আকাশপথের ‘অদৃশ্য সিন্ডিকেটে’ যাত্রীরা দুর্ভোগে
খুব জরুরি দরকার, ব্যবসায়িক কাজে কালই বিদেশ যেতে হবে। কিন্তু টিকিট কিনতে গেলেই চোখ কপালে। দেশ ভেদে টিকিটের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। অথচ এই একই টিকিট বিদেশ থেকে কিনলে কম টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
যাত্রীরা বলছেন, দেশের বাইরে কমে টিকিট মিললেও দেশে তা অধরা। আর এর জন্য দায়ী একটি চক্র। তাদের দৌরাত্ম্যে সবাইকে বাধ্য হয়ে প্রায় দ্বিগুণ দামে টিকিট কিনতে হচ্ছে।
তারা আরও বলছেন, বিদেশ থেকে যে টিকিট কাটতে খরচ হয় ৪০ হাজার, সেটিই বাংলাদেশ থেকে কাটতে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার টাকার বেশি। এভাবে চলতে পারে না। তাহলে যাত্রীরা যাবে কোথায়?
এদিকে এজেন্সিগুলোর অভিযোগ, গ্রুপ টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্যে তারা ব্যবসা করতে পারছেন না। আর সে কারণেই অদৃশ্য সিন্ডিকেট থেকে মুক্ত হচ্ছে না আকাশ পথের টিকিট বাণিজ্য।
একাধিক এজেন্সির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এয়ারলাইনসগুলোর সহায়তায় গ্রুপ টিকিট বুকিংয়ের কালোবাজারিতে বিনিয়োগ করে রাঘব-বোয়ালরা। এতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সৌদি আরবসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট অনেক দেশে যেতে যাত্রীদের প্রতি টিকিটে বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
এ বিষয় ট্যুর হাব ট্রাভেলসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুলতান আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, নভেম্বরের শুরু থেকেই ডিসেম্বর মাসের টিকিটের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। প্রতি টিকিটে যার পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
বিষয়টি নিয়ে একাধিক এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। এ সময় টিকিটের দাম বৃদ্ধির কারণে সম্পর্কে তারা বলেন, বর্তমানে ভ্রমণ মৌসুম হওয়ায় নিয়মিত যাত্রীদের সঙ্গে অনেক মানুষই যাচ্ছেন। এতে চাপ বাড়ছে। আর চাহিদা সাপেক্ষে অনেক ক্ষেত্রেই বাড়ছে টিকিটের দাম।
এ খাতের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সরকারকেই কাজ করতে হবে উল্লেখ করে সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞ মুজিবুল হক বলেন, এ খাতে কারা সিন্ডিকেট করছে, তা সরকারকেই খুঁজে বের করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে বিমান মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম গঠন করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় এনে সিন্ডিকেট ভাঙা সহজ হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ৫২টি রুটে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করে ৩৫টি এয়ারলাইন্স। এতে তারা বছরে প্রায় ৮৫-৯০ লাখ দেশি-বিদেশি যাত্রী বহন করে।
আরটিভি/আইএম
মন্তব্য করুন