বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
শনিবার (১০আগস্ট) তিনি ইমেইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। পদত্যাগ করার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক শিবলী বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথম নিয়োগ দেওয়া হয় ২০২০ সালের মে মাসে। এরপর গত এপ্রিলে তার নিয়োগের মেয়াদ আরও চার বছর বাড়ানো হয়।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২ সেপ্টেম্বর)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
বৈদেশিক মুদ্রার নাম
বাংলাদেশি টাকা
মাল্টিজ ১ লিরি
৩০৮.১০ টাকা (●)
মার্কিন ১ ডলার
১২১.৭০ টাকা (●)
সৌদির ১ রিয়াল
৩১.৯৮ টাকা (●)
মালয়েশিয়ান ১ রিংগিত
২৭.৮০ টাকা (●)
ব্রুনাই ১ ডলার
৯১.৩৭ টাকা (●)
ইতালিয়ান ১ ইউরো
১৩৫.২০ টাকা (●)
ব্রিটেনের ১ পাউন্ড
১৫৬.৯৩ টাকা (●)
ইউরোপীয় ১ ইউরো
১৩৫.২০ টাকা (●)
অস্ট্রেলিয়ান ১ ডলার
৮১.৯৭ টাকা (●)
নিউজিল্যান্ডের ১ ডলার
৭৪.৬২ টাকা (●)
সিঙ্গাপুরের ১ ডলার
৯২.৫০ টাকা (▲)
ইউ এ ই ১ দিরহাম
৩৩.১২ টাকা (▲)
ওমানি ১ রিয়াল
৩১৬.১ টাকা (●)
কানাডিয়ান ১ ডলার
৮৯.৫৮ টাকা (●)
কাতারি ১ রিয়াল
৩৩.৩৩ টাকা (●)
কুয়েতি ১ দিনার
৩৯৮.৪১ টাকা (▼)
বাহরাইনি ১ দিনার
৩২১.৭০ টাকা (●)
দক্ষিণ আফ্রিকান ১ রান্ড
৬.৭০ টাকা (●)
জাপানি ১ ইয়েন
০.৮১৬ পয়সা (●)
চাইনিজ ১ ইউয়ান
১৬.৬৯ টাকা (●)
সুইজারল্যান্ডের ১ ফ্রেঞ্চ
১৩৯.৮৪ টাকা (●)
ইন্ডিয়ান ১ রুপি
১ টাকা ৪১ পয়সা (●)
দক্ষিণ কোরিয়ান ১ ওন
০ টাকা ০৯০৭৩১ পয়সা (▲)
• (▲) গতদিনের তুলনায় আজ টাকার রেট বেড়েছে।
• (▼) গতদিনের তুলনায় আজ টাকার রেট কমেছে।
• ( ● ) টাকার রেট অপরিবর্তিত রয়েছে।
** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।
আজকের স্বর্ণের দাম (২ সেপ্টেম্বর)
স্বর্ণ যেহেতু আমদানিকৃত একটি উপাদান সেক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশে সোনার দাম প্রায় প্রতিনিয়তই উঠা-নামা করতে থাকে। এই দাম বাজুস কর্তৃক সঠিকরূপে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কত চলছে সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সকলকে ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের পণ্যটির দাম জানানো হলো।
ইতিমধ্যেই ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বাজুস কর্তৃক আবারো নতুন করে নির্ধারিত হয়েছে বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্যারেট স্বর্ণের মূল্য। আমদানিকৃত বস্তু হিসাবে উক্ত নির্ধারিত দাম অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বর্ণের দাম বেড়েছে।
স্বর্ণের প্রকারভেদ দাম (১ ভরি)
২৪ ক্যারেট ১,৩০,৫৯০ টাকা (আনুমানিক)
২২ ক্যারেট ১,২৬,৩২১ টাকা
২১ ক্যারেট ১,২০,৫৮২ টাকা
১৮ ক্যারেট ১,৩,৩৫৫ টাকা
সনাতন পদ্ধতিতে ৮৫,৪৫০ টাকা
রেমিট্যান্স এলো ২২২ কোটি ডলার, যে ৮ ব্যাংকে এক টাকাও আসেনি
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের অর্থনীতির চাকা শ্লথ হওয়া থেকে রক্ষা করছে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ। সবশেষ আগস্ট মাসে দেশে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ১৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। তবে দেশে কার্যরত ৮টি ব্যাংকে আসেনি কোনো রেমিট্যান্স। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ থেকে জানা যায়, আগস্ট মাসে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৮টি। এর মধ্যে রয়েছে ১টি রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক, ১টি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৩টি বেসরকারি ব্যাংক ও ৩টি বিদেশি ব্যাংক।
আগস্টে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব ও বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামি ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।
এ ছাড়া কোনো রেমিট্যান্স আসেনি বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতেও।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৮ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৮১ লাখ ২০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭৫ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪৭ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে।
গত জুলাইয়ে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এ হিসেবে গত মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে শেষ পাঁচ দিনে। ২৫ থেকে ৩১ আগস্ট দেশে ৫০ কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর আগে ১৮ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৫৮ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার ডলার। ১১ থেকে ১৭ আগস্ট দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
এ ছাড়া গত ৪ থেকে ১০ আগস্ট দেশে এসেছিল ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত ১ থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৯ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বৈধ বা ব্যাংক চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভকে চাঙ্গা করতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
পরিবর্তন হবে ৫, ১০ ও ২০ টাকার কাগজের নোট
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, খুব শিগগিরই চলতি বছরের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা প্রকাশ করা হবে। বাজারে ৫, ১০ ও ২০ টাকার কাগজের নোটের অবস্থা খুব নাজুক। এটা দ্রুত পরিবর্তনের ব্যবস্থা করা হবে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, চলতি মাসে বা আগামী মাসে বাজেট পর্যালোচনা করা হতে পারে। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আমরা বন্ধ করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, চলতি বা আগামী মাসে বাজেট রিভাইজড করা হতে পারে। বাজেটে বড় বড় উন্নয়ন খাতের প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এ ছাড়া দেশের মানুষকে মুদ্রা যত্নে রেখে ব্যবহার করারও পরামর্শ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এ উপদেষ্টা।
তুলে দেওয়া হলো আলু-পেঁয়াজের নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, কমলো আমদানি শুল্কও
আলু আমদানিতে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক তুলে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পাশাপাশি পণ্যটির আমদানি শুল্ক কমিয়ে নামানো হয়েছে ১৫ শতাংশে। এ ছাড়া পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কও প্রত্যাহার করা হয়েছে। আলু-পেঁয়াজের এই শুল্ক সুবিধা বহাল থাকবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এনবিআর। প্রজ্ঞাপনে কীটনাশকের আমদানি শুল্কও ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে; সঙ্গে তুলে দেয়া হয়েছে সব ধরনের নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও ভ্যাট।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান এবং এর প্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে দেশে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে, যা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। উপরন্তু দেশের পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কীটনাশক, আলু ও পেঁয়াজের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করেছে।
এ পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সার্বিক বিশ্লেষণপূর্বক কর ছাড়ের মাধ্যমে উল্লিখিত পণ্যগুলোর আমদানি সহজ করে সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কীটনাশক আমদানিতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, তুলে দেয়া হয়েছে সব ধরনের নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও ভ্যাট।
আলুর আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং প্রযোজ্য ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া পেঁয়াজের উপর প্রযোজ্য ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এনবিআর আরও জানায়, আলু এবং পেঁয়াজ অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগ মেটানো হয়। আমদানি শুল্ক কম থাকলে দেশীয় উৎপাদনের উপর প্রযোজ্য প্রতিরক্ষণ হ্রাস পায়। তাই কৃষককে আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহিত করতে উল্লিখিত শুল্ক ছাড় চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বলবৎ করা হয়েছে।
গৃহীত এই কার্যক্রমের ফলে উল্লিখিত পণ্য দুটির বাজারমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকবে বলে আশা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
এনবিআর বলছে, দীর্ঘমেয়াদে কৃষকদের আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতেও যে কোন রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে নীতি সহায়তা প্রদানে এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজস্ব যোগানে মূল ভূমিকা পালনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একইভাবে সচেষ্ট থাকবে।
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (৮ সেপ্টেম্বর)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা।
লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
বৈদেশিক মুদ্রার নাম
বাংলাদেশি টাকা
ইউএস ডলার
১২১ টাকা ৫০ পয়সা
ইউরোপীয় ইউরো
১৩৫ টাকা ৫০ পয়সা
ব্রিটেনের পাউন্ড
১৫৬ টাকা ৫৫ পয়সা
ভারতীয় রুপি
১ টাকা ৪০ পয়সা
মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত
২৭ টাকা ৫০ পয়সা
সিঙ্গাপুরের ডলার
৯১ টাকা ২০ পয়সা
সৌদি রিয়াল
৩২ টাকা ১৫ পয়সা
কানাডিয়ান ডলার
৮৮ টাকা ২৫ পয়সা
অস্ট্রেলিয়ান ডলার
৮০ টাকা ৫০ পয়সা
কুয়েতি দিনার
৩৯৩ টাকা ৬০ পয়সা
** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্সে রেকর্ড
চলতি বছরের এপ্রিল, মে ও জুন মাসে টানা দুই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। জুনে তা কমে ফের দুই বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। জুলাই মাসে রেমিট্যান্সের গতি আরও কমে। তখন ১৯১ কোটি মার্কিন ডলারের নিচে নেমে আসে। যদিও এর পেছনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠানোর ঘোষণা দেয়।
তবে শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তনের পরপরই বাড়তে থাকে রেমিট্যান্সের গতি। নতুন সরকারের শুরুতে আগস্টে ফের রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া লাগে যার গতিতে দুই বিলিয়ন (২২২ কোটি ডলার) ডলার ছাড়িয়ে যায়।
সেই ধারাবাহিকতায় রেমিট্যান্সে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে দেশ। চলতি মাস সেপ্টেম্বরে প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। গত বৃহস্পতিবার একদিনেই এসেছে প্রায় ১৩ কোটি (১২.৮০) ডলার। যা দেশের জন্য এক নতুন রেকর্ড গড়েছে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয় চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে দেশে এসেছে ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ২৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪১ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার ডলার আসে। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে আসে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
উল্লেখ্য, ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর গত ৮ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের অনুরোধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর পরেই সব কিছুতে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। বাদ যায়নি অর্থনীতিতেও।