সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম
মৌসুম শেষ, তাই বাজারে কমে গেছে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ। সে কারণে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তারা বলছেন, এভাবে দাম বাড়তে থাকলে সংসার চালানোই কঠিন হয়ে যাবে। এখন সরকারের উচিত হবে সবজির মতো পেঁয়াজের দামও নিয়ন্ত্রণে আনা।
ব্যবসায়ীরা জানান, কৃষকরা নিজেদের জেলাতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেন। আর তারা সেই পেঁয়াজ কিনে রাজধানীতে আনেন। এখন মৌসুম শেষ, তাদের ঘরেও পেঁয়াজের মজুত কম। সে কারণে জেলা পর্যায়েই সংকট তৈরি হয়েছে। এ কারণে দাম বেড়েছে।
তারা আরও জানান, আমদানি করা পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ ও দাম তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও মানুষ দেশি পেঁয়াজ কিনতে বেশি আগ্রহী। এতে করে আমদানি করা পেঁয়াজ ও দেশি পেঁয়াজের দামের মধ্যে এই ফারাক তৈরি হয়েছে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারিতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৪০ ও খুচরায় ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ সময় কথা হয় মগবাজার দিলু রোডের বাসিন্দা মনজুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি এসেছিলেন পেঁয়াজ-রসুন-আলু ও কাঁচামরিচ কিনতে।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহেও ১২০ টাকা দরে দুই কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনলাম। অথচ আজ এসে দেখি ভিন্ন চিত্র। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আজ এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে।
মনজুরুল ইসলাম আরও বলেন, গত সপ্তাহে ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ১০০ টাকা। আজ এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। তবে এই পেঁয়াজের স্বাদ দেশি পেঁয়াজের মতো নয় বলে বেশি দাম দিয়ে হলেও দেশি পেঁয়াজ কিনি। শুধু আমি নই, আমার মতো অনেকেই এমনটা করে থাকেন।
তেজতুরীবাজার থেকে কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আল-আমিন হোসেন। তিনি বলেন, সবজির দাম আগের চেয়ে কমেছে। তবে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়তি। পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ ও খুচরায় ১৫০ টাকা। অথচ গতকালও এই পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হয়েছে ১২২ থেকে ১৩২ টাকায়।
এদিকে, বাজার তদারকিতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বেশি দাম ও অনিয়ম দেখলেই করা হচ্ছে জরিমানা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের অস্বাভাবিক মুনাফা রোধে সরকারকে সার্বক্ষণিক সক্রিয় থাকতে হবে।
আরটিভি/আইএম/এআর
মন্তব্য করুন