• ঢাকা শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১
logo

সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের পরামর্শ ডিসিসিআই’র

আরিটিভি নিউজ

  ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৫৯
ফাইল ছবি

দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের পরামর্শ দিয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, আমাদের দেশের জিডিপিতে করের অবদান বেশ কম। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যমান অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, সরকারি ব্যয় ২০ শতাংশ কমানো হলে বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় সরকারি ব্যয়ে যেমন কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে, একই সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প নেওয়া যাবে না। এছাড়া এডিপি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার পাশাপাশি সময়মতো প্রকল্প শেষ করার বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে।

তাসকীন আহমেদ বলেন, কোভিড মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা, স্থানীয় রাজনৈতিক অস্থিরতা পরবর্তী পটপরিবর্তনসহ আর্থিক খাতে তারল্য সংকটের ফলে এলডিসি উত্তরণ মোকাবিলার প্রস্তুতি বেশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমরা কতটা প্রস্তুত তা নির্ধারণে সরকারি-বেসরকারি ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে বিশদ আলোচনার ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। বিষয়টি যদি পেছানোর প্রয়োজন হয়, তবে দেশের সার্বিক অর্থনীতির কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার এলডিসি উত্তরণে আরও কিছুটা সময় নিতে পারে। এ লক্ষ্যে সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্তের কোনো বিকল্প নেই। তবে ২০২৬ সালে আমাদের এলডিসি উত্তরণ হলে এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি খাতকে সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার দ্রুত এ সংস্কার কার্যক্রম লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সম্পন্ন করবে, বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে এটি আমরা প্রত্যাশা করছি। দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে যদি সরকার প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়, তাহলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরও আশাবাদী হবেন। এতে বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদি সহায়ক কর কাঠামো পেলে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে উৎসাহিত হন। সেক্ষেত্রে হঠাৎ মাঝপথে কর কিংবা শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত উদ্যোক্তাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এমনটা হলে মোটেই কাম্য নয়। এতে স্থানীয় বিনিয়োগের পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়।

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়ার বিষয়ে তাসকীন আহমেদ বলেন, সিএসএমই খাতে ঋণ প্রাপ্তি হলেও তা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নয়, এটি বাড়াতে হবে। এ খাতের উদ্যোক্তারা যেন সহজশর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ আমাদের এসএমই খাত সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে থাকে।

আরটিভি/এমএ-টি

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির উদ্যোগ অর্থনীতির জন্য ‘আত্মঘাতী’: ডিসিসিআই সভাপতি
বিদেশে চিকিৎসা নিতে বছরে ব্যয় ৪৮ হাজার কোটি টাকা: ডিসিসিআই
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণের সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন ডিসিসিআই
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কৃচ্ছ্রসাধন অব্যাহত থাকবে: অর্থমন্ত্রী