আজকে স্বর্ণের দাম (২৭ সেপ্টেম্বর)
স্বর্ণ যেহেতু আমদানিকৃত একটি উপাদান সেক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম প্রায় প্রতিনিয়তই উঠা-নামা করতে থাকে। এই দাম বাজুস কর্তৃক সঠিকরূপে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কত চলছে সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সকলকে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের পণ্যটির দাম জানানো হলো।
ইতিমধ্যেই ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বাজুস কর্তৃক আবারো নতুন করে নির্ধারিত হয়েছে বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্যারেট স্বর্ণের মূল্য। আমদানিকৃত বস্তু হিসাবে উক্ত নির্ধারিত দাম অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বর্ণের দাম বেড়েছে।
আজকে স্বর্ণের দাম
২৪ ক্যারেট ১,৪০,৩২৯ টাকা (আনুমানিক)।
২২ ক্যারেট ১,৩৮,৭০৮ টাকা।
২১ ক্যারেট ১,৩২,৩৯৮ টাকা।
১৮ ক্যারেট ১,১৩,৪৯১ টাকা।
সনাতন পদ্ধতিতে ৯৩,১৬০ টাকা।
আরটিভি/এসএপি
মন্তব্য করুন
সেপ্টেম্বরে কোন জ্বালানি তেলের দাম কত কমছে
আগামী সেপ্টেম্বরে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বুধবার (২৮ আগস্ট) জ্বালানি বিভাগ ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমায় দেশেও সমন্বয় করা হবে। যে কারণে আগামী মাসে তেলের দাম কিছুটা কমবে। পাশাপাশি বর্তমান ফর্মুলা অনুযায়ী, জ্বালানি তেলের দামের মধ্যে বিপিসির জন্য যতটা মুনাফা রয়েছে, সেটাও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেপ্টেম্বরে অকটেন ও পেট্রোলে লিটার প্রতি ৮ থেকে ১২ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিনে লিটার প্রতি দেড় থেকে পৌনে ২ টাকা দাম কমাবে সরকার।
গত ১ জুন থেকে দেশে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন বিক্রি হচ্ছে ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা, অকটেন ১৩১ টাকা ও পেট্রোল ১২৭ টাকা দরে বিক্রি হয়ে আসছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল পরিশোধিত ডিজেলের দাম ৯১ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার। আর পরিশোধিত অকটেন ৮৮ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। অকটেনের তুলনায় ডিজেলের দাম প্রতি ব্যারেলে তিন থেকে সাড়ে তিন ডলার বেশি। যে কারণে ডিজেলের দাম তুলনামূলক কম কমানো হবে।
প্রভাবশালীদের ঋণ আত্মসাতের হিসাব হচ্ছে, ব্যাংক পুনর্গঠনে আসছে রোডম্যাপ
এস আলম, সালমান এফ রহমানসহ বিগত সরকারের আমলে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নামে-বেনামে কত টাকা ঋণ আত্মসাৎ করেছেন তার সঠিক হিসাব হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। ব্যাংকিং ব্যবস্থা পুনর্গঠনের ব্যাপারেও উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানানো হয়েছে এতে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে নামে-বেনামে অঢেল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং তা বিদেশে পাচার করেছেন, যার সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলছে। এই আত্মসাৎকৃত অর্থের পরিমাণ লক্ষাধিক কোটি টাকার উপরে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এতে বলা হয়, ‘এই ধরনের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ইতিমধ্যে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে এবং ইতিমধ্যে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকের পর্ষদগুলো পুনর্গঠন করা হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হবে। নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত এসব অর্থের প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং তাদের মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত অর্থের প্রকৃত পরিমাণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে অডিট কার্যক্রম শুরু করা হবে। ব্যাংকগুলোর নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইউই, সিআইডি ও দুদকের সহায়তা গ্রহণ করে আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ ও বিদেশে পাচারকৃত অর্থ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে। অর্থ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা চেয়ে ইতোমধ্যে যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করে এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের লক্ষ্য হলো সব আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পরিপালনে সক্ষম একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং খাত গড়ে তোলা। তবে এই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কার্যক্রমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সময়, আন্তর্জাতিক কারিগরি সহায়তা ও অর্থের প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার অর্থ আত্মসাৎকারীদের দেশি-বিদেশি সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশ থেকে ফেরত এনে ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে। ব্যাংকগুলোর এই পুনর্গঠন এবং আর্থিক খাতের কাঠামোগত সংস্কার সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সরকার বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সরকার খুব দ্রুতই একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করবে, যারা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যাংকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করবে এবং ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠনের জন্য ছয়মাসের মধ্যে একটি বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ প্রণয়ন করবে।
জ্বালানি তেলের দাম কমলো
দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শনিবার (৩১ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এ খবর জানিয়েছেন।
এদিন বেলা ১১টার দিকে খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত নির্মাণাধীন রুপসা ৮০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প পরিদর্শনের আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আজ রাত ১২টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
জ্বালানি উপদেষ্টা জানান, ডিজেলের দাম ১০৬.৭৫ টাকা থেকে ১.২৫ টাকা কমিয়ে ১০৫.৫ টাকা, অকটেনের দাম ১৩১ টাকা থেকে ৬ টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১২৭ টাকা থেকে ৬ টাকা কমিয়ে ১২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলার আলোকে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের ধারাবাহিকতায় ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বর্তমান বিক্রয়মূল্য লিটারপ্রতি ১০৬ দশমিক ৭৫ টাকা থেকে ১ দশমিক ২৫ টাকা কমিয়ে ডিজেল ১০৫ দশমিক ৫০ টাকা ও কেরোসিন ১০৫ দশমিক ৫০ টাকা করা হয়েছে। একইসঙ্গে পেট্রোলের বর্তমান মূল্য ১২৭ টাকা থেকে ছয় টাকা কমিয়ে ১২১ টাকা এবং অকটেনের মূল্য ১৩১ টাকা থেকে ছয় টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা সমন্বয় করা হয়েছে।
সমন্বয়কৃত এই মূল্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর বলে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে এই সংক্রান্ত গ্যাজেটও প্রকাশিত হয়েছে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিপিসি মুনাফা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ফলে সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহকরা কমমূল্যে বাজারে জ্বালানি তেল কিনতে পারবেন।
কমলো স্বর্ণের দাম, কার্যকর সোমবার থেকে
দেশের বাজারে রেকর্ড ছাড়ানোর এবার স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৬২১ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ২৬ হাজার ৩২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এর আগে, দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৩৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ২৭ হাজার ৯৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর মাধ্যমে দেশের বাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দাম হয় স্বর্ণের।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়। গত ২৬ আগস্ট থেকে নতুন ওই দাম কার্যকর হয়।
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২ সেপ্টেম্বর)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
বৈদেশিক মুদ্রার নাম
বাংলাদেশি টাকা
মাল্টিজ ১ লিরি
৩০৮.১০ টাকা (●)
মার্কিন ১ ডলার
১২১.৭০ টাকা (●)
সৌদির ১ রিয়াল
৩১.৯৮ টাকা (●)
মালয়েশিয়ান ১ রিংগিত
২৭.৮০ টাকা (●)
ব্রুনাই ১ ডলার
৯১.৩৭ টাকা (●)
ইতালিয়ান ১ ইউরো
১৩৫.২০ টাকা (●)
ব্রিটেনের ১ পাউন্ড
১৫৬.৯৩ টাকা (●)
ইউরোপীয় ১ ইউরো
১৩৫.২০ টাকা (●)
অস্ট্রেলিয়ান ১ ডলার
৮১.৯৭ টাকা (●)
নিউজিল্যান্ডের ১ ডলার
৭৪.৬২ টাকা (●)
সিঙ্গাপুরের ১ ডলার
৯২.৫০ টাকা (▲)
ইউ এ ই ১ দিরহাম
৩৩.১২ টাকা (▲)
ওমানি ১ রিয়াল
৩১৬.১ টাকা (●)
কানাডিয়ান ১ ডলার
৮৯.৫৮ টাকা (●)
কাতারি ১ রিয়াল
৩৩.৩৩ টাকা (●)
কুয়েতি ১ দিনার
৩৯৮.৪১ টাকা (▼)
বাহরাইনি ১ দিনার
৩২১.৭০ টাকা (●)
দক্ষিণ আফ্রিকান ১ রান্ড
৬.৭০ টাকা (●)
জাপানি ১ ইয়েন
০.৮১৬ পয়সা (●)
চাইনিজ ১ ইউয়ান
১৬.৬৯ টাকা (●)
সুইজারল্যান্ডের ১ ফ্রেঞ্চ
১৩৯.৮৪ টাকা (●)
ইন্ডিয়ান ১ রুপি
১ টাকা ৪১ পয়সা (●)
দক্ষিণ কোরিয়ান ১ ওন
০ টাকা ০৯০৭৩১ পয়সা (▲)
• (▲) গতদিনের তুলনায় আজ টাকার রেট বেড়েছে।
• (▼) গতদিনের তুলনায় আজ টাকার রেট কমেছে।
• ( ● ) টাকার রেট অপরিবর্তিত রয়েছে।
** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।
আজকের স্বর্ণের দাম (২ সেপ্টেম্বর)
স্বর্ণ যেহেতু আমদানিকৃত একটি উপাদান সেক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশে সোনার দাম প্রায় প্রতিনিয়তই উঠা-নামা করতে থাকে। এই দাম বাজুস কর্তৃক সঠিকরূপে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কত চলছে সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সকলকে ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের পণ্যটির দাম জানানো হলো।
ইতিমধ্যেই ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বাজুস কর্তৃক আবারো নতুন করে নির্ধারিত হয়েছে বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্যারেট স্বর্ণের মূল্য। আমদানিকৃত বস্তু হিসাবে উক্ত নির্ধারিত দাম অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বর্ণের দাম বেড়েছে।
স্বর্ণের প্রকারভেদ দাম (১ ভরি)
২৪ ক্যারেট ১,৩০,৫৯০ টাকা (আনুমানিক)
২২ ক্যারেট ১,২৬,৩২১ টাকা
২১ ক্যারেট ১,২০,৫৮২ টাকা
১৮ ক্যারেট ১,৩,৩৫৫ টাকা
সনাতন পদ্ধতিতে ৮৫,৪৫০ টাকা
রেমিট্যান্স এলো ২২২ কোটি ডলার, যে ৮ ব্যাংকে এক টাকাও আসেনি
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের অর্থনীতির চাকা শ্লথ হওয়া থেকে রক্ষা করছে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ। সবশেষ আগস্ট মাসে দেশে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ১৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। তবে দেশে কার্যরত ৮টি ব্যাংকে আসেনি কোনো রেমিট্যান্স। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ থেকে জানা যায়, আগস্ট মাসে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৮টি। এর মধ্যে রয়েছে ১টি রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক, ১টি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৩টি বেসরকারি ব্যাংক ও ৩টি বিদেশি ব্যাংক।
আগস্টে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব ও বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামি ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।
এ ছাড়া কোনো রেমিট্যান্স আসেনি বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতেও।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৮ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৮১ লাখ ২০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭৫ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪৭ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে।
গত জুলাইয়ে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এ হিসেবে গত মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে শেষ পাঁচ দিনে। ২৫ থেকে ৩১ আগস্ট দেশে ৫০ কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর আগে ১৮ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৫৮ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার ডলার। ১১ থেকে ১৭ আগস্ট দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
এ ছাড়া গত ৪ থেকে ১০ আগস্ট দেশে এসেছিল ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত ১ থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৯ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বৈধ বা ব্যাংক চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভকে চাঙ্গা করতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়।