স্বাভাবিক হয়েছে এটিএম বুথের কার্যক্রম
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নিরাপত্তার স্বার্থে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এটিএম বুথ বন্ধ রেখেছে ব্যাংকগুলো। ফলে নগদ টাকার সংকটে পড়েছেন অনেক গ্রাহক। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সেবা প্রাপ্তি নিয়ে বিড়ম্বনার পর আজ স্বাভাবিক হয়েছে এটিএম বুথের কার্যক্রম।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বন্ধ থাকা বুথগুলো সচল করা হয়।
পুলিশের কর্মবিরতির কারণে বুথে টাকা পাঠানোর থেকে বিরত থাকে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো। অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে যায়, সারাদেশের বেশিরভাগ বুথ। কিছু কিছু এটিএমে টাকা পাওয়া গেলেও প্রত্যাশিত পরিমাণ উত্তোলন করতে পারেননি গ্রাহকরা।
এদিকে, গতকাল সোমবার থেকেই বুথে টাকা পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়। নিরাপাত্তা কর্মীরা জানিয়েছেন, গ্রাহকরা এখন স্বস্তিতে প্রত্যাশিত পরিমাণ অর্থ তুলতে পারছেন।
মন্তব্য করুন
ছয় ব্যাংকের জন্য ছাপানো হলো ২২৫০০ কোটি টাকা
টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ছয়টি ব্যাংকে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহয়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমানতকারীদের সুরক্ষার জন্য দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। ছয়টি ব্যাংককে এরইমধ্যে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে তারল্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
গভর্নর বলেন, বন্ড ছাড়ার মাধ্যমে এসব টাকা তুলে নেওয়া হবে। আমাদের টাইট পলিসি থাকবে। এক হাতে দেবো, অন্য হাতে তুলে নেবো। এতে বাজারেও অস্থিরতা তৈরি হবে না।
ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, কোনো ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের পাশে দাঁড়াবে। ১ ডিসেম্বর থেকে গ্রাহকরা ব্যাংকে অনেক পরিবর্তন পাবে।
তিনি বলেন, আমানতকারীদের টাকা পুরোপুরি সুরক্ষিত আছে। আপনাদের যতটুকু টাকা প্রয়োজন ততটুকুই তুলুন। সবাই তাদের টাকা ফেরত পাবে। তবে একসঙ্গে সবাই টাকা উত্তোলন করতে গেলে কোনো ব্যাংকই টিকবে না।
উল্লেখ্য, হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ১৩ আগস্ট আহসান এইচ মনসুরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩তম গভর্নরের দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
আরটিভি/আরএ/এস
আজকে স্বর্ণের দাম (২৯ নভেম্বর)
স্বর্ণ যেহেতু আমদানিকৃত একটি উপাদান সেক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম প্রায় প্রতিনিয়তই ওঠানামা করতে থাকে। এই দাম বাজুস কর্তৃক সঠিকরূপে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কত চলছে সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সকলকে ২৯ নভেম্বর ২০২৪ তারিখের পণ্যটির দাম জানানো হলো।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বর্ণের দাম বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ টাকা।
২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৮ টাকা।
১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৯১ টাকা।
সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ১৬০ টাকা।
আরটিভি/কেএইচ
হঠাৎ অস্থির স্বর্ণের দর, জানা গেল কারণ
বিশ্ববাজারে হঠাৎ স্বর্ণের দামে বড় উত্থান দেখা গেছে। সেই হিসেবে দেশের বাজারেও যেকোনো সময় দামি এই ধাতুটির দাম বাড়তে পারে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) পৌনে ৬টার দিকে স্পট মার্কেটে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম অবস্থান করছিল ২ হাজার ৬৬২ দশমিক ০২ ডলারে। একদিনের ব্যবধানে শনিবার প্রতি আউন্সে ২১ দশমিক ১৮ ডলার বা ০ দশমিক ৭৯ শতাংশ দাম বেড়েছে।
বিশ্লেষকদের দাবি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন বিধ্বংসী রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা এবং ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা গেছে। বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। খবর লাইভমিন্টের।
এলকেপি সিকিউরিটিজের ভিপি রিসার্চ অ্যানালিস্ট যতীন ত্রিবেদি বলেন, ‘শুক্রবার স্বর্ণের দরে উল্লেখযোগ্য অস্থিরতা দেখা গেছে। প্রথমে মূল্যবান ধাতুটির দর কম থাকলেও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের নতুন উত্তেজনা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে ইমিডিয়েট সাপোর্ট ২,৬৬২ ডলারে (সাপোর্ট স্তর হলো এমন একটি দাম যেখানে ধাতুটির চাহিদা এতটাই শক্তিশালী যে এটি দরপতনকে প্রতিরোধ করে) এবং রেজিস্ট্যান্স ২,৬৫৫ থেকে ২,৬৬৫ ডলারে। রেজিস্ট্যান্স ভাঙলে স্বর্ণের দাম ২,৬৯০ ডলারে পৌঁছে যেতে পারে। আর ২,৬২০ ডলারের নিচে নেমে গেলে দর ২,৫৮০ ডলারে অবনতি হতে পারে।’
এইচডিএফসি সিকিউরিটিজ-এর হেড অব কমোডিটি অ্যান্ড কারেন্সি অনুজ গুপ্ত ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের প্রসঙ্গে বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠায় নতুন করে স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে গেছে। বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে স্বর্ণকেই নিরাপদ বিকল্প হিসেবে দেখছেন।’
এদিকে বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বর্ণের দাম বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৮ টাকা। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৯১ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ১৬০ টাকা।
বাজুসের পক্ষে স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি।
এই কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের ওপর ভিত্তি করে। স্থানীয় বাজারে পাকা স্বর্ণের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আবার পাকা স্বর্ণের দাম কমলে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববাজারের দামের চিত্র পাকা স্বর্ণের দামে প্রভাব ফেলে।’
অরটিভি/এসএপি/এআর
স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ
দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৪৮১ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৪৮১ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৪০০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৮ টাকা। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২০২ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১২ হাজার ২৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২৬ টাকা বাড়িয়ে ৯২ হাজার ১৩৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে।
এর আগে ২৮ নভেম্বর সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৫৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এ ছাড়া, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯৪৫ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৪৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৮০৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৯৩ হাজার ১৬০ টাকা। আজ রোববার পর্যন্ত এ দামেই বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ।
আরটিভি/এসএপি
আজকে স্বর্ণের দাম (৩ ডিসেম্বর)
স্বর্ণ যেহেতু আমদানিকৃত একটি উপাদান সেক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম প্রায় প্রতিনিয়তই ওঠানামা করতে থাকে। এই দাম বাজুস কর্তৃক সঠিকরূপে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কত চলছে সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সকলকে ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখের পণ্যটির দাম জানানো হলো।
সবশেষ রোববার (১ ডিসেম্বর) স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
আজকে স্বর্ণের দাম
২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ২২৭ টাকা।
২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৮ টাকা।
১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১২ হাজার ২৮৯ টাকা।
সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ১৩৪ টাকা।
আরটিভি/এসএপি
চলতি মাসের এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণ
ডিসেম্বর মাসে ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য ঘোষণা করেছে সরকার। বলা হয়েছে, গত মাসের মতো এ মাসেও অপরিবর্তিত থাকবে পণ্যটির দাম। নভেম্বর মাসে প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের মূল্য ছিল এক হাজার ৪৫৫ টাকা।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এ মূল্য ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
বিইআরসি জানান, ডিসেম্বর মাসে এলপিজির দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ১২ কেজি সিলিন্ডার বিক্রি হবে এক হাজার ৪৫৫ টাকায়। ডলারের বিনিময় হার খুব বেশি পরিবর্তন না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, নভেম্বর মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম অক্টোবর মাসের তুলনায় ১ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর গত অক্টোবর, সেপ্টেম্বর, আগস্ট ও জুলাইয়ে বাড়ানো হয়েছিল দাম। তবে গত জুন, মে ও এপ্রিলে কমানো হয়েছিল দাম। এছাড়া গত মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারিতে এলপিজির দাম বাড়িয়েছিল বিইআরসি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৫ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা। গত বছরের জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও জুলাই মাসে কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম বেড়েছিল ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।
আরটিভি/এমএ
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লেনদেন ৫ দিন বন্ধ থাকবে
নতুন বছরের শুরুতে পাঁচ দিন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লেনদেন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। এ সময় ব্যাংকের শাখা ও এটিএম বুথ থেকে কোনো সেবা পাওয়া যাবে না। একই সঙ্গে ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। তবে ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের লেনদেন চালু থাকবে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নতুন কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার হালনাগাদ করার জন্য ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মূল ব্যাংকিং সেবা আগামী ১ থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে ব্যাংকটির কোনও গ্রাহক শাখায় যেমন লেনদেন করতে পারবেন না, তেমনি ব্যাংকটির এটিএম বুথ থেকেও টাকা তুলতে পারবেন না। এ ছাড়া ব্যাংকটির এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট সাত দিন বন্ধ থাকবে। তবে এই বন্ধের মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি ও বছরের প্রথম দিন হিসেবে ব্যাংক হলিডে রয়েছে। সেই হিসাবে মূলত ডাচ-বাংলা ব্যাংকের স্বাভাবিক লেনদেন বন্ধ থাকবে দুই দিন।
বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি বুধবার ব্যাংক হলিডে। ৩ ও ৪ জানুয়ারি শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এর ফলে মূলত ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ও ৫ জানুয়ারি রবিবার ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ থাকবে। কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার হালনাগাদ করতে ব্যাংক বন্ধ রাখার বিষয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করা হয়। এর ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে সম্মতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন গণমাধ্যমকে বলেন, বছরের শুরুর সময়টাতে ব্যাংকিং লেনদেনের চাপ কম থাকে। তাই গ্রাহকসেবার মান আরও উন্নত করতে সফটওয়্যার হালনাগাদের জন্য আমরা এই সময়টাকে বেছে নিয়েছি।
আরটিভি নিউজ