ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের সাফল্যের ৪০ বছর উদযাপিত
দেশের শীর্ষতম জীবনবীমা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি গৌরবময় সাফল্যের ৪০ বছর উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে কোম্পানির কাওরান বাজারস্থ প্রধান কার্যালয় এনএলআই টাওয়ারে কেক কাটা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে কোম্পানির চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম, সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক তাহের, পরিচালক বিলকিস নাহার, পরিচালক এ এস এম মাঈনুদ্দিন মোনেম, পরিচালক এয়ার কমোডোর মো. আবু বকর এফসিএ, পরিচালক দাস দে প্রসাদ, পরিচালক মো. হারুন পাটোয়ারী, মুখ্য
নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাজিম উদ্দিন, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এন্ড সিএফও প্রবীর চন্দ্র দাস এফসিএসহ কোম্পানির নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষে চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম বলেন, ১৯৮৫ সালের ২৩ এপ্রিল দেশের প্রথম বেসরকারি জীবনবীমা কোম্পানি হিসেবে ন্যাশনাল লাইফ যাত্রা শুরু করে। ন্যাশনাল লাইফের পথ ধরে আজ দেশে বহু বেসরকারি জীবন বীমা কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন বীমা দেশের অর্থনীতিতে অন্যতম চালিকা শক্তি। বীমার প্রিমিয়ামের টাকা ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ সময়ে ন্যাশনাল লাইফ বিপুল জনগোষ্ঠীকে সঞ্চয়মুখী করার পাশাপাশি বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
পরে চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম নির্বাহীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা দিবসের কেক কাটেন।
উল্লেখ্য ন্যাশনাল লাইফ এ পর্যন্ত প্রায় ৬৭ লক্ষ লোককে বীমার আওতায় এনেছে, প্রিমিয়াম আয় করেছে ১৭,১৮১ কোটি টাকা এবং দাবী পরিশোধ করেছে ১০,১২৪ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানির লাইফ ফান্ড ৫,৩৫৭ কোটি টাকা, সম্পদ ৬,০৬৪ কোটি টাকা এবং বিনিয়োগ প্রায় ৫,৫৪৫ কোটি টাকা।
বর্তমানে কোম্পানিতে বেতন ভিত্তিক প্রায় ৫০০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় দুই লক্ষ লোক কাজ করছে।
সর্বোচ্চ বীমা দাবী পরিশোধের জন্য কোম্পানিটি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে পর পর দুই জাতীয় সম্মাননা, শীর্ষ করদাতার সম্মাননা ও জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেশী ও বিদেশী অসংখ্য অ্যাওয়ার্ড লাভ করে।
মন্তব্য করুন