প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রাহকরা রেমিট্যান্স আনতে পারবেন
প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের গ্রাহকরা সিটি ব্যাংক পিএলসির এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন। প্রেরিত রেমিট্যান্স ঋণ সমন্বয়ের পর বাকি টাকা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকেই উত্তোলন করতে পারবেন গ্রাহকরা।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের উপস্থিতিতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান এবং সিটি ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে উভয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৮ আগস্ট)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা।
লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার ১৮ আগস্ট ২০২৪ বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
মাল্টিজ ১ লিরি
৩০০.৮২ টাকা (▲)
মার্কিন ১ ডলার
১২০.৬৪ টাকা (●)
সৌদির ১ রিয়াল
৩১.৪৫ টাকা (▲)
মালয়েশিয়ান ১ রিংগিত
২৬.৭৭ টাকা (▲)
ব্রুনাই ১ ডলার
৮৯.২০ টাকা (▲)
ইতালিয়ান ১ ইউরো
১৩১.৫০ টাকা (●)
ব্রিটেনের ১ পাউন্ড
১৫২.৬০ টাকা (▲)
ইউরোপীয় ১ ইউরো
১৩১.৫০ টাকা (●)
অস্ট্রেলিয়ান ১ ডলার
৭৯.৯০ টাকা (▲)
নিউজিল্যান্ডের ১ ডলার
৭১.৪৩ টাকা (▲)
সিঙ্গাপুরের ১ ডলার
৯০.৫২ টাকা (▲)
ইউ এ ই ১ দিরহাম
৩২.৬০ টাকা (▲)
ওমানি ১ রিয়াল
৩১১.২৫ টাকা (▲)
কানাডিয়ান ১ ডলার
৮৭.৪৭ টাকা (▼)
কাতারি ১ রিয়াল
৩২.৮৫ টাকা (●)
কুয়েতি ১ দিনার
৩৯২.০০ টাকা (●)
বাহরাইনি ১ দিনার
৩১২.৫৩ টাকা (●)
দক্ষিণ আফ্রিকান ১ রান্ড
৬.৫৭ টাকা (▲)
জাপানি ১ ইয়েন
০.৮ পয়সা (▲)
চাইনিজ ১ ইউয়ান
১৬.১৮ টাকা (●)
সুইজারল্যান্ডের ১ ফ্রেঞ্চ
১৩৫.৯৮ টাকা (▲)
ইন্ডিয়ান ১ রুপি
১ টাকা ৩৯ পয়সা (▼)
দক্ষিণ কোরিয়ান ১ ওন
০ টাকা ০৮৭৯৪ পয়সা (▲)
(▲) গতদিনের তুলনায় আজ টাকার রেট বেড়েছে।
(▼) গতদিনের তুলনায় আজ টাকার রেট কমেছে।
( ● ) টাকার রেট অপরিবর্তিত রয়েছে।
একদিনের ব্যবধানে কমলো কাঁচা মরিচের দাম
গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বাজারে সরবরাহ বাড়ায় একদিনের ব্যবধানে এবার কমেছে কাঁচা মরিচের দাম।
রোববার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ২০০-২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। এর আগে কাঁচামরিচরে দাম ছিল সাড়ে ৩০০ টাকা।
বর্তমানে সবজির বাজার অনেকটাই স্থিতিশীল। এদিন বাজারে পেঁপে ৩৫-৪০ আর পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০, ঢেঁড়স ৪০-৫০। অন্যদিকে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০, আলু ৬০ টাকা কেজিতে।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বেড়েছে মাছের সরবরাহ। দামও অনেকটা স্থিতিশীল। পাঙ্গাশ ১৮০-২০০ টাকায়, তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা এবং বড় আকারের রুই বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৩৫০-৪০০ টাকায়।
তবে মাসখানেক ধরে চালের বাজারে মিলছে না কোনো স্বস্তির খবর। বাজারে সোনালি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকায়, মিনিকেট চাল ৭০-৭২, আটাশ ৫৮-৬০ আর নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকায়।
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে স্বর্ণ
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৯০৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ২২ হাজার ৯৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা দেশের বাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে উঠেছে স্বর্ণ।
সোমবার (১৯ আগস্ট ) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে নতুন করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৯০৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৯৮৫ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৭৭৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩৭৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৬২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৭১ টাকা বাড়িয়ে ৮৩ হাজার ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ জুলাই সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৯০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ২০ হাজার ৮১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৩১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯৬৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ২৪৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৮৫ টাকা বাড়িয়ে ৮১ হাজার ২২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ রোববার পর্যন্ত এ দামেই স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে।
স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া, ১৭ দিনে এলো ১৩ হাজার কোটি টাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে বেড়ে যায় বৈধপথে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ। এরই ধারাবাহিকতায় আগস্টের প্রথম ১৭ দিনে এসেছে ১৩ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি মাসের প্রথম ৩ দিন পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর শুধু ৪ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত এসেছে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার ডলার।
বাংলাদেশে ব্যাংক আরও বলছে, আগস্টের প্রথম ১৭ দিনে বৈধ পথে রেমিট্যান্স এসেছে ১১৪ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১৮ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ১৩ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার বেশি।
এ সময়ে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ২৯ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ২ ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে প্রায় ৩ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯৪ কোটি ১৪ লাখ ডলারের বেশি আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে সাড়ে ২১ লাখ ডলার।
আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা মোট ১০টি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক। বিদেশি খাতের ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।
প্রসঙ্গত, সদ্য বিদায়ী শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এতে হঠাৎ কমে যায় রেমিট্যান্সের গতি। তবে সরকার পতনের পর সেই চিত্র পাল্টেছে। রেমিট্যান্সের পালে লেগেছে হাওয়া, বৈধপথেই আসছে হু হু করে।
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২০ আগস্ট)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার ২০ আগস্ট ২০২৪ তারিখে বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
বৈদেশিক মুদ্রার নাম
বাংলাদেশি টাকা
মাল্টিজ ১ লিরি
৩০০.৮২টাকা (●)
মার্কিন ১ডলার
১১৮.৯৩ টাকা (●)
সৌদির ১ রিয়াল
৩১.৪৫ টাকা (●)
মালয়েশিয়ান ১ রিংগিত
২৬.৮০ টাকা (▲)
ব্রুনাই ১ ডলার
৮৯.২০ টাকা (●)
ইতালিয়ান ১ ইউরো
১৩১.৮০ টাকা (▲)
ব্রিটেনের ১ পাউন্ড
১৫০.৪৩ টাকা (●)
ইউরোপীয় ১ ইউরো
১৩১.৮০ টাকা (▲)
অস্ট্রেলিয়ান ১ ডলার
৭৯.৯৬ টাকা (▼)
নিউজিল্যান্ডের ১ ডলার
৭১.৫২ টাকা (▼)
সিঙ্গাপুরের ১ ডলার
৯০.৬০ টাকা (▲)
ইউ এ ই ১ দিরহাম
৩২.৫৬ টাকা (▼)
ওমানি ১ রিয়াল
৩১১.২ টাকা (▼)
কানাডিয়ান ১ ডলার
৮৭.৫৪ টাকা (▼)
কাতারি ১ রিয়াল
৩২.৮৫ টাকা (●)
কুয়েতি ১ দিনার
৩৯২.০০ টাকা (●)
বাহরাইনি ১ দিনার
৩১২.৫৩ টাকা (●)
দক্ষিণ আফ্রিকান ১ রান্ড
৬.৫৯ টাকা (▲)
জাপানি ১ ইয়েন
০.৭৮৯ পয়সা (●)
চাইনিজ ১ ইউয়ান
১৬.১৮ টাকা (●)
সুইজারল্যান্ডের ১ ফ্রেঞ্চ
১৩৪.৪ টাকা (●)
ইন্ডিয়ান ১ রুপি
১ টাকা ৩৭ পয়সা (●)
দক্ষিণ কোরিয়ান ১ ওন
০ টাকা ০৮৮৬৬৭ পয়সা (▲)
• (▲) গতদিনের তুলনায় আজ টাকার রেট বেড়েছে।
• (▼) গতদিনের তুলনায় আজ টাকার রেট কমেছে।
• ( ● ) টাকার রেট অপরিবর্তিত রয়েছে।
এক হাজার টাকার নোট বাতিলের বিষয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
এক হাজার টাকার নোট বাতিল নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এক হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত সহজে নেওয়া যাবে না।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সচিবালয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এক হাজার টাকার নোট বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এগুলো নিয়ে হ্যাঁ বা না কিছু বলাই ঠিক না। আমরা বলি এটা থাক। এটাতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। সহজে এগুলোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
এক হাজার টাকার নোট বাতিলের বিষয়টি গুজব কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার দিক থেকে কিছু বলিইনি। সুতরাং গুজব আমি বলব না। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাপার।
সর্বশেষ জুলাইয়ে চীনের সঙ্গে যে চুক্তিগুলো হয়েছে সেগুলো কি বহাল থাকবে নাকি এগুলো রিভিউ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়নি। এটি হাই লেভেলে আলোচনা করবো। আমরা বাতিলও করিনি, কিছু করিনি। এই সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে ক্যাবিনেটে আলোচনা হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে টাকা ফিরতে শুরু করেছে
ক্ষমতা ত্যাগের পর শেখ হাসিনা সরকারের যখন পতন হয় তারপর ব্যাংক থেকে টাকা তুলেতে শুরু করেন অনেক গ্রাহক। এ সময় কোনো কোনো ব্যাংকের ভল্ট খালি হলেও অনেক ব্যাংকে টাকা রাখার জায়গা হয়নি। এ অবস্থায় অনেক শাখা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শরণাপন্ন হয়।
নিয়ম অনুযায়ী সীমার বেশি টাকা শাখায় জমা রাখা যাবে না। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে টাকা জমা রাখছে অনেক শাখা। সরকার পতনের পর কয়েক দিন নিয়মিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছিল কিছু ব্যাংক। তবে গেল সপ্তাহের পাঁচ দিনে যত টাকা নিয়েছে, জমা করেছে তার চেয়ে বেশি টাকা। তাই গেল পাঁচ দিনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে দুই হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা জমা হয়েছে।
ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, অনেক ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ে পরিবর্তন এসেছে। দুর্বল ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বর্তমানে ভালো ব্যাংকে জমা রাখছে মানুষ। প্রতিটি ব্যাংক শাখায় ভল্টের একটি নির্দিষ্ট সীমার বেশি টাকা এলেই তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের চেষ্ট শাখায় জমা করতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে জমা হয় ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। গত ১৮ আগস্ট তা ছিল ১০ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। এর বিপরীতে নোটস ইন সার্কুলেশন বা প্রচলনে থাকা টাকার পরিমাণ কমে গতকাল ৩ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৯ কোটিতে নেমেছে। গত ১৫ আগস্ট তা ছিল তিন লাখ ২২ হাজার ৬১ কোটি টাকা। আর গত ৬ আগস্ট কারেন্সি ইন সার্কুলেশন ছিল তিন লাখ ১৫ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। গত ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ৯ দিনে মানুষের হাতে টাকার পরিমাণ বেড়ে যায় ৬ হাজার ৫২২ কোটি টাকা।
এদিকে, নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো এক জরুরি বার্তায় সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একটি অ্যাকাউন্ট থেকে সর্বোচ্চ তিন লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না। এর আগে এই সীমা ছিল এক লাখ টাকা।
গত ১০ আগস্ট অ্যাকাউন্ট থেকে দুই লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া। তারও আগে ৮ আগস্ট এক লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করতে পারেননি গ্রাহক।
তবে যেকোনো পরিমাণ টাকা অন্য হিসাবে স্থানান্তর করতে পারবেন এবং ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন।
জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ বেড়ে যায়। বিশেষ করে আওয়ামীপন্থী রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পরিবার থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ দেখা যায়। এসব অর্থ যাতে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী বা অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সে জন্য নগদ টাকা উত্তোলন কিছুটা নিরুৎসাহিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।