ঢাকার মীর গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই চট্টগ্রামের মীর গ্রুপের
চট্টগ্রাম ভিত্তিক মীর গ্রুপের একটি ওয়্যারহাউজ থেকে এস আলম গ্রুপের ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি বিএনপি নেতাদের তত্ত্বাবধানে সরিয়ে নেওয়া হয় গত ২৯ আগস্ট। এটি নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় জড়িত বিএনপির ৩ নেতার প্রাথমিক সদস্যপদ স্থগিত হয় এবং দলটির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ইউনিটের কমিটি বাতিল ঘোষণা হয়।
চট্টগ্রামের মীর গ্রুপ নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হলেও বিপাকে পড়ে যায় ঢাকার মীর গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে একটি বার্তা পাঠানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, সম্প্রতি একটি সংবাদকে কেন্দ্র করে একই নাম হওয়ায় দুই মীর গ্রুপ নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমে চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাদের সহায়তায় এস আলমের ১৪ গাড়ি সরানোর অভিযোগ শীর্ষক সংবাদকে কেন্দ্র করে এই ভুল বুঝাবুঝির তৈরি হয়েছে। অথচ দুই গ্রুপের মধ্যে কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। দুইজনের ব্যবসার ধরণ, মালিকানা, পণ্য ইত্যাদি সবকিছুই আলাদা। ভুল বুঝাবুঝির কারণে অনেকেই চট্টগ্রামের মীর গ্রুপের সঙ্গে ঢাকার মীর গ্রুপকে গুলিয়ে ফেলছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রামে পটিয়ায় আমাদের কোনো ওয়্যারহাউজ বা অফিস নেই। চট্টগ্রামের মীর গ্রুপ খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। আমাদের খাদ্য বা ভোগ্যপণ্যের কোনো ব্যবসা নেই। নির্মাণখাতে সুপ্রতিষ্ঠিত আমাদের প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৬০ সালে মীর আকিব হোসেনের হাত ধরে মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এরপর থেকেই বিভিন্ন অবকাঠামোগত নির্মাণকাজে নিজেদের প্রতিভা ও দক্ষতার প্রমাণ রেখে চলেছে। আমাদের নির্মিত বিখ্যাত স্থাপনাগুলোর মধ্যে ব্রিটিশ দূতাবাস, আমেরিকান দূতাবাস, রূপসী বাংলা রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। মীর গ্রুপ আফ্রিকার বাজারেও প্রবেশের পরিকল্পনা করছে। এছাড়া, মীর টেলিকম এবং মীর ইনফো সিস্টেমসের মাধ্যমে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সেবা বিস্তৃত করছে।
মন্তব্য করুন