• ঢাকা রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

খোলা বাজারে ১২৫ টাকার নিচে মিলছে না ডলার

আরটিভি নিউজ

  ০৯ মে ২০২৪, ১৮:০৪
ফাইল ছবি

মার্কিন ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করে ব্যাংকগুলোকে ১১৭ টাকায় মার্কিন ডলার ক্রয় বিক্রয় করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে খোলা বাজারে ১২৫ টাকার নিচে মিলছে না ডলার। একই সঙ্গে ডলারের পাশাপাশি অন্যান্য মুদ্রার দামে বড় পরিবর্তন এসেছে কার্ব মার্কেটে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর দিলকুশা, পল্টন, ফকিরাপুল, মতিঝিল এলাকার মানি এক্সচেঞ্জগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে, খোলা বাজারে একদিনে মার্কিন ডলারের দাম ৯-১০ টাকা বেড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৫ টাকায়। অনেক বিক্রেতা ১২৫ টাকার বেশি দামেও বিক্রি করছেন। অথচ একদিন আগেও প্রতি এক ডলার কেনা রেট ছিল ১১৪ টাকা ৫০ পয়সা, বিক্রি হয়েছে ১১৬ টাকায়। ডলারের সাথে অন্যান্য মুদ্রা বিনিময় দামও বেশি চাওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ মানি এক্সচেঞ্জারগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, ১০ টাকা আছে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্যান্য মুদ্রার দাম বেড়েছে। ভারতীয় মুদ্রার গতকাল পর্যন্ত এক টাকা ৪০ পয়সা ছিল আজ এক টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। অন্যান্য দেশের মুদ্রার দামও বাড়িয়েছেন তারা।

ফকিরাপুলে ডলার কিনতে আসা শাহনেওয়াজ আহম্মেদ জানায়, কিছু ডলার কিনতে এসেছিলাম। গত সপ্তাহে যে দামে ডলার কিনেছিলাম এখন তার চেয়ে অনেক বেশি ব্যবধানে ডলার বিক্রি চলছে। তাই না কিনেই বাসায় ফিরে যাচ্ছি।

একটি মানি এক্সচেঞ্জে নির্বাহী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, বুধবার বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিকেলের দিকে ভিসা-পাসপোর্ট নিয়ে আসেন দেখি কি করা যায়। তবে ১২৫ টাকার কমে বিক্রি করা সম্ভব না।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংক বুধবার (৮ মে) এক লাফে ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়িয়ে সার্কুলার জারি করে। ব্যাংকগুলোকে এ সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকরের কথাও জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে ক্রলিং পেগ নামের নতুন পদ্ধতিতে ডলার কেনাবেচা হবে। এ পদ্ধতিতে ডলারের রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। কিন্তু গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। যা ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা নির্ধারিত।

গত বছরের শেষ দিক থেকেই আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল বা আইএমএফ ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণে এ পদ্ধতি চালু করার পরামর্শ দিয়ে আসছিলো। সংস্থাটির সাথে বাংলাদেশ যে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করেছিলো তার আওতায় এখন তৃতীয় দফা ঋণ ছাড়ের জন্য আলোচনা চলছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন সময় এ সিদ্ধান্ত প্রকাশ করলো যখন আইএমএফ এর একটি দল ঢাকায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে।

ক্রলিং পেগ পদ্ধতি কী?

‘ক্রলিং পেগ’হচ্ছে দেশিয় মুদ্রার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একটি মুদ্রার বিনিময় হারকে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়।

এক্ষেত্রে মুদ্রার দরের একটি সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করা থাকে। ফলে একবারেই খুব বেশি বাড়তে বা কমতেও পারবে না।

তবে নতুন এ পদ্ধতিতে ‘ক্রলিং পেগ মিড রেট’ বা ‘সিপিএমআর’ ১১৭ টাকায় নির্ধারণ করার কারণে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছে এবং আন্তঃব্যাংক চুক্তির ক্ষেত্রে সিপিএমআরের কাছাকাছি দামে মার্কিন ডলার ক্রয় বা বিক্রয় করতে পারবে।

এই ১১৭ টাকা মূলত ডলারের বিপরীতে টাকার একটি মধ্যবর্তী হার। ব্যাংকগুলো এর চেয়ে কম-বেশি দাম নিতে পারবে তবে সেটি খুব বেশি পার্থক্য করা যাবে না। ব্যাংকগুলোকে প্রতিদিন ডলার কেনাবেচার দামের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২৩ নভেম্বর)
শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২২ নভেম্বর)