাম ও রেজিন ৪০ গ্রাম। সে জানায়, রেজিন ব্যবহার করা হয় এ জন্য যেন দীর্ঘ সময় ধরে এটি না পঁচে এবং হাইডো-অক্সাইড রেজিনের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী অবস্থান প্রদান করে। এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী আরও জানান, পরিবেশবান্ধব পলিথিনের জন্য সে ব্যবহার করে বাজারের পরিত্যক্ত সবজি থেকে সংগ্রহকৃত শ্বেতসার, অ্যাসিটিক এসিড ও গ্লিসারল। মোট দ্রবণের ২৫ শতাংশ গ্লিসারল, ২৫ শতাংশ অ্যাসিটিক এসিড, ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পানি ও বাকিটা সবজির শ্বেতসার। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার ফল ও সবজি অপচয় হয়। এই অপচয়কৃত শস্য থেকে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারযোগ্য পণ্য তৈরি করা হলে দেশের অর্থনীতিতে আসতে পারে বড় একটা পরিবর্তন এবং সঙ্গে সঙ্গে কমে আসবে পরিবেশ দূষণ। আর কলাগাছ যেহেতু একবার ফল দেওয়ার পর কেটে ফেলে দিতে হয়। তাই কৃষককে অল্প মূল্য দিয়ে তা সংগ্রহ করে এর দ্বারা প্লাস্টিক, কার্বন ও সিলিকন পণ্যের বিকল্প ব্যবহারযোগ্য পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরি করা সম্ভব। ইতোপূর্বে সাজ্জাদুল ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০২৪’ এ মৌলভীবাজার জেলা পর্যায়ে বছরের সেরা মেধাবী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। সে জানায়, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে সে তার গবেষণা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। সাজ্জাদুলের বাবা একজন দরিদ্র কৃষক। তার বাবার পক্ষে তার গবেষণার খরচ চালানো সম্ভব নয়। তাই তার এ কাজের উৎসাহ অর্থনৈতিক কারণে সামনের দিকে এগোচ্ছে না। এই মেধাবী ক্ষুদে বিজ্ঞানীকে সরকার কিংবা হৃদয়বান কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পৃষ্ঠপোষকতা করলে তার দ্বারা ভালো কিছু আবিষ্কার করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন তার শিক্ষকরা।   
প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হাসপাতালে নিলেন বাবা-মা, অতঃপর...
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আড়াই বছরের প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ (কীটনাশক) খাইয়ে বাবা-মা হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া হয়েছে। এমন লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীমঙ্গলের ভূনবীর ইউনিয়নের রাজপাড়া গ্রামে।  শুক্রবার (১৭ মে) রাতে নিজ সন্তানকে ওই বাবা-মা হত্যা করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।  স্থানীয়রা জানান, ফারিয়া আক্তার নামের ওই শিশুর বাবার নাম রাশেদ মিয়া ও মা একই গ্রামের ওয়াসিত মিয়ার মেয়ে শাপলা বেগম। রাশেদ ওই গ্রামের ফয়জল মিয়ার ছেলে।  স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, ফারিয়া নামে আড়াই বছরের সন্তান জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল। সে চলাফেরা করতে পারত না। শুধু বিছানায় শুয়ে থাকত। এতে শিশুর মা-বাবা ধৈর্যহারা হয়ে পড়েন। তারা প্রায় সময় ফারিয়াকে অবহেলা করে ঘরের বাইরেও ফেলে রাখতেন। শুক্রবার বিকালে ফারিয়ার মুখে কীটনাশক ঢেলে দেন ওই দম্পতি। পরে নিজেরাই ফারিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মেয়েটি মারা যায়। মেয়ের মরদেহ বাড়িতে এনে দাফনের চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু ইতোমধ্যে বিষ খাওয়ানোর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ফারিয়ার বাবা-মা ও নানি পালিয়ে যান। ঘর থেকে পুলিশ ফারিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে।  এ ঘটনায় ফারিয়ার নানা ওয়াসিত মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।  এদিকে বিষ প্রয়োগের কারণে ফারিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট মেডিকেল অফিসার আব্দুর রউফ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধী সন্তান হওয়ার কারণে আড়াই বছরের ফারিয়াকে তার মা-বাবা কীটনাশক খাইয়ে মেরে ফেলেছেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
মামাকে সমর্থন দিয়ে ভাগিনার প্রার্থিতা প্রত্যাহার
শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মামাকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন ভাগিনা। রোববার (১২ মে) দুপুরে শহরের মহসিন অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলন করে চেয়ারম্যান প্রার্থী আফজাল হক তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।  তিনি জানান, তার মামা বীর মুক্তিযোদ্ধা আছকির মিয়া এবারের নির্বাচনে দাঁড়ানোর কারণে তিনি তার বিবেকের কাছে আটকে গেছেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, বয়োজ্যেষ্ঠ, উপজেলা পরিষদের সাবেক প্রথম চেয়ারম্যান।  মামার প্রতি সম্মান জানিয়ে আর আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুরোধে নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানান তিনি। এ সময় তিনি আরও জানান, পরবর্তী নির্বাচনে তিনি আবার প্রার্থী হবেন। তিনি তার সমর্থক, কর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সকল ভোটারদের প্রতি অনুরোধ করেন, তার মামাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য।  তিনি উপজেলার হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের ও দল-মতের ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এ পর্যন্ত তাকে সমর্থন ও সহযোগিতা করার জন্য। উল্লেখ্য, আগামী ২৯ মে শ্রীমঙ্গল সদর উপজেলায় তৃতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুরুষ ৪ জন ও মহিলা ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা যায়। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আছকির মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউছুব আলী, ভূনবীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ রশিদ, কালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোতলিব, মুক্তিযোদ্ধা আবু শহীদ আব্দুল্লা, শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী কামাল হোসেন, মির্জাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়াম্যান ফিরোজ মাস্টার, পরিবহন ইউনিয়নের শ্রমিক নেতৃবৃন্দসহ সহস্রাধিক কর্মী।
‘বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না’
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছন, বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না, যেকোনো মূল্যে খাড়িয়া সম্প্রদায়ের মাতৃ (পার্সী)-ভাষাকে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের গেস্ট হাউসে খাড়িয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সাক্ষাতের সময় এ কথা জানান তিনি।  এ সময় খারিয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। সাক্ষাতে শ্রীমঙ্গল বর্মা ছড়ার খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুই বোন ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটা তাদের ভাষায় কথা বলেন এবং তাদের সম্প্রদায়ের জহরলাল ইন্দোয়া নামের একজন তা বাংলায় বর্ণনা করেন। সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবির, জেলা পুলিশ সুপার মো. মঞ্জুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আবু তালেব ও শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়। প্রধান বিচারপতি জানান, ভাষা বৈচিত্রের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। তিনি গণমাধ্যমের সূত্রে জেনেছেন, খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুজন লোকই বেঁচে আছেন। যারা তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারেন। তারা মারা গেলে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে এই ভাষা। এই বিষয়টি তাকে ভাবান্বিত করেছে। তাই নিজ উদ্যোগেই এই দুজন মহিলার সঙ্গে তিনি দেখা করতে এসেছেন। তিনি আস্বস্ত হয়েছেন শুধু দুজন নয়, এই ভাষায় কথা বলতে পারেন আরও কয়েকজন আছেন এবং খাড়িয়া জনগোষ্ঠীর প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করছেন। তবে এই ভাষাটি রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণের ওপর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে উদ্যোগ নিতে বলেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের আবিষ্কৃত চায়ের জাত ও তৈরি চায়ের গুণগত মান যাচাই করেন। এ সময় তিনি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চায়ের গুণগত মান ধরে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান করেন।
‘সকল মানুষের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন’
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, সকল মানুষের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল মানুষের খোঁজখবর রাখেন। চা শ্রমিকদের প্রধানমন্ত্রী খুবই ভালবাসেন এবং সম্প্রতি তিনি চা শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি করেছেন।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে শ্রীমঙ্গলের মাজদিহি চা বাগানে অসহায় ও শীতার্ত চা-শ্রমিকের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। চা-শ্রমিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা ভোট দিয়ে সাত বার আমাকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। কয়েকদিন আগের নির্বাচনে ভোট দিয়ে আবারও আমাকে এমপি বানিয়েছেন আর প্রধানমন্ত্রী আমাকে কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। আপনাদের জীবনমানের আরও উন্নয়ন না করতে পারলে দেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন না করতে পারলে মন্ত্রী হিসেবে আমার কোনো মূল্য নেই। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক, কৃষকের সেবক। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যে আমি নির্দেশনা দিয়েছি, কোনো কৃষক যাতে কষ্ট না পায়, সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। মন্ত্রী বলেন, কৃষিমন্ত্রী হিসেবে আমি সব সময় কৃষকের সঙ্গে থাকব। লক্ষ্য একটাই, কোনো জমি খালি রাখা যাবে না। জমি খালি রাখলে, ফসল না ফলালে মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করা যাবে না। চা-শ্রমিক ও কৃষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাড়ির আঙিনা খালি রাখবেন না। অন্তত কিছু শিম গাছ, লাউ গাছ, করল্লার গাছ, কয়েকটি বেগুন গাছ, কিছু শাকসবজি লাগান; এতে নিজের খাবারের প্রয়োজন মিটবে, বাজার থেকে কিনে খেতে হবে না। পরে সন্ধ্যায় কৃষিমন্ত্রী কমলগঞ্জ উপজেলার মিরতিংগা চা বাগান, পাত্রখোলা চা বাগান এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলা রানার উচ্চ বিদ্যালয়ে পৃথক অনুষ্ঠানে অসহায় ও শীতার্ত চা-শ্রমিকদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।