• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

দেড় মাসে দ্বিগুণ বাড়লো ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম, তদন্তের নির্দেশ

আরটিভি নিউজ

  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:১৯
দেড় মাসে দ্বিগুণ বাড়লো ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম, তদন্তের নির্দেশ
ফাইল ছবি

ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৮২ শতাংশ শেয়ারই অবরুদ্ধ হয়ে আছে। ব্যাংকটির মালিকানায় থাকা এস আলম (সাইফুল আলম) পরিবার ও তাদের নামে-বেনামে তৈরি করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে রয়েছে এসব শেয়ার। ফলে দেশের পুঁজিবাজারে ব্যাংকটির লেনদেনযোগ্য শেয়ারের পরিমাণ কমে গেছে। আর এতে করে ব্যাংকটির শেয়ারের দামও হু হু করে বাড়ছে। মাত্র দেড় মাসেই ব্যাংকটির শেয়ারের দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।

এ অবস্থায় বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষকে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম ও লেনদেন অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, যা খুবই সন্দেহজনক। গত ৬ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত অস্বাভাবিক এ মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনে কোনো ধরনের কারসাজি, সুবিধাভোগী লেনদেনসহ সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকটির শেয়ারের সন্দেহজনক লেনদেন থেকে বিরত থাকার জন্য ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান ও অনুমোদিত প্রতিনিধি বা ট্রেডারদের সতর্ক করতেও ডিএসইকে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, ৬ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম প্রায় ৩৮ টাকা বা ১১৬ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেড় মাসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।

শেয়ার মার্কেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকার বদলের পর ইসলামী ব্যাংককে এস আলমমুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে ব্যাংকটির শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করে। এ সময়ে শেয়ারটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিএসইসি, ডিএসই ও ইসলামী ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, নামে-বেনামে ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৮২ শতাংশ শেয়ার এখনও এস আলম গ্রুপের হাতে আছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাইয়ে ব্যাংকটির শেয়ারের প্রায় ৩৬ শতাংশই ছিল উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। আগস্টে সেই সংখ্যা কমে শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশে নেমে যায়। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলম-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাদ দেওয়ার পর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এস আলম-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পর্ষদে না থাকায় তাদের শেয়ারকে এখন আর উদ্যোক্তা-পরিচালকের শেয়ার হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না। ফলে এখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ধারণ করা শেয়ারের পরিমাণ বেড়ে গেছে। জুলাইয়ে যেখানে এই পরিমাণ ছিল ৪৩ শতাংশ। আগস্ট শেষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৩ শতাংশে। এর বাইরে ব্যাংকটির প্রায় ১৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ৯ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।

নিয়ম অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সব সময় ওই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু পটপরিবর্তনের পর ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়ায় এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে ইসলামী ব্যাংকের ক্ষেত্রে। বর্তমানে ব্যাংকটির উদ্যোক্তা-পরিচালকের শেয়ার শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। এর বিপরীতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ধারণের পরিমাণ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারধারীদের বড় অংশই এস আলমসংশ্লিষ্ট। এর বাইরে বিদেশি শেয়ারধারীদের মধ্যেও এস আলমসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা রয়েছেন। সব মিলিয়ে এস আলমের হাতেই ব্যাংকটির ৮২ শতাংশ শেয়ার থাকার তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এসব শেয়ার অবরুদ্ধ থাকায় বাজারে শেয়ার সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে একটি গোষ্ঠী এ সুযোগে ব্যাংকটির শেয়ারের দাম বাড়াচ্ছে।

আরটিভি/এসএইচএম-টি

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত
দেশের বাজারে জিক্সার ২৫০ সিসির নতুন মোটরসাইকেল, দাম কত
বিদেশ ভ্রমণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১৩ নির্দেশনা
মেহেরপুরে চড়া দামেও মিলছে না টিএসপি ও ডিএপি সার